যাত্রী সংকটের কারণে ঝালকাঠি-ঢাকা-চাঁদপুর নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে মালিকপক্ষ। মঙ্গলবার বিকাল থেকে সুন্দরবন-১২ ও ফারহান-৭ নামের দুটি লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হবে। প্রতিদিন একটি করে লঞ্চ সন্ধ্যা ৬টায় ঝালকাঠি ঘাট থেকে চাঁদপুর ও ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেত। আবার ঢাকা সদরঘাট থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঝালকাঠির উদ্দেশে ছেড়ে আসত একটি লঞ্চ।
মঙ্গলবার ঝালকাঠি লঞ্চঘাটে গিয়ে
দেখা যায়, যেই সময় ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড়ে মুখরিত থাকে পুরো লঞ্চঘাট এলাকা, ঠিক সেই
সময় সুনসান ভেসে আছে জনমানবশূন্য বিশালাকৃতির দুটি টার্মিনাল। ঈদকে সামনে রেখে ঘাট
সংলগ্ন দোকানিরাও বেচাবিক্রি করতে না পেরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। লঞ্চ বন্ধ হওয়ার
পর থেকে তাদের দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে।
এমভি ফারহান-৭ লঞ্চের ঝালকাঠি ঘাট ম্যানেজার মো. সবুজ হোসেন বলেন, ঝালকাঠি থেকে ঢাকা যেতে সর্বশেষ ট্রিপে ৬০ জন ডেক যাত্রী হয়েছে। আর কেবিন ভাড়া হয়েছে ২-৩টি। এতে বর্তমানে প্রতিবার ঢাকা আসা যাওয়ায় লঞ্চ মালিকের মোটা অংকের লোকসান গুনতে হয়। তাই এ রুটে লঞ্চ বন্ধ রাখা হয়েছে।
লঞ্চঘাট এলাকার চা দোকানি আবু হোসেন, রফিকুল
ইসলাম এবং সুলতান হাওলাদার জানান, লঞ্চ বন্ধ হওয়ার পর তাদের দোকানে মালামাল বিক্রি
হয় না। সারাদিনে যে কয় টাকা বিক্রি হয় তা দিয়ে কিস্তির টাকা ওঠে না। ঈদকে সামনে রেখে
সবাই হিমশিম খাচ্ছে।
ঘাটের শ্রমিকদেরও একই আকুতি। তারা বলছেন,
লঞ্চ বন্ধ থাকলে তাদের পণ্য পরিবহনের কাজও বন্ধ থাকে। দৈনিক মজুরির শ্রমিকরা পরিবারের
জন্য ইফতার সামগ্রীও জোগাতে পারছেন না।