আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ঝুঁকিতে শতাধিক এমপি

প্রকাশিত:বুধবার ১১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ

Image

ঘনিয়ে আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়ার প্রস্তুতির কাজও এগিয়ে নিচ্ছে টানা মেয়াদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নভেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন। এই সরকার গঠনের পর পরই মনোনয়ন তালিকা ঘোষণা করবে আওয়ামী লীগ। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে ধরেই গ্রহণযোগ্য ও শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা চিন্তা করে ভোট প্রস্তুতি শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দলটি। সে লক্ষ্যে প্রতি আসনের জন্য দুই জন করে প্রার্থীর সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ।

জানা গেছে, বর্তমান সংসদের শতাধিক সংসদ সদস্য দ্বাদশের ভোটযুদ্ধে মনোনয়ন বঞ্চিত হতে যাচ্ছেন। এই সংখ্যা ১২০ অতিক্রম করবে। সেই হিসাব ধরেই ওইসব আসনের জন্য বিকল্প প্রার্থী চূড়ান্ত করে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। যা ইতোমধ্যে দলীয় হাই কমান্ডের হাতে পৌঁছে গেছে। এমন তথ্যই জানিয়েছেন দলটির নীতি নির্ধারকরা।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন হারান আওয়ামী লীগের ৫৬ জন সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী। তার আগে ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনেও বাদ পড়েন ছয় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ৪৯ জন।

বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী ইতোমধ্যে সংক্ষিপ্ত তালিকায় নামিয়ে এনেছেন। এখন মাত্র ৪৫টি আসনে চূড়ান্ত জরিপের কাজ চলছে। এসব আসনে জরিপ প্রতিবেদন আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে দলীয় প্রধানের হাতে পৌঁছবে। তবে মনোনয়ন নিশ্চিত এমন কিছু সংসদ সদস্যকে ইতোমধ্যে মৌখিকভাবে সংকেত দিয়ে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল বা গ্রুপিং এড়িয়ে কাজ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, বিএনপি নির্বাচনে আসবে, এমন সম্ভাবনা মাথায় রেখেই দলের মনোনয়ন কার্যক্রম গুছিয়ে এনেছেন দলীয় সভাপতি। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি আসনে শুধু দলের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য জনপ্রিয় প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়া হবে। আর বিএনপি নির্বাচনে না এলেও দলীয় মনোনয়নের বাইরে বিকল্প প্রার্থীদের ভোটযুদ্ধে শামিল করে নির্বাচনি বৈতরণী পার করারও কৌশল রয়েছে দলটির।

নির্বাচন ও মনোনয়ন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আগামী জানুয়ারিতে নির্বাচন হবে- সেটা নির্বাচন কমিশনই বলে দিয়েছে। তার আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হবে। সম্ভবত অক্টোবরের শেষে অথবা নভেম্বরের প্রথমদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হবে এবং তারপর নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করা হবে। যতদূর আমি জানি, বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। বিএনপি বাইরে বাইরে যত যাই বলুক না কেন ভেতরে ভেতরে তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে।

নেতারা জানান, দ্বাদশের ভোটেযুদ্ধের লড়াইয়ে কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের অবস্থান খুবই নাজুক। এরকম অনেকেই ইতোমধ্যে তাদের সন্তানদের দলীয় মনোনয়নের দৌড়ে শামিল করেছেন। তবে আওয়ামী লীগ একাদশ সংসদের উপ-নির্বাচনগুলোতে যত প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে সেখানে কেবলমাত্র সিরাজগঞ্জ-১ আসন বাদে সব বাকি সব জায়গায় তৃণমূলের গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা দ্বাদশের মনোনয়ন প্রক্রিয়ায়ও অব্যাহত থাকবে।

মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়নের কাজ গত এক বছর থেকে চলছে। কারণ, প্রতিটি জাতীয় নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। জরিপ চলছে। আমরা তৃণমূল নেতাদেরও মতামত নেব। তৃণমূলের মতামত সম্ভবত শিডিউল ঘোষণার পর নেয়া হবে। তবে ফাইনালি আমাদের পার্লামেন্টারি বোর্ড নির্ধারণ করবে কাকে কাকে মনোনয়ন দেয়া হবে। আমি আশা করি, যাকেই মনোনয়ন দেয়া হোক না কেন সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করবে।

ফারুক খান বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি বৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের প্রতিটি নির্বাচনি এলাকায় আট থেকে দশ জন যোগ্য প্রার্থী আছে। কিন্তু সবাইকে তো আর মনোনয়ন দেয়া যাবে না। সেজন্য আমরা প্রধানত চারটি ক্রাইটেরিয়া ঠিক করেছি।

এক. এলাকায় জনপ্রিয়তা, দুই. দলের সঙ্গে তার সম্পর্ক, ৩. কোভিড-১৯ পিরিয়ডে তার কর্মকাণ্ড, ৪. তার নামে কোনো বদনাম আছে কি না। এসবের উপর ভিত্তি করে জরিপ হয়েছে। তৃণমূল থেকে মতামত আসবে এবং তার উপর ভিত্তি করে মনোনয়ন দেয়া হবে। যদি কেউ চারটি ক্রাইটেরিয়া ফুলফিল করতে না পারেন, তাহলে মনোনয়ন পাবেন না।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, যতদূর জানি, মনোনয়নের বিষয়গুলো প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছেন মাননীয় নেত্রী পার্টির সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি সবকিছু যাচাই-বাচাইয়ের মাধ্যমে মাঠ জরিপ করে একটি চূড়ান্ত জায়গায় রয়েছেন বলে মনে করি। যারা যোগ্যপ্রার্থী, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আছে- তাদেরকেই মনোনয়ন দেয়া হবে। যারা বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তিনি মনোনয়ন পাবেন না। মনোনয়ন চূড়ান্ত সঠিক ও সুন্দরভাবে হবে; নেত্রী সেভাবেই যাচাই-বাছাই করছেন।

এদিকে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য এবং দলের নীতিনির্ধারক নেতা হওয়ার পরও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাননি বেশ কয়েকজন। তারা হলেন- দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম), অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক। এদের মধ্যে তিন জন দ্বাদশের ভোটযুদ্ধে মনোনয়ন পেতে পারেন বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। সেজন্য ওই নেতারা ইতোমধ্যে নিজ নিজ নির্বাচনি এলাকায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে নেতাকর্মীসহ জনগণের কাছাকাছি যাচ্ছেন।

এর আগে, শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশগ্রহণ ও যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর মনোনয়নের যোগ্যতার বিষয় স্পষ্ট করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে প্রার্থীদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন? যোগ্যতা খুব স্বাভাবিক। জনগণের কাছে কার গ্রহণযোগ্যতা বেশি, বা এত বছর যারা সংসদ সদস্য আছেন তারা জনগণের জন্য কতটুকু কাজ করছেন এবং তাদের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছেন কিনা- সেটাই আমরা বিবেচনায় নিই। আর নিই বলেই আমরা নির্বাচনে জয়ী হই এবং মানুষের জন্য কাজও করতে পারি।

দলীয়প্রধান সংসদীয় বোর্ড সভাপতি শেখ হাসিনা আরো বলেন, করোনার সময় মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে আমাদের অনেক সংসদ সদস্য ও নেতাকর্মী জীবন দিয়েছেন। কাজেই মানুষের কাছে যাদের গ্রহণযোগ্যতা আছে সেটা আমরা বিবেচনা করব। আমি প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর সার্ভে করি। কারও পরিস্থিতি একটু খারাপ হলে মুখের উপর বলে দিই, আপনার অবস্থা কিন্তু খারাপ। এখানে এই জায়গায় এই কাজ করতে হবে। আমরা সচেতন বলেই কিন্তু ইলেকশনে জনগণের আস্থা পাই, ভোট পাই, জয়ী হই। এবং পর পর তিন বার সরকার গঠন দেশের উন্নয়ন করতে পেরেছি।


আরও খবর
বিএনপির ৭৫ নেতাকে বহিষ্কার

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪




সিলেটে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখায় কন্ট্রোল রুমে ঢুকে প্রকৌশলী মো. মাসুদ রানাকে সিসিক কাউন্সিলর কর্তৃক মারধরের অভিযোগ ওঠেছে। মো. মাসুদ রানা সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-৩ এর সহকারী প্রকৌশলী। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) ২৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রায়হান হোসেনসহ আরও দুইজনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগে মামলা হয়েছে।

গত রোববার রাতে দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি এলাকার বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-৩ এর কেপিআইভুক্ত কন্ট্রোল রুমে এ ঘটনা ঘটে। তবে কাউন্সিলর মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

কাউন্সিলরের ভাষ্য, ঝড়ে বিদ্যুতের লাইন রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পর তিনি সেটা রাতেই সরাতে অনুরোধ করতে কন্ট্রোল রুমে ঢুকেছিলেন।

জানা যায়, শিলাবৃষ্টি ও ঝড়-তুফানে ১১ কেভি ফিডার ফল্টের কারণে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়। এই বন্ধ লাইন চালু করতে কাউন্সিলর রায়হান হোসেন দুইজনকে নিয়ে কেপিআইভুক্ত কন্ট্রোল রুমে ঢুকে মাসুদ রানাকে মারধর করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার সকালে দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা করেছেন মারধরের শিকার প্রকৌশলী মাসুদ রানা।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রায়হান হোসেনকে। মামলায় ওই এলাকার আরো দুজনকে আসামি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সহকারী প্রকৌশলী মাসুদ রানা বলেন, 'ফল্টের কারণে বন্ধ হওয়া ১১ কেভি বরইকান্দি ফিডার জোরপূর্বক চালু করতে চাইছিলেন কাউন্সিলর। কিন্তু এভাবে এই ফিডার চালু করলে অনেক সমস্যা হবে। মানুষের জানমালের ক্ষতি হবে। তাই আমি তাকে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করি। কিন্তু তিন আমার কোনো কথা না শুনে আমার উপর আক্রমণ করেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছি।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর রায়হান হোসেন বলেন, মারামারি বা হামলার কোন ঘটনা ঘটেনি। বিদ্যুতের লাইন ছিড়ে রাস্তায় পড়েছিলো। সেই ছেড়া লাইন সরানোর জন্য আমরা তাদের বলি। কিন্তু তারা সেটা রাতে সরাতে রাজি হয়নি।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল কাদির বলেন, বিদ্যুৎ চলে গেলেই দপ্তরে এসে প্রকৌশলী কর্মকর্তাদের মারধর করা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। রাতে এটা খুব বাজে কাজ করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর। তিনি দায়িত্বশীল পদে থেকে দায়িত্ব জ্ঞানহীনের মতো কাজ করেছেন। আমরা তো রাজনৈতিক ও সামাজিক কারণে এসব ব্যাপারে কঠোর হতে পারিনা। কিন্তু এবার আমরা এসব কঠোর হস্তে দমন করবো।


আরও খবর



ট্রেনে ঈদ ফিরতি যাত্রা শুরু

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল ফিতরের পর বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সাত দিনব্যাপী ট্রেনে ফিরতি যাত্রা ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর জন্য আরও ১০ দিন আগে এই যাত্রার আসন বিক্রিও করেছিল রেলওয়ে। সেই যাত্রা শুরু প্রথম দিন শনিবার (১৩ এপ্রিল)।

এদিন সকালে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে যাত্রী নিয়ে ট্রেনগুলো স্টেশনের বিভিন্ন প্লাটফর্মে আসছে। তবে ট্রেনগুলো থেকে যথেষ্ট যাত্রী নামতে দেখা যায়নি। যারা এসেছেন তারা জানিয়েছেন, আজ ট্রেন অনেকটাই ফাঁকা ছিলো। আগামীকালও ছুটি, হয়তো পরশুদিন থেকে ট্রেনে চাপ বাড়বে।

ভোর থেকে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহী আন্তঃনগর ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। এর মধ্যে পঞ্চগড় থেকে আসা একতা এক্সপ্রেস (৭০৬) ট্রেনটি সকাল ৮টার দিকে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছায়। ওই ট্রেনের যাত্রী হামিদুর রহমান বলেন, আমি ঈদের তিন দিন আগেই বাড়ি গিয়েছিলাম। যদিও কালকে বন্ধের দিন, কিন্তু কাজ থাকায় আজই ঢাকায় ফিরেছি। পরিবারে অন্য সদস্যরা আরো কয়েকদিন পরে ফিরবেন।

তিনি আরও বলেন, ঢাকায় ফিরতে ট্রেনে তেমন কোনো চাপ ছিল না। ট্রেন অনেকটা ফাঁকাই লেগেছে। হয়তো কালকের পর থেকে চাপ বাড়বে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে জানায়, ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ১৩ এপ্রিলের ফিরতি টিকিট বিক্রি করা হয় ৩ এপ্রিল; ১৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ৪ এপ্রিল; ১৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ৫ এপ্রিল; ১৬ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ৬ এপ্রিল; ১৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ৭ এপ্রিল; ১৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ৮ এপ্রিল এবং ১৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ৯ এপ্রিল। এছাড়া যাত্রী সাধারণের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর ২ ঘণ্টা আগে থেকে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।


আরও খবর



ভিপি নুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

চট্টগ্রামে সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতার দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (১৫ এপ্রিল) চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জহিরুল কবীর এই আদেশ দেন।

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তেব্যর অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক আইন সম্পাদক এডভোকেট শাহরিয়ার ইয়াছির আরাফাত তানিম এ মামলা দায়ের করেন।

ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শিক্ষামন্ত্রীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ট্রাইব্যুনালে গত ৬ ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। সোমবার মামলার ধার্য তারিখে অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

সাইবার ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১ জুন বাংলাদেশ ছাত্র যুব অধিকার পরিষদের সমাবেশ ডেকে সরকারসহ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগর বিরুদ্ধে আসামি ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে গুণ্ডালীগ বলে আখ্যায়িত করেছেন। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বিরুদ্ধেও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন।

শিক্ষামন্ত্রী, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯ ও ৩১ ধারায় মামলা করা হয়েছিল। আদালত মামলাটি শুনানি শেষে গ্রহণ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) চট্টগ্রাম মেট্রো ও জেলাকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি চট্টগ্রাম মেট্রো ও জেলার উপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল করিম ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।


আরও খবর



বিশেষ ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ৩ বগি লাইনচ্যুত, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার যোগাযোগ বন্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী বিশেষ ট্রেনের (ঈদ স্পেশাল) ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় এ লাইনচ্যুতের ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন মাস্টার মো. গোলাম রব্বানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সকাল ৭টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ওই বিশেষ ট্রেনটি রওনা দেয়। সকাল ১০টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় বিকটশব্দে ওই ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এতে চট্টগ্রামের সঙ্গে কক্সবাজারের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

চট্টগ্রামে উদ্ধারকারী ট্রেনকে খবর দেওয়া হয়েছে। ট্রেনটি ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেরামতের কাজ শেষ করলেই ওই রুটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে বলে জানান ওই স্টোশন কর্মকতা।


আরও খবর



দেশব্যাপী হিট স্ট্রোকে পুলিশসহ আরো ৯ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র দাবদাহে দূর্বিষহ জনজীবন। এরমধ্যে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রা আবারও বেড়েছে। ঈশ্বরদী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, রাজশাহী, মংলা ও খেপুপাড়ায় তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রির ওপরে। ৪১ জেলার তাপমাত্রা ছিল ৩৬ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রার পারদ এমন থাকলে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে গরমের অনুভূতি অনেক বেশি হয়। আবহাওয়া বিশ্লেষকরা বলছেন, তাপমাত্রা আজও চড়বে। সহসা নিস্তার মিলবে, এমন আভাস দেশিবিদেশি কোনো আবহাওয়া মডেল দিতে পারছে না।

এদিকে হিট স্ট্রোকে প্রতিদিন মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবারও একজন পুলিশ কনস্টেবলসহ রাজধানী ঢাকা ও বিভিন্ন জেলায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২০ এপ্রিল থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত চার দিনে সারাদেশে হিট স্ট্রোকে মারা গেছে ৩৩ জনের বেশি।

প্রাণঘাতী এই অসহ্য গরমে সবাই এখন চাতকের মতো তুমুল বৃষ্টির জন্য অধীর অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। উন্মুক্ত প্রান্তরে সালাতুল ইসতেস্কা পড়ছে মুসলমানরা। সিলেটসহ কিছু স্থানে বিক্ষিপ্ত যে বৃষ্টিপাত হচ্ছে, তাতে পথের ধুলোর মরণ হলেও মোটেই স্বস্তি মিলছে না। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, টানা ভারী বর্ষণ ছাড়া এই দাবদাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।

পটুয়াখালীর বাউফলে হিট স্ট্রোকে মোহাম্মদ শাহ-আলম (৫০) নামের এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ঢাকায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত ছিলেন। তিনি ছুটিতে গ্রামের বাড়ি বাউফল যান। সোমবার রাত ৯টায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাউফল হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে তাকে বরিশালে পাঠানো হয়। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান।

রাজধানীর গুলিস্তান টোল প্লাজার পাশের রাস্তায় মো. আলমগীর শিকদার (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোকে ঐ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গতকাল বেলা ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিত্সক মৃত ঘোষণা করেন। আলমগীর যাত্রাবাড়ির পশ্চিম শেখদি এলাকার মৃত জমির শিকদারের ছেলে। এছাড়া সিরাজগঞ্জের তাড়াশে কৃষক আফসার আলী ও মো. হাসান আলী, নাটোরের বড়াইগ্রামে কৃষক বকুল হোসেন, জামালপুরে মরিচ ব্যবসায়ী গোলাম রাব্বানী, বরগুনার আমতলীতে অজিতুন নেসা, কুমিল্লার বুড়িচংয়ে শ্রমিক মুজিবুর রহমান ও খুলনার আড়ংঘাটায় ৬০ বছরের অজ্ঞাত একজন মারা গেছেন।

এদিকে পরপর দুই দিন তাপমাত্রা খানিকটা হ্রাস পাওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আবার বেড়েছে। আজ বুধবার আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক। তিনি জানান, গতকাল রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী তিন দিন তাপমাত্রা বৃদ্ধির এই অবস্থা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। চলতি এপ্রিল মাসের বাকি সময়টা তাপপ্রবাহ থাকতে পারে। গত শনিবার রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিও ছিল এ বছরে রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। তবে রবিবার ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে রাজধানীর তাপমাত্রা ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যায়। ঐ দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সোমবার ঢাকার তাপমাত্রা আরো কমে হয়েছে ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দেশের কোথাও কোথাও আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও আগামী এক সপ্তাহে পুরো দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।


আরও খবর