আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে হাতিরঝিলে বর্ণাঢ্য নৌ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষ্যে হাতিরঝিলে বর্ণাঢ্য নৌ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৩ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর হাতিরঝিলে এ নৌ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। নৌ শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শোভাযাত্রা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, 'নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ' এই প্রতিপাদ্য নিয়ে এ বছর জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন হচ্ছে। ভাতে-মাছে বাঙালির ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা কাজ করছি। যেখানে পানি আছে অর্থাৎ লেক, নদী, পুকুর সর্বত্রই মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং নিরাপদ মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য নৌ শোভাযাত্রার কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, আগামীকাল (২৪ জুলাই) বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন এবং মৎস্য সেক্টরে যারা ভালো অবদান রেখেছেন তাদের পদক প্রদান করবেন।

তিনি আরও যোগ করেন, সরকার চায় নদী-নালা, খাল-বিল, হাওড়-বাওড় যেন মুক্ত থাকে এবং মাছ চাষের জন্য উপযোগী অবস্থায় থাকে। পরিবেশ যেন দূষণ না হয়, পানি যেন দূষণ না হয়। মা মাছ ও জাটকা ধরা থেকে সবাই যেন বিরত থাকে। যাতে মাছ বৃদ্ধি পেয়ে আমাদের সমৃদ্ধি নিয়ে আসে।

মৎস্য খাতের ভবিষ্যত পরিকল্পনা সংক্রান্ত সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের মাছের চাহিদা মেটানোর সক্ষমতা আমাদের হয়েছে। ভবিষ্যতে মাছ রপ্তানি করে আমরা বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে চাই। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের সমৃদ্ধিতে মৎস্য খাত ভূমিকা রাখবে সেটাই লক্ষ্য।

নৌ শোভাযাত্রায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. হেমায়েৎ হুসেন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদসহ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, নৌপুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও মৎস্যজীবী সমিতির সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।

এদিন সকালে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ এর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বণার্ঢ্য সড়ক শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

থাইল্যান্ডকে বিশেষ অর্থনৈতিক খাতে বিনিয়োগের সুযোগ পরীক্ষা করে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি। দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও একান্ত বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি-একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি আগ্রহপত্র সই হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশি স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি থাই প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসা খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা পরীক্ষা করে দেখারও প্রস্তাব দিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের কাছে থাইল্যান্ড একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সমুদ্রবন্দরকেন্দ্রিক যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের বন্ধুত্ব ঐতিহাসিক, ভাষাগত এবং অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত। আমাদের দুই দেশের মধ্যে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সহযোগিতার বহুমুখী ক্ষেত্রে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি থাই প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং ব্যবসা সহজীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছি। আমি থাই পক্ষকে আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কগুলোতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগের এবং বিশেষভাবে একটি এসইজেড এই সুযোগ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জন্য থাইল্যান্ড জ্বালানি সহযোগিতায় নিয়োজিত একটি সম্ভাব্য অংশীদার। জ্বালানি সহযোগিতার সম্ভাবনা অনুসন্ধান করতে, শক্তি সহযোগিতাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর এখানে স্বাক্ষরিত দ্বিতীয় নথি। থাই জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং সেরা পর্যটন অনুশীলন থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য আমরা পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই করেছি।

সামুদ্রিক যোগাযোগের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রানং বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল নিয়ে দুই পক্ষ আলোচনা করেছে। থাইল্যান্ডের ফ্ল্যাগশিপ ল্যান্ডব্রিজ প্রকল্প বাংলাদেশ অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে অনুসরণ করছে। আমি থাই পক্ষকে দুই দেশের মধ্যে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বিশেষ করে কৃষি, মৎস্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছি।

সকালে থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে যান শেখ হাসিনা। এ সময় থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানানো হয়।

এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই কুহ ফাহ বিল্ডিংয়ের সামনের লনে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ সময় থাইল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল কর্তৃক প্রদত্ত গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে স্রেথা থাভিসিন তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের শেখ হাসিনার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। শেখ হাসিনা পরে সরকারি ভবনের অতিথি বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

বৈঠক শেষে সরকারি বাসভবন ত্যাগের আগে শেখ হাসিনা সেখানে আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এর আগে গতকাল বুধবার ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে থাইল্যান্ডে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে পৌঁছলে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় বরণ করে নেওয়া হয়। থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত মন্ত্রী পুয়াংপেট চুনলাইদ অভ্যর্থনা জানান।


আরও খবর



বাগেরহাটে ট্রাক-ভ্যান মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাটে ট্রাক ও যাত্রীবাহী ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ভ্যানচালকসহ তিনজন নিহত হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) মোংলা-খুলনা মহাসড়কের রামপাল উপজেলার চেয়ারম্যানের মোড় নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর ওই মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৌমেন দাস এবং কাটাখালী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

কাটাখালী হাইওয়ে থানা পুলিশ জানায়, মোংলা-খুলনা মহাসড়কের রামপাল উপজেলার চেয়ারম্যানের মোড় নামক স্থানে একটি দ্রুতগতির মালবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী ভ্যানের মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ভ্যানের যাত্রী মো. সাইদ মোড়ল (৪৫), মো. আজাদ (৩৫) ও ভ্যানচালক মো. মনি (৪৫) ঘটনাস্থলে মারা যান। নিহতদের বাড়ী রামপাল উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।

ওসি সৌমেন দাস জানান, দুর্ঘটনার পর স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে রামপাল থানা পুলিশ, কাটাখালী হাইওয়ে পুলিশ ও  ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের মরদেহ ও আহতদের উদ্ধার করেছে। আহতদের রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে চেষ্টা চালাচ্ছে। ঘাতক ট্রাকটি রামপাল থানা পুলিশ আটক করেছে বলেও জানান ওসি সৌমেন দাস।


আরও খবর



মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলেন আরও ১৩ বিজিপি সদস্য

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধের জেরে দেশটির সেনা ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১৩ সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে টেকনাফের নাফ নদ দিয়ে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো.শরীফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নতুন করে বিজিপির আরও ১৩ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। পরে তাদের বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের ১১ বিজিবিতে হস্তান্তর করা হয়।

বর্তমানে সেখানে মিয়ানমারের মোট ২৭৪ জন আশ্রয় রয়েছে। তিনি আরও জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন ১১ বিজিবির অধীনে থাকা ২৭৪ জনের মধ্যে বিজিপি ছাড়াও সেনা সদস্যও রয়েছে।

এর মধ্যে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ৪৬ জন পালিয়ে আসে। মঙ্গলবার দিনে প্রবেশ করেছিল ১৮ জন। তার আগের দিন সোমবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে দুই সেনা সদস্য পালিয়ে আসে। এর আগে রবিবার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসে বিজিপির আরও ১৪ সদস্য। তারও আগে ওখানে মিয়ানমারের ১৮০ জন আশ্রয়রত ছিল। যাদের মধ্যে ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

এর আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেয় আরও ১৭৭ বিজিপি ও সেনা সদস্য। গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল আরও ৩৩০ জন। যাদের ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।


আরও খবর



ঈদের আগে এলো না জিম্মি নাবিকদের মুক্তির প্রহর

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের দিনও কাটাতে হবে জাহাজেই জিম্মি অবস্থায়। বিষণ্নতা, অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা তাই আরও জেঁকে বসেছে জিম্মি নাবিক ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। উল্লেখ্য ভারত মহাসাগরে গত ১২ মার্চ জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিকের ঈদের আগেও মুক্তি মিলছে না। এ পরিস্থিতিতে জিম্মি পরিবারের সদস্যরা কাঁদছেন স্বজনদের ঈদের আগেও ফিরে না পেয়ে। আর জিম্মিরা মন খারাপ করে আছেন এক মাসেও মুক্তি না পেয়ে।

জিম্মি নাবিক ও স্বজনদের মন খারাপ করা ঈদের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে, এমনটি চায়নি এমভি আব্দুল্লাহর মালিকপক্ষ। নাবিকদের জিম্মিদশা শুরুর ৯ দিন পর জলদস্যুরা যোগাযোগ শুরু করার পর থেকেই মালিকপক্ষ ঈদের আগেই এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষ করার আশা নিয়ে তৎপর হয়েছিল। বিভিন্ন সময় জাহাজ মালিকপক্ষ এবং সরকারপক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। সর্বশেষ গতকাল শনিবারও চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ পুনরায় বলেন, এম ভি আব্দুল্লাহ উদ্ধারে আলোচনার বেশ অগগ্রতি হয়েছে।

রাষ্ট্র এবং জাহাজ মালিকপক্ষ আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে বলে জানালেও তা কতদূর হয়েছে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছুই জানানো হচ্ছে না। জাহাজ মালিকপক্ষ জানাচ্ছে, মুক্তিপণের টাকা দিয়ে নাবিক ও জাহাজ মুক্তি করতে হবে। কিন্তু মুক্তিপণ কত? কোথায়, কীভাবে তা দিতে হবে? এ ধরনের প্রশ্নগুলোর কোনো উত্তর মিলছে না। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও কোনো তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না। ফলে একধরনের তথ্য ঘাটতির মধ্যে রয়েছেন এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিকের পারিবারিক সদস্যরা

তবে ঈদের আগে নাবিকসহ জাহাজ মুক্ত হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগে নাবিকসহ জাহাজটি মুক্ত হচ্ছে না। এটা প্রায় নিশ্চিত। তবে ঈদের পরপরই দ্রুত সময়ের মধ্যে মুক্তি পাওয়ার জোরালো সম্ভাবনা আছে। সেই লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে কোম্পানি।

এখন আলোচনা কত দূর গিয়ে আটকে গেছে? যার কারণে ঈদের আগেই মুক্তি মিলছে না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আলোচনা আটকে নেই। থেমে যায়নি। চলছে। বেশ অগ্রগতিও ঘটেছে। কিন্তু এখানে অনেকগুলো ধাপ পার হতে হচ্ছে। তাই সময় লাগছে। তিনি বলেন, জাহাজে নাবিকরা ভালো আছে। কিছুটা পানির সংকট থাকলেও তা ক্যাপ্টেন রেশনিং পদ্ধতিতে ব্যবস্থা করে নিচ্ছেন। নাবিকদের সঙ্গে পরিবার ও জাহাজ মালিকপক্ষের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে।

সাধারণ সময়ে নাবিকরা জাহাজ নিয়ে ঈদের সময়ে গভীর সমুদ্রে থাকলে ঈদের নামাজ কীভাবে পড়েন? এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশে কর্মরত ক্যাপ্টেন নূর মোহাম্মদ বলেন, গভীর সমুদ্রে নামাজ কসর পড়লে হয়। নাবিকরা সেভাবেই পড়েন। তবে ঈদের সময়ে সাধারণত নিজেদের মধ্যে একজন খুতবা পড়েন এবং জামায়াতে নামাজ আদায় করেন। জাহাজের সহকর্মীরা কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন। আর সুযোগ থাকলে পার্টির আয়োজন হয়। জিম্মি জাহাজে বন্দি নাবিকদের ঈদ কেমন হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জলদস্যুরা সদয় হয়ে যদি তাদের ঈদের নামাজ পড়তে দেয়, তাহলে তো ভালো কথা। তবে জিম্মি অবস্থায় জাহাজে তো পার্টি করার সুযোগ নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে না। নিজেরা কোলাকুলি করে আনন্দ ভাগাভাগি হয়তো করতে পারবেন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে তাদের মুক্তিই আমাদের কাছে প্রধান বিষয়।

জিম্মি নাবিকদের একজনের পরিবারের সদস্য জানিয়েছেন, এখন দুই-তিন দিন পরপরই নাবিকরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন। তারা ভালো আছেন। জলদস্যুরা সশস্ত্র পাহারা দিচ্ছে। নাবিকরা নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। গত কয়েক দিনের মধ্যে জাহাজটির নোঙর আর তোলা হয়নি। একই স্থানে আছে। তিনি বলেন, নাবিকরা বুঝতে পারছেন, মালিকপক্ষ জলদস্যুদের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে অর্থ লেনদেন শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি মিলবে না সেটাও তারা বোঝেন। তাই মানসিকভাবে শক্ত থেকে জিম্মিজীবন শেষ করার প্রহর গুনছেন তারা।


আরও খবর



চট্টগ্রামের এয়াকুবনগর বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে, পুড়ল ২০০ ঘর

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার ফিরিঙ্গিবাজার এলাকায় এয়াকুবনগর বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রায় দুইশ ঘর পুড়ে গেছে।

ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের ডিএডি আব্দুর রাজ্জাক জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি স্টেশনের ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের দেড় ঘণ্টার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় বিকেল পৌনে ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

ফিরিঙ্গি বাজারের মেরিনার্স রোড সংলগ্ন টেকপাড়া বস্তিতে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হল, তা জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। আগুন লাগার পর দূর থেকেও কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা যাচ্ছিল।

ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে এসেছি। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। টেকপাড়া বস্তি আর এয়াকুব নগরের পিছনের অংশ জুড়ে কিছু ঘর আছে, সেগুলোতেও আগুন লেগেছে।

তিনি আরো জানান, মেয়র মহোদয়, জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা হয়েছে। কত লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা তালিকা করে জানাতে বলেছেন উনারা। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য রাতে খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। তাদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি দেখা হবে।

কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব জানান, এখনো পূর্ণাঙ্গ তথ্য না মিললেও প্রায় দুইশ ঘর পুড়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আগুনে বস্তির বেশ কয়েকটি কাঁচাঘর পুড়ে গেছে। এসব বাড়ির কোনোটির বাসিন্দারা এখনো ঈদ শেষে বাড়ি থেকে ফেরেননি। অর্থাৎ বন্ধ অবস্থায় মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে অনেকেন। আর যারা আছেন চোখের সামনে নিজের বসতি পুড়তে দেখে বিলাপ করছেন বাসিন্দারা।


আরও খবর