চলচ্চিত্র শিল্পী
সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে জায়েদ-নিপুণের সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের
আপিল বিভাগে শুনানি পিছিয়ে আগামী রবিবার ধার্য করা হয়েছে। আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার
কথা ছিল।
জায়েদ খানের আইনজীবী
মো. শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২৩
মে শুনানি ৫ জুন পর্যন্ত মুলতবি করেছিলেন আপিল বিভাগ। ২৩ মে দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি
মো. নূরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে সেদিন
জায়েদ খানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. আহসানুল করিম ও অ্যাডভোকেট নাহিদা সুলতানা
যুথি। নিপুণের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ।
এর আগে গত ১৩
মার্চ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে চেম্বার আদালতের স্থিতাবস্থার আদেশ
নিপুণ আক্তার ও জায়েদ খানকে কঠোরভাবে পালন করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। একই
সঙ্গে চার সপ্তাহের জন্য শুনানি মুলতবি করা হয়। পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতে
আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ ২৫ এপ্রিল এক আদেশে
শুনানি ২৩ মে পর্যন্ত মুলতবি করেন। এ অবস্থায় নির্ধারিত দিনে মামলাটি আপিল বিভাগের
কার্যতালিকায় আসলে আদালত শুনানির দিন পিছিয়ে আজকের দিন ঠিক করে দেন।
এর আগে গত ৮ মার্চ
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থার আদেশের পরও সাধারণ সম্পাদকের
চেয়ারে বসায় নিপুণের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেন জায়েদ।
চলচ্চিত্র শিল্পী
সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচন গত ২৮ জানুয়ারি হয়। পরদিন ২৯ জানুয়ারি প্রাথমিক ফলে
ইলিয়াস কাঞ্চনকে সভাপতি ও জায়েদ খানকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে জায়েদ
খানকে বিজয়ী ঘোষণা করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন নিপুণ। পরে নির্বাচনী
আপিল বোর্ডের কাছে এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে
গত ২ ফেব্রুয়ারি সমাজ সেবা অধিদপ্তর আপিল বোর্ড গঠন করে। ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ড জায়েদ
খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা
করে। পরে জায়েদ খানের রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনী আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত
স্থগিত করেন হাইকোর্ট।