প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন জাপান সফরে দেশটির সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। এ ছাড়া আরও ছয়টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হতে পারে। পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছেন, এসব বিষয় আগামী এক থেকে দুই দিনের মধ্যে চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে কাজ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সচিব বলেন, এই সফরকালে সাতটি চুক্তি ও
এমওইউ নিয়ে আমরা কাজ করছি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো লেটার অফ ইনটেন্ড অন ডিফেন্স কোঅপারেশন।
এই সাতটির মধ্যে এক/দুটি একটু এদিক-ওদিক হতে পারে।
সচিব আরও বলেন, এবারের ভিজিটের একটি ইন্টারেস্টিং
দিক হলো জাপানের সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্কটা ছিল কমপ্রেহেনসিভ রিলেশনশিপ বা পার্টনারশিপ,
সেটিকে আমরা স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপে রূপান্তর করতে চাই। আর স্ট্র্যাটেজিক রিলেশনশিপ
করতে হলে ডিফেন্স কোঅপারেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ কম্পোনেন্ট।
আরও বেশ কিছু ইস্যু ও কম্পোনেন্ট আছে।
সেগুলো নিয়েও কাজ হবে, তবে সময় খুব কম ছিল। সে জন্য আমরা লেটার অফ ইনটেন্ড করছি। জেনারেল
একটা ইস্যু। জাস্ট এতে কী কী থাকতে পারে, সেগুলো উল্লেখ করা হবে। এটাকে কেন্দ্র করে
বা ব্যবহার করে আগামীতে আরও কী কী হতে পারে, তা নিয়ে ডিটেইলড আলোচনা হবে। তারপর হয়তো
এগ্রিমেন্ট সাইন হবে দুই দেশের মধ্যে।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ৩০ নভেম্বর সকাল
থেকে অনেকগুলো ইস্যু-ইভেন্ট এনগেজমেন্ট আছে। বাংলাদেশ থেকে আমাদের বেজা, বিডা, সিকিউরিটি
এক্সচেঞ্জ, তারাও বড় প্রোগ্রাম করবে। জেট্রোও তাদের সহযোগিতা করবে। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে
যে জাপানি ইনভেস্টমেন্ট এরিয়া হচ্ছে, সেখানে যে ইনভেস্টররা আছেন, তাদের কয়েকজন সিইও
দেখা করবেন। আরও কয়েকটি বড় হাউসের সিইওসহ অনেকেই হয়তো দেখা করবেন।
মোমেন আরও বলেন, এ ছাড়া তাদের অনেকগুলো
বড় বড় প্রকল্প তো পাইপলাইনে আছে। সেগুলো চূড়ান্ত করে হয়তো ইআরডি তাদের সামনে কিছু উপস্থাপন
করবে। এ নিয়ে আমরা মঙ্গলবার বসব।