আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ঝালকাঠিতে বাস দুর্ঘটনা : জেলা প্রশাসনের ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

Image

ঝালকাঠিতে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে ১৭ জন যাত্রী নিহত হয়েছে। সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় ইউপি ভবনের সামনে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতাবস্থায় ৩৫ জনকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাশার স্মৃতি পরিবহন নামের বাসটি প্রায় ৬০-৭০ জন যাত্রী নিয়ে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থেকে বরিশাল যাচ্ছিল। অতিরিক্ত যাত্রীর পাশাপাশি গাড়ির ছাদেও যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছেন আহত যাত্রীরা। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঝালকাঠি থানা পুলিশ ও দমকল বাহিনীর ১০ টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার কাজ শুরু করে।

উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৩ সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। বিকেল সাড়ে ৬ টায় নিহত ১৭ জনের লাশ পরিবারের সদস্যদের নিকট তাদের লাশ হস্তান্তর করেছে প্রশাসন। অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম। এ ঘটনায় জেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহম্মদ মামুন শিবলীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিহতের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস পুকুরে, নিহত ১৭

নিহতরা হলেন, ভান্ডারিয়ার সালাম মোল্লার ছেলে শাহীন মোল্লা (২৫), পান্না মিয়ার ছেলে তারেক রহমান (৪৫), মুজাফফর আলীর ছেলে সালাম মোল্লা (৬০), নিজামিয়া গ্রামের মাওলানা নজরুল ইসলামের স্ত্রী খাদিজা বেগম (৪৩), নজরুল ইসলামের মেয়ে খুশবো আক্তার (১৭), ভান্ডারিয়া উপজেলার পশারিবুনিয়া গ্রামের জালাল হাওলাদারের মেয়ে সুমাইয়া (৬), বরিশালের বাখেরগঞ্জ উপজেলার চর বোয়ালিয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আবদুল্লাহ (৮), ভান্ডারিয়ার রিজার্ভ পুকুর পাড় এলাকার লাল মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগম (৬০),  লাল মিয়া হাওলাদার ছেলে আবুল কালাম হাওলাদার, মেহেদীগঞ্জ সদরের মো. রিপনের মেয়ে রিপামনি (২) তার স্ত্রী আইরিন আক্তার (২২), রাজাপুরের বলাইবাড়ি গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে নয়ন (১৬), ভান্ডারিয়ার উত্তর শিয়ালকাঠি গ্রামের ফজলুল হক মৃধার স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৮০),  কাঠালিয়ার বাশবুনিয়া গ্রামের তৈয়বুর রহমানের মেয়ে সালমা আক্তার মিতা (৪২), কাঠালিয়ার ফারুক হোসেন (৫৫) ভান্ডারিয়ার সাদিয়া বেগম ( ২২) ও বরিশালের পারভীন (৬২)। শনিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে পরিচয় সনাক্ত হওয়া লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত যাদের নাম জানা গেছে তাঁরা হলেন, আবুল বাশার (কাঠালিয়া), রাসেল মোল্লা (ভান্ডারিয়া), ফাতিমা (ভান্ডারিয়া), রাসেল (ভান্ডারিয়া), মিফতা (নলছিটি), রিজিয়া (কাঠালিয়া), আরজু (কাঠালিয়া), মনোয়ারা (রাজাপুর), সুইটি (ভোলা), রুকাইয়া (বাউফল), আজিজুল (নলছিটি), আলাউদ্দিন (রাজাপুর), সোহেল (রাজাপুর), আবুল কালাম (রাজাপুর), আকাশ (বরগুনা), সোহাগ (সাতক্ষীরা), নাঈমুল (মঠবাড়িয়া), সিদ্দিকিুর (বাউফল), মনিরুজ্জামান (ভান্ডারিয়া), আল-আমিন (ঝালকাঠি), সাব্বির (বরিশাল)।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়রা জানান, সকাল ৯ টার দিকে ভান্ডারিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে বরিশালের দিকে যাচ্ছিলো বাসটি। পথিমধ্যে সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় পৌঁছালে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ইউপি ভবনের সামনের মোড় ঘুরতেই একটি যাত্রবাহী একটি ইজি বাইককে সাইড দিতে গিয়ে রাস্তার পার্শ্বে একটি ডোবায় পড়ে যায়। দেরি করে বাস ছাড়ার কারণে তাদের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে বাস  স্ট্যান্ডে পৌঁছাতে হবে বলে সময় কম থাকার কারনে দ্রুত গতিতে চালানোর জন্য বাসটি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।

আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস পুকুরে, নিহত ১৩

স্থানীয়রা দৌড়াদৌড়ি করে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এসময় ৩৫ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হলেও এরমধ্যে ১৭জন যাত্রী মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ ও নারীর সংখ্যাই বেশি।

ঝালকাঠি সিভিল সার্জন এইচ এম জহুরুল ইসলাম, বলেন, নিহতদের লাশ তাদের স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হচ্ছে। ১৭ জনের মধ্যে ১৭টি লাশ ইতোমধ্যেই তাদের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গেছে। আহতরা ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিতিৎসা নিচ্ছেন।


আরও খবর



মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বিজিপির আরও ৫ সদস্য বাংলাদেশে

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

মিয়ানমারে আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘাতের জেরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ৫ সদস্য বাংলাদেশে ঢুকে আশ্রয় নিয়েছেন।

রবিবার (১৫ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তের খারাংখালি পয়েন্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। পরে তাদেরকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবির) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘাত চলছে। এ কারণে প্রায়ই টেকনাফ সীমান্তে মর্টারশেল ও গোলার শব্দ ভেসে আসে। এর মধ্যেই গতকাল রবিবার সকালে নতুন করে বিজিপির ৯ সদস্য টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। পরে একই দিন রাত ১১টার দিকে খারাংখালি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে আরও বিজিপির ৫ সদস্য বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। পরে তাদের বিজিবির সদস্যরা নিরস্ত্র করেন।

এর আগে উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ৩৩০ জন এবং নাইকংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১৮০ জন মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য আশ্রয় নিয়েছিল। পরবর্তীতে ৩৩০ জনকে মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। এ ছাড়া নাইকংছড়ি বিজিবি হেফাজতে রয়েছে ১৮০ জন সদস্য।


আরও খবর



রায়পুরায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত, আহত ১০

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি

Image

নরসিংদীর রায়পুরার নিলক্ষায় বালু ব্যবসা এবং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় দুইজন গুলিবিদ্ধসহ আরও অন্তত ১০ জন আহত হয়।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে রায়পুরা উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল নিলক্ষায় ইউনিয়নের বীরগাঁও সোনাকান্দি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত সাগর মিয়া (২০) নিলক্ষা ইউনিয়নের সোনাকান্দি গ্রামের জয়নাল মিয়ার ছেলে এবং একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, এলাকার আধিপত্য বিস্তারসহ নানা কারণে নিলক্ষা গ্রামের রাজিব সরকারের সঙ্গে একই এলাকার আনোয়ার সকারের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। দ্বন্দ্বের জের ও হামলা মামলায় দীর্ঘদিন ধরেই এলাকা ছাড়া ছিলেন রাজিব ও তার সমর্থকরা। বুধবার সকালে রাজিবের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এলাকা দখলের জন্য বীরগাঁও, সোনাকান্দি, আমিরাবাদসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায়। এ সময় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গেলে বীরগাঁও এলাকার আনোয়ার গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। দুপক্ষের গোলা-গুলিতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। এর মধ্যে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নেয়ার পথেই গুলিবিদ্ধ হয়ে সাগর মিয়ার মৃত্যু হয়। পুলিশি গ্রেপ্তারসহ আইনি জটিলতা এড়াতে আহতদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়েছেন স্বজনরা।

নরসিংদীর সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) আফসান আল-আলম জানান, সোনাকান্দি এবং আমিরাবাদ গ্রামের পূর্ববিরোধসহ বালু ব্যববসাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে একজন নিহতের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: নরসিংদী

আরও খবর



তাপদাহের প্রভাব সবজির বাজারে, কমেছে ব্রয়লার-ডিমের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

তীব্র তাপদাহের প্রভাব নিত্যপণ্যের বাজারে। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। শুক্রবার (৩ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সপ্তাহ ব্যবধানে বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। আগে যেটি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা বিক্রি হতো সেটি আজকের বাজারে ৭০ টাকা।

অন্যদিকে বাজারে আদা-রসুনের দামও বাড়তি। প্রতি কেজি আমদানি করা এই পণ্য বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। এছাড়া চাল, ডাল, আটা, ময়দার মতো পণ্যের সঙ্গে মাছ ও মাংসের দামও উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল।

এ ছাড়া স্বস্তি নেই সবজির বাজারেও। প্রতি কেজি সজনে ডাটা ১৪৫ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পেঁপে, বরবটি, করলা, কাকরোল, ঝিঙা, চিচিঙা ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বলতে গেলে পটল ও ঢেঁড়স ছাড়া ৮০ টাকার নিচে ঢাকার বাজারে কোনো সবজি নেই।

তবে বাজারে গত কয়েকদিনে ব্রয়লার মুরগি ও ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কমেছে। বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা দরে। ডজনে ১০ টাকা কমে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।

বেশ কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, শুধুমাত্র পেঁপেই সারাবছর কম দামে পাওয়া যায়। কিন্তু আজকে বাজারে এসে দেখি পেঁপের দাম উঠেছে ৮০ টাকায়। অথচ, গত সপ্তাহে বাড়তি দামের মধ্যেও ৫০ টাকায় পেঁপে কিনেছিলাম। দেশে কি পেঁপের আকাল পড়েছে?

বিক্রেতারা বলছেন, গতরাতে (বৃহস্পতিবার) বৃষ্টির কারণে কারওয়ান বাজারে সবজি সরবরাহ কিছুটা কম ছিল। তার আগে প্রচণ্ড গরমে সবজি নষ্ট হয়েছে। সব মিলিয়ে রোজার ঈদের পর থেকেই সবজির বাজার চড়া।


আরও খবর



যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সফলতায় কিছুটা দায়মুক্ত হয়েছি: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে শহীদজননী জাহানারা ইমাম ঘাতক দালাল নির্মূলের যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তা কিছুটা হলেও সফল হয়েছে, বাস্তবায়িত হয়েছে। আমি মনে করি, এর মাধ্যমে আমরা দায়মুক্ত ও পাপমুক্ত হয়েছি। আমরা কিছুটা হলেও মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি, কিন্তু রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের কথা একেবারেই বলি না।

শনিবার (৪ মে) বেলা ১১টায় জাতীয় জাদুঘরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে শহীদজননী জাহানারা ইমামের ৯৫তম জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের কাছে জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর-এর চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আজ শুভদিন। মহীয়সী নারী জাহানারা ইমামের স্মৃতি জাদুঘর, যেটি ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছিল; সেটি সরকার ও সংস্কৃতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় জাদুঘরের শাখা হিসেবে এর দায়িত্বভার গ্রহণ করে আরেকবার দায়মুক্ত হলাম। আন্দোলন-সংগ্রাম কীভাবে হয়েছিল, আমরা মাঠে থেকে দেখেছি। সেদিন বৃহত্তর কারাগারে সাত কোটি মানুষ বন্দি থেকে মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করেছিল, মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। তাদেরই একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব শহীদজননী জাহানারা ইমাম।

এই জাদুঘরে সরকারি উদ্যোগ ব্যাপকভাবে লোকসমাগম হবে, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে আনার ব্যবস্থা নেবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা কিছুটা হলেও মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি, সফলতার কথা বলি। কিন্তু রাজাকার, আলবদর, আলশামস ঘাতক-দালালরা কীভাবে ৯ মাস লুণ্ঠন করেছে, অত্যাচার করেছে, নারী নির্যাতন করেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িঘর ছিনিয়ে নিয়েছে, তাদের হত্যা করেছে, পাক বাহিনীকে সহায়তা করেছে, সেটা একেবারেই বলি না। মুক্তিযুদ্ধের আলোচনা কিছুটা হলেও হয়, কিন্তু রাজাকারদের আলোচনা একেবারেই মুছে যাচ্ছে। কাজেই যুদ্ধাপরাধীদের ইতিহাস সরকারি ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও আলোচনায় আনা উচিত।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। শহীদজননী জাহানারা ইমামকে মুক্তিযোদ্ধাদের মা হিসেবে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতাযুদ্ধে নারীদের আত্মত্যাগের উজ্জ্বল উদাহরণ হলেন শহীদজননী। তিনি ও তার পরিবারের আত্মত্যাগ আমাদের স্মরণে রাখতে হবে, তুলে ধরতে হবে নতুন প্রজন্মের কাছে। আমি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাহানারা ইমামের লেখা একাত্তরের দিনগুলি বইটি যেন পড়ানো হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাহানারা ইমাম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সময়ের তোলা ছবি এবং জাহানারা ইমাম জাদুঘরের একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্যের পর জাহানারা ইমামের ছোট ছেলে সাইফ ইমাম জামি জাতীয় জাদুঘরের কাছে জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘরের চাবি হস্তান্তর করেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী মোজাম্মেল হক ভার্চুয়ালি জাদুঘরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, সাইফ ইমাম জামি প্রমুখ। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, সংসদ সদস্য, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



পিনাকীসহ দু’জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য ও ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মফিজুর রহমান আশিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগ।

একই সঙ্গে সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ না পাওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উপপ্রেস সচিব মুশফিকুল ফজল আনসারীকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করে সম্প্রতি এ প্রতিবেদন দাখিল করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিটিটিসির উপপরিদর্শক মোহাম্মদ রাহাত হোসেন। আজ রবিবার প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি জানা গেছে।

রাজধানীর রমনা মডেল থানার এ মামলার প্রতিবেদনে পিনাকী ভট্টাচার্য পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বদলি করা হয়েছে।

২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় পিনাকী ভট্টাচার্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগের উপপরিদর্শক এম আব্দুল্লাহিল মারুফ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় মফিজুর রহমান ও মুশফিকুল ফজল আনসারীকে আসামি করা হয়।

মামলায় বলা হয়, ২০২২ সালের ১৪ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্ট কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের নজরে আসে। ওই পোস্টে পুলিশ সদস্যদের সম্পর্কে বিকৃত তথ্য প্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই ফেসবুক পোস্টের সূত্র ধরে ১৫ অক্টোবর পল্লবীর বাসা থেকে মফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে পুলিশ মফিজুরের দুটি মুঠোফোন জব্দ করে।

মামলা বলা হয়, আসামি মফিজুর রহমান ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এই তালিকায় আছেন পিনাকী ভট্টাচার্য ও মুশফিকুল ফজল আনসারী। মিরপুরে পুলিশ বাহিনীর একটি অভিযানের ঘটনাকে বিকৃতভাবে প্রচার করা হয়। সেই তথ্য ও ছবি পাঠানো হয় পিনাকী ভট্টাচার্যের ফেসবুক মেসেঞ্জারে। আলামত হিসেবে নাগরিক টিভি ও আমার দেশ পত্রিকার অনলাইনের একটি করে প্রতিবেদন এবং মুশফিকুল ফজল আনসারীর ফেসবুক মেসেঞ্জারে পিনাকী ভট্টাচার্যের কাছে পাঠানো কয়েকটি ছবি ও কথোপকথন তুলে ধরা হয়েছে। সেখানকার আলাপচারিতায় মুশফিকুলকে পিনাকীর কাছে বইয়ের তালিকা চাইতে দেখা গেছে।

মামলায় বলা হয়, মফিজুর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া তথ্য প্রচার করেছেন। পরে সেই তথ্য তিনি বিদেশে অবস্থানরত পিনাকী ভট্টাচার্য, মুশফিকুল ফজল আনসারীসহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে পাঠিয়েছেন। পরে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে। মফিজুর রহমানসহ অন্যরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। এর মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার আশঙ্কা হয়।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, মফিজুর রহমানের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালীর খুদুখখালী গ্রামে। চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়াশোনা করা পিনাকী ভট্টাচার্য একটি ওষুধ কোম্পানি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কয়েক বছর ধরে তিনি বিদেশে অবস্থান করছেন। পিনাকী ভট্টাচার্য নানা বিষয়ে সরকারের সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে থাকেন। সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ফ্রান্সের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে পিনাকী ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। তাতে তিনি বলেছিলেন, পিনাকী ভট্টাচার্য বিদেশে অবস্থান করে সরকার, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছেন।


আরও খবর