আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

জাতীয় বাজেটে উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য বিশেষ বরাদ্দের দাবি

প্রকাশিত:সোমবার ২১ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২১ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন চত্ত্বরে আজ  সোমবার সকাল ১০:৩০ টায় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স এর সহযোগিতায় জেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে এই দাবী জানানো হয়।

সাতক্ষীরা নাগরিক কমিটির আহবায়ক ও জেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সদস্য মোঃ আনিছুর রহিমের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তৃতা করেন ফোরামের সদস্য সচিব মাধব চন্দ্র দত্ত্ব, জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব ও ফোরামের সদস্য আবুল কালাম আজাদ, ফোরামের সদস্য আলী নূর খান বাবলু, এ্যাড. ও ফোরামের সদস্য ফাহিমুল হক কিসলু, সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও ফোরামের সদস্য শেখ আফজাল হোসেন, ফোরামের সদস্য ফরিদা আক্তার বিউটি, খুরশীদ জাহান শীলা, আশাশুনি উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সদস্য মোহন্ত কুমার হালদার, লিডার্স এর প্রকল্প সমন্বয়কারী এস. এম রাজু জবেদ প্রমূখ। উল্লেখ্য, উপকূলীয় আশাশুনি, শ্যামনগর উপজেলার নারীরা সুপেয় পানির দাবীতে কলস নিয়ে উক্ত মানববন্ধন ও সমাবেশে হাজির হন।

মানববন্ধন ও সমাবেশে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের জীবনমান উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় অভিযোজন প্রক্রিয়া বাড়াতে হবে। আগামীতে সরকারের প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে দূর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা উপকূলের মানুষের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। ৬০ এর দশকের বাঁধের পরিকল্পনা আজ দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের মানুষের গলার ফাঁস। ঘূর্ণিঝড় ও উচ্চ জোয়ারের চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙে বার বার মানুষ তার সহায় সম্বল হারাচ্ছেন এবং মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এজন্য জলবায়ু পরিবর্তন ও  দুর্যোগের অভিঘাত মোকাবেলায় স্থায়ী ও মজবুত বেড়িবাঁধ পুন:নির্মাণ করতে হবে।

মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দুটি মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কিন্তু এখনো সেই প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয়নি। জনস্বার্থে দ্রুত ওই প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শুরু করতে হবে। উপকূলের টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও জীবন-জীবিকা রক্ষায় সরকারের নেওয়া অন্যান্য প্রকল্পগুলো দ্রুত অনুমোদন দিতে হবে। সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সমন্বয় এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তারা।

মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে মেরু অঞ্চলের বরফগলন ত্বরান্বিত হচ্ছে এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায়, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও লবনাক্ততা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলকে দূর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করার দাবী জানান তারা।

বক্তারা বলেন, উপকূলের মানুষের খাবার পানির তীব্র সংকট। খাবার পানির জন্য এক জন নারীকে প্রতিদিন ৪/৫ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে পানি সংগ্রহ করতে হয়। এছাড়া পানির লাইনে দাঁড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় তাদের। এজন্য তারা উপকূলের সকল মানুষের খাবার পানির টেকসই ও স্থায়ী সমাধানের দাবী তুলে ধরেন।

মানববন্ধন ও সমাবেশে উপকূলের সার্বিক উন্নয়নে ২০২২/২০২৩ অর্থবছরে জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের দাবী জানানো হয়। একই সঙ্গে উপকূলের মানুষের জীবন জীবিকা সুরক্ষায় বিশেষ অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের দাবী জানানো হয়।

মানববন্ধন ও সমাবেশ শেষে জেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সদস্যবৃন্দ সাতক্ষীরা জেলা প্রসাশক এর নিকট প্রধানমন্ত্রী বরাবর চারটি দাবী সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।


আরও খবর



যাদের কাজ নেই, তারাই সমিতি নিয়ে বেশি আগ্রহী: ইলিয়াস কাঞ্চন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ঢাকাই সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত আছেন। গড়ে তুলেছেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলন নামের সামাজিক সংগঠন। গেল দুই বছর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন এই অভিনেতা। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, সমিতির আগামী নির্বাচনে আর অংশ নেবেন না।

এবার জানালেন, যাদের কাজ নেই এবং যারা এই সমিতিরি সদস্য হওয়ার যোগ্যতাই রাখেন না, তাদেরই সমিতি নিয়ে বেশি আগ্রহ। আর তাদের সংখ্যা ও দাপট দুটোই বেশি।

সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইলিয়াস কাঞ্চন আরও অভিযোগ করেন, ভোটের সময় তাদের সবাইকে টাকা দেওয়া হয় এবং সব পক্ষের কাছ থেকেই তারা টাকা নেন।

জনপ্রিয় এই অভিনেতা জানান, নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছেন তিনি। তবে অনেক সদস্যের জন্য নিজের মতো করে কাজ করতে পারেননি তিনি।

তার কথায়, শিল্পী সমিতিতে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ভোটার আছেন, যাদের আমিও চিনি না, অন্য অনেকেও চেনেন না। অথচ তারা শিল্পী সমিতির পূর্ণ সদস্য। ভোট প্রদান করেন, নির্বাচনও করেন। আর এ কারণে সিনিয়র শিল্পী ও প্রকৃত শিল্পীরা সমিতিতে আসতে চান না। আসলে একবার যদি পূর্ণ সদস্য দিয়ে দেওয়া হয়, তখন বাদ দেওয়াটা মুশকিল।’

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আমার কথা হচ্ছে, তারা থাকুন। সহযোগী হয়েই থাকুক। ভোটাধিকার না থাকুক। শুধু ভোটাধিকার থাকার কারণে নির্বাচনের সময়ে এরা বিশাল গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন। ভোটের সময় তাদের সবাইকে টাকা দেওয়া হয়। সব পক্ষের কাছ থেকে তারা টাকা নেন। আমি আসলে সংখ্যাটা উল্লেখ করতে পারব না। আমি দূরে থাকতে চাই। আমি যখন এসব নিয়ে কথা বলা শুরু করলাম, তখন অন্যরা আমাকে দূরে রাখার চেষ্টা করেন। আমিও এসব নিয়ে তাই আর মাথা ঘামাতে চাই না।’

যাদের কাজ নেই তারাই সমিতি নিয়ে বেশি আগ্রহী এমনটা দাবি করে এই অভিনেতা বলেন, সহযোগী সদস্য যাদের হওয়ার কথা, তাদের আগ্রহটা বেশি। প্রচণ্ড রকম বেশি। এই সংগঠন তাদের প্রধান পরিচয়। প্রকৃত শিল্পীদের আগ্রহ সহযোগীদের চেয়ে অনেক কম। প্রকৃত শিল্পীদের তো সমিতির পরিচয় লাগে না। তাদের এমনিতেই সবাই চেনেন, এক নামে জানেন। সমিতি বরং প্রকৃত শিল্পীদের কারণে আলোকিত-আলোচিত হয়।’


আরও খবর



রমজান শুরুর তারিখ জানাল মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়া-ব্রুনাই

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ঘোষণা করেছে যে দেশটিতে শাবান মাস শেষ হবে আগামীকাল সোমবার (১১ মার্চ)। আর পবিত্র রমজান শুরু হবে আগামী মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে।

দেশটির গ্র্যান্ড মুফতি জানিয়েছেন, সোমবার শাবান মাস শেষ হবে আর মঙ্গলবার শুরু হবে রোজা। ভৌগোলিক অবস্থান এবং আগে চাঁদ ওঠার কারণে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে রোজার তারিখ ঘোষণা করে থাকে।

অস্ট্রেলিয়ার পর পরই এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ রমজান মাস কবে শুরু হবে, সেই তারিখ ঘোষণা করেছে। ব্রুনাই জানিয়েছে, দেশটিতে প্রথম রমজান মঙ্গলবার (১২ মার্চ)। কারণ, সালতানাতের কোথাও রোববার সন্ধ্যায় নতুন চাঁদ দেখা যায়নি।

মালয়েশিয়ার আকাশেও রোববার পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। এজন্য দেশটির জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি রমজানের প্রথম দিন হিসেবে মঙ্গলবারকে (১২ মার্চ) ঘোষণা করেছে।

জনসংখ্যার বিবেচনায় বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ায়ও প্রথম রমজান মঙ্গলবার (১২ মার্চ)। দেশটির ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেই হিসেবে আগামীকাল সোমবার হচ্ছে শাবান মাসের ৩০তম দিন।


আরও খবর



আসছে রমজান, ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে বাজার

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আসছে রমজান মাস। রমজান উপলক্ষ্যে অন্যান্য দেশে সব কিছুর দাম তুলনামূলক কমিয়ে দেওয়া হলেও এ দেশে সব কিছুর দাম বেড়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় রমজান আসার আগেই বাজারে মাছ, মাংস, মুরগি ও সবজিসহ বেড়েছে প্রায় সবকিছুর দাম। সব মিলিয়ে বাজারে যেন বাড়তি দামের ছোঁয়া লেগেছে।

শুক্রবার (১ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজি থেকে শুরু করে মাছের অতিরিক্ত বাড়তি দাম যাচ্ছে। সেই সঙ্গে কিছুদিন রাজধানীতে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হলেও সেটি বেড়ে আবার ৭৫০ টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি ব্রয়লারসহ সোনালি ও দেশি মুরগির দাম আগের চেয়ে বেড়েছে। বাজারে সব ধরনের মাছের দামও বাড়তি যাচ্ছে।

আজ রাজধানীর কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, শসা প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, মুলা প্রতি কেজি ৪০ টাকায়, ঝিঁঙে প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, পেঁয়াজের ফুল প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, আর প্রতি মুঠা হিসেবে নিলে প্রতি মুঠা ২০ টাকায়, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকায়, লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ৮০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৩০ টাকায়, টমেটো প্রতি কেজি ৫০ টাকায়, ফুল কপি প্রতি পিস ৩০ টাকায়, আলু প্রতি কেজি ৪০ টাকায়, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায়, মটরশুঁটি প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, গাজর প্রতি কেজি ৪০ টাকায় ও শিমের বিচি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে। আজকের বাজারে চাষের পাঙাশ মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, চাষের শিং মাছ প্রতি কেজি ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়, রুই প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, চাষের কই প্রতি কেজি ৩০০ টাকায়, দেশি ছোট কই প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়, পাবদা প্রতি কেজি মানভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়, শোল মাছ একটু বড় সাইজের প্রতি কেজি ৯০০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ টাকায়, কাতলা মাছ প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় ও টেংরা মাছ ছোট সাইজের প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাশাপাশি রাজধানীতে কিছুদিন গরুর মাংস ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হলেও আবারও আগের মতো প্রতি কেজি ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেই সঙ্গে খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়। গরুর মাংসের পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে প্রতি কেজি ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, সোনালি মুরগি ও কক মুরগিরও দাম বেড়ে প্রতি কেজি ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মিরপুর শেওড়াপাড়া বাজারে বসে কথা হয় খোরশেদ আলমের সাথে। তিনি বলেন, অন্যান্য দেশে শুনেছি রমজান এলে সবকিছুর দাম কমিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের দেশে ঘটে উল্টোটা... রমজান এলেই বেড়ে যায় সবকিছুর দাম। আজকে বাজারে সবজির দাম থেকে শুরু করে মাছ-মাংসসহ অন্যান্য প্রায় সবকিছুর দামই বাড়তি দেখলাম।

তিনি বলেন, বয়লার মুরগি আগে ২০০ টাকা কেজি ছিল, আজ সেটি বেড়ে ২২০ টাকা হয়েছে। গরুর মাংসও ফিরে গেছে আগের বাড়তি দামে। এছাড়া, সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে। ঊর্ধ্বগতির বাজারে এখন বাজার করতে এলে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের নিয়মিত হিমশিম খেতে হয়।

মাসুদুর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, ইদানীং বাজারে মাছের দাম এতোটাই বেড়েছে যে, আমরা সাধারণ ক্রেতারা দুই-এক ধরনের মাছ ছাড়া অন্য কোনো মাছ কিনতে পারি না। মাছের দাম অতিরিক্ত বেশি।  নিয়মিত পাঙাশ, তেলাপিয়া ও চাষের কই এগুলো কিনতে হয়। কিছুদিন ধরে পাঙাশ মাছ ২০০ টাকা কেজি কিনলেও আজ দাম বেড়ে ২২০ টাকা হয়েছে। একইভাবে চাষের কই, তেলাপিয়া, রুই ও পাবদা মাছের দামও বেড়েছে। এসব মাছ ছাড়া ভালো মানের অন্য কোনো মাছ আমরা কিনতে পারি না অতিরিক্ত দামের কারণে। সামনে রমজান মাস, রমজান আসার আগেই বাজারে সব ধরনের মাছের দামই অতিরিক্ত বাড়তি যাচ্ছে।

সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি যাওয়ার কথা স্বীকার করে রামপুরা বাজারের মাছ বিক্রেতা আব্দুস সাত্তার মিয়া বলেন, আরও বেশ কিছুদিন যাবত মাছের দাম বাড়তে যাচ্ছে। রমজানের আগে এর দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। মূলত মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকেই সব ধরনের মাছের দাম বেড়ে গেছে, এরপর আর দাম কমেনি।

তিনি বলেন, আমরা পাইকারি বাজার থেকে মাছ যখন কিনে আনি তখনই আমাদের বাড়তি দামে কিনতে হয়। এরপর পরিবহন খরচ ও শ্রমিক খরচ সব মিলিয়ে কিছুটা দাম পড়ে। আমরা যখন কোনো মাছ পাইকারি বাজারে কম দামে কিনতে পারি, তখন খুচরা বাজারেও আমরা কম দামে বিক্রি করতে পারি। এক কথায় বলতে গেলে, মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকে মাছ চাষের‌ খরচ বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। বেশ কিছুদিন ধরেই মাছের দাম বাড়তি। আগামীতেও মাছের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না।


আরও খবর



রাখাইনে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় ২৩ রোহিঙ্গা নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মিনবিয়া শহরে বিমান হামলা চালিয়েছে জান্তা বাহিনী। দেশটির সামরিক বাহিনীর এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৩ সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা। আহত হয়েছে আরও ৩৩ জন।

সোমবারের (১৮ মার্চ) এই বোমা হামলা সামরিক শাসকরা বিনা উসকানিতে চালিয়েছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। খবর ইরাবতীর।

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, সোমবার সকালের দিকে দুটি বোমা থার্ডার গ্রামে ফেলা হয়। এতে গ্রামটির ধর্মীয় গুরু, তার স্ত্রী ও তাদের সন্তানসহ ২৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তিনি আরও জানান, বোমা হামলায় আহত ১৮ আহতকে চিকিৎসা দিচ্ছে আরকান আর্মি (এএ)। আর স্থানীয় ক্লিনিক থেকে আরও ১৫ আহত চিকিৎসা নিয়েছেন।

ইরাবতী জানিয়েছে, থার্ডার গ্রামে ৩০০ বাড়িতে দুই হাজারের মতো রোহিঙ্গা বাস করে। বোমা হামলার পর তারা বাস্তুচ্যুত হয়েছে। পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে তারা আশ্রয় নিয়েছে।

রোহিঙ্গা অধিকারকর্মী নেয় সান লিয়ন বলেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী যে অপরাধ করছে তার জন্য তারা কখনও শাস্তি পায়নি। তারা শুধু রোহিঙ্গা নয়, অন্যান্য জাতিগত মানুষের সঙ্গে অপরাধ করে চলেছে। এই অপরাধগুলো তখনই শেষ হবে যখন এর দায়মুক্তি শেষ হবে।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি মিনবিয়া শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয় এএ। এরপর থেকেই সেখানে ক্রমাগত বিমান হামলা চালাচ্ছে জান্তা বাহিনী। ইরাবতী জানিয়েছে, সিত্তওয়েতে অবস্থিত জান্তা ব্যাটালিয়নরা ৮ মার্চ রাত ১১টার দিকে মিনবিয়া শহরে গোলাবর্ষণ করে।


আরও খবর



ভারত পাশে ছিল বলেই নির্বাচন নিয়ে অশুভ খেলা হয়নি: কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারত পাশে ছিল বলেই নির্বাচন নিয়ে কোনো অশুভ খেলা হয়নি। শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের সঙ্গে গায়ে পড়ে তিক্ততার সম্পর্ক তৈরি করে সমস্যার সমাধান সম্ভব না। ভারতের সঙ্গে যে অবিশ্বাসের দেয়াল তৈরি হয়েছিল শেখ হাসিনা ও মোদি সরকার তা ভেঙে দিয়েছে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, যখন কথা বলি তখন বিশ্বাস থেকেই কথা বলি। এই বাংলাদেশে ৭৫ থেকে ২১ বছর কারা শাসন করেছিল, সেই ২১ বছর প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে বৈরিতা সৃষ্টি করেছিল।’

তিনি আরও বলেন, যারা সংখ্যালঘুদের কষ্ট দেয় তাদের আসল পরিচয় তারা দুর্বৃত্ত। মাইনরিটি ভাবনা দাসত্বের পরিচয় দেয়, তাই সবাইকে মাইনরিটি চিন্তা ভেঙে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্রী জে এল ভোমিকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী শ্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন, পাবত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত।


আরও খবর