আজ
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) জাতীয় বস্ত্র দিবস। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তৃতীয়বারের
মতো সারা দেশে এ দিবসটি পালন করা হচ্ছে। এ
বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘বস্ত্র খাতের বিশ্বায়ন: বাংলাদেশের উন্নয়ন’। দিবসটি উপলক্ষে
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।
দিনটি পালনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা
হয়েছে। বস্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠান হবে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে। দিবসটিতে
বিশ্বব্যাপী চলমান করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) বিপর্যয়ের অভিঘাতে বস্ত্র খাত রক্ষায় বিশেষ
অবদান রাখায় সাতটি সংগঠনকে সম্মাননা প্রদান করা হবে।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান
সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী বস্ত্রশিল্পের টেকসই অগ্রগতি নিশ্চিত করার মাধ্যমে
অর্থনীতিতে গতি সঞ্চারে বস্ত্র খাত সংশ্লিষ্ট সব উদ্যোগকে সমন্বিত করা এবং সংশ্লিষ্ট
সব অংশীজনের বহুমুখী কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে সরকার ২০১৯ সালের ৪ ডিসেম্বরকে ‘জাতীয় বস্ত্র
দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ
তার বাণীতে পরিবেশবান্ধব বস্ত্রশিল্প স্থাপন, বস্ত্র খাতের রফতানি বাজার সম্প্রসারণ
এবং এ খাতের সার্বিক উন্নয়নে সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন,
‘বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্পের
ইতিহাস সুপ্রাচীন এবং গৌরবময়। ঢাকাই মসলিন ও জামদানি, টাঙ্গাইলের তাঁত, কুমিল্লার
খাদি, রাজশাহীর সিল্ক এবং মিরপুরের বেনারসি শিল্প আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির
সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে আছে।’ এসব ঐতিহ্যবাহী পণ্যকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে
ছড়িয়ে দিতে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।
তৈরি পোশাক খাত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে
উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ‘দেশের মোট রফতানি
আয়ের ৮২ ভাগ অর্জিত হয় বস্ত্র খাত থেকে। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন,
নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও বস্ত্র খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বর্তমান
সরকারের নির্বাচনি ইশতেহারে বস্ত্রশিল্প খাতকে নিরাপদ, শক্তিশালী এবং প্রতিযোগিতা সক্ষম
করে তোলার অঙ্গীকার করা হয়েছে। আমাদের সরকার পোশাক শিল্পের রফতানি বৃদ্ধিতে নতুন নতুন
বাজার সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে।’