বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে
সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে লড়াইয়ে চিত্রনায়িকা নিপুণ চেয়ার হারিয়েছেন। আর আইনি লড়াইয়ে
চিত্রনায়ক জায়েদ খানই ফিরে পেলেন সেই চেয়ার। এটি হাইকোর্টের নির্দেশ। তবে এই রায়ের
বিরুদ্ধে আপিল করবেন নিপুণ।
গত ২৮ জানুয়ারি শিল্পী সমিতির নির্বাচন
অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন প্রাথমিক ফলে জায়েদ খানকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়ী ঘোষণা করা
হয়। পরে নির্বাচনি আপিল বোর্ডের কাছে এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন নিপুণ।
আপিল বোর্ড সমাজসেবা অধিদপ্তরে চিঠি পাঠায়।
পরিপ্রেক্ষিতে ২ ফেব্রুয়ারি সমাজসেবা অধিদপ্তর এক চিঠিতে জানায়, আপিল বোর্ড এ বিষয়ে
সিদ্ধান্ত নেবে। ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ড জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে।
এ অবস্থায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের ২ ফেব্রুয়ারির
চিঠি ও আপিল বোর্ডের ৫ ফেব্রুয়ারির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন জায়েদ
খান। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। রুলে ২ ফেব্রুয়ারির
চিঠি ও ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা
হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
একই সঙ্গে হাইকোর্ট ২ ফেব্রুয়ারির চিঠির
কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। পাশাপাশি ২ ও ৫ ফেব্রুয়ারির চিঠি ও সিদ্ধান্তের
ভিত্তিতে জায়েদ খানকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা
সৃষ্টি না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। আর রুল শুনানির জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারি দিন রাখেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টে আদেশের বিরুদ্ধে নিপুণের করা
আবেদনের ওপর ৯ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানি হয়। সেদিন চেম্বার বিচারপতি
আদেশ দেন। চেম্বার বিচারপতির আদেশে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে নিপুণের আবেদন ১৩ ফেব্রুয়ারি
আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়।
একই সঙ্গে শিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদক
পদে দায়িত্ব পালনে ওই সময়ে দুই পক্ষকে (নিপুণ ও জায়েদ) স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ
দেওয়া হয়। এই আদেশ চলমান থাকবে উল্লেখ করে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চ নিপুণের আবেদন
নিষ্পত্তি করে আদেশ দেন।
আদালতে জায়েদ খানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন
সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ হোসেন হুমায়ন, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও অ্যাডভোকেট নাহিদ
সুলতানা যুথি। চিত্রনায়িকা নিপুনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ।