আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

জানুয়ারির প্রথম ১৫ দিন চলবে বই উৎসব

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এর ফলে ১ জানুয়ারি বই উৎসব হবে কিনা এ নিয়ে সংশয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নির্বাচনের কারণে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করার কারণে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না মন্ত্রণালয়। শেষ পর্যন্ত ১ জানুয়ারি বই উৎসব করতে না পারলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিক বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করতে পারেন। এরপর ১৫ দিনব্যাপী চলবে বিতরণ উৎসব।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে কর্মকর্তা বলছেন, নির্বাচনের কারণে এ বছর বই উৎসব পিছিয়ে যাওয়ার শঙ্কা ছিল। তবে সেই শঙ্কা এখন আর নেই। এবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বই উৎসব উদ্বোধনের পর বছরের প্রথম দিন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বই বিতরণ চলবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। এ সময় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলবে বই বিতরণ কার্যক্রম।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১০ সাল থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যের বই তুলে দিয়ে বই উৎসব পালন করা হচ্ছে। এ সরকারের সফল কর্মসূচির অন্যতম একটি হলো ১ জানুয়ারি কোমলমতী শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে বই উৎসব করা। এর আগে ২০১৪-১৫ সালে টানা অবরোধেও মধ্যে এই উৎসব বাদ দেওয়া হয়নি। এবারও সেই উৎসব করতে চায় সংশ্লিষ্টরা।   

এর আগে গত ২৮ নভেম্বর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছিলেন, জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কারণে বই উৎসব পিছিয়ে যেতে পারে। ঠিক ১ তারিখে (জানুয়ারি) নাকি ১০-১১ জানুয়ারি হবে সেটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আলোচনা চলছে। যেহেতু ৭ জানুয়ারি নির্বাচন।

তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল সেটা আপাতত দেখছে না সরকার। তাই সরকারের সফল এই কার্যক্রমকে ভালো করে প্রচার করতে চায় সরকার।

এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, ১ জানুয়ারিই বই উৎসব করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেই অনুষ্ঠান করার প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সায় দিলে ১ জানুয়ারি প্রতি বছরের ন্যায় এবারও তিনি বই বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এরপর বই বিতরণ চলবে ১ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত। এসব বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।

৩০ কোটির বেশি পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে : এনসিটিবি জানায় ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে মোট ৩ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার ৩৫৪ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭টি পাঠ্যবই ও শিক্ষক সহায়িকা বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক ৩০ লাখ ৮০ হাজার ২০৫ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে ৬১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৮টি পাঠ্যবই। প্রাথমিকে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১ কোটি ৮২ লাখ ৫৫ হাজার ২৮৪ জনকে দেওয়া হবে ৮ কোটি ৭৪ লাখ ৪ হাজার ৬৯৭টি পাঠ্যবই।

ক্ষুদ্র-গোষ্ঠীর ৮৫ হাজার ৭২২ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে ২ লাখ ৫ হাজার ৩১টি পাঠ্যবই। এছাড়া প্রাথমিক স্তরের ইবতেদায়ি প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ৬০৮ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে ২ কোটি ৭১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৭৬টি পাঠ্যবই।

মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ১ কোটি ৪ লাখ ৯০ হাজার ১০৭ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে ১৩ কোটি ২৩ লাখ ৬১ হাজার ৭৬৭টি পাঠ্যবই। দাখিল ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ২৪ লাখ ২৩ হাজার ৩৪৮ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে ৪ কোটি ১৪ লাখ ৪৭ হাজার ৬৪২টি পাঠ্যবই।

ইংরেজি ভার্সনের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮৫৫ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে ১১ লাখ ৭২ হাজার ৫৭টি পাঠ্যবই। কারিগরি ট্রেডের জন্য ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ২ লাখ ৪৪ হাজার ৫৩৪ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে ৩৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭০২টি পাঠ্য বই। এসএসসি ভোকেশনাল ৬ হাজার ১৫ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে ১ লাখ ৭৯ হাজার ২৯৫টি পাঠ্য বই। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হবে ৭২৮টি বই।

বই ছাপা সংক্রান্ত বিষয়ে অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন বলেন, বেশিরভাগ বই ছাপার কাজ শেষ হয়েছে। নতুন কারিকুলামের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বই চলে গেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে অষ্টম ও নবম শ্রেণির বই পৌঁছে যাবে। কোনো প্রকাশক কিছু বই ৭ তারিখের মধ্যে দিলেও সমস্যা হবে না।

নিউজ ট্যাগ: বই উৎসব

আরও খবর



কবি নজরুল কলেজে বগুড়া জেলা ছাত্রকল্যাণের নতুন কমিটি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজে অধ্যয়নরত বগুড়া জেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন বগুড়া জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বগুড়া জেলা ছাত্রকল্যাণের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য যায়েদ হোসেন মিশু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এক বছরের জন্য এ কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। এতে কলেজের বাংলা বিভাগে শিক্ষার্থী আব্দুল হামিদ সভাপতি এবং দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী মোহম্মদ রাফিদ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন।

পূর্ণাঙ্গ কমিটি দ্রুতই প্রকাশ করা হবে জানিয়ে বগুড়া জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের উপদেষ্টা ও কবি নজরুল সরকারি কলেজ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি যায়েদ হোসেন মিশু বলেন, কবি নজরুল সরকারি কলেজে এই প্রথম উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বগুড়া জেলা ছাত্রকল্যাণের কমিটি ঘোষণা করা হলো। আমার জেলার ছেলে মেয়েদের পিছিয়ে পড়ার কোন সুযোগ নেই। এই কমিটির মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে ভাতৃত্ববোধ ও আস্থা আরো দৃঢ় হবে। একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে নিজেদের দক্ষ নাগরিক হিসেবে তৈরি করবে।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি আব্দুল হামিদ বলেন, ক্যাম্পাসে সকল জেলার ছাত্র কল্যাণ রয়েছে। আমাদের বগুড়া জেলার কোনো সংগঠন ছিল না। আমরাই বগুড়া জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের প্রথম কমিটি। আশা করব এই কমিটির মধ্য দিয়ে বগুড়া জেলার সকল শিক্ষার্থীরা একত্র হবেন। এতে করে আমাদের মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ আরো বৃদ্ধি পাবে এবং নির্ভরতার একটি জায়গা তৈরি হবে।

এছাড়াও বগুড়া জেলা থেকে কবি নজরুল সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে আগত সকল শিক্ষার্থীদের পাশে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার কথা জানান সাধারণ সম্পাদক রাফিদ।

নিউজ ট্যাগ: কবি নজরুল কলেজ

আরও খবর



৩০ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে ইউজিসির সতর্কতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ৩০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এসব বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য ছাড়াই শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈধ কোনো কর্তৃপক্ষ না থাকায় শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে ইউজিসি। ফলে ভর্তি হয়ে কেউ প্রতারিত হলে ইউজিসি কোনো দায়-দায়িত্ব নেবে না বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত সতর্কীকরণ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১১৪টি। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ১০৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৭৪টিতে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য রয়েছেন। এ ছাড়া অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। এর মধ্যে ৩০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য নেই। ইউজিসি বারবার নির্দেশ দিলেও তা মানছে না এসব বিশ্ববিদ্যালয়।

ইউজিসি জানিয়েছে, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ ও কমিশনের নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রাম বা অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত আসনে শিক্ষার্থী ভর্তিপূর্বক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অননুমোদিত/অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা থেকে বিরত থাকার জন্য কমিশন থেকে ইতোমধ্যে একাধিকবার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অর্জিত ডিগ্রির মূল সার্টিফিকেট-এ স্বাক্ষরকারী হবেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রপতি তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যর নিয়োগ করা ভাইস-চ্যান্সেলর এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।

আরও বলা হয়েছে, কেউ কোনো অননুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রামে বা অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত আসনে ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে এবং পরবর্তীতে কোনো আইনগত সমস্যা সৃষ্টি হলে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষিত অথবা প্রোগ্রাম বাতিল হলে বা অনুমোদিত আসন সংখ্যার অধিক আসনে ভর্তি হয়ে সনদ বাতিল হলে তার দায়-দায়িত্ব বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের উপর বর্তাবে না।

ইউজিসির সবশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস না থাকা, অনুমতিপত্রের মেয়াদ শেষ হওয়াসহ নানা আইনভঙ্গের কারণে ইবাইস ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এবং দ্য ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লার সনদের কোনো বৈধতা নেই। ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ। আর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতেও সতর্কতা দিয়েছে ইউজিসি।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা ইউজিসির ওয়েবসাইটে দেওয়া রয়েছে। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত বিভাগের অনুমোদন আছে কি না-সেটিও ইউজিসির ওয়েবসাইটে দেখে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে মঞ্জুরি কমিশন।


আরও খবর



স্ত্রীকে ২২৪ টুকরো করে গুগলে সার্চ করলেন—‘স্ত্রী মারা গেলে স্বামী কী কী সুবিধা পায়?’

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

স্ত্রীকে খুন করে ২২৪ টুকরা করলেন স্বামী, তারপর গুগলে সার্চ করলেন, কেউ মরে যাওয়ার পর ভূত হয়ে ভয় দেখাতে আসে কি? চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাজ্যে। ওই ব্যক্তির নাম নিকোলাস মেটসন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়, খুন করার পর তার দেহ ছোট ছোট টুকরো করে কাটেন স্বামী। এরপর প্লাস্টিকের ব্যাগে মুড়ে সেগুলো রেখে দেন ফ্রিজে। তারপর মোবাইলে সার্চ করলেন, কেউ মরে যাওয়ার পর ভূত হয়ে ভয় দেখাতে আসে কি?

পুলিশ বলছে, গত মার্চে স্ত্রীকে খুন করেন অভিযুক্ত ২৮ বছরের নিকোলাস মেটসন। এক বন্ধুর সাহায্য নিয়ে কাটা টুকরোগুলো তিনি ফেলে দেন নদীতে। পরে সেখান থেকে তা উদ্ধার করে পুলিশ। এখন পর্যন্ত ২২৪টি টুকরো উদ্ধার করা গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকে দিনের পর দিন পুলিশকে বিভ্রান্ত করেছেন যুবক। জানিয়েছেন, তার স্ত্রী স্থানীয় একটি সংগঠনের সঙ্গে কোনো বিশেষ কাজে গিয়েছেন। হাসিঠাট্টাও করেছেন অফিসারদের সঙ্গে। তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, ১৬ মাস আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল এবং তার পর থেকেই তরুণীর ওপর নানাভাবে অত্যাচার করতেন তার স্বামী। বিবাহবিচ্ছেদের পথেই হাঁটছিলেন তারা। তার আগেই স্ত্রীকে খুন করেন অভিযুক্ত।

পুলিশ জানতে পেরেছে, স্ত্রীকে ঘুমের মধ্যেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেন যুবক। তার পর বাথরুমে নিয়ে গিয়ে কাটা হয় দেহ। বাড়ি থেকে রক্তমাখা কাপড়, বিছানার চাদর উদ্ধার করা হয়েছে। দেহ পচার গন্ধ ঢাকতে ঘরে অ্যামোনিয়ার কড়া গন্ধ ছড়িয়ে দিয়েছিলেন অভিযুক্ত। খুনের পর মোবাইলে তিনি দুটি বিষয় সার্চ করেছিলেন। স্ত্রী মারা গেলে স্বামী কী কী সুবিধা পেতে পারেন, তা জানার জন্য গুগলের সাহায্য নিয়েছিলেন তিনি। কেউ মারা গেলে ভূত হয়ে ভয় দেখাতে আসতে পারে কি না, তা-ও সার্চ করেন।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, এর আগে তরুণীর পোষ্য কুকুর এবং হ্যামস্টারগুলোকেও হত্যা করেন ওই যুবক। শুক্রবার ব্রিটেনের আদালতে স্ত্রীকে খুনের কথা তিনি স্বীকার করে নেন তিনি। তার সাজা ঘোষণা স্থগিত রয়েছে। অভিযুক্তের আইনজীবীর দাবি, যুবক জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত।


আরও খবর



বাংলাদেশে ভেসে আসল ‘টর্পেডো’

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ভেসে এসেছে একটি টর্পোডো সদৃশ্য বস্তু। এটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২৭ ফুট ও প্রস্থ ৩ ফুট। রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গোপসাগর থেকে উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নের মীরকান্দা গ্রামের ভাঙ্গার খালে এ টর্পেডোটি ভেসে আসে। অচেনা এ বস্তুটি দেখে স্থানীয়দের মাঝে কৌতূলের সৃষ্টি হয়েছে।

মৌডুবি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য তুহিন মাঝি জানান, নিজকাটা খালের সঙ্গে সাগরের সরাসরি সংযোগ আছে। জোয়ার-ভাটার পানি ওঠা-নামা করে। আজ জোয়ারের পানির সঙ্গে এটি ভেসে আসে। খবর পেয়ে এটি দেখার জন্য খালের উভয় তীরে শতাধিক নারী-পুরুষ ভিড় করেন।

রাঙ্গাবালী থানার ওসি হেলাল উদ্দিন জানান, বঙ্গোপসাগর থেকে রাবনাবাদ চ্যানেল হয়ে এই টর্পেডোটি ভাঙ্গার খালে প্রবেশ করতে পারে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কোস্টগার্ডের সদস্যরা ছবি দেখে এটি প্রাথমিকভাবে টর্পেডো বলে জানিয়েছেন।

টর্পেডো হচ্ছে এক ধরনের স্ব-চালিত অস্ত্র। এটি জলের নিচে বা উপরে বিস্ফোরক ওয়ারহেড বহন করে এবং লক্ষ্যবস্তুর কাছাকাছি আসার পর বিস্ফোরিত হতে পারে।


আরও খবর



বান্দরবানে সন্ত্রাসী হামলা রুখতে গাফিলতি খতিয়ে দেখা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট এবং সন্ত্রাসী হামলা রুখতে কারও গাফিলতি বা ব্যর্থতা থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে। শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গিয়ে এ কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

তিনি আরও বলেন, রুমা এমন একটি জায়গায়, যে জায়গায় কোনো দিন এ ধরনের একটা অশান্ত পরিবেশ হবে আমরা চিন্তা করিনি। আমরা সব সময় দেখেছি, শান্তি প্রিয় মানুষগুলো এই এলাকায় থাকেন। হঠাৎ করে এই ঘটনা কেন ঘটল, এটাই আজকে আমাদের কাছে প্রশ্ন। ডাকাতির মূল উদ্দেশ্য ছিল বোধ হয় অর্থ সংগ্রহ করা, এখন পর্যন্ত আমরা যা মনে করছি। আমরা সব কিছুই দেখব। অস্ত্র সহকারে এবং পোশাক সহকারে এখানে ঢুকবে; আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বসে থাকবে এটাও কাম্য নয়। যা করার নিরাপত্তা বাহিনী এখন সেটা করবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে যাব। আমরা কোনো ক্রমেই আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে আর দেবো না। এই শান্তি প্রিয় এলাকায়, যেখানে শান্তির সুবাতাস সব সময় বইতো, এখানে অশান্তি হোক এটা আমরা চাই না। আমরা অবশ্যই এর কারণ, কারা করেছে, কাদের সহযোগিতা ছিল সবগুলো আমরা বের করব এবং আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

অভিযান শুরু হবে কি না জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান গণমাধ্যমকে বলেন, দেশে নিরাপত্তা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে, তারা তাদের মতো করে করবেন। কোনো কিছুকেই আমরা আনচ্যালেঞ্জড যেতে দেবো না। উৎস কোথায়, কীভাবে হলো সবগুলো আমরা বের করব।

এর আগে সকালে হেলিকপ্টারে রুমা পৌঁছান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরিদর্শন করেন সেখানকার সোনালী ব্যাংক শাখা। এছাড়া পাশের একটি মসজিদ কমপ্লেক্সসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখেন।

গত মঙ্গলবার রাতে একদল বন্দুকধারী রুমা সোনালী ব্যাংক শাখায় তাণ্ডব চালায়। অপহরণ করে ব্যাংকের ম্যানেজারকে। পরদিন থানচি বাজার ঘেরাও করে সোনালি ও কৃষি ব্যাংকেও হামলা চালিয়ে নগদ অর্থ লুট করে। স্থানীয়রা জানায়, হামলাকারীরা সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠী কেএনএফের পোশাক পরিহিত ছিল।


আরও খবর