চলমান লকডাউনের প্রভাব পড়েছে কাঁচাবাজারে।
সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে মুরগি, ডিম, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচসহ সবজির দাম। তবে, অপরিবর্তিত
রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।
বিক্রেতারা বলছেন, লকডাউনের প্রভাব পড়েছে
কাঁচাবাজারে। অতি প্রয়োজন ছাড়া ক্রেতারা বাজারে আসছেন না। তাই পণ্যের দাম কমেছে। বেচাকেনা
একেবারেই কম বলে জানিয়েছেন তারা। শুক্রবার (৩০ জুলাই ) সকালে রাজধানীর মিরপুর ১১নম্বর
বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম কমেছে। এসব
বাজারে প্রতি কেজি (গোল) বেগুন ৬০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, ইন্ডিয়ান টমেটো ১২০ টাকা, বরবটি
৬০ টাকা। চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫০
টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা,
ধুন্দুল ৫০ টাকা, কচুর গাট ৪০ টাকা, কাকরোল ৪০ টাকা।
এ সব বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা
কেজি। পেঁয়াজের দাম কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা।
এছাড়া এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি
কাঁচা মরিচের দাম ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচাকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০
টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। শসার দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়।
এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০ থেকে
২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, আদার দাম ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা।
হলুদ ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনির প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা।
এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮০ টাকায়।
বাজারে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল। বিআর-২৮
চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা, মিনিকেট ৬০ থেকে ৬২ টাকা, পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে
প্রতি কেজি ৫০ টাকা, নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা, পোলাওর চাল আগের
দামেই ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মিরপুর ১১ নাম্বার বাজারে চাল বিক্রেতা
আমির হোসেন বলেন, বর্তমানে বাজারে চালের দাম আগের মতোই আছে। মূলত রাইস
মিল মালিকরা প্রতি সিজনে চাল কিনে মজুদ করে রাখেন। তাদের ইচ্ছেমতো সপ্তাহে সপ্তাহে
চালের দাম বাড়িয়ে দেন। এর প্রভাব বাজারে পড়ে। চালের দাম আবারও বাড়ার সম্ভাবনা আছে।
ডিমের দাম কমেছে। লাল ডিমের ডজন বিক্রি
হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়। হাঁসের ডিমের দাম বেড়ে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা। সোনালী
(কক) মুরগির ডিমের ডজন ১৫০ টাকা।
মুরগির দাম কমে বাজারে প্রতি কেজি সোনালি
(কক) মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০
থেকে ১২০ টাকা। লেয়ার মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা।
১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রুবেল
বাংলানিউজকে বলেন, ঈদ আর লকডাউনের কারণে বাজারে মুরগির দাম কমেছে। ক্রেতারা বাজারে
খুব কম আসছেন। আমাদের বিক্রি নেই বললেই চলে। লকডাউন শেষে আরও বাড়তে পারে মুরগির দাম।
এসব বাজারে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংস, মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বকরির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা।