তথ্য ও যোগাযোগ
প্রযুক্তি আইনের মামলায় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশের পর রিভিউ পিটিশনে জামিন পেয়েছেন
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দীপ্ত টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী জাহেদুল হাসান।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জহিরুল কবির সোমবার (১৮ জুলাই)
বিকেল ৪টার দিকে শুনানি শেষে তাকে জামিন দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাইবার ট্রাইব্যুনালের
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘দুপুর ১২টার দিকে আদালতে হাজির হয়ে জামিন
আবেদন করলে আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে আসামি পক্ষের আইনজীবী
পিটিশন করলে আদালত কাজী জাহেদুল হাসানকে জামিন দেন। অন্য তিন জনের জামিন শুনানির জন্য
আগামীকাল (বুধবার) তারিখ নির্ধারণ করেন।’
সাবেক প্রবাসীকল্যাণ
ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলামের ছেলে মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা সংবাদ’ প্রচারের অভিযোগে করা মামলায়
দুপরে এমডি জাহেদুলসহ ৪ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
চট্টগ্রাম বিভাগীয়
সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জহিরুল কবির এই নির্দেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী
এএইচএম জিয়াউদ্দিন সে সময় বলেন, ‘আদালতের এমন আদেশের
পরিপ্রেক্ষিতে আমরা রিভিউ পিটিশন করেছি।’
২০১৬ সালের ৫
এপ্রিল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে এই মামলা করেন সানোয়ারা পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি
লিমিটেডের ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম।
দীপ্ত টিভির চট্টগ্রাম
প্রতিনিধি রুমা আনসারী বলেন, ‘২০১৬ সালের একটা
নিউজকে কেন্দ্র করে তারা আলাদা তিনটি মামলা করেন। এসব মামলা সে সময় উচ্চ আদালত স্থগিত
করেন। সম্প্রতি স্থগিতাদেশ বাতিল হয়।
‘সোমবার আমাদের
ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল হাসান, পরিচালক কাজী জাহিন হাসান, চিফ অপারেটিং অফিসার
কাজী উরফী আহমেদ এবং কাজী রাবেদ হাসান আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে শুরুতে আদালত
তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে পিটিশনের পর বিকেল ৪টার দিকে এমডি স্যারকে
জামিন দেয়া হয়।’
এজাহারের বরাতে
বেঞ্চ সহকারী কামরুল জানান, ২০১৬ সালের ১৬ মার্চ ও ২২ মার্চ রাত ১১টায় ‘চট্টগ্রামে কাজী ফার্মে কর্মীদের উপর হামলা
ও মন্ত্রীপুত্রের ভূমি দখলের পায়তারা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রচার করে দীপ্ত টেলিভিশন।
প্রতিবেদনে কাজী ফার্মের কর্মীদের উপর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী
নুরুল ইসলামের ছেলে মুজিবুর রহমানের ইন্ধনে হামলা হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
বাদীর অভিযোগ,
হামলার ঘটনায় মন্ত্রী বা তার ছেলের সংশ্লিষ্টতা নেই। মিথ্যা, ভিত্তিহীন, তথ্যহীন ও
মানহানিকর এই সংবাদের কারণে মন্ত্রী ও তার ছেলের মানহানি হয়েছে।
মন্ত্রীপুত্র
মুজিবর রহমানের পরামর্শে তার পক্ষে সানোয়ারা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান সানোয়ারা পোল্ট্রি
এন্ড হ্যাচারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম তৎকালীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
আইনে চকবাজার থানায় মামলা করেন।