আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ঝিনাই নদী থেকে বাবা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩১ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার ঝিনাই নদী থেকে বাবা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের কৃঞ্চপুর গ্রামের ওই নদী থেকে মরদেহ ২টি উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন, সরিষাবাড়ি উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের বীর বয়সিং গ্রামের মৃত জালেক মন্ডলের ছেলে আব্দুল আজিজ ও তার মেয়ে জান্নাত।

সরিষাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর রকিবুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আজ বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সকালে ঝিনাই নদী থেকে বাবা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাচ্ছি। এখনও বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।

নিউজ ট্যাগ: মরদেহ উদ্ধার

আরও খবর



ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে, আহত ৩০

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় তীর্থযাত্রার একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেছে। এতে কমপক্ষে ৩০ জন যাত্রী আহত হয়েছে।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের মনকসাই নামক এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে কয়েকজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন জয় দাস (২২), সুমন (৩৬), বাপন দাস (৩৬), সংগীতা দাস (৩০), সুনাকা (৬০), খুশি রায় (৪), কবিতা রানী (৪০), আশা রায় (২৪), রাহুল রায় (১৭), রাকেশ (২৫), কেশব (২৬), গোপাল (৩০), জনি দাস (৩৬), মমতা দাস (৬৮) ও বাপন দাস (৪২)। আহতরা সবাই শহরের পাইকপাড়া ও মেড্ডার বাসিন্দা।

হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ মন্দিরে শিব চতুর্দশী মেলার তীর্থযাত্রায় অংশগ্রহণের জন্য সনাতনী ধর্মাবলম্বী দুটি বাস জেলা শহরের পাইকপাড়া থেকে রাত ১০টার দিকে রওনা দেয়। একটি বাস জেলার কসবা উপজেলার মনকসাই এলাকায় অন্য একটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে তীর্থযাত্রার বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের খালে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ও কসবা থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।

এ ব্যাপারে কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, পিকনিকের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গিয়ে ২০ থেকে ২৫ যাত্রী আহত হয়। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ মারা যায়নি।


আরও খবর



ভবানীপুরের সেই লাইসেন্সবিহীন সিএনজি স্টেশন বন্ধ করল ইউএনও

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

Image

বগুড়ার শেরপুরের ঝুঁকিপূর্ণ লাইসেন্সবিহীন ফিলিং স্টেশন ও সিএনজি পাম্পে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে দন্ড দিয়েছেন শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

শনিবার (১৬ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত বগুড়ার শেরপুরের ভবানীপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর বাজার সংলগ্ন ফাহিম সিএনজি পাম্প ও ফারজানা ফিলিং স্টেশনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সুমন জিহাদীর নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। তিন বছরেরও অধিক সময় ধরে কোন রকম নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ফাহিম ফিলিং স্টেশন লাইসেন্সবিহীন ভাবে ট্রাকের কেবিনে সিরিজ সিএনজি ট্যাংক স্থাপন করে অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো।

অভিযান পরিচালনাকালে পুলিশের উপ পরিদর্শক হাবিবুর রহমান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে অভিযুক্তদের আটক করেন। অতঃপর এক লক্ষ টাকা জরিমানা দিয়ে মুক্তি পান। অপরদিকে উপজেলার রানীরহাট এলাকায় লাইসেন্সবিহীন ফারজানা ফিলিং স্টেশন ঝুকিপূর্ণভাবে পরিচালিত হয়ে আসছিল।

এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রেজাউল করিম ফিলিং স্টেশনের অফিস রুমে গিয়ে দেখেন, একই রুমে জেনারেটর, দশটি সিএনজি সিলিন্ডার, পুরো অফিসের সকল বৈদ্যুতিক তারের হাব ও চেঞ্জ ওভার। এ সময় ফায়ার সেফটি মেজার সহ বিস্ফোরক অধিদপ্তর, এনার্জি রেগুলেটিং অথোরিটি, পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন কাগজই তারা উপস্থাপন করতে পারেনি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমন জিহাদী ফাহিম সিএনজি পাম্পকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করে এবং লাইসেন্স পাওয়ার আগ পর্যন্ত জনস্বার্থে কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। ফারজানা ফিলিং স্টেশনকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা ও এক মাসের সময় বেধে দেয় লাইসেন্স আবেদন করার জন্য।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমন জিহাদী বলেন, বেইলি রোডের ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। এ ধরণের মর্মান্তিক ঘটনা আর যেন না ঘটে সে উদ্দেশ্যে সবাই মিলে এক সাথে কাজ করতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ সময় গণমাধ্যম কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকদের কারণেই ঝুকিপূর্ণভাবে পরিচালিত এ সকল পাম্পের খবর আমরা পাই ও ব্যবস্থা নিতে পারি।


আরও খবর



বাজার অস্থিতিশীল করতেই ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক বিএনপির

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে ভোগ্যপণ্য থেকে শুরু করে অনেক পণ্যই ভারত থেকে আসে। ভারতীয় পণ্যবর্জনের ডাক দিয়ে দেশের বাজার অস্থিতিশীল করে তোলা ও দ্রব্যমূল্য বাড়ানোই বিএনপির মূল উদ্দেশ্য। দেশে যাতে জনগণের ভোগান্তি হয় এবং পণ্যের মূল্য বাড়ে এটাই চায় তারা।

শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জেলায় সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা ভারত থেকে আসা পেয়াঁজ খাবেন, আপনাদের নেত্রী ভারত থেকে আসা শাড়ি পরিধান করবেন, আপনাদের নেত্রী যেগুলো মাঠে গলা ফাটায়, তারাও আবার ভারতীয় শাড়ি পড়বেন, ভারত থেকে আসা গরুর মাংস দিয়ে আপনারা ইফতার করবেন, সেহেরি খাবেন, ভারতে চিকিৎসা নিতে যাবেন, আবার আপনারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেবেন-এগুলো হিপোক্রেসি ছাড়া অন্য কোনোকিছু নয়।

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছে জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে সরকারের পক্ষ থেকে কী ধরণের ভূমিকা রাখা হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গতবার যখন এমভি জাহান মনি ছিনতাই হয়েছিল তাদের মুক্ত করতে ১০০ দিন সময় লেগেছিল। এখন যতদ্রুত সম্ভব তাদের মুক্ত করার চেষ্টাই আমরা করছি। এখানে অবস্থানকারী নাবিক এবং জাহাজের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেভাবেই আমরা উদ্ধার করার চেষ্টা করছি। জাহাজের মধ্যে কয়লা আছে, কয়লা একটি দাহ্য পদার্থ। সুতরাং এমন কিছু করা যাবে না; যাতে করে দাহ্য পদার্থ হুমকির সম্মুখীন হয়, জাহাজের ক্ষতি হয়। সেভাবেই আমরা এগুচ্ছি এবং যারা জাহাজটি হাইজ্যাক করেছে, তারা ইতোমধ্যে মালিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা করছে এবং আপনারা নাবিকদের পরিবারের সঙ্গে কথা বললেও জানতে পারবেন তারাও অনেকটা আশ্বস্ত। আশা করছি, আমরা নাবিকদের উদ্ধার করতে পারব।


আরও খবর



নারায়ণগঞ্জে ডাকাত সন্দেহে গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে নিহত ৪

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সোনারগাঁও (নারায়নগঞ্জ) প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ডাকাত সন্দেহে গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে চারজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। রবিবার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের বাঘরী গ্রামের চকে এ ঘটনা ঘটে।

তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। আহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আলী। গুরুতর অবস্থায় তাকে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাত একটার দিকে বাঘরী বিলে কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তিকে দেখা যায়। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় প্রথমে মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়েছে’ বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। গ্রামবাসী তখন চারদিক থেকে তাদের ঘিরে ফেলেন। তারা পালানোর জন্য বিলের পানিতে ঝাঁপ দেন। পরে স্থানীয় লোকজন কয়েকজনকে আটক করে পিটুনি দেন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে আরও একজনের মৃত্যু হয়।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-সার্কেল) শেখ বিল্লাল হোসাইন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। মৃতদেহগুলো নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে বাঘরী গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আহত ব্যক্তি ডাকাত দলের সদস্য বলে স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তারা সাতজন বিলের পাড়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেখানে আরও তিনজনের আসার কথা ছিল। এ সময় গ্রামবাসী টের পেয়ে তাদের পিটুনি দেন। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



‘জিম্মি জাহাজ উদ্ধার নিয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর দাবি ভিত্তিহীন’

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এম ভি আবদুল্লাহকে মুক্ত করার কোনো প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। ভারতীয় নৌবাহিনীর অভিযানে এম ভি আবদুল্লাহ মুক্ত হয়েছে বলে যে অসত্য খবর প্রচার করা হচ্ছে, তাতে জিম্মি ২৩ নাবিকের জীবন আরও শঙ্কায় পড়ছে বলে মনে করছে জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম।

প্রতিষ্ঠানটির মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, আটক জাহাজ মুক্ত করতে নানাভাবে চেষ্টা চলছে। তবে নানা জটিলতায় এখনও সেই প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি। এমভি আব্দুল্লাহকে ভারতীয় নৌবাহিনীর সহায়তায় মুক্ত করা গেছে বলে প্রকাশিত সংবাদটি গুজব।

এদিকে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনও জানিয়েছে, ভারতীয় নৌবাহিনীর অভিযানে এম ভি আবদুল্লাহ মুক্ত হয়েছে বলে ভারতীয় কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই খবর ভিত্তিহীন।

জিম্মি নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা নির্ভরশীল একটি সূত্র জানায়, শনিবার মধ্যরাতে নাবিকেরা জানিয়েছেন, মিডিয়ায় জিম্মি জাহাজ মুক্তির খবর দেখে তাঁরা বেশ দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

নাবিকেরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সোমালিয়ার উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় ইউরোপ আর ভারতীয় দুই যুদ্ধজাহাজ সোমালিয়ার জলদস্যুদের থামতে বলে। ওদের ডেকে আনা হয়েছে এমন ধারণা থেকে জলদস্যুরা ক্ষিপ্ত হয়ে এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের ব্রিজে জড়ো করে তাদের দিকে বন্দুক তাক করে রাখে বেশ কিছু সময়। এ সময় জলদস্যুরা অস্ত্রের মুখে এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেনকে ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজকে দূরে সরে যাওয়ার বেতার বার্তা পাঠাতে বাধ্য করে। ফলে নৌবাহিনীর জাহাজ দুটোও পিছু হটে। এরপরই এমভি আবদুল্লাহকে আরও উত্তরদিকে নিয়ে যায় জলদস্যুরা। যাচাইবাছাই ছাড়া কোনো ধরনের খবর প্রকাশ না করার জন্য নাবিকদের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ জনানো হয়েছে।

এদিকে গতকাল শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও জিম্মি হওয়া জাহাজ নিয়ে সতর্ক হয়ে সংবাদ প্রকাশ করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন। মন্ত্রী বলেন, দেশে নাবিকদের স্বজনদের আহাজারি ও সরকারের এ বিষয় নিয়ে উদ্বেগ ও তৎপরতা প্রতিনিয়ত স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দেখছে জলদস্যুরা। এতে জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে প্রভাব পড়তে পারে।

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ ও নাবিকদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে মুক্ত করতে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।

গত ৪ মার্চ বাংলাদেশের এস আর শিপিংয়ের ১৩ মিটার গভীরতার জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দেয়। এরপর গত মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে খবর আসে, ভারত মহাসাগরে জাহাজটি ছিনতাই হয়েছে।

জলদস্যুদের উৎপাতের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ ভারত মহাসাগরে অস্ত্রধারী নিরাপত্তারক্ষীসহ জাহাজ চলাচলের নিয়ম রয়েছে। এ ছাড়া জাহাজের চারপাশে তারকাঁটার বেষ্টনী, হাইস্পিড ওয়াটারগানসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু দস্যুদের কবলে পড়া এমভি আবদুল্লাহতে এসব ব্যবস্থার কোনোটিই নেওয়া হয়নি।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, কয়লাবোঝাই জাহাজটির পানির ওপরের অংশের উচ্চতা কম হওয়ায় খুব সহজেই এটিতে চড়ে বসে দস্যুরা। যার ফলে অনেকটা বিনা বাধায় জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয় তাঁরা।


আরও খবর