
ঘুষ গ্রহণের মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির আবারও জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্টের একক বেঞ্চে তার আবেদনটি শুনানির জন্য তালিকায় রয়েছে।
গত ২৩ আগস্ট
বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন। কিন্তু আপিলের নথিতে
জামিন আবেদন না থাকায় পরদিন সে জামিন আদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
আদালতে দুর্নীতি
দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। এনামুল বাছিরের
পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরৗ।
এর আগে, গত
১৩ এপ্রিল দণ্ডের বিরুদ্ধে এনামুল বাছিরের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে ৮০ লাখ টাকা জরিমানা স্থগিত করেছিলেন উচ্চ আদালত। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার
বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ মামলায় রায় দেন।
রায়ে দুদকের
বরখাস্তকৃত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে আট বছর ও পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক
(ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া বাছিরকে ৮০ লাখ টাকা
জরিমানা করা হয়।
২০১৯ সালের
৯ জুন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে
পরিচালিত দুর্নীতির অনুসন্ধান থেকে দায়মুক্তি পেতে দুদক পরিচালক বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা
ঘুষ দিয়েছিলেন ডিআইজি মিজান। ঘুষ লেনদেন সংক্রান্ত কথোপকথন রেকর্ড করে ওই চ্যানেলকে
দিয়েছিলেন মিজান। ডিআইজি মিজানও এ বিষয়ে নিজেই গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। অবৈধ সম্পদ
অর্জনের মামলা থেকে বাঁচতে ওই অর্থ ঘুষ দেন বলে ডিআইজি মিজান দাবি করেন।