পুষ্টিকর সব্জির
কথা ভাবলে, সাধারণ ভাবে ঝিঙের কথা মাথায় আসে না। কিন্তু ঝিঙের এমন সব খাদ্যগুণ রয়েছে
যা শুনলে চমকে যেতে হয়। স্বাদে খুব একটা আকর্ষণীয় না হলেও ঝিঙে ওজন কমাতে, চোখ ভাল
রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে বেশ কার্যকরী।
১। চোখ ভাল রাখতে
ঝিঙেতে প্রচুর
পরিমাণে ‘বিটা ক্যারোটিন’ বা ভিটামিন-এ থাকে, যা চোখ ভাল রাখতে
সহায়তা করে। বিশেষত, বেশি বয়সি মানুষদের ক্ষেত্রে ঝিঙে অত্যন্ত উপযোগী। ঝিঙে এক দিকে
অপটিক স্নায়ু ভাল রাখতে ও অন্য দিকে বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ থেকে চোখের রক্তনালীগুলিকে
রক্ষা করতে সহায়তা করে।
২। রক্তাল্পতা
কমাতে
ঝিঙে আয়রনে সমৃদ্ধ।
এই কারণে নিয়মিত ঝিঙে খেলে রক্তাল্পতার রোগীরা উপকার পেতে পারেন। ঝিঙেতে থাকে ভিটামিন-বি
৬ যা রক্তসঞ্চালন ভাল রাখতে বেশ কার্যকরী।
৩। ওজন কমাতে
ঝিঙেতে ফ্যাট
ও ক্ষতিকর কোলেস্টেরল থাকে নাম মাত্র। বরং ঝিঙে দেহে স্নেহ পদার্থ সঞ্চিত হতে দেয় না।
পাশাপাশি সহায়তা করে কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট পরিপাকেও। ঝিঙেতে থাকে ‘ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট’ নামক এক প্রকার উপাদান যা ডায়াবিটিস কমাতে
কাজে আসতে পারে।
৪। কোষ্ঠকাঠিন্য
কমাতে
ঝিঙেতে প্রচুর
পরিমাণে জলীয় উপাদান থাকে। সঙ্গে থাকে প্রচুর পরিমাণে সেলুলোজ। এক চামচ মধু সহযোগে
এক কাপ ঝিঙের রস নিয়ম করে পান করলে, তা কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে ও পেট ভাল রাখতে সহায়তা
করতে পারে।
৫। লিভারের স্বাস্থ্য
রক্ষা করতে
ঝিঙে বিষাক্ত
বর্জ্য পদার্থ, অ্যালকোহল ও অপাচ্য খাদ্যকণা থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ফলে
ভাল থাকে লিভার। পিত্তরসের ক্ষরণ ভাল রাখতেও ঝিঙের জুড়ি মেলা ভার। এই কারণই জন্ডিস
থেকে সেরে ওঠার সময় ঝিঙে খেতে বলা হয়।