আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

জাপানি দুই শিশুর অভিভাবক বাবা নাকি মা, রায় ২৯ জানুয়ারি

প্রকাশিত:রবিবার ২২ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২২ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাপানি মা এরিকো নাকানো নাকি বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফ, কে হবেন শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনার অভিভাবক। সে বিষয়ে আগামী ২৯ জানুয়ারি রায় দেওয়া হবে। আজ রোববার ঢাকার ১২ নম্বর পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান মামলার যুক্তি তর্ক শুনানি শেষে এ কথা জানান।

আজ মামলার যুক্তি তর্ক শুনানি শেষ হয়। বড় মেয়েসহ মা এরিকো নাকানো আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাবা ইমরান শরীফও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মা এরিকোর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। বাবা ইমরানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নাসিমা আক্তার। উভয় পক্ষই আদালতে দুই সন্তানের অভিভাবকত্ব দাবি করে যুক্তি তর্ক তুলে ধরেন। দেশ-বিদেশের উচ্চ আদালতের বিভিন্ন নজির তুলে ধরেন। পরে আদালত বলেন, রায়ের তারিখটা পরে জানানো হবে।

জাপানি মা এরিকোর পক্ষে তাঁর আইনজীবী বলেন, দুই সন্তানের বাবা ইমরান শরীফ জাপানে বসবাস করেন। তিনি এরিকোকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। ১০ বছর ঘর সংসার করেন। দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য হওয়ায় একপর্যায়ে ডিভোর্স হয়। এরপর ইমরান শরীফ জাপানে পারিবারিক আদালতে মামলা করেন। তিনি এক মেয়েকে বাংলাদেশে নিয়ে আসতে চান। সেখানকার পারিবারিক আদালত তাঁকে অনুমতি দেননি। এরপর একদিন বাচ্চারা স্কুল থেকে ফেরার সময় তিনি দুই সন্তানকে অপহরণ করেন। তাঁদের নিয়ে পাসপোর্ট করেন। তাঁদের নিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। ইমরান শরীফ দুই সন্তানকে নিয়ে যেভাবে বাংলাদেশের চলে এসেছেন সেটা কোনো সভ্যতার নিদর্শন না। শিশুদের মঙ্গলের জন্য আদালত আদেশ দেবেন। মায়ের কাছে শিশুরা যেভাবে থাকবে বাবা সেভাবে রাখতে পারবে না। দুই মেয়ে টোকিওর স্কুলে পড়াশোনা করে। তারা সেখানে বড় হচ্ছে। এ দেশে তাদের পড়াশোনার পরিবেশ সৃষ্টি হবে না।

আইনজীবী আরও বলেন, মায়ের আর্থিক কোনো সমস্যা নেই, লাখ লাখ টাকা বেতনে চাকরি করেন। তিনি তাঁর আদর, স্নেহ, ভালোবাসা দিয়ে বাচ্চাদের মানুষ করবেন।

অপরদিকে ইমরান শরীফের পক্ষে তাঁর আইনজীবী বলেন, জাপানে যখন বিয়ে হয় এরিকো ও ইমরান শরীফের তখন ইসলামি শরিয়ত মতে বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের আগে অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবেন। করেছিলেনও তাই। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পরেই তিনি আবার ধর্মচ্যুত হয়ে যান। এরিকো যথেষ্ট টাকা পয়সার মালিক নন। আর্থিক অনটনের কারণে তিনি সন্তানদের লেখাপড়া করাতে পারবেন না মানুষের মতো মানুষ করতে পারবেন না।

এরিকো এডিক্টেড পারসন বলেও আদালতকে বলেন ইমরান শরীফের আইনজীবী।

আইনজীবী বলেন, জাপানে একটি প্রথা রয়েছে, যদি মা বা বাবা জাপানি না হয়ে অন্য কোনো ভিনদেশি হয় তাদের সন্তানদের উচ্চতর শিক্ষা এবং ভালো কর্মসংস্থান থেকে দূরে রাখা হয়। এখানে এই দুই শিশুর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বলে কিছু হবে না। কাজেই বাবার কাছে এই দুই শিশুসন্তান নিরাপদ থাকবে এই দাবি করেন আইনজীবী।  দুই পক্ষেই বিভিন্ন আইনগত বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরা হয়। তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। পরে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন।  এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি উভয় পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে এরিকো নাকানোর স্বামী ইমরান জাপান থেকে দেশে আসেন। এরপর মেয়েদের অভিভাবক দাবি করে ঢাকার পারিবারিক আদালতে মামলা করেন। একই বছরের ১৮ জুলাই বাংলাদেশে আসেন এরিকো। তাদের ফিরে পেতে ১৯ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। পরে আদালতের নির্দেশে শিশু দুটিকে তেজগাঁওয়ে পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয় কিছুদিন। সব পক্ষের শুনানি নিয়ে ৩১ আগস্ট হাইকোর্ট গুলশানের ফ্ল্যাটে মায়ের হেফাজতে শিশুদের রাখার আদেশ দেন। কিন্তু এই দেশেই সন্তানদের নিয়ে থাকতে হবে বলে হাইকোর্ট বলেন।

ইমরান শরীফ আদালতকে জানান, স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যাওয়ায় তিনি মেয়েদের নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি বাংলাদেশেই বসবাস করবেন। তার শিশুসন্তানদের অভিভাবক হিসেবে তিনি এই মামলা দায়ের করেছেন। যেহেতু মা ভিনদেশি তাই তিনি একমাত্র অভিভাবক। এই আদালতে মামলা চলাকালীন তার সাবেক স্ত্রী বাংলাদেশে এসে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। হাইকোর্টও মেয়েদের বাংলাদেশে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, দুই সন্তান নিয়ে জাপানে পালানোর চেষ্টার অভিযোগে জাপানি নারী নাকানো এরিকোর বিরুদ্ধে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হয় গত ২৯ ডিসেম্বর। ইমরান শরীফ এই মামলা দায়ের করেন। আদালত এ মামলার ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।

নিউজ ট্যাগ: জাপানি দুই শিশু

আরও খবর



বাউফলে তিন শিশুকে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগে ব্যবসায়ী আটক

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দূর্জয় দাস, বাউফল (পটুয়াখালী)

Image

পটুয়াখালীর বাউফলে অনুমতি ছাড়া একটি দোকানের ফ্রিজ থেকে আইসক্রিম নিয়ে খাওয়ার অপরাধে তিন শিশুকে শিকলে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আনোয়ার হাওলাদারকে আটক করেছে পুলিশ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সোমবার (২৪ মার্চ) বিকালে উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের মৃধার বাজারে ব্যবসায়ী আনোয়ার হাওলাদারের দোকান থেকে স্থানীয় তিন শিশু ইমাম হোসেন (৭), আবদুল্লাহ (৯) ও ফাহিম (১০) আইসক্রিম খায়। এ সময় ব্যবসায়ী আনোয়ার দোকানে ছিলেন না। কিছুক্ষণ পর দোকানে এসে শিশুদের আইসক্রিম খেতে দেখে রেগে যান আনোয়ার হাওলাদার। পরে দোকান থেকে শিকল এনে ওই তিন শিশুকে বেঁধে রাখেন। সন্ধ্যার পর তিনি শিশুদের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। অভিভাবকরা খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে ৩ শিশুকে উদ্ধার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। মুহুর্তেই এমন হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে ওই ব্যবসায়ী গা ঢাকা দেন। ভোররাতে বাউফল থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ী আনোয়ার হাওলাদারকে আটক করে।

বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মো. সাইদুর রহমান বলেন, শিশুদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শিশুদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর



কুবিতে ১০ টাকায় মিলছে ইফতার

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ছোলা, ২ টি পেয়াজু, ১টি বেগুনি, ১টি আলুর চপ, ১টি জিলাপি, ১টি কলা, খেজুর ও মুড়িসহ প্রায় ৫০ টাকার ৮ ধরনের ইফতার ১০ টাকায় বিক্রি করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী কাজী মিরাজ।

বুধবার (১৩ মার্চ) বিকাল ৫টা ১৫ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেইটের কাছে তিনি ৮০ প্যাকেট ইফতার বিক্রি করেন।

১০ টাকায় ইফতার বিক্রির কারণ জানতে চাইলে কাজী মিরাজ বলেন, আমরা যারা মধ্যবিত্ত আছি আমাদের সাধারণত ১০ টাকার ছোলা আর দুইটা খেজুর হলে ইফতার হয়ে যায়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে যে সকল দোকান আছে সেগুলোতে যারা সামর্থ্যবান আছে তারা ৫০ থেকে ১০০টাকায় ইফতার কিনে সেখানে আমার মতো যারা আছে তারা ১০ টাকার ছোলা কিনতে যায় না বা লজ্জাবোধ করে। সবাই যাতে ১০ টাকায়  সবকিছু পায় সেইজন্য আমার এই উদ্যোগ। আর আজকে ইফতার আনার ৭ মিনিটের মধ্য আমার ইফতার বিক্রি হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, আমি টিউশন ও কোচিং করিয়ে যে টাকা পেয়েছি তা থেকে আজকে এই ইফতারের আয়োজন করেছি। আমার কাছে যা টাকা আছে তা দিয়ে আরো ৬ থেকে ৭ দিন আমি এভাবে ইফতার করাতে পারবো এবং এর পরে যদি কেউ অনুদান দেয় তাহলে রমজানে যতদিন ক্যাম্পাস খোলা থাকবে ততদিন এই আয়োজন করার ইচ্ছা আছে।


আরও খবর



জবির হোস্টেল ছেড়েও রেহাই পাননি অবন্তিকা

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানের যৌন হয়রানিমূলক নিপীড়ন ও সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের গালমন্দ থেকে রক্ষা পেতেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) হোস্টেল ছেড়েছিলেন আত্মহত্যা করা আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা।

কুমিল্লা কোতয়ালি থানায় করা মামলার এজাহারে এমনটিই দাবি করেছেন অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম। এজাহারে দাবি করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ছেড়ে মেসে থাকা শুরু করলে অবন্তিকার সঙ্গে আম্মান আরও বেশি কুরুচিমূলক আচরণ শুরু করে। এরপরই গত ১৪ মার্চ অবন্তিকা কুমিল্লায় নিজ বাসায় ফেরত যান।

গতকাল শনিবার রাতে তাহমিনা বেগমের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে জবির সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও অবন্তিকার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানকে।

এজাহারে তাহমিনা বেগম উল্লেখ করেছেন, ফাইরুজ অবন্তিকা (২৪) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ছিল। আমার মেয়ে মেধা তালিকা অনুসারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে সিট পায়। অবন্তিকা আমাকে জানায় যে, তাঁর ক্লাসমেট রায়হান সিদ্দিক আম্মান বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁকে যৌন হয়রানিমূলক নিপীড়ন দেয় ও বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে জানানোর পরও তিনি আম্মানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো আম্মানের পক্ষ নিয়ে আমার মেয়েকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। এজন্য আমার মেয়ে হোস্টেলে থাকাটা নিরাপদ মনে না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ছাত্রীদের মেসে থাকা শুরু করে।

কিন্তু তাতেও অভিযুক্ত দুজন ক্ষান্ত হননি। তারা অবন্তিকার কয়েকজন ক্লাসমেটের মাধ্যমে তাঁর চলা ফেরার প্রতি নজর রাখতে শুরু করে। তাদের মাধ্যমেও আমার মেয়েকে বিভিন্ন মাধ্যমে মানসিক নিপীড়ন দিতে থাকে। এরই মধ্যে গত ১৪ মার্চ অবন্তিকা কুমিল্লার বাসায় চলে আসে। অন্যমনস্ক অবন্তিকা আমাকে জানায়, যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ছেড়ে মেসে উঠেছিল সে সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। অর্থাৎ বিবাদী রায়হান সিদ্দিক আম্মান আগের চেয়ে আরও বেশি পরিমাণে আমার মেয়ের সঙ্গে যৌন হয়রানিমূলক কুরুচিপূর্ণ আচরণ করছে।

তাহমিনা বেগম দাবি করেন, সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম আম্মানের পক্ষ নিয়ে আমার মেয়েকে ৬ থেকে ৭ বার অফিসে ডেকে অপদস্থ করেন। মেয়ে কুমিল্লা চলে আসলেও তাঁকে খারাপ মেয়ে হিসেবে প্রচার করবে, যেন আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। এসব কারণে আমার মেয়ে কুমিল্লা নগরীর বাঁগিচাগাও বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।

এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, নিহত অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম বাদী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানকে আসামি করে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা করেন। পুলিশ মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।


আরও খবর



পেছালো চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

আগামী ১৯ এপ্রিল এফডিসিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই তারিখে নির্বাচন হচ্ছে না। সোমবার (০৪ মার্চ) নির্বাচন কমিশনারের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খসরু, সদস্য এ জে রানা ও বি এইচ নিশান সই করা তফসিলে এ তথ্য জানানো হয়।

তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৭ এপ্রিল ভোটগ্রহণ ও প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ ঘোষণা করা হবে। এদিন সকাল ১০টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।

জানা গেছে, প্রাথমিক ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৪ মার্চ। এর আগে ২০ মার্চের মধ্যে সদস্যদের চাঁদা পরিশোধ করতে হবে। তবে চেক বা অনলাইনে চাঁদা পরিশোধের ক্ষেত্রে ১৮ মার্চ বিকেল ৩টার মধ্যে নগদায়ন করতে হবে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ২৮ মার্চ বিকেল ৫টায়।

আরও জানা গেছে, মনোনয়ন বিক্রি শুরু হবে ৩০ মার্চ। চলবে ৩১ মার্চ বিকেল ৪টা পর্যন্ত। মনোনয়ন দাখিল করা যাবে ২ এপ্রিল বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

নির্বাচনে প্রাথমিক প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ হবে ৩ এপ্রিল (প্রতিদ্বন্দ্বী ও প্রতিনিধির উপস্থিতিতে)। আপত্তি ও নিষ্পত্তি করা হবে ৬ এপ্রিল বিকেল ৪টা পর্যন্ত। চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ হবে ৭ এপ্রিল। এর আগে ৭ এপ্রিল দুপুর ২টার মধ্যে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে।

নির্বাচনের পর প্রাথমিক ফলাফলের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করা যাবে ২৯ এপ্রিল দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ৩০ এপ্রিল বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে আপিল আবেদনের নিষ্পত্তি করতে হবে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ হবে ১ মে বিকেল ৫টায়।

মনোনয়নপত্র ক্রয়, দাখিল ও আপিল ফি অফেরতযোগ্য। প্রতিটি মনোনয়নপত্রের মূল্য এক হাজার টাকা। জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৩০ হাজার, সহ-সভাপতি পদে ২০ হাজার, সম্পাদকীয় পদের জন্য ১৫ হাজার, কার্যনির্বাহী পদের জন্য সাত হাজার এবং সমপরিমাণ টাকা আপিল ফি প্রতিটির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।


আরও খবর



ভারত : বিতর্কিত সিএএ’র বাস্তবায়ন স্থগিতের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিটিজেনশিপ অ্যামন্ডমেন্ট অ্যাক্ট অ্যান্ড রুলস- সিএএ) বাস্তবায়ন স্থগিতের নির্দেশ দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে নোটিশ জারি করেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। নোটিশের জবাব দিতে নয়াদিল্লিতে আসীন কেন্দ্রীয় সরকারকে তিন সপ্তাহ সময়ও বেঁধে দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ মঙ্গলবার নোটিশটি জারি করে। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি জে.বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র।

পার্লামেন্টে পাস হওয়ার চার বছর পর, গত ১১ মার্চ দেশজুড়ে সিএএ কার্যকর করে কেন্দ্রীয় সরকারে আসীন বিজেপি; কিন্তু তার পরপরই বিজেপির এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা শুরু করে বিরোধী দলগুলো। পশ্চিমবঙ্গ ও কেরালার রাজ্য সরকার ইতোমধ্যে জানিয়েছে, রাজ্যে আইন বাস্তবায়ন করা হবে না। আইনটি স্থগিতের জন্য বিজেপিকে আল্টিমেটাম দিয়েছে তামিলনাড়ু, কর্ণাটকসহ দক্ষিণাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্যগুলোও।

সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র জানিয়েছে, ১১ মার্চ আইনটি কার্যকরের আদেশ দেওয়ার পর থেকেই সেটি স্থগিতের জন্য আপিল আসতে থাকে। এ পর্যন্ত অন্তত ২০টি আপিল জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এসব আপিলে স্বাক্ষর রয়েছে অন্তত ২৩৭ জন আবেদনকারীর।

মঙ্গলবার এসব আপিলের ওপর ওপরই শুনানি ছিল। শুনানিতে আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত যেন কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ বাস্তবায়ন স্থগিত রাখে এমন আদেশ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। বাদিপক্ষের আইনজীবী দলের অন্যতম সদস্য নিজাম পাশা বলেন, আইনটি পাসের পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভারতের মুসলিমরা। তাদের মধ্যে এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে যে বিজেপি সরকার ভারতীয় মুসলিমদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে চায় এবং সিএএ হলো সেই পরিকল্পনার প্রথম ধাপ।

তবে বাদিপক্ষের এই যুক্তির পাল্টায় ভারতের শীর্ষ আইন কর্মকর্তা (সলিসিটর জেনারেল) তুষার মেহতা দাবি করেন, সিএএর মাধ্যমে কারো নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার উপায় নেই।

উভয়পক্ষের তর্ক ও যুক্তি উপস্থাপন শেষে সুপ্রিম কোর্ট সিএএ কার্যকর করা কেন অবৈধ হবে না মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশে নোটিশ জারি করেন এবং জবাব দেওয়ার জন্য তিন সপ্তাহ সময় দেন। সেই সঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন হিসেবে আগামী ৯ এপ্রিল ধার্য করেন সর্বোচ্চ আদালত।

২০১৯ সালে পার্লামেন্টে সিএএ পাস করে তৎকালীন বিজেপি সরকার । এ আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ ও পার্সি সম্প্রদায়ের যেসব লোকজন সাম্প্রদায়িক নির্যাতন ও নিপীড়ণের মুখে টিকতে না পেরে ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

ভারতে প্রথমবার নাগরিকত্ব আইন পাস হয় ১৯৫৫ সালে। সেই আইন অনুযায়ী, বিদেশ থেকে ভারতে আসা যেসব ব্যক্তি বিগত ১৪ বছরের মধ্যে ১১ বছর ধরে ভারতে বসবাস করছেন এবং অন্তত ১ বছর টানা থেকেছেন, তারা ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করলে তা অনুমোদন করা হবে। সিএএতে ১১ বছরের মেয়াদকালকে কমিয়ে ৫ বছরে আনা হয়েছে।

২০১৯ সালে আইনটি পাসের পর থেকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিজেপিবিরোধী বিভিন্ন ভারতীয় দল ছিল সেই বিক্ষোভের নেতৃত্বে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের ব্যাপক বিরোধী।

উত্তর-পূর্ব ভারত থেকেই মূলত আপত্তি উঠেছিল সিএএ নিয়ে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, সিএএ কার্যকর হলে শরণার্থীদের ভিড় ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। তার ফলে ভাষাগত এবং সংস্কৃতিগত সমস্যা প্রকট হতে পারে। নিজেদের ভাষা এবং সংস্কৃতি রক্ষার স্বার্থেই অনেকে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন।

পাশাপাশি আইনে মুসলিমদের বাদ দেওয়া নিয়েও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। শুধু তা-ই নয়, দক্ষিণ ভারতে সিএএ বিরোধিতার মূল কারণ, শ্রীলঙ্কা থেকে আগত তামিল উদ্বাস্তুদের বাদ দেওয়া।

সিএএ বিরোধিতাকারীদের অভিযোগ, আইনটি ভারতের সংবিধানের পরিপন্থী। কেননা, এ আইনে ধর্মীয় কারণে নাগরিকদের মধ্যে বৈষম্য করা হচ্ছে। তবে বিজেপির বক্তব্য, এই আইনে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না; বরং যারা ধর্মীয় বৈষম্যের কারণে এ দেশে চলে এসেছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

২০১৯ সালে আইনটি পাস হওয়ার পর রাজধানী নয়াদিল্লিসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে দাঙ্গা হয়েছিল। এসব দাঙ্গায় প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ।


আরও খবর