আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস শুরু ২১ অক্টোবর

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আগামী ২১ অক্টোবর থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইনের পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষে সরাসরি পাঠদান কার্যক্রম শুরু হবে।

শনিবার এ সংক্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, একইদিন ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিকেল ৩টায় উপাচার্যের কনফারেন্স রুম থেকে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে এই প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হবে।

এতে জানানো হয়, সরাসরি ক্লাস শুরু হওয়ার পূর্বে অবশ্যই কলেজের শ্রেণিকক্ষ, বিজ্ঞানাগারসহ ক্যাম্পাস যথাযথভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ (প্রয়োজনে কলেজ টিকাদান কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ), যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব রক্ষাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও সচেতনতা বজায় রাখতে জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একইদিনে আয়োজিত ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধান অতিথি থাকবেন। বিশেষ অতিথি থাকবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

উপজেলা নির্বাচনের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামী ৮ মের কয়েকটি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ওইদিন অনার্স ৩য় বর্ষ ও ডিগ্রি (পাস) ১ম বর্ষের পরীক্ষা ছিল। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থগিত অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী ৯ মে এবং ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স পরীক্ষা ১৪ মে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া পূর্ব ঘোষিত অন্যান্য তারিখ ও সময়সূচি অপরিবর্তিত থাকবে।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। এ কারণে ওইদিনের পরীক্ষা পিছিয়ে নিতে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসিকে (ভাইস চ্যান্সেলর) পাঠিয়েছে ইসি।

ভোটগ্রহণের দিন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা/কর্মচারীকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একই দিনে ভোটগ্রহণ ও উল্লিখিত পরীক্ষা কার্যক্রম একসঙ্গে চালানো সম্ভব নয় বলে পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।


আরও খবর



চরম উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েলে হিজবুল্লাহ’র রকেট হামলা

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের ওপর শিগগিরই সরাসরি ইরানের হামলার শঙ্কার মধ্যে একের পর এক রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ৫০টিরও বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে বলেছে, উত্তর ইসরায়েলে দখলদারদের প্রতিরক্ষা বাহিনীর আর্টিলারি অবস্থানে কয়েক ডজন কাতিউশা রকেট হামলা চালিয়েছে তারা।

এক্সে একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, লেবানন সীমান্তের কাছে গ্যালিলি প্যানহ্যান্ডেলের শহরগুলোর আকাশে অসংখ্য রকেট ও ড্রোন। এর আগেই সাইরেন বাজিয়ে সতর্ক করা হয়। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর ছোড়া গুলিতে সেসব রকেট ও ড্রোনকে ধ্বংস করা হয়।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, ৪০টির মতো রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল, যার বেশিরভাগই আকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। বাকিগুলো খোলা জায়গায় ও লেবানন সীমান্তেই পড়েছিল।

আইডিএফ আরও বলেছে, ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী উত্তর ইসরায়েলে হিজবুল্লাহ দ্বারা উৎক্ষেপিত দুটি বিস্ফোরকবোঝাই ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে।

এদিকে নিউইয়র্ক পোস্টের খবর, বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলের উত্তর অথবা দক্ষিণে হামলা করতে পারে ইরান।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি শুক্রবার বলেন, কোন আকারে, কোন মাত্রায় এবং কোন সুযোগ নিয়ে হামলা হতে পারে, তা আমি বলতে পারছি না। তবে ইরানের হামলার হুমকি কার্যকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওয়াশিংটন খুব, খুব নিবিড়ভাবে বিষয়টি দেখছে।

মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়, হামলায় রাইসি প্রশাসন ১০০টি ড্রোন এ কয়েকডজন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করবে। তা ঠেকানো ইসরায়েলের জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাবে বলেও জানান মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তারা। তবে শেষ মুহূর্তে ইরান হামলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারে বলেও ধারণা তাদের।

গত সপ্তাহে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে বিমান হামলা চালায়। এতে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের সাত সদস্য নিহত হন। এরপর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এর প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করে তেহরান।


আরও খবর



কত ভোটে হারলেন হেলেনা জাহাঙ্গীর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে মাহমুদ কলি-নিপুণ আক্তার প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছিলেন প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে জেল ফেরত হেলেনা জাহাঙ্গীর। তবে জয়ের স্বাদ পাননি তিনি।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সমালোচিত এ নারীর বাক্সে ভোট পড়েছে ১৭০ টি।

এদিকে হেলেনা জাহাঙ্গীর ছাড়াও কার্যনির্বাহী সদস্য পদে হেরেছেন সুজাতা আজিম, সঞ্জু জন, স্বপ্না, সাইফ, মো. সাইফুল, মো. ফিরোজ মিয়া, বাদল শেখ, পীরজাদা শহীদুল হারুন, নাদের চৌধুরী, নিরঞ্জন সরকার, নাসরিন, তানভীর তনু, জেসমিন আক্তার, সাদিয়ায় মির্জা, ইউসুফ খান।

নিপুণের হাত ধরে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। সেসময় অভিযোগ উঠেছিল নীতিমালা না মেনে এই তাকে শিল্পী সমিতির সদস্য পদ দিয়েছে সদ্য ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণের নেতৃত্বাধীন কমিটি।

সমিতির সদস্য হওয়ার জন্য একজন শিল্পীর যে যোগ্যতা লাগে (ন্যূনতম পাঁচটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অবিতর্কিত চরিত্রে অভিনয় করতে হয়) তা তার ছিল না। তারপরও হেলেনা জাহাঙ্গীরকে সমিতির সদস্য পদ দেয়া হয়।

নির্বাচনে অংশ নিয়েই হেলেনা জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আমার গার্মেন্টস কারখানা আছে। সংস্কৃতি অঙ্গনের যাদের চাকরি লাগবে, তাদের আমি চাকরি দিতে পারব। এ জন্য কলি-নিপুণ পরিষদের যে অফার ছিল তা লুফে নিয়েছি।

সেসময় তার এ মন্তব্যে চলচ্চিত্রাঙ্গণে সমালোচনা শুরু হয়। বিতর্কিত হেলেনা জাহাঙ্গীরের সদস্য হওয়ার খবরে নিন্দা জানান শিল্পীরা।


আরও খবর



রামুতে বাবা-ছেলেকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

কক্সবাজারের রামুতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ধারারো অস্ত্র ও গুলিতে বাবা ও ছেলে নিহত হয়েছেন।

রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের থোয়াইংগাকাটা ঘোনারপাড়া গ্রামে এঘটনা ঘটে। গরু পাচারের বিরোধের জেরে এই হত্যা বলে দাবি করা হলেও পুলিশ বলছে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এ হত্যাকাণ্ড।

নিহতরা হলেন গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের থোয়াইগ্যাকাটা এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে জাফর আলম (৫২) ও তার ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (৩৩)।

পুলিশের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, সোমবার রাতে একটি খোলা দোকানের সামনে ক্যারম খেলছিল বাবা-ছেলেসহ গ্রামের ক'জন। এমন সময় একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত এলোপাতাড়ি গুলি করার পাশাপাশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবা-ছেলের ওপর হামলা করে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তারা।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাতেই কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান বলেন, সুরতাহাল প্রতিবেদন থেকে আমরা জানতে পেরেছি নিহতদের শরীরে ধারারো অস্ত্রের আঘাত ও গুলির চিহ্ন রয়েছে। তবে কিসের আঘাতে তাদের মৃত্যু হয়েছে জানতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এঘটনা ঘটিযেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে পুলিশ।


আরও খবর



উদ্বোধনের ৫ মাস পরও খুলনা-মোংলা রুটে চালু হয়নি ট্রেন

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উদ্বোধনের ৫ মাস পরও খুলনা-মোংলা রুটে ট্রেন চালু হয়নি। কবে নাগাদ ট্রেন চলাচল শুরু হবে তা এখনও অনিশ্চিত। ৮টি স্টেশন ও রেল ক্রসিংসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য জায়গায় এখনও জনবল নিযুক্ত করা হয়নি। এ অবস্থায় যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চালুর বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলতে পারছেন না প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এই রুটে ট্রেন চালুর অপেক্ষায় রয়েছে মোংলা ও খুলনার ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ এবং মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ অক্টোবর খুলনার ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল করে। এরপর ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যৌথভাবে ভার্চুয়ালি খুলনা-মোংলা রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। কিন্তু এরপর ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়নি।   

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, এই রেলপথে ৮টি স্টেশন নির্মাণ করা হলেও সবগুলোতে এখনও আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য সরঞ্জাম দেয়া হয়নি। রেল স্টেশন ও রেল ক্রসিংগুলোতে নিযুক্ত করা হয়নি কোনো জনবল। এছাড়া মোট কতটি ট্রেন চলবে, ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়া এখনও নির্ধারণ হয়নি।

খুলনা-মোংলা রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ হোসেন মাসুম জানান, উদ্বোধনের সময় কিছু ফিনিশিং কাজ বাকি ছিল। সেগুলো ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে এখনও জনবল নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি। এই রুটে পণ্য পরিবহনকে প্রাধান্য দেয়া হবে, সেই সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনও চলবে।

খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান বলেন, খুলনা-মোংলা রেল লাইন এখন যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত। ঈদের পরে ট্রেন চলাচল শুরু করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

প্রকল্প অফিস সূত্রে জানা গেছে, খুলনা-মোংলা রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। এই রেলপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৯০ কিলোমিটার। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে ভারতীয় দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লার্সেন অ্যান্ড টুবরো এবং ইরকন ইন্টারন্যাশনাল। ভারতের ঋণ সহায়তায় এ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ২৬০ কোটি টাকা।

এই রেলপথে রূপসা নদীর উপর ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ৯টি স্থানে ভেইকেল আন্ডারপাস-ভিইউপি (রেল লাইনের নিচ দিয়ে যাওয়ার রাস্তা) নির্মাণ করা হয়েছে। ভিইউপি এর কারণে ট্রেন চলাচলের সময় রেল ক্রসিংগুলোতে যানবাহন আটকা পড়বে না। এছাড়া দুর্ঘটনারও ঝুঁকি থাকবে না। এই রেলপথে স্টেশন রয়েছে ৮টি। সেগুলো হলো ফুলতলা, আড়ংঘাটা, মোহাম্মদনগর, দ্বিগরাজ, কাটাখালি, চুলকাঠি, বাঘা ও মোংলা।

খুলনা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মফিদুল ইসলাম টুটুল বলেন, আমরা চাই দ্রুত এই রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হোক। ট্রেন চালু হলে মোংলার সঙ্গে রেলপথে যাতায়াত সুবিধার পাশাপাশি আরও গতিশীল হবে মোংলা বন্দর। পর্যটকরাও খুলনা থেকে ট্রেনে করে সুন্দরবনে যেতে পারবে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের একজন কর্মকর্তা বলেন, পদ্মা সেতুর পর রেল সংযোগ মোংলা বন্দরের জন্য একটা আশীর্বাদ। এখন নদী ও সড়কপথে পণ্য বন্দরে আনা-নেয়া করা যায়। তবে রেলের মাধ্যমে কন্টেইনার পরিবহন সবচেয়ে সাশ্রয়ী একটা মাধ্যম। মোংলার সঙ্গে ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলের কন্টেইনার পরিবহন সহজ হবে। কমলাপুর আইসিডি ও ঢাকা থেকে আমদানি-রপ্তানি পণ্য কন্টেইনারে মোংলা বন্দরে আনা-নেয়া সহজ হবে। মোংলা বন্দরে জাহাজের আগমন বৃদ্ধি পাবে।


আরও খবর