
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ
মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম বাস্তবায়নে জেলাপ্রশাসকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন
উল্লেখ করে জাটকা ও মা মাছ নিধন বন্ধে আরও বেশি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য জেলাপ্রশাসকদের
আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ বৃহস্পতিবার
(২৬ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলাপ্রশাসক সম্মেলন ২০২৩
এ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত অধিবেশনে এ আহ্বান জানান মন্ত্রী।
এ সময় মন্ত্রী
বলেন, দেশের মৎস্যসম্পদে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। পৃথিবীর প্রায় ৫১টি দেশে মাছ
রপ্তানি করে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছি। এখন দেশে এতো গবাদিপশু উৎপাদন হচ্ছে যে,
ভারত-মিয়ানমার থেকে আমদানি ছাড়াই কোরবানির পশুর চাহিদা মিটানো সম্ভব হচ্ছে। শেখ হাসিনার
পৃষ্ঠপোষকতায় এ খাত এতটা এগিয়েছে।
তিনি আরো বলেন,
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত বেকারত্ব দূর করছে, উদ্যোক্তা তৈরি করছে। মাছ, মাংস, দুধ,
ডিম উৎপাদনের ফলে খাদ্যের একটি বড় অংশের যোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। প্রাণিজ মানুষের
চাহিদা পূরণ হচ্ছে এ খাত থেকে। রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের উন্নয়নের
ভূমিকা রাখছে এ খাত। পাশাপাশি এ খাত গ্রামীণ অর্থনীতিও সচল করছে। দেশের মোট জিডিপিতে
৪ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপিতে ৩৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ অবদান রাখছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ
খাত। ১ কোটি ৯৫ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ খাতে সম্পৃক্ত।
জেলাপ্রশাসকদের
উত্থাপিত বিভিন্ন বিষয়ের প্রেক্ষিতে এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ
খাতে বিদ্যুৎ বিল বাণিজ্যিক হারের পরিবর্তে কৃষিজ হারে নির্ধারণের বিষয়টি আশা করি
সমাধান হবে। ২২ দিন মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকাকালে রেজিস্টার্ড মৎস্যজীবীদের প্রণোদনার বিষয়টি
আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে। চরাঞ্চলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্প
চলমান আছে। জেলাপ্রশাসকদের সুপারিশের আলোকে প্রয়োজনে আরো প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
করোনাকালে ভ্রাম্যমাণ
বিক্রয়সহ মাছ, মাংস, দুধ, ডিম উৎপাদন, সংগ্রহ, পরিবহন ও বিপণনে সহযোগিতার জন্য জেলাপ্রশাসকদের
এ সময় ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের
ঈপ্সিত লক্ষ্য পূরণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করছে উল্লেখ করে এ মন্ত্রণালয়ের
সকল কাজ বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে জেলাপ্রশাসকরা দেখভাল,পরামর্শ প্রদান এবং কর্মকর্তাদের
সহায়তা করবেন বলে এসময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
মাঠ পর্যায়ে
সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা, কর্মযজ্ঞ ও সাফল্য জেলাপ্রশাসকদের উপর নির্ভর করে বলেও
এ সময় মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আসাদুজ্জামান খান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র
সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ,
সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের
আওতাধীন দপ্তর-সংস্থা প্রধানগণ, বিভাগীয় কমিশনারবৃন্দ এবং জেলাপ্রশাসকগণ এ সময় উপস্থিত
ছিলেন।