আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় কেউ মারা যায়নি, মরবেও না: পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১০ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় এখনো কেউ মারা যায়নি, মরবেও না বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বুধবার (১০ আগস্ট) সকালে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার ডুংরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। যারা আমাদের পছন্দ করে না তারা বলছে, জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, মানুষ মরে যাবে। জিনিসপত্রের দাম কিছুটা বেড়েছে সত্য, তবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় এখনও কেউ মারা যায়নি, আশা করি মরবেও না।

তিনি বলেন, প্রতিদিন ২-৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষের কষ্ট হচ্ছে। যুদ্ধের কারণে তেল-গ্যাস বন্ধ হয়ে গেছে। একটি মহল তিন মাস আগ থেকে বলছে, দেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে। আমরা বলেছিলাম হবে না। আর মাত্র একটি মাস আমরা আগের জায়গায় ফিরে যাব।

এম এ মান্নান বলেছেন, আওয়ামী লীগের বিদায় ঘণ্টা বাজবে না। আওয়ামী লীগের শেকড় মাটির অনেক গভীরে, ওপরে ফেলা অসম্ভব।

তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর বন্দুকের জোরে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল, আওয়ামী লীগ আসে নাই। বিদায় ঘন্টা না, কোনো ঘণ্টা বাজানোর ভয়ভীতি আওয়ামী লীগের নেই।


আরও খবর



জেলেনস্কির গাড়ি বহরের কাছে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির গাড়ি বহরের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ইউক্রেনের বন্দর নগরী ওডেশাকে লক্ষ্য করে বুধবার (০৬ মার্চ) ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি গিয়ে পড়েছে জেলেনস্কি থেকে মাত্র ১৬০০ ফুট দূরে। সে সময় তার সঙ্গে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী ক্রায়াকোস মিসোতাকিস ছিলেন। হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, দুই নেতার গাড়ি বহর হামলার তীব্রতা টের পেয়েছে এবং তারা ধোঁয়ার কুণ্ডলি বের হতে দেখেছেন। ইউক্রেনের নৌবাহিনীর মুখপাত্র দিমিত্রো প্লেটেনচুক জানিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাঁচজন নিহত হওয়ার পাশাপাশি অনেকে আহত হয়েছে।

হামলায় জেলেনস্কি ও গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কেউই আহত হননি। তবে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার এতটাই কাছে ছিলেন যে এটির শব্দ শুনতে পেয়েছেন।

ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট এ ব্যাপারে বলেছেন, আমরা আজ হামলা হতে দেখেছি। আপনারা দেখেছেন কারা এগুলো মোকাবিলা করছে। আমি বিস্তারিত এখনও জানি না। কিন্তু আমি এটা জানি অনেকে আহত ও নিহত হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, আমাদের দ্রুত নিজেদের রক্ষা করতে হবে। আর নিজেদের রক্ষায় সবচেয়ে ভালো উপায় হল আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।”


আরও খবর



ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হলেন আপেল

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল। ঠাকুরগাঁও জেলা রিটার্নিং অফিস কর্তৃক এক গণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

জেলা রিটার্নিং অফিসারের অফিস সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। গত ২২ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে একজন প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সন্তোষ কুমার আগরওয়ালা প্রত্যাহার করলে দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বী থাকেন। জেলা রিটার্নিং অফিসার যাচাই-বাছাইয়ে তিনজনের মধ্যে ব্যাংকে ঋণ খেলাপির দায়ে  জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এসএমএ মঈনের মনোনয়ন বাতিল করেন। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল মজিদ আপেলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

পরে এসএমএ মঈন প্রার্থিতা ফিরে পেতে উচ্চ আদালতে রিট করেন। আদালত তার প্রার্থিতা বহাল রেখে তাকে প্রতীক বরাদ্দের আদেশ দেন। পরে গত ৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এসএমএ মঈনের আবেদন খারিজ করে ঠাকুরগাঁও জেলা রিটার্নিং অফিসারের গণবিজ্ঞপ্তি সঠিক বলে রায় দেন। এ অবস্থায় জেলা রিটার্নিং অফিসার আর কোনো প্রার্থী না থাকায় আব্দুল মজিদ আপেলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করে গত ৭ মার্চ আবারও গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় শনিবার (৯ মার্চ) বিকেলে আব্দুল মজিদ আপেল জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় অফিসে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।

নবনির্বাচিত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ আপেল বলেন, আমি সব সময় সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে গেছি এবং সততার  সঙ্গে কাজ করে যাব। আমার বড় ভাই মরহুম মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশীর অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করব। সকলকে সঙ্গে নিয়ে একটি মডেল জেলা পরিষদ গড়ে তুলবো।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ অক্টোবর ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহ. সাদেক কুরাইশী মৃত্যুবরণ করলে পদটি শূন্য হয়। ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৭৫৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫৭৮ জন ও নারী ভোটার ১৮০ জন।


আরও খবর



নির্ধারিত দামে ভোজ্য তেল মিলবে রোববার থেকে

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

১ মার্চ থেকে থেকে সরকার নির্ধারিত ১৬৩ টাকা দামে ভোজ্য তেল বিক্রির কথা থাকলেও তা কার্যকর হতে যাচ্ছে রোববার (৩ মার্চ) থেকে।

শনিবার (২ মার্চ) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টারে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামীকাল (রোববার) থেকে সরকার নির্ধারিত ১৬৩ টাকা লিটার দামে ভোজ্য তেল পাওয়া যাবে। ইতোমধ্যে মিলগুলোতে তেলের মূল্য তদারকিতে মন্ত্রণালয়ের টিম যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। এছাড়া রমজান মাসকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের দাম ভোক্তার নাগালে রাখতে বাজার মনিটরিং অব্যাহত থাকবে বলে যোগ করেন।

এসময় চলতি সপ্তাহে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেয়াজ আমদানির কথাও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনাবিষয়ক টাস্কফোর্সের সভায় সয়াবিন তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত হয়। নতুন দর অনুযায়ী, বোতলজাত প্রতি লিটারে দর ১৬৩ এবং পাঁচ লিটারের দর ৮০০ টাকা হওয়ার কথা। আর খোলা প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম হওয়ার কথা ১৪৯ টাকা। সেদিন সভায় জানানো হয়েছিল, নতুন দর কার্যকর হবে ১ মার্চ থেকে।

এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে চার নিত্যপণ্যের শুল্ক কমানোর নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব পণ্য হলো চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুর। এরপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শুল্ক কমানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়।


আরও খবর



ভারত : বিতর্কিত সিএএ’র বাস্তবায়ন স্থগিতের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিটিজেনশিপ অ্যামন্ডমেন্ট অ্যাক্ট অ্যান্ড রুলস- সিএএ) বাস্তবায়ন স্থগিতের নির্দেশ দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে নোটিশ জারি করেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। নোটিশের জবাব দিতে নয়াদিল্লিতে আসীন কেন্দ্রীয় সরকারকে তিন সপ্তাহ সময়ও বেঁধে দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ মঙ্গলবার নোটিশটি জারি করে। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি জে.বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র।

পার্লামেন্টে পাস হওয়ার চার বছর পর, গত ১১ মার্চ দেশজুড়ে সিএএ কার্যকর করে কেন্দ্রীয় সরকারে আসীন বিজেপি; কিন্তু তার পরপরই বিজেপির এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা শুরু করে বিরোধী দলগুলো। পশ্চিমবঙ্গ ও কেরালার রাজ্য সরকার ইতোমধ্যে জানিয়েছে, রাজ্যে আইন বাস্তবায়ন করা হবে না। আইনটি স্থগিতের জন্য বিজেপিকে আল্টিমেটাম দিয়েছে তামিলনাড়ু, কর্ণাটকসহ দক্ষিণাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্যগুলোও।

সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র জানিয়েছে, ১১ মার্চ আইনটি কার্যকরের আদেশ দেওয়ার পর থেকেই সেটি স্থগিতের জন্য আপিল আসতে থাকে। এ পর্যন্ত অন্তত ২০টি আপিল জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এসব আপিলে স্বাক্ষর রয়েছে অন্তত ২৩৭ জন আবেদনকারীর।

মঙ্গলবার এসব আপিলের ওপর ওপরই শুনানি ছিল। শুনানিতে আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত যেন কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ বাস্তবায়ন স্থগিত রাখে এমন আদেশ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। বাদিপক্ষের আইনজীবী দলের অন্যতম সদস্য নিজাম পাশা বলেন, আইনটি পাসের পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভারতের মুসলিমরা। তাদের মধ্যে এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে যে বিজেপি সরকার ভারতীয় মুসলিমদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে চায় এবং সিএএ হলো সেই পরিকল্পনার প্রথম ধাপ।

তবে বাদিপক্ষের এই যুক্তির পাল্টায় ভারতের শীর্ষ আইন কর্মকর্তা (সলিসিটর জেনারেল) তুষার মেহতা দাবি করেন, সিএএর মাধ্যমে কারো নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার উপায় নেই।

উভয়পক্ষের তর্ক ও যুক্তি উপস্থাপন শেষে সুপ্রিম কোর্ট সিএএ কার্যকর করা কেন অবৈধ হবে না মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশে নোটিশ জারি করেন এবং জবাব দেওয়ার জন্য তিন সপ্তাহ সময় দেন। সেই সঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন হিসেবে আগামী ৯ এপ্রিল ধার্য করেন সর্বোচ্চ আদালত।

২০১৯ সালে পার্লামেন্টে সিএএ পাস করে তৎকালীন বিজেপি সরকার । এ আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ ও পার্সি সম্প্রদায়ের যেসব লোকজন সাম্প্রদায়িক নির্যাতন ও নিপীড়ণের মুখে টিকতে না পেরে ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

ভারতে প্রথমবার নাগরিকত্ব আইন পাস হয় ১৯৫৫ সালে। সেই আইন অনুযায়ী, বিদেশ থেকে ভারতে আসা যেসব ব্যক্তি বিগত ১৪ বছরের মধ্যে ১১ বছর ধরে ভারতে বসবাস করছেন এবং অন্তত ১ বছর টানা থেকেছেন, তারা ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করলে তা অনুমোদন করা হবে। সিএএতে ১১ বছরের মেয়াদকালকে কমিয়ে ৫ বছরে আনা হয়েছে।

২০১৯ সালে আইনটি পাসের পর থেকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিজেপিবিরোধী বিভিন্ন ভারতীয় দল ছিল সেই বিক্ষোভের নেতৃত্বে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের ব্যাপক বিরোধী।

উত্তর-পূর্ব ভারত থেকেই মূলত আপত্তি উঠেছিল সিএএ নিয়ে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, সিএএ কার্যকর হলে শরণার্থীদের ভিড় ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। তার ফলে ভাষাগত এবং সংস্কৃতিগত সমস্যা প্রকট হতে পারে। নিজেদের ভাষা এবং সংস্কৃতি রক্ষার স্বার্থেই অনেকে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন।

পাশাপাশি আইনে মুসলিমদের বাদ দেওয়া নিয়েও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। শুধু তা-ই নয়, দক্ষিণ ভারতে সিএএ বিরোধিতার মূল কারণ, শ্রীলঙ্কা থেকে আগত তামিল উদ্বাস্তুদের বাদ দেওয়া।

সিএএ বিরোধিতাকারীদের অভিযোগ, আইনটি ভারতের সংবিধানের পরিপন্থী। কেননা, এ আইনে ধর্মীয় কারণে নাগরিকদের মধ্যে বৈষম্য করা হচ্ছে। তবে বিজেপির বক্তব্য, এই আইনে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না; বরং যারা ধর্মীয় বৈষম্যের কারণে এ দেশে চলে এসেছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

২০১৯ সালে আইনটি পাস হওয়ার পর রাজধানী নয়াদিল্লিসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে দাঙ্গা হয়েছিল। এসব দাঙ্গায় প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ।


আরও খবর



ভিসা জটিলতায় বাঁধন, বেঙ্গালুরু উৎসবে যেতে বিপত্তি

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ভারতের কর্ণাটক চলচ্চিত্র একাডেমি আয়োজিত ১৫তম বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের অফিশিয়াল জুরি হওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে উৎসব শুরু হলেও ভিসা জটিলতার কারণে নির্ধারিত সময়ে উৎসবে উপস্থিত হতে পারেননি বাঁধন।

তবে তিনি আশা করছেন, আজকের মধ্যে ভিসা হাতে পাবেন। আয়োজকদের পক্ষ থেকেও ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানান বাঁধন। বাঁধন বলেন, আশা করছি, ভিসা হাতে পেয়ে কাল সোমবার (০৪ মার্চ) থেকে উৎসবে যোগ দিতে পারব। আমার সঙ্গে আয়োজকরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। সেই সঙ্গে দূতাবাসেও কথা বলছেন তারা। আমার জন্য এখনো হোটেল বুকিং রেখেছেন, বিমানের টিকিট রেখেছেন।’

তিনি আরও বলেন, এটি ভারতের একটি স্টেটের সরকারি চলচ্চিত্র উৎসব। সে দেশের সরকারই সব ব্যবস্থা করছে। আমাকে কিছু করতে হচ্ছে না। উৎসব চলবে ৭ মার্চ পর্যন্ত। আশা করছি, তার আগেই সেখানে পৌঁছার সুযোগ পাব।’


আরও খবর