আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

ঝড়ে সুন্দরবনের ১৯ জেটি বিধ্বস্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ মে ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মে ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পূর্ণিমা ও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে পূর্ব বনবিভাগের ১৯টি জেটি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯টি পুকুর, ১০ অফিস, ২৪টি পাটাতনের রাস্তা ও ছয়টি জলযান। উড়ে গেছে বন বিভাগের স্টেশনের টিনের চালা। ভেঙে গেছে দুটি টাওয়ার।

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকাল ৯টায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বনের দুর্গম এলাকায় সবার সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। প্রাথমিকভাবে এ তথ্যগুলো পাওয়া গেছে। কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নির্ধারণে বন বিভাগ চারটি পৃথক কমিটি গঠন করেছে।

এই বন কর্মকর্তা আরও বলেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার অন্তর্গত বন বিভাগের চারটি রেঞ্জ এলাকা। যার দুটি বাগেরহাটে অবস্থিত। এরইমধ্যে সুন্দরবনের পূর্ব বন বিভাগের অন্তর্গত শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ শুরু করেছে কমিটির কর্মকর্তারা। সুন্দরবনের খুলনা জেলার নলিয়ান ও সাতক্ষীরা জেলার বুড়িগোয়ালিনী রেঞ্জেও একই ভাবে সেখানখার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে বনের অনেক এলাকা থেকে পানি নেমে গেছে। তবে দুপুরে জোয়ারের সময়ে আবারও পানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্ণিমার জোয়ার ও বাতাসের গতিবেগ থাকায় বনসংলগ্ন নদীখাল পরিপূর্ণ রয়েছে। তবে সুন্দরবনের করমজল বন্য প্রাণি কেন্দ্রের কুমির, হরিণ ও কচ্ছপ নিরাপদে রয়েছে।

উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে ৩ নম্বর সংকেত জারি করা হয়। ঝড়ো হওয়া ও জলোচ্ছ্বাস স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৬ ফুট উচ্চতায় পানি সুন্দরবন প্লাবিত করে। ফলে ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।


আরও খবর
কপালের বলিরেখা দূর করার উপায়!

শুক্রবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

অভিযানেও স্বস্তি ফেরেনি চালের বাজারে

শুক্রবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৪




ঢাবির কোয়ার্টার থেকে শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঢামেক প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর শাহবাগ থানার ফুলার রোডে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক কোয়ার্টারে আদ্রিতা বিনতে মোশারফ (২১) নামে এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি ঢাবির মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

রোববার (৩১ মার্চ) ভোরে দক্ষিণ ফুলার রোডের ১৯ নম্বর ভবনের তৃতীয় তলায় এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক সকাল সাড়ে ৭টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাজিরুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ভোরে ফুলার রোডের আবাসিক কোয়ার্টারের ওই বাসায় গিয়ে দেখি বিছানায় শায়িত অবস্থায় রয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। তখন তার পরিবারের কাছ থেকে জানা যায়, ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষের চিকিৎসক জানান তিনি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও জানান, কি কারণে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন সে বিষয়ে পরিবার তেমন কিছুই জানাতে পারেনি। ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।

তার বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম থানার মজলিশপুর গ্রামে। আদ্রিতার বাবা অধ্যাপক ড. মোশারফ হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক। বাবা মায়ের সঙ্গেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারে থাকতেন তিনি।


আরও খবর



রাঙামাটিতে জ্বর-রক্তবমি উপসর্গ নিয়ে ৫ জনের মৃত্যু, আতঙ্কে এলাকাবাসী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

রাঙামাটির অতি দুর্গম বরকল উপজেলার এক গ্রামে তীব্র জ্বর, রক্তবমি, পেটব্যাথাসহ আরও বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে জানুয়ারি থেকে এই পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া কমপক্ষে আরও ১০ জন এসব উপসর্গে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে রোগটি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক থাকলেও জেলা সিভিল সার্জন জানিয়েছেন খাদ্যাভ্যাসের কারণে তারা এসব উপসর্গে আক্রান্ত হয়েছে। মেডিকেল টিম ইতোমধ্যে দুর্গম এই গ্রামে রওনা দিয়েছে।

স্থানীয় ও স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়নের শুইছড়ি মৌজার চান্দবিঘাট এলাকায় বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে জানুয়ারি মাস থেকে এই পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১৫ জন। তাদের মধ্যে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখে। চান্দিনাঘাট গ্রামের লবিন্দর চাকমা এবং স্নেহবালা চাকমার ছেলে পত্ত রঞ্জন চাকমা (২৫) প্রথম এই রোগে মারা যান। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি বিমলেশ্বর চাকমা (৫৫), ২৬ ফেব্রুয়ারি ডালিম কুমার চাকমা (৩৫), ১৫ মার্চ চিত্তি মোহন চাকমা (৬০) এবং সবশেষ চলতি মাসের ১৭ তারিখ সোনি চাকমা নামের ৮ বছর বয়সী এক শিশু মারা যায়। এলাকাটি অতি দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়াতে সেখানে কোনো মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই এবং আশপাশে নেই কোনো চিকিৎসা সহায়তা কেন্দ্র। স্থানীয় কবিরাজির মাধ্যমে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়দের মাধ্যমে আরও জানা যায়, বেশ কিছুদিন আগে গ্রামবাসীরা মিলে একটি পুরনো বটবৃক্ষ কেটে ফেলে। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস গাছটি একটি আধ্যাত্মিক গাছ এবং এই গাছ কাটার ফলেই এই রোগের উৎপত্তি।

বরকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফোরকান এলাহি অনুপমের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বুধবার সকালে এই বিষয়ে একটি খবর পাওয়ার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। এই বিষয়ে একটি মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হচ্ছে। তারা ওখানে যাওয়ার পর প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসহ এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে।

এই বিষয়ে বরকল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মং ক্যছিং সাগর বলেন, আমি ব্যাপারটি জানতে পেরেছি। গত জানুয়ারি থেকে পাঁচজনের মৃত্যুর বিষয়টিও জেনেছি। আমরা ইতোমধ্যে আলোচনা করে একটি মেডিকেল টিম গঠন করেছি, যেটি আগামীকাল ঘটনাস্থলে পৌঁছবে।

তিনি আরও বলেন, এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে আমরা জ্বর, বমি, পেট ব্যথা, শরীর ব্যাথার কথা জানতে পেরেছি। আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে যারা অসুস্থ আছেন তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করতে বলেছি।

রাঙামাটির সিভিল সার্জন নিহার রঞ্জন নন্দী বলেন, তীব্র জ্বর, পেটব্যাথা, রক্তবমির উপসর্গ নিয়ে জানুয়ারি থেকে এই পর্যন্ত পাঁচজন মারা গেছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। তবে এটা কোনো অজ্ঞাত রোগ নয়। খাদ্যাভ্যাসের কারণে তাদের এই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। দুর্গম অঞ্চল হওয়ায় তারাও সরকারি হাসপাতালে এসে চিকিৎসার বিষয়ে তেমন একটা আগ্রহ না থাকার কারণে বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে তারা মারা যেতে পারে। আমরা খবর পাওয়ার পর বুধবার পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম ওই গ্রামে পাঠিয়েছি। এলাকাটি যেহেতু খুবই দুর্গম, তাই ওখানে পৌঁছতেও বেশ সময়ের প্রয়োজন হচ্ছে। ওখানে পৌঁছানোর পর আক্রান্তদের কেস স্টাডির পর আমরা বিস্তারিত জানতে পারব।


আরও খবর



কলকাতায় ঈদে একমাত্র ‘মির্জা’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

কলকাতায় ঈদ নিয়ে খুব একটা মাতামাতি নেই। সিনেমা মুক্তিতেও অনীহা প্রযোজক-পরিচালকদের। তাই টালিগঞ্জের দর্শকদের জন্য ঈদ উপলক্ষে মুক্তি পেতে যাচ্ছে একমাত্র সিনেমা মির্জা। সুমিত সাহিলের পরিচালনায় এতে প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন অঙ্কুশ হাজরা-ঐন্দ্রিলা সেন।

অ্যাকশন ধাঁচের গল্পে নির্মিত মির্জা ১০ এপ্রিল মুক্তির কথা ছিল। তবে ঈদ ১১ এপ্রিল হওয়ায় এক দিন পিছিয়ে নেওয়া হয়। এর কারণ হিসেবে অভিনেতা ও প্রযোজক অঙ্কুশ ভারতীয় গণমাধ্যমে বলেন, অনেক যত্নে নির্মাণ করা হয়েছে মির্জা। এতে আমি অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনায়ও রয়েছি। তাই সিনেমাটি নিয়ে আমরা বেশ আশাবাদী। সেই আশা থেকেই এক দিন পিছিয়ে ঈদের দিন মুক্তির তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিন ফেস্টিভ্যাল থাকায় আশা করছি দর্শকদের ভালো রেসপন্স পাব। তবে অঙ্কুশের মির্জাকে যুদ্ধ করতে বলিউড দুই সিনেমার সঙ্গে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ১০ এপ্রিল ভারতীয় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে বলিউডের সিনেমা বড়ে মিয়া ছোটে মিয়াময়দান। যার কারণে কলকাতাও সেভাবে হল পাচ্ছে না মির্জা

সিনেমায় অঙ্কুশ ও ঐন্দ্রিলা ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন ঋষি কৌশিক, কৌশিক গাঙ্গুলি, শোয়েব কাবির, জিমি ব্যানার্জি, প্রিয়া মণ্ডল ও শঙ্কর দেবনাথ।


আরও খবর



ঈদে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় ১৪ কোটি টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

এবার ঈদের ছুটিতে (৯ থেকে ১৩ এপ্রিল) পদ্মা সেতু হয়ে ৪৬ হাজার ৫৫৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে ১৪ কোটি ৬০ লাখ ৫২ হাজার ৭০০ টাকা।

সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবার ঈদে পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার গত বছরের তুলনায় কমেছে। কমেছে টোল আদায়ও। গত ঈদুল ফিতরের সময় ২০ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়। টোল আদায় হয়েছিল ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৫০ টাকা।

এ বছরের হিসাবে যানবাহন কমেছে ১৭ হাজার ২২৫টি। টোলের পরিমাণও কমেছে গত বছরের তুলনায় ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৫০ টাকা।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ৯ এপ্রিল ৩০ হাজার ৩৩০টি, ১০ এপ্রিল ১৭ হাজার ৫০৫টি, ১১ এপ্রিল ১১ হাজার ১৯৪টি, ১২ এপ্রিল ১৫ হাজার ৮৮৩টি এবং ১৩ এপ্রিল ১২ হাজার ৮৯৬টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্ত দিয়ে এ পাঁচ দিনে টোল আদায় হয়েছে ৭ কোটি ৮৭ লাখ ১৮ হাজার ৫৫০ টাকা। জাজিরা প্রান্ত দিয়ে পাঁচ দিনে যথাক্রমে ১৪ হাজার ৮৭৪টি, ৮ হাজার ৫১০টি, ৭ হাজার ৪৬৫টি, ১২ হাজার ১০০টি এবং ১৫ হাজার ৫৯৬টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে মোট ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩৪ হাজার ১৫০ টাকা।

গত বছরের তুলনায় যানবাহন ও টোল আদায়ের পরিমাণ কম হলেও এবার ঈদের আগে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায়ের রেকর্ড হয়।

নিউজ ট্যাগ: পদ্মা সেতু

আরও খবর



মানুষের কষ্ট লাঘবে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জিনিসপত্রের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষের কষ্ট হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার চেষ্টা করছে সেই কষ্ট লাঘবের। ৫৪তম মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রমজান মাসের শুরুতে খেজুর, আমদানি করা ফল, লেবু, তরমুজ, পেঁয়াজসহ কয়েকটি পণ্যের দাম কিছুটা চড়া ছিল। তবে এসব পণ্যের দাম কয়েক দিনের মধ্যেই স্বাভাবিক ও সহনীয় পর্যায়ে নেমে এসেছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হয়। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি মানুষের কষ্ট লাঘবের।

তিনি বলেন, এবারের রমজান মাসকে সামনে রেখে আমরা বেশ আগে থেকেই চিনি, ছোলা, ডাল, ভোজ্য তেলসহ কয়েকটি পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ গড়ে তুলি। একচেটিয়া বাজার তৈরি করে অধিক মুনাফা যাতে কেউ করতে না পারে সেজন্য ভারত হতে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ এবং প্রায় সমপরিমাণ আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি রমজান মাসের শুরু হতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য রাজধানী ঢাকার অন্তত ২৫টি স্থানে ট্রাকে করে মাছ, মাংস, ডিম এবং দুধ সুলভমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, টিসিবি প্রথম পর্যায়ে সারাদেশের এক কোটি কার্ডধারী পরিবারের জন্য সুলভমূল্যে চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি এবং ছোলা এই পাঁচটি পণ্য বিতরণ করছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকার কার্ডধারী পরিবারের জন্য চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা ও খেজুর এই ৬টি পণ্য বিতরণ করছে। ঈদ উপলক্ষে সারাদেশের ১ কোটি ৬২ হাজার ৫৮০০ পরিবারের জন্য সরকার এক লাখ ৬২৮ মেট্রিক টন চালের বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতি পরিবার বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল পাবেন।

সরকার প্রধান আরও বলেন, আমরা এ বছর সরকারিভাবে এবং দলগতভাবে ইফতার পার্টির আয়োজন নিরুৎসাহিত করেছি। আওয়ামী লীগ এবং এর সকল সহযোগী সংগঠন নির্দেশমত তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত গরিব-দুঃস্থদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছে।


আরও খবর