আজঃ বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

জাপানে কৃষি খামারে ভালুক তাড়াতে রোবট নেকড়ের ব্যবহার

প্রকাশিত:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সাধারণভাবে দেখতে আর দশটা নেকড়ের মতোই। চোখ থেকে যেন ঠিকরে বের হচ্ছে আগুনের হলকা। গলা চিরে বেরিয়ে আসছে নেকড়ের ডাক। কিন্তু সেটি আসল নেকড়ে নয়। এটি জাপানের একটি প্রতিষ্ঠানের তৈরি রোবট নেকড়ে। যেটিকে কৃষকেরা তাদের খামারে ভালুকসহ অন্যান্য প্রাণী তাড়াতে ব্যবহার করছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে রোবট নেকড়ের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান উলফ কামুয়ি সেটিকে প্রাণী তাড়ানোর উপযোগী করে তৈরি করেছিল। কিন্তু পরে তাঁরা সেটিকে ভালুক তাড়ানোর কাজেও ব্যবহার করা যায় কিনা পরীক্ষা করে দেখেছেন।

তিন বছরেরও বেশি সময় আগে, ২০২০ সালের শরৎকালে জাপানের তাকিকাওয়া শহরে প্রথমবারের মতো রোবটটিকে কাজে লাগানো হয়। সে বছরই সেটিকে ভালুক তাড়ানোর কাজে ব্যবহার করে ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়। তার পর থেকেই স্থানীয় কৃষকেরা রোবট উলফ কিনতে ভিড় জমানো শুরু করেছেন উলফ কামুয়ির বিক্রয় কেন্দ্রে। 

আরও পড়ুন>> প্রবীণদের মর্যাদা-অধিকার নিশ্চিত করতে হবে: জাতিসংঘ মহাসচিব

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, জাপানে বুনো ভালুকের আক্রমণ, ফসল নষ্ট করা নতুন কোনো বিষয় নয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময় বিষয়টি বেড়ে গিয়েছে। যার ফলে কৃষকদের বেশ ক্ষতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এ অবস্থায় কৃষকেরা ভালুকের হাত থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিচ্ছেন রোবট নেকড়ের।

আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন জাপানের টোকিও ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক শিনসুকে কোইকে। তিনি বলেন, জাপানে শহুরে লোকজনের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে, তরুণ প্রজন্ম এখন আর গ্রামে থাকতে চায় না। তারা শহরে চলে আসায় গ্রামে রয়ে গেছে কেবল বয়স্ক লোকেরা।

তাঁর মতে বয়স্ক লোকদের পক্ষে কৃষিকাজ চালিয়ে নেওয়া কঠিন। পাশাপাশি কৃষি খামারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আরও কঠিন। এ ছাড়া, আগে কৃষিজ ভূমি এবং পার্বত্য বনভূমির মধ্যে একটি বাফার জোন ছিল। কিন্তু এখন সেটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে বন থেকে প্রায়ই ভালুকসহ বিভিন্ন প্রাণী নেমে এসে কৃষি খামারের ক্ষতি করছে। বন্য প্রাণীদের নিরাপদ আশ্রয়ের অভাব এবং খাদ্য সংকটও সেগুলোর লোকালয়ে চলে আসার অন্যতম কারণ বলে চিহ্নিত করেছেন তিনি।

কেবল যে কৃষি খামারের ক্ষতিই হচ্ছে তা নয়, প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ মানুষেরও। বিগত ৬০ বছরে কেবল হোক্কাইডো প্রিফেকচারেই দেড় শতাধিক ভালুকের হামলা সংঘটিত হয়েছে। এসব হামলায় অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন। কেবল ২০২১ সালেই ৪ জন নিহত হয়েছে ভালুকের হামলায়। আগত হয়েছে আরও অন্তত ১০ জন। এ অবস্থায় আপাত একটি সমাধান হিসেবে ধরা দিয়েছে এই রোবট নেকড়ে।


আরও খবর



অ্যাটলির সিনেমায় প্রথমবার একসঙ্গে শাহরুখ-বিজয়

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

শাহরুখ খানের হাত ধরেই বলিউডে ডেবিউ করেছেন দক্ষিণের পরিচালক অ্যাটলি কুমার। বক্স অফিসে ১ হাজার ১০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করেছে এই জুটির জওয়ান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, আরও একবার এই জুটি একসঙ্গে কাজ করছেন। তবে এবার এর সঙ্গে রয়েছে নতুন চমক, শাহরুখের সঙ্গে থাকছেন থালাপতি বিজয়ও। এই খবর নিশ্চিত করেছেন অ্যাটলি নিজেই।

চেন্নাইতে জওয়ান-এর শুটিং করার সময় অ্যাটলির জন্মদিনে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল শাহরুখ ও বিজয় দুজনকেই। তখন জিন্দা বান্দা গানের শুটিং করেন তাঁরা। সেই সময়ে তোলা তিনজনের একটি স্থিরচিত্র দেখে ভক্তরা জানিয়েছেন এক ছবিতে দেখার ইচ্ছার কথা। অবশেষে ভক্তদের সেই ইচ্ছা পূরণ হতে চলেছে।

জনপ্রিয় টিভি প্রেজেন্টার ও ইউটিউবার গোপীনাথকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অ্যাটলি সম্প্রতি জানিয়েছেন, তিনিই ফোন করে আমন্ত্রণ জানান বিজয়কে। বিজয় রাজি হয়ে যান। সেখানে এসে শাহরুখ খান ও থালাপতি বিজয় নিজেদের মধ্যেই কথা বলে নেন। এরপর ডাকেন অ্যাটলিকে। শাহরুখ অ্যাটলিকে বলেন, তিনি যদি কখনো দুজন হিরোকে নিয়ে সিনেমা করার কথা ভাবেন, তাহলে তারা সেটার জন্য প্রস্তুত। বিজয়ও এতে সম্মতি জানান।

সাক্ষাৎকারে অ্যাটলি বলেন, আমি সিনেমাটি নিয়ে কাজ করছি। এটা আমার পরবর্তী সিনেমা হতে পারে। চিত্রনাট্য তৈরির জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি।

জওয়ান সিনেমাতেই বিশেষ চরিত্রে বিজয়ের আগমনের গুঞ্জন চাউর হয়েছিল। কিন্তু পরিচালক অ্যাটলি তখন জানিয়েছিলেন, ক্যামিও নয়, শাহরুখথালাপতি বিজয়কে একসঙ্গে নিয়েই কিছু বানাতে চান তিনি।

২০১৩ সালে আর্য ও নয়নতারা অভিনীত রোমান্টিক ড্রামা ফিল্ম রাজা রানীর মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ হয় অ্যাটলির। সিনেমাটির মাধ্যমে সেরা নবাগত পরিচালকের পুরস্কার বিজয় অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন তিনি।

এরপর একে একে তিনি নির্মাণ করেন থেরি, বিগিল, মেরসাল-এর মতো দক্ষিণের ব্যবসাসফল সিনেমা। তাঁর সর্বশেষ নির্মিত শাহরুখ খান অভিনীত জওয়ান তাঁকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।


আরও খবর



আ.লীগের নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটিগুলোর সমন্বয় সভা কাল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি সংশ্লিষ্ট উপ-কমিটিগুলোর আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবদের সমন্বয় সভা ডাকা হয়েছে।

বুধবার বিকাল ৩টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ওবায়দুল কাদের। সভায় সভাপতিত্ব করবেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ।

নিউজ ট্যাগ: আওয়ামী লীগ

আরও খবর
আজ থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ

বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩




নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য যেসব বিষয় গুরুত্বপূর্ণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

যেকোন গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রথম ও পূর্বশর্ত।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নির্বাচনের প্রক্রিয়া ভিন্ন ভিন্ন ধরণের। তবে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার কিছু আন্তর্জাতিক মানদণ্ড রয়েছে।

কিছু সর্বজনীন নীতি এবং নির্দেশিকার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য মানদণ্ড নির্ধারিত হয়েছে।

জাতিসংঘের সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণায় বলা হয়েছে, সরকারের কর্তৃত্বের ভিত্তি তৈরি হবে জনগণের ইচ্ছার মাধ্যমে। নির্ধারিত সময় পরপর এবং প্রকৃত নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ হবে।

১৯৯৬ সালের ১২ জুলাই জাতিসংঘের কমিটি মানবাধিকার, ভোটাধিকার এবং নির্বাচন সংক্রান্ত একটি ঘোষণা গ্রহণ করেছে। নির্বাচনের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নির্ধারণের ক্ষেত্রে সেখানে ২৫ টি বিষয় গ্রহণ করা হয়েছে।

দ্য রাইট টু পার্টিসিপেট ইন পাবলিক অ্যাফেয়ার্স, ভোটিং রাইটস এন্ড দ্য রাইট টু ইকুয়াল একসেস টু পাবলিক সার্ভিস শিরোনামের ঘোষণায় নির্বাচন ও ভোটাধিকার সংক্রান্ত নানা বিষয় উল্লেখ করা আছে।

২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের দ্য কার্টার সেন্টার ও জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই-কমিশনারের অফিস একটি কনফারেন্সের আয়োজন করে। সেখানে মূল বিষয় ছিল মানবাধিকার এবং নির্বাচনের মানদণ্ড নিয়ে আলোচনা করা।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনন্সিটিটিউট (এনডিআই) তাদের এক রিপোর্টে বলছে- এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন দেশের সরকার যৌথভাবে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং নির্বাচন সংক্রান্ত নানা ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছে। এগুলো সম্মান করতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো বাধ্য।

পৃথিবীর নানা দেশে নির্বাচনের নানা পদ্ধতি রয়েছে। এনডিআই বলছে, কোন নির্বাচনী প্রক্রিয়া শতভাগ সঠিক নয়। সব জায়গায় উন্নত করার সুযোগ রয়েছে।

কিন্তু তারপরেও কিছু সর্বজনীন বিষয় আছে যার মাধ্যমে বোঝা যায় নির্বাচন কতটা বিশ্বাসযোগ্য হয়েছে।

অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন

নির্বাচন ইনক্লুসিভ বা অন্তর্ভুক্তিমূলক হবার ক্ষেত্রে দুটো বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের এনডিআই এর মতে, একটি হচ্ছে ভোটাররা যাতে ঠিকমতো অংশ নিতে পারে।

অন্যটি হচ্ছে, যারা নির্বাচিত হতে চায় তাদের অধিকার যাতে ঠিকমতো রক্ষা করা হয়।

প্রার্থীদের জড়ো হওয়া কিংবা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অধিকারের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হয় আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে।

যুক্তরাষ্ট্রের কার্টার সেন্টার বলছেন, প্রার্থী ও রাজনৈতিক দল হচ্ছে নির্বাচন প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

এখানে বলা হয়েছে, প্রার্থী এবং রাজনৈতিক দল ভোটারদের মতামতের প্রতিনিধিত্ব করে।

নির্বিঘ্ন প্রচারণা

প্রার্থীরা যাতে ভোটারদের কাছে প্রচারণার জন্য ঠিকমতো পৌঁছাতে পারে সে সুযোগ তাদের দিতে হবে।

এজন্য একটি নির্বাচনী পরিবেশ দরকার যেখানে রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীরা তাদের বার্তা জনগণের কাছে ঠিকমতো পৌঁছে দিতে পারে সেজন্য তাদের পর্যাপ্ত সুযোগ দিতে হবে।

জনগণের সমর্থন পাওয়ার জন্য রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীরা যাতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার স্বাধীনতা থাকে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

১৯৯৪ সালের ২৬ মার্চ প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের সর্বসম্মত ঘোষণায় বলা হয়েছে, প্রচারণার জন্য দেশজুড়ে প্রার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে যেতে পারে সেটি নিশ্চিত করা জরুরি।

স্বাধীন পর্যবেক্ষক

নির্বাচনের প্রতিটি দিক পর্যবেক্ষণের জন্য নাগরিক সংগঠনগুলো যাতে অংশ নিতে পারে সেজন্য অবশ্যই তাদের সুযোগ দিতে হবে। এটি এক অর্থে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়।

ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস প্রিন্সিপাল অনুযায়ী রাষ্ট্রের সুশাসন এবং জনগণের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে অংশ নেওয়া নাগরিকদের অধিকার রয়েছে।

হিউম্যান রাইটস পিন্সিপাল এর ২০ নম্বর অনুচ্ছেদে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় পর্যবেক্ষকদের গুরুত্বের বিষয়টি উল্লেখ করা আছে।

ভোট দান এবং গণনার প্রক্রিয়া সঠিকভাবে হচ্ছে কী না সেটি স্বাধীনভাবে নিরীক্ষা করা উচিত। ব্যালটের নিরাপত্তা এবং ভোট গণনার পদ্ধতির উপর মানুষের যাতে আস্থা থাকে সেজন্য স্বাধীন পর্যবেক্ষকের উপর জোর দেয়া হয়েছে।

নির্দলীয় পর্যবেক্ষকদের বিষয়টি আরো কয়েকটি আন্তর্জাতিক সনদে উল্লেখ করা আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এনডিআই বলছে, পর্যবেক্ষকরা যাতে নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে যেতে পারেন এবং নির্বাচনের আগে ও পরে তাদের সংশ্লিষ্ট কাজ করতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে কর্তৃপক্ষকে।

পর্যবেক্ষকরা যাতে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে সমন্বয় করতে পারে এবং আর্থিক সহায়তা নিতে পারে সেটির অনুমতি দিতে হবে। তবে পর্যবেক্ষকদের হতে হবে স্বাধীন ও নির্দলীয়।

গণমাধ্যমে সমান সুযোগ

সরকার-নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা যাতে কথা বলতে পারে এবং তাদের সমানভাবে সুযোগ দেয়া জরুরি।

এছাড়া নির্বাচন সংক্রান্ত কাভারেজ সঠিকভাবে দেবার জন্য বেসরকারি গণমাধ্যম যাতে নৈতিকভাবে এবং নির্বাচনের বিধি-বিধান অনুসারে কাজ করে সেজন্য তাদের উৎসাহিত করতে হবে।

ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের ঘোষণায় বলা হয়েছে, প্রতিটি প্রার্থী এবং প্রতিটি দল যাতে প্রচারণার জন্য গণমাধ্যমে সমান সুযোগ পায় সেটি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

স্বাধীন সংস্থা

জাতিসংঘ কমিটির গৃহীত ঘোষণায় বলা হয়েছে, নির্বাচন প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধান করার জন্য একটি স্বাধীন নির্বাচনী সংস্থা থাকতে হবে এবং নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

গোপন ব্যালটে ভোট দেবার ব্যবস্থা থাকতে হবে। ভোটাররা যাতে তাদের অধিকার ঠিকমতো প্রয়োগ করতে পারে সে ব্যবস্থা থাকতে হবে।

এখানে কোন ধরণের বিধি-নিষেধ কিংবা বৈষম্য থাকা যাবে না।

অন্যান্য বিষয়

ভোটাররা যাতে স্বাধীনভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে সেটির নিশ্চয়তা থাকতে হবে।

কোন ধরণের ভয়ভীতি, অর্থের প্রলোভন কিংবা কোন অযাচিত প্রভাব যাতে ভোটারদের উপর না থাকে।

এছাড়া ভোট দেবার পর ভোটাররা যাতে কোন প্রতিহিংসার শিকার না হয়।

নির্বাচনে যেসব প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে তাদের সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য যাতে ভোটারদের কাছে থাকে। যাতে ভোটাররা বুঝতে পারে তারা কাকে ভোট দিচ্ছে।

ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরী।

জাতিসংঘ কমিটির ঘোষণায় বলা হয়েছে, প্রার্থীদের এজেন্টের সামনে ভোট গণনা করতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: নির্বাচন

আরও খবর
শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জাপার ৩ নেতা

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




মালিবাগে আবাসিক হোটেল থেকে লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মালিবাগে একটি আবাসিক হোটেল থেকে মিজানুর রহমান (৪৫) নামে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাতটার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে রামপুরা থানা পুলিশ। মিজানুরের পরিচয়- তিনি রাজবাড়ির বালিয়াকান্দির গোসাই গোবিন্দপুর গ্রামের আজমল আলী শেখের ছেলে।

আবাসিক হোটেল থেকে লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে রামপুরা থানার এসআই হাবিজ উদ্দিন বলেন, শনিবার রাত ১১টার দিকে মালিবাগ ডিআইটি রোডে হোটেল সবুজ বাংলার (আবাসিক) চতুর্থ তলার একটি রুমে ওঠেন মিজানুর। সকালে হোটেল কর্তৃপক্ষ আমাদের খবর দেয়। তারপর আমরা ওই রুম থেকে তার লাশ উদ্ধার করি।

তিনি আরও বলেন, রুমটির দরজা খোলা ছিল। আর রুমের ভেতর বিছানার ওপর শোয়া অবস্থায় ছিলেন তিনি। তবে তার শরীরে কোনো আঘাত বা অস্বাভাবিক কিছুই দেখা যায়নি। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে- সেই রহস্য বের করার চেষ্টা চলছে। লাশটি এখন ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রাখা হয়েছে।


আরও খবর
বায়ুদূষণের শীর্ষে আজ ঢাকা

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

বায়ুদূষণে আজ শীর্ষ চারে ঢাকা

সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩




আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বন্ধ হতে পারে গাজার সব হাসপাতাল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার সব হাসপাতাল আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে হামাস নিয়ন্ত্রণাধীন গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে এ সতর্ক বার্তা জানান মুখপাত্র ডা. আশরাফ আল-কুদরা। তিনি বলেন, জ্বালানি সংকটের কারণে, অবরুদ্ধ ছিটমহলের সব হাসপাতাল ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। স্বাস্থ্যসেবা ইতোমধ্যে পরিষেবার বাইরে চলে গেছে, বিশেষ করে গাজার উত্তরাঞ্চলে।

আজ মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) প্রকাশিত আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল সোমবার গাজার সর্ববৃহৎ দুই হাসপাতাল আল-শিফা ও আল-কুদসের সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এর কারণ হলো জ্বালানি ও প্রয়োজনীয় মেডিকেল সরঞ্জামাদির অভাব।

গাজার বর্তমান পরিস্থিতিকে ভয়াবহ বলে আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)। দ্রুত সময়ের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ডাক ও জরুরি মানবিক সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। 

আরও পড়ুন>> বাংলাদেশ সরকারের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে জনগণ: যুক্তরাষ্ট্র

এদিকে, গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ছয় ফিলিস্তনি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। খান ইউনিস এলাকার দুটি আবাসিক ভবন হামলার শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে। আর অধিকৃত পশ্চিম তীরের তুলকারেমে শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় অন্তত পাঁচ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত নয়জন, তাদেরকে তাহবেত সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় দপ্তর ওসিএইচএ জানায়, গত ৫ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন দুই লাখ ফিলিস্তিনি। গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চলে গিয়েছেন তারা।

সংস্থাটি বলেছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে অত্যাধিক ভিড় এবং আশ্রয়, খাদ্য ও পানির ক্রমবর্ধমান চাহিদা উদ্বেগজনক। কারণ, সেখানে অধিক মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় পানি ও খাবার নেই।


আরও খবর