সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার গঠন, জামায়াত আমীর ডা. শফিকুর রহমানসহ সকল রাজবন্দির মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার দাবিতে জামায়াতে ইসলামীও আগামী ৮ ও ৯ নভেম্বর বুধ ও বৃহস্পতিবার টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম সোমবার এ বিষয়ে এক বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘সরকার একতরফা প্রহসনের নির্বাচন করে আবারো ক্ষমতা কুক্ষিগত করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। সরকারের অপশাসনে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। মানুষকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দেশে চলছে অবিচার-অনাচার। দুর্নীতি ও লুটপাট চলছে অবাধে। দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করা হয়েছে। বিরোধীদলের লোকদের ওপর যখন-তখন হামলা করা হচ্ছে। গণগ্রেপ্তার করে মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের বাড়িছাড়া করা হয়েছে। ঘরবাড়ি ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করা হচ্ছে। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে অনেককে পথের ভিখারি বানানো হয়েছে। এভাবে কোনো দেশ চলতে পারে না।’
আরও পড়ুন>> একদিন বিরতি দিয়ে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ বিএনপির
‘এ অবস্থা থেকে দেশকে বাঁচানো এবং ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জালিম সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার গঠন, জামায়াত আমীর ডা. শফিকুর রহমানসহ সকল রাজবন্দি এবং ওলামা-মাশায়েখের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার দাবিতে আগামী ৮ নভেম্বর বুধবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়ে ১০ নভেম্বর শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে টানা ৪৮ ঘণ্টা রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধের তৃতীয় দফা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করছি।’
এর আগে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ে সারাদেশে আবারও সকাল সন্ধ্যা ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা করেছে বিএনপি। আগামী বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সড়ক, রেল ও নৌ পথে সর্বাত্মক এ কর্মসূচি পালন করবেন দলটির নেতাকর্মীরা। সোমবার এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।