আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য নৌ শোভাযাত্রা

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য নৌ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৬ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর হাতিরঝিলে এবারের জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। হাতিরঝিলের পুলিশ প্লাজা সংলগ্ন ঘাট থেকে শুরু হয়ে এফডিসি ঘাট পর্যন্ত দৃষ্টিনন্দন এ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম প্রধান অতিথি হিসেবে নৌ শোভাযাত্রায় যোগদান করেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ এবং নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম নৌ শোভাযাত্রায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম ও এ টি এম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ নৌ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও মৎস্যজীবীগণ ও মৎস্য খাতের বিভিন্ন অংশীজনরা বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে নৌ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।

শোভাযাত্রা শেষে সাংবাদিকদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, দেশের মৎস্য খাতকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা আমাদের লক্ষ্য। এজন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে উন্নত-সমৃদ্ধ মৎস্য খাত গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে। ইতোমধ্যে আমরা ইলিশসহ অন্যান্য মাছ উৎপাদনে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। স্বাস্থ্যসম্মত মাছ উৎপাদনের মাধ্যমে রপ্তানি আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি মাছের বহুমুখী ব্যবহারের বাড়াতে হবে। মাছ রপ্তানি বৃদ্ধি করা গেলে মাছ দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ লক্ষ্য নিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যাচ্ছি।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে মাছ ধরা নিষিদ্ধকালে যাতে কেউ মাছ ধরতে না পারে, মাছ বেড়ে উঠতে যাতে কেউ অসহযোগিতা করতে না পারে, বিদেশি রপ্তানির সময় মাছে বিষাক্ত কোন উপাদান যাতে কেউ মেশাতে না পারে সেজন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

তিনি যোগ করেন, এবারের মৎস্য সপ্তাহের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত কর্মসূচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরাও স্মার্ট মৎস্য খাত বিনির্মাণ করতে চাই। এক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, মৎস্যজীবী, মৎস্যজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন, নৌপুলিশ, নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড এমনকি গণমাধ্যম সম্মিলিতভাবে কাজ করছে।

শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, দেশে একসময় মাছের আকাল ছিল। এখন সেই বাংলাদেশে মাছে-ভাতে বাঙালির কৃষ্টি পরিপূর্ণ করেও ৫২ টি দেশে আমরা মাছ রপ্তানি করছি। মাছের গবেষণা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা দেশীয় বিলুপ্তপ্রায় ৩৯ প্রজাতির মাছ আমরা ফিরিয়ে এনেছি। দেশীয় মাছ সংরক্ষণে লাইভ জিন ব্যাংক করা হয়েছে যেখানে একশত প্রজাতির বেশি মাছ সংরক্ষণ করা হয়েছে। যে অঞ্চলে যে মাছ পাওয়া যাবে না সে অঞ্চলে জিন ব্যাংক থেকে মাছের পোনা নিয়ে অবমুক্ত করা হবে।

তিনি যোগ করেন, দেশের প্রান্তিক সীমা থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত মাছের উৎপাদন, বিপণন, বহুমুখী ব্যবহার, মাছের রপ্তানি সব নিয়ে সরকার কাজ করছে। এসব কাজে জনগণকে সম্পৃক্ত করার প্রয়াসের একটি অংশ হিসেবে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহে নৌ শোভাযাত্রা আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের কর্মসূচির মাধ্যমে মৎস্য খাতে যারা উৎপাদনে, বিপণনে প্রক্রয়াজাতকরণে, রপ্তানিতে সম্পৃক্ত তারা উৎসাহিত হবেন। শেখ হাসিনা সরকার তাদের পাশে আছে। মৎস্য খাত হবে বাংলাদেশের উন্নয়নের এক বিস্ময়কর সাফল্য।

নৌ শোভাযাত্রায় ১৫ টি সুসজ্জিত নৌকা অংশগ্রহণ করে।


আরও খবর



চেলসিকে হারিয়ে ফের এফএ কাপের ফাইনালে সিটি

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

চ্যাম্পিয়নস লিগ ধরে রাখার স্বপ্ন ভেঙে গেলেও ম্যানচেস্টার সিটির সামনে এখন লিগ শিরোপা ও এফ এ কাপের ট্রফি জয়ের সুবর্ণ সুযোগ। সে পথে একধাপ এগিয়ে গেল পেপ গার্দিওলার দল।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ওয়েম্বলিতে চেলসিকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার এফএ কাপের ফাইনালে উঠলো সিটিজেনসরা।

ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে একমাত্র গোলটি আসে সিটির বার্নান্দো সিলভার পা থেকে। এর আগে, একাধিক গোলে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি সিটি।

অন্যদিকে চেলসি প্রথমার্ধে বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেও গোলের দেখা পেতে ব্যর্থ হয়।

প্রথমার্ধে বলের দখলে এগিয়ে থেকেও লক্ষ্যে কোনো শটই নিতে পারেনি সিটি। অন্যদিকে চেলসির লক্ষ্যে শট ছিল তিনটি।

ম্যাচের ২৯তম মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ হারান নিকোলাস জ্যাকসন। সিটির গোলকিপার ওর্তেগাকে একা পেয়েও সুযোগ নষ্ট করেন সেনেগালের এই স্ট্রাইকার।

গত বছর এফএ কাপের ট্রফি জিতেছিল ম্যান সিটি। এ নিয়ে তৃতীয়বার টানা দুই বছর ফাইনালে উঠল ইংলিশ জায়ান্টরা। আগের দুটি ছিল ১৯৩৩-৩৪ ও ১৯৫৫-৫৬ সালে। ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির প্রতিপক্ষ নির্ধারণ হবে রোববার (২১ এপ্রিল)। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-কোভেন্ট্রি সিটির মধ্যে জয়ী দল খেলবে ফাইনালে তাদের বিপক্ষে খেলবে।


আরও খবর



ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ নিহত ৮

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ময়মনসিংহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ময়মনসিংহ সদর, ত্রিশাল ও তারাকান্দা উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় এসব প্রাণহানি ঘটে।

দুপুরে সদর উপজেলার ল্যাংড়াবাজার এলাকায় টাঙ্গাইলগামী বাসের ধাক্কায় মাহেন্দ্র থ্রি হুইলারের তিন যাত্রী নিহত হয়। তারা তিনজনই একই পরিবারের। নিহতরা হলেন, লুৎফর রহমান (৩০) তার স্ত্রী শাহনাজ (২৫) এবং শিশু সন্তান মাহিত (২)। ঘটনাস্থলে শিশু মাহিত এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাকি দুইজন মারা যান। আহত অবস্থায় আরও একজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন জানান, নিহতরা শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার দিঘীরপাড় এলাকার বাসিন্দা। স্বামী-স্ত্রী ভালুকার মাস্টার বাড়ি এলাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। ঈদের ছুটিতে সন্তানসহ তারা বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে।

এছাড়াও ত্রিশালের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মাদানি সিএনজি পাম্পের সামনে একটি যাত্রীবাহী পিকআপ ইউটার্ন নেওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে মারুফের (১৮) বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জ এবং আপেল মিয়ার (৩০) বাড়ি নান্দাইল উপজেলায়।

এছাড়া ত্রিশালের বালিপাড়ায় ত্রিশাল-নান্দাইল সড়কে আরেকটি দুর্ঘটনায় বাসের ধাক্কায় ২ অটোরিকশাযাত্রীর মৃত্যু হয়। এদের একজন নাসিমা (৩৫), তার বাড়ি একই উপজেলার কাজিরকান্দা গ্রামে এবং অপর আরেকজনের পরিচয় সনাক্তকরণে কাজ চলছে বলে জানান, ত্রিশাল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. চাঁদ মিয়া।

অপরদিকে, একই দিন সকালে তারাকান্দা উপজেলায় বাসের ধাক্কায় আবুল বাশার (৬০) নামে এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তারাকান্দা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়াজেদ আলী।


আরও খবর



মরুভূমিতে উত্তাপ ছড়ালেন অধরা, ছবি ভাইরাল

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা অধরা খান। ঈদের পরপরই অবকাশ যাপনে উড়াল দিয়েছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অধরা। সেখানে গিয়ে শখের বসে কিছু ছবি তুলেন। নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে আবেদনময়ী কিছু ছবি শেয়ার করেছেন ভ্রমণপ্রিয় এই আলোচিত চিত্রনায়িকা।

ছবিতে এলিগ্যান্ট লুজ কটন লিনেন লং ডিপ নেক ল্যান্টার্ন ফুল স্লিভ ড্রেসে দেখা গেছে অধরাকে। ম্যাট গোল্ডেন কালারের এই ড্রেসটা তিনি আমেরিকার লাসভেগাস থেকে কিনেছিলেন বলে জানিয়েছেন। উরু থেকে গোড়ালি পর্যন্ত খোলা এই ড্রেসের সঙ্গে অধরা পরেছেন স্পোর্টস কেডস। একের পর এক পোজ দিয়ে ছবি তুলে গেছেন মরুর বুকেই।

জানা গেছে, বর্তমানে মা এবং বড় বোনসহ দুবাইতে অবস্থান করছেন এই নায়িকা। সেখানকার ডেজার্ট সাফারি করতে গিয়ে অধরা অপ্সরা রূপে ধরা দিয়েছেন।

দুবাই থেকে অধরা খান জানান, মাকে নিয়ে দুবাই গেছেন মূলত ঈদের ছুটি কাটাতে। সেখান থেকে সৌদি আরবে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল উমরাহ পালনের জন্যে; কিন্তু সৌদি সরকার উমরাহ ভিসানীতি পরিবর্তনের কারণে সেখানে আর যাওয়া হয়নি। এরপর দেশে ফিরে আসতে চেয়েছিলেন; কিন্তু দুবাইয়ে অতিবৃষ্টির কারণে বিমানবন্দরে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় দেশে ফিরতে পারেননি। তবে ফ্লাইট চালু হওয়ায় ৩০ এপ্রিল মাকে নিয়ে দেশে ফিরছেন।

দুবাই সফর নিয়ে অধরা খান বলেন, পারিবারিক ব্যবসায়ের কারণে বছরে কয়েকবার আমাকে দুবাই যেতে হয়; কিন্তু এবারের সফরটা ছিল আম্মু, আমি এবং প্রবাসী বড় বোন অহনাকে নিয়ে দুবাইয়ের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ঘুরে বেড়ানো। বলতে পারেন, সময়টায় আসলে চেষ্টা করেছি একটা ফ্যামিলি ভ্যাকেশন করার।’

ছবিগুলো প্রসঙ্গে এই নায়িকা বলেন, ছবিগুলো গেল ২২ এপ্রিল তোলা। সেখানে যারা ডেজার্ট সাফারি ট্যুরে আমাদের গাইড করেছেন, ছবিগুলো তারাই তুলে দিয়েছেন। ভাবতে পারিনি মোবাইলে ক্যাপচার করা ছবিগুলো এত সুন্দর এবং ভাইরাল হবে।’


আরও খবর



তরমুজের বীজ খেয়ে নিজের ক্ষতি করছেন না তো?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

গরমে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পরলেও এই মৌসুমেই কিন্তু বিভিন্ন রসালো স্বাদের ফল পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ফল তরমুজ। গোটা কিংবা জুস যেভাবেই হোক তরমুজ পছন্দ করেন না এমন মানুষ পাওয়া দায়। তবে তরমুজ খাওয়ার বাধ সাধে তরমুজের বীজ।

একদম সাবধানভাবে বীজ ছাড়া তরমুজ খাওয়া বেশিরভাগ সময় সম্ভব হয় না। তাই দেখা যায় অনেকেই তরমুজের বীজ খেয়ে ফেলেন। বিশেষ করে শিশুরা। এখন প্রশ্ন আসে তরমুজের বীজ কী মানবশরীরের ক্ষতির কারণ হতে পারে। এর জবাব হচ্ছে একেবারেই না। 

অনেকেই ভাবেন, তরমুজের বীজ খেলে বোধ হয় পেটে সমস্যা হতে পারে। পুষ্টিবিদের মতে, তরমুজের বীজের ক্ষতিকর তো নয়ই উল্টো এটা স্বাস্থ্যকর। এই বীজে প্রোটিনের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। সুস্থ থাকতে সারা দিনে যে পরিমাণে প্রোটিনের প্রয়োজন হয় তার ৬০ শতাংশই মিলতে পারে এক কাপ তরমুজের বীজ থেকে।

পুষ্টিবিদের থেকে জানা যায়, তরমুজের বীজে আছে আয়রন, ফোলেট, লাইকোপেন এবং নিয়াসিনের মতো উপাদান। তবে যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তাদের কারও কারও ক্ষেত্রে এটা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতেই পারে। কারও আবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও হয়ে থাকে।

তরমুজের বীজ খেলে শরীরে নানান উপকার হয়। ভারতীয় গণমাধ্যম এ নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এক নজরে দেখে নিন সেগুলো।

১. প্রোটিনের পাশাপাশি তরমুজের বীজে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ত্বকে কোনও প্রদাহ হলে তা-ও কমাতে সাহায্য করে। তাই ত্বক ও চুলের যত্ন নিতে খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে পারেন তরমুজের বীজ।

২. রক্তে থাকা এলডিএল কোলেস্টেরল হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ার কারণ। অন্যদিকে তরমুজের বীজে রয়েছে মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, যা রক্তে এই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য কিন্তু বেশ উপকারী ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ তরমুজের বীজ।

৩. হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গেলে ক্যালসিয়াম ছাড়াও বেশ কিছু খনিজের প্রয়োজন হয়, এই খনিজগুলি যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে তরমুজের বীজে। এ ছাড়াও তরমুজের বীজ পেশির গঠনের প্রয়োজনীয় এই খনিজগুলোর অন্যতম উৎসব ।


আরও খবর
হিট স্ট্রোক হলে কী করবেন?

মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪




খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই আজ খুলেছে স্কুল-কলেজ। এই সময়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকলেও তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে অ্যাসেম্বলি। সেই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম। এ অবস্থায় সরকারি প্রাথমিকে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৮ এপ্রিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চলমান থাকবে। এক পালায় (শিফটে) পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। আর দুই পালায় বিদ্যালয়গুলোয় প্রথম পালা সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় পালা সকাল পৌনে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলমান থাকবে। তবে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। আর দাবদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধ থাকবে।

চলমান দাবদাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশুকল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

মাউশির অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আগামী শনিবার থেকে ক্লাস হবে। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অর্থাৎ, শনিবার আগের মতোই সাপ্তাহিক ছুটি থাকছে।

এদিকে, তাপপ্রবাহের কারণে এক সপ্তাহ ছুটির পর মাউশির আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও আজ থেকে খুলছে। তবে কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধ থাকবে। শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে। এছাড়া দাবদাহ ও অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে শিখনঘাটতি পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।


আরও খবর