আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

জানাজায় মানুষের ঢল: ভালোবাসায় সিক্ত অধ্যক্ষ মতিউর রহমান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

শেষবারের মতো এলাকাবাসীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হলেন সাবেক ধর্মমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মতিউর রহমান (৮১)। বিপুল সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণে সোমবার (২৮ আগস্ট) বাদ আছর ময়মনসিংহ নগরীর আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ছিলেন ময়মনসিংহের রাজনৈতিক অঙ্গনের অবিসংবাদিত নেতা। স্থানীয় রাজনীতির বটবৃক্ষ ও সিংহপুরুষ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় তাকে। বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের চিরবিদায়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ময়মনসিংহে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ছাড়াও সাধারণ মানুষও শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছে। মতিউর রহমানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশের জন্য এদিন নগরের বিভিন্ন এলাকার বিপণীবিতান বন্ধ রাখা হয়। তার আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন নেটিজেনরাও।

গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর ধোপাখোলা এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক পুত্র ও দুই কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

কীর্তিমান এই রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেত্রী ও ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য বেগম রওশন এরশাদ, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ।

সোমবার সকালে নগরীর আলমগীর মনসুর মিন্টু মেমোরিয়াল কলেজ প্রাঙ্গণে অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের মরদেহ রাখা হয় সকলের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। তাকে শেষবার দেখতে কলেজ মাঠে আসেন দলমত-নির্বিশেষে সব শ্রেণির মানুষ। পরে বাদ আছর ময়মনসিংহ নগরীর আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকসহ প্রতিনিধি দল শ্রদ্ধা জানায়। পরে শোক জানিয়ে বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মশিউর রহমান হুমায়ুন, সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু, মরহুমের ছেলে ও ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান প্রমুখ।

আগামীকাল মঙ্গলবার নগরের আকুয়ায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের মরদেহ দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন তার বড় ছেলে মোহিত উর রহমান শান্ত।

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহকে মুক্ত ঘোষণা করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে গত বছর একুশে পদক পান সামরিক, স্বৈরাচার বিরোধী, সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম এই নেতা।

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, ১৯৫৮ সালে আওয়ামী রাজনীতিতে নাম লেখানো অধ্যক্ষ মতিউর রহমান হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতো মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শতলে ভিড়িয়েছেন অসংখ্য মানুষকে। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে দীর্ঘ ২৩ মাস কারাবরণও করেন। তিনি ২০০২ সালে ময়মনসিংহের চারটি সিনেমা হলে বোমা হামলার মিথ্যা মামলাতেও কারাবরণ করেন। শত প্রলোভনের মুখে আওয়ামী লীগের রাজনীতির প্রতি অবিচল থেকে তিনি তার সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনে পিছপা হননি। সাংগঠনিক জীবনে অধ্যক্ষ মতিউর রহমান দুইবার ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে ১৯৯৬ সাল থেকে টানা ১৮ বছর দায়িত্ব পালন করেন।

দলীয় নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য ও জাতীয় স্বার্থে ত্যাগ স্বীকারের কারণে ১২ জানুয়ারি ২০১৪ থেকে ৬ জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত মতিউর রহমান ধর্মমন্ত্রী (টেকনোক্রেট কোটা) হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসন থেকে ১৯৮৬ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে তিনি জাতীয় সংসদের অর্থ মন্ত্রণালয়,  রেলপথ মন্ত্রণালয়, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও জাতীয় সার সমন্বয় ও বিতরণ কমিটি এবং বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সদস্য, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্ন্যান্সের গভর্নর, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি ১৯৯৬ সালে একবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য এবং ২০০৮ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত তিনবার সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতার পর থেকে মোট তিনবার তৎকালীন ময়মনসিংহ পৌরসভার নির্বাচিত চেয়ারম্যানও ছিলেন অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।

অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ১৯৪২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছোটবেলা থেকেই শিক্ষার প্রতি অনুরক্ত ছিলেন। রাজনীতি করলেও পড়ালেখা থেকে দূরে থাকেননি।

১৯৫৩ সালে আকুয়া মডেল প্রাইমারি স্কুল থেকে বৃহত্তর ময়মনসিংহ তথা শেরপুর, টাঙ্গাইল, জামালপুরসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। ১৯৫৮ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষায়ও কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। ১৯৬১ সালে ময়মনসিংহের সরকারি আনন্দ মোহন কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক ও একই কলেজ থেকে ১৯৬৪ সালে বিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এ সময় কিছুদিন গফরগাঁও থানার পাঁচবাগ উচ্চ বিদ্যালয়ে ও মনোহরদী থানার হাতিরদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে বিএসসি শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৬ সালে পুনরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে ভর্তি হয়ে ১৯৬৭ সালে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন।

এরপর শিক্ষকতা দিয়ে শুরু করেন পেশাগত জীবন। ১৯৬৭ সালের দিকে তিনি জামালপুরের নান্দিনা কলেজের অধ্যাপক পদে নিযুক্ত হন। ৬৯এর গণঅভ্যুত্থানে ময়মনসিংহের রাজপথে আলমগীর মনসুর মিন্টু শহীদ হবার পর তার স্মৃতিকে ধরে রাখতে ওই বছরই প্রতিষ্ঠিত হয় আলমগীর মনসুর মিন্টু মেমোরিয়াল কলেজ। ওই সময় কলেজটির অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেন মতিউর রহমান। ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত কলেজটি থেকে কোনো বেতন-ভাতা না নিয়ে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে তিনি বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।


আরও খবর
কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪




মালয়েশিয়ায় মাঝ আকাশে ২ হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ, নিহত ১০

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মাঝ আকাশে মালয়েশিয়া নৌবাহিনীর দুটি হেলিকপ্টারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে রয়্যাল মালয়েশিয়ান নৌবাহিনীর একটি অনুষ্ঠানের জন্য মহড়ার সময় হেলিকপ্টার দুটির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর একটি মাটিতে পড়লেও আরেকটি গিয়ে পড়ে সুইমিং পুলে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এইচওএম এম৫০৫-৩ মডেলের একটি হেলিকপ্টারের ৭ জন এবং এম৫০৩-৬ মডেলের অন্য হেলিকপ্টারে তিনজন আরোহী ছিলেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ওই দুটি হেলিকপ্টারে ১০ জন ক্রু ছিলেন। তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ তথ্যের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।


আরও খবর



ডেইলি স্টার থেকে চাকরি হারালেন সৈয়দ আশফাকুল হক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গৃহকর্মীর মৃত্যুর মামলায় কারাগারে থাকা দ্য ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হককে অব্যাহতির দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হককে অব্যাহতির নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এই নোটিশ অবিলম্বে কার্যকর বলে গণ্য হবে।

সৈয়দ আশফাকুল হক ১৯৯৩ সালে ডেইলি স্টারের ক্রীড়া বিভাগে যোগদান করেন। ক্রমান্বয়ে ক্রীড়া সম্পাদক, যুগ্ম বার্তা সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক, প্রধান বার্তা সম্পাদক এবং অবশেষে ২০১৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন গৃহকর্মী প্রীতির বাবা লুকেশ ওড়ান। মামলায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে দণ্ডবিধি আইনের ৩০৪ (ক) ধরায় অভিযোগ করা হয়।

ওই মামলায় একই দিন গ্রেপ্তারের পর আসামিদের রিমান্ড ও জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে তিন দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন আদালত। এরপর পুনরায় রিমান্ড আবেদন করা হলে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত ১৮ ফেব্রয়ারি তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার অভিযোগ জানা যায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবাসিক ভবনের নবম তলা থেকে পড়ে প্রীতি ওড়াং নামের এক কিশোরী গৃহপরিচারিকার মৃত্যু হয়। পরে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় কাজ করত ১৫ বছর বয়সী প্রীতি ওড়াং। তার বাড়ি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মিত্তিঙ্গা গ্রামে। বাবার নাম লুকেশ ওড়াং।


আরও খবর



মিরসরাইয়ে পিকআপচালক খুন, মরদেহ মিললো রেললাইনে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)

Image

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে তৌহিদুল ইসলাম খোকন (৩০) নামে এক পিকআপচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল লাইনের হিঙ্গুলী খান সিটি সেন্টারের পূর্বপাশে রেললাইন থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

ধারণা করা হচ্ছে, তাকে খুন করে রেললাইনে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। নিহত খোকন হিঙ্গুলী ইউনিয়নের আজমনগর গ্রামের মৃত হাসেম ড্রাইভারের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে এক শিশু তৌহিদুল ইসলাম খোকনের মরদেহটি রেললাইনে পড়ে থাকতে দেখে খবর দেয়। এসময় পরিবারের লোকজন এসে শনাক্ত করে মরদেহটি বাড়ি নিয়ে যায়।

নিহতের স্ত্রী সানজিদা আক্তার বলেন, আমার স্বামী গতকাল (বুধবার) রাতে একই এলাকার শাহাজাহান মেম্বারের বাড়িতে তাঁর ভাতিজির গায়ে হলুদে যায়। সেখানে যাওয়ার আগে স্থানীয় বখাটে ইয়াবা সেবনকারী মোতালেব, আমজাদ, রাসেল তাদের জন্য ইয়াবা নিতে উনার মোবাইলে বার বার ফোন করে। কিন্তু তিনি রাজি হননি। রাতে গায়ে হলুদে গিয়ে আর ফেরেনি। সকালে রেললাইনে মরদেহ পাওয়া গেছে। তারা আমার স্বামীকে খুন করে রেললাইনে ফেলে যায়, যাতে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে এটা বুঝানোর জন্য। আমার স্বামীর হত্যায় জড়িতদের শাস্তি চাই।

হিঙ্গুলী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে খবর পেয়েছি খোকন মারা গেছে। কে বা কারা তাকে খুন করে রেললাইনে ফেলে গেছে। আমি পুলিশকে খবর দিয়েছি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) মনিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহতের শরীরের একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে খুন করা হয়েছে। তবে মাদকের কারণে খুন হয়েছে কিনা সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর
কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪




সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দিন দিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়েই চলেছে বায়ুদূষণ। মেগাসিটি ঢাকাও দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণের কবলে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলে ঢাকার বাতাসের মানের কিছুটা উন্নতি হয়। অবশ্য কয়েক দিনের তীব্র গরমের পরও ঢাকার বাতাসের মানে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু বাতাসে স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছেই।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১২৭ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৮ নম্বরে রয়েছে রাজধানী ঢাকা, যা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

এদিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২২৬ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। এছাড়া ১৬৮ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কাতারের দোহা শহর, ১৬৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের শহর চিয়াং মাই, ১৬১ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহর এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু শহরের স্কোর ১৬০।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ স্কোরকে মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন : বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। বায়ুদূষণ সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ এবং অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে উত্তাল গাজীপুর

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস ও বার্ষিক ছুটির টাকার দাবিতে গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী জরুন এলাকায় কেয়া নিট কম্পোজিট লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছে। সোমবার (০১ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে কোনাবাড়ী-কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে শ্রমিকরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

কেয়া নিট কম্পোজিট লিমিটেডের আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানায়, ফেব্রুয়ারির বকেয়া বেতন, ছুটির টাকা ও ঈদ বোনাস দিতে চেয়েও দেয়নি। এ কারখানায় প্রায় ৮ হাজার শ্রমিক আছে। বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস ও বার্ষিক ছুটির টাকা না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানায় শ্রমিকরা।

সাইফুল ইসলাম নামে এক শ্রমিক বলেন, আর কয়েক দিন পর ঈদ। এখনও বেতন-বোনাস পাচ্ছি না। ছেলেমেয়ে নিয়ে কীভাবে ঈদ করব? কয়েক দিন পর ছুটি হয়ে যাবে, টাকা না দিলে বাড়ি যাব কীভাবে? আজকের মধ্যেই আমাদের টাকা পরিশোধ করতে হবে।’

তবে এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আশরাফ উদ্দিন বলেন, একটি কারখানার শ্রমিকরা বেতন-বোনাসের দাবিতে আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে সকাল থেকে বিক্ষোভ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। মালিক-শ্রমিক দুই পক্ষের সঙ্গেই আলাপ-আলোচনা চলছে৷’


আরও খবর
কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪