আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
১০৩তম জন্মবার্ষিকী

জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ ১৭ মার্চ, মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী। ১৯২০ সালের এই দিন রাত ৮টায় তৎকালীন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শেখ বংশের আদরের এই খোকাই ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন বাঙালির মুজিব ভাই, বঙ্গবন্ধু ও জাতির পিতা।

বিগত বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় এবারও জাতির পিতার জন্মদিনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে উদযাপন করা হচ্ছে। দিনটিতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। এছাড়া মন্ত্রিসভার প্রজ্ঞাপনে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।

রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হবে নানা কর্মসূচি। দিনটিতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতেও দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করা হবে।

জাতির পিতার জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু কিশোর দিবস উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে জাতীয় শিশু সমাবেশ ও তিন দিনব্যাপী বইমেলার ও আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় শিশু সমাবেশে যোগ দেবেন।

এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সরকারি বেসরকারি টেলিভিশন ও বেতার এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে। আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারা দেশে সংগঠনের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন।

সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করবে আওয়ামী লীগ। এদিকে ১৭ মার্চ সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় নেতারা জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। একইসঙ্গে তারা মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং শিশু সমাবেশে অংশ নেবেন।

আগামী রবিবার (১৯ মার্চ) বিকাল ৪টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিকে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

শিল্পকলার কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সকাল ৮টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, সকাল ১০টায় একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় শিশুদের অংশগ্রহণে শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিকাল ৩টায় জাতীয় চিত্রশালার ২ ও ৩নং গ্যালারিতে চিত্রকর্ম প্রদর্শনী, বিকাল ৪টায় জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার হলে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন শীর্ষক সেমিনার, বিকাল সাড়ে ৫টায় শিশুদের অংশগ্রহণে আনন্দ শোভাযাত্রা, সন্ধ্যা ৬টায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে এক বছর মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করে সরকার। তবে দেশে করোনা সংক্রমণের কারণে মুজিববর্ষ প্রথমে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ও পরে আরেক দফা বাড়িয়ে ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত করা হয়।

বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালে আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। বিশ্ব মানচিত্রে একটি দেশের জন্ম দেওয়া এই মানুষটিকে মাত্র ৫৫ বছর বয়সে সপরিবারে হত্যা করে কিছু বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা। তবে বিদেশে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

শেখ লুৎফর রহমান এবং সায়েরা খাতুন দম্পতির তৃতীয় সন্তান খোকা পরবর্তী সময়ে হয়ে ওঠেন নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারী। গভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, আত্মত্যাগ ও জনগণের প্রতি অসাধারণ মমত্ববোধের কারণে হয়ে ওঠেন বঙ্গবন্ধু।

কিশোর বয়স থেকেই রাজনীতি সচেতন ছিলেন বঙ্গবন্ধু। গোপালগঞ্জের মিশন স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে তৎকালীন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগদানের কারণে শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমবারের মতো কারাবরণ করেন। ম্যাট্রিক পাসের পর কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়নকালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশিমের মতো রাজনৈতিক নেতাদের সান্নিধ্যে আসেন। এসব নেতার সাহচার্যে তিনি নিজেকে ছাত্র-যুবনেতা হিসেবে রাজনীতির অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত করেন।

১৯৪০ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগদানের মাধ্যমে তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু। ১৯৪৬ সালে তিনি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমানে মওলানা আযাদ কলেজ) ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পরপরই ঢাকায় ফিরে নতুন রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা নিয়ে অগ্রসর হন বঙ্গবন্ধু। সহকর্মীদের নিয়ে ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ গঠন করেন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ গঠন হলে যুগ্ম সম্পাদক পদ পান বঙ্গবন্ধু।

পরাধীনতার শৃঙ্খল মোচনে স্বাধীনতার অভ্যুদয়ে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে মুক্তির মহামন্ত্রে উজ্জীবিত করে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে গেছেন স্বাধীনতা ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্যে। ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আজীবন সোচ্চার এই অবিসংবাদিত নেতাকে রাজনৈতিক জীবনে বহুবার কারাবরণ করতে হয়।

তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬-দফা ও পরবর্তী সময়ে ১১ দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন এবং বঙ্গবন্ধু উপাধি লাভ করেন।

তাঁর সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ধাপে-ধাপে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে থাকে। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জিত হলেও তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বাঙালি জাতির ওপর নানা নির্যাতন শুরু করে। এরপর বঙ্গবন্ধু স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনকে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে প্রথমে স্বাধিকার আন্দোলন এবং চূড়ান্ত পর্বে স্বাধীনতার আন্দোলনে রূপ দেন।

এ আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় একাত্তরের মার্চে নজিরবিহীন অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেন বঙ্গবন্ধু। ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসমুদ্রে ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। এরই ধারাবাহিকতায় ২৬ মার্চে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়।

স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু বেশি দিন দেশ গঠনের কাজ করে যেতে পারেননি। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু যখন নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করতে শুরু করেন, ঠিক সেই মুহূর্তে স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তি ও কায়েমি স্বার্থান্বেষী মহল তাঁর বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র শুরু করে। ওই ষড়যন্ত্রেরই অংশ হিসেবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি ধানমন্ডির বাসভবনে কতিপয় বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে সপরিবারে নিহত হন।


আরও খবর



১১ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতির ঘোষণা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আবু বকর সিদ্দিক, মোংলা প্রতিনিধি

Image

বাংলাদেশ লঞ্চ লেভার অ্যাসোসিয়েশন নৌযান শ্রমিকদের ১১দফা দাবি আদায়ের লক্ষে পহেলা মার্চ শুক্রবার সকাল ৯ টায় বাংলাদেশ লঞ্চ লেভার অ্যাসোসিয়েশনের মোংলা শাখা কার্যালয়ে বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ নৌজান শ্রমিক  ফেডারেশন, বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে এক বিশাল শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

উক্ত শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশিকুল আলম পটল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো: শাহ আলম ভূঁইয়া, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো: বাহারুল ইসলাম বাহার, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ শাহাদাত মাস্টার, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের নারায়ণগঞ্জ শাখার সভাপতি আজিজ মাস্টারসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, ৪ মার্চ সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ১১দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নাগাতার কর্মবিরতি পালন করা হবে।


আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




চট্টগ্রামে কোল্ড স্টোরেজে আগুন: নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

এবার চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানাধীন এক্সেস রোড এলাকায় একটি কোল্ড স্টোরেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৭ ইউনিট কাজ করছে।

শুক্রবার (০১ মার্চ) বেলা পৌনে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বাকলিয়া থানার ডিউটি অফিসার সহকারী উপপরিদর্শক মুজিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক বলেন, বেলা ১১টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে তিনটি স্টেশনের সাতটি ইউনিট কাজ করছে। এর মধ্যে আগ্রাবাদ স্টেশন থেকে তিনটি, চন্দনপুরা স্টেশন থেকে দুটি এবং লামার বাজার স্টেশন থেকে দুটি করে ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

নজরুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, এখানে নতুন নির্মাণাধীন ভবনে হিমাগার নির্মাণ করা হচ্ছিল। কাঠ এবং ককশিটের সাহায্যে এ হিমাগার নির্মাণ করা হচ্ছে। ভয়াবহ আগুনে পাশের ভবনে থাকা ১০-১২ জন বাসিন্দা ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

এরআগে রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নারী-শিশুসহ এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।


আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




ত্রিশালে তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে আসামি ছিনতাই

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোমিন তালুকদার, ত্রিশাল (ময়মনসিংহ)

Image

ময়মনসিংহের ত্রিশালে পুলিশের ৩ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় ত্রিশালের ধানিখলা ইউনিয়নের শিমুলিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত পুলিশ কর্মকর্তারা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আহত পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন এসআই ইসমাইল হোসেন (৩০), এএসআই গোলাম রসুল (৩৫) ও এএসআই রাকিব (৩৯)। তারা প্রত্যেকেই ত্রিশাল থানায় কর্মরত।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।

তিনি জানান, এএসআই রাকিবের পেটে কোপ লেগেছে। তিনি অপারেশন থিয়েটারে রয়েছেন। এ ছাড়া এসআই ইসমাইলের পিঠে ও এএসআই রসুলের কনুইয়ের ওপরে কোপানোর আঘাত রয়েছে। শুরুতে রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছিল না। আহতদের বেডে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে রাকিবের অবস্থা কিছুটা গুরুতর।

ত্রিশাল থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, বেদেনা নামে এক ওয়ারেন্টের আসামি ধরতে ধানিখোলা ইউনিয়নের শিমুলিয়াপাড়া এলাকায় যায় পুলিশ। বেদেনাকে বাড়িতে পেয়ে গ্রেপ্তার করতে চাইলে তার ছেলে নাইম ও হারুন এলোপাতাড়ি তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে মাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে, মূল আসামি বেদেনাসহ অন্যরা পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।


আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকেল সোয়া ৫টায় তারা এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে সস্ত্রীক বঙ্গভবনে যান ভুটানের রাজা।

এর আগে এদিন ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে দিনের প্রথম প্রহরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তাদের সঙ্গে উপস্থিত থেকে ওয়াংচুকও শ্রদ্ধা জানান।

তার আগে সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান ভুটানের রাজা। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আওয়ামী লীগ সরকার গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর এটি বাংলাদেশে কোনো দেশের শীর্ষ নেতার প্রথম সফর।

সফরের শুরুর দিন রাজা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন এবং জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।


আরও খবর



আফগানিস্তানে পাকিস্তানের বিমান হামলা: নিহত ৮

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তালেবান সরকার দাবি করেছে, আফগান ভূখণ্ডে দুটি বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এতে পাঁচ নারী ও তিন শিশুসহ মোট আটজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তালেবানের একজন মুখপাত্র। একই সঙ্গে এই হামলাকে আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ্য করেছেন তিনি। খবর রয়টার্সের।

সোমবার (১৮ মার্চ) তালেবান প্রশাসনের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাত কাউকে আফগান ভূখণ্ড ব্যবহার করে নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করার অনুমতি দেয় না।’

তিনি আরও বলেন, এ হামলায় পূর্ব সীমান্ত প্রদেশ খোস্ত ও পাকতিকায় পাঁচ নারী ও তিন শিশু নিহত হয়েছে।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং পররাষ্ট্র দপ্তর অবিলম্বে হামলার বিষয়ে মন্তব্য করার অনুরোধে সাড়া দেয়নি। তবে গত শনিবার অজানা জঙ্গিরা পাকিস্তানের একটি সামরিক ঘাটিতে হামলা চালিয়ে সাত নিরাপত্তা বাহিনীকে হত্যা প্রতিবাদেই এই হামলা চালিয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

রয়টার্স বলছে, যদিও তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার কারণ কী তা স্পষ্ট নয়, পাকিস্তান সরকার এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলছেন যে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই ধরনের হামলা বেড়েছে, যার অনেকগুলো পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি) দাবি করেছে এবং আফগান ভূখণ্ড থেকেই হামলা শুরু হয়েছে। তবে আফগান তালেবানরা আফগান ভূখণ্ড জঙ্গিদের ব্যবহার করার অনুমতি অস্বীকার করেছে।

এই মুখপাত্র মুজাহিদ বিবৃতিতে আরও বলেছেন, পাকিস্তানের নিজের ভূখণ্ডে নিয়ন্ত্রণের অভাব, অক্ষমতা এবং সমস্যার জন্য আফগানিস্তানকে দোষারোপ করা উচিত নয়।’

তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, এই ধরনের ঘটনার খুব খারাপ পরিণতি হতে পারে যা পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।’


আরও খবর