আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

জামায়াত ক্ষমতায় এলে নারীদের শিক্ষিত হতে দিত না : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০১ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

শিক্ষার আলো ঘরে ঘরে জ্বালো, শিক্ষাই শক্তি, শিক্ষাই মুক্তি এই প্রতিপাদ্যে সারা দেশের মতো পিরোজপুরেও পালিত হচ্ছে বই বিতরণ উৎসব।

আজ রোববার সকালে পিরোজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বই বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বই বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শ ম রেজাউল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বই বিতরণের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এই সুযোগ একজনের পক্ষেই দেওয়া সম্ভব হয়েছে, যিনি চান এই জাতি শিক্ষিত হোক, তিনি আর কেউ নন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলছেন, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নারী নীতি প্রণয়ন করতে হবে

মন্ত্রী আরও বলেন, আর আগে একজন প্রধানমন্ত্রী ছিল তার সময়ে ওই যে মন্ত্রী ছিল জামায়াতের আলী আহসান মুজাহিদ, মতিউর রহমান নিজামী, দেলোয়ার হোসেন সাইদী, তারা বলত নারীদের ঘর থেকে বের করা যাবে না। ওই জামায়াতিরা ক্ষমতায় এলে নারীদের শিক্ষিত হতে দিত না। নারীদের পেছনে রেখে একটা জাতি কোনো দিনও এগিয়ে যেতে পারে না।

জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে বই বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার মো. ইদ্রিস আলী আজিজী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

এ বছর জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১১ লাখ ৬ হাজার ৫১১টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪ লাখ ৭০ হাজার ৫৬৩টি এবং মাদ্রাসায় ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৫৬৪টি বই বিতরণ করা হয়েছে। ২ লাখ ২৮ হাজার ৩৭০ জন ছাত্রছাত্রীদের মাঝে এ বই বিতরণ করা হয়।


আরও খবর



কলাপাড়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ তিন ডাকাত গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাইফুল ইসলাম, কলাপাড়া(পটুয়াখালী)

Image

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ডাকাতি প্রস্তুতিকালে তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার টিয়াখালী ইউপির নাচনাপাড়া গ্রামে জাকির খানের বাঁশের আড়তের পিছন থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় এদের কাছ থেকে একটি রামদা, একটি চাপাতি, একটি ড্যাগার, একটি লোহার শাপল, হ্যাসকো ব্লেডসহ ইঞ্জিন চালিত একটি কাঠের নৌকা উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতরা হলো মো জামাল আকন (৪৫), মো.শানু হাওলাদার (৬০) ও মো.হানিফ হাওলাদার (৪৯)। তিনজনই পেশাদার ডাকাত দলের সদস্য বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে জামাল আকনের বাড়ী কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের চুঙ্গাপাশা গ্রামে। এছাড়া, শানু হাওলাদার এবং হানিফ হাওলাদারের বাড়ী পটুয়াখালীর লাউকাঠি গ্রামে। এ ঘটনায় কলাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কলাপাড়া থানার ওসি মো. আলী আহম্মেদ জানান, ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়েছে। শনিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




পুরুষদের টেস্টোস্টেরন হরমোন যেসব কারণে কমে যায়, চিকিৎসা কী?

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

প্রিয়জনকে নিয়ে অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর ইচ্ছে হলেও অনেকেরেই যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যেতে পারে। যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যাওয়া বা এ ধরনের কোনো কাজে উৎসাহ না পাওয়ার মতো উপসর্গ অনেকের মধ্যে থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর কারণ কী- তা অনেকেই জানেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের উপসর্গের পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে টেস্টোস্টেরন নামে এক ধরনের লিঙ্গ নির্ধারণী হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়া। একে টেস্টোস্টেরন ঘাটতি বলা হয়।

টেস্টোস্টেরন হচ্ছে এক ধরনের হরমোন যা পুরুষের মধ্যে পুরুষালি বৈশিষ্ট্যের বিকাশ ঘটায়। এ কারণে একে অ্যান্ড্রোজেন বা সেক্স হরমোন বা লিঙ্গ নির্ধারণী হরমোনও বলা হয়। এই হরমোন অণ্ডকোষে তৈরি হয়। তাই টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন ঠিক রাখতে অণ্ডকোষ সুস্থ রাখা জরুরি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন,বয়ঃসন্ধিকাল পর্যন্ত এই হরমোন খুব বেশি মাত্রায় না বাড়লেও ছেলেদের মধ্যে এটির মাত্রা বেশি থাকে। বয়ঃসন্ধিকালের পর এই হরমোনের মাত্রাটা হঠাৎ করে বেড়ে যায় এবং সে একজন পরিপূর্ণ পুরুষ হওয়ার জন্য তৈরি হয়। ওর দাঁড়ি-গোঁফ তৈরি হওয়া থেকে শুরু করে যৌনাঙ্গের পরিপক্বতা, জননাঙ্গের পরিপূর্ণ আকার, ঘাম, মানসিকভাবে পুরুষালি আচরণ- টোটালটাই এই হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তখন।

অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন আমরা সহজ করে বলে থাকি, একটা পুরুষ দাঁড়িয়ে থাকে টেস্টোস্টেরন লেভেলের উপরে। এই লেভেলে ঘাটতি হলে বা বেশি হলে সমস্যা হতে পারে। তবে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। কারো কারো স্বাভাবিক আছে, কারো কারো কম আছে, এই সম্ভাবনাই বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের টুইন্সবার্গ ফ্যামিলি হেলথ এন্ড সার্জারি সেন্টারের এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট কেভিন এম প্যান্টালোন বলেন, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার মধ্যেই টেস্টোস্টেরন হরমোন থাকে। তবে পুরুষের মধ্যে এই হরমোনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেশি থাকে। যার কারণে পুরুষের প্রজনন কার্যক্রম বিকাশ লাভ করে ও যৌনাঙ্গ গঠিত হয়।

হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের অধীনে হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিং এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, টেস্টোস্টেরনের এর ফলে হাড় এবং মাংস পেশীর গঠন প্রভাবিত হয়। ছেলেদের হাড় ও মাংসপেশীর ঘনত্ব বাড়ে, রক্তে লোহিত কণিকার উৎপাদন বাড়ে, কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন হয়ে তা ভারী হয়, মুখে দাড়ি হয়, শরীরের অন্যান্য অংশ লোম বাড়ে, যৌনাঙ্গের বৃদ্ধি ঘটে। একই সাথে যৌন ক্রিয়া এবং প্রজনন সক্ষমতা জাগ্রত হয়।

টেস্টোস্টেরনের মাত্রা সর্বোচ্চ১৭ বছর বয়সে এবং পরবর্তী দুই বা তিন দশক এর মাত্রা বেশিই থাকে। গড়ে একজন স্বাস্থ্যবান পুরুষ দিনে ছয় মিলিগ্রামের মতো টেস্টোস্টেরন উৎপাদন করে।

হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিং-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাভাবিক পুরুষদের মধ্যে বিভিন্ন মাত্রায় টেস্টোস্টেরন থাকার কথা জানা যায়। প্রতি ডেসিলিটারে ২৭০ থেকে শুরু করে ১০৭০ ন্যানোগ্রাম পর্যন্ত টেস্টোস্টেরন থাকতে পারে। প্রতি ২৪ ঘণ্টায় টেস্টোস্টেরেনের মাত্রা উঠানামা করে। সকাল আটটায় এই হরমোনের উৎপাদন সবচেয়ে বেশি থাকে। আর সবচেয়ে কম থাকে রাত ৯টায়।

টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি পুরুষদের বিকৃত যৌন আচরণের অন্যতম কারণ। টেস্টোস্টেরনের ঘাটতির কারণে পারফর্মেন্স খুব কমে গেছে, তখন সে পার্ভার্টেড কিছু অ্যাক্টিভিটির দিকে ধাবিত হয়। যাদের ক্ষেত্রে হরমোনের ঘাটতি খুব দ্রুত হয় তারা বুঝতে পেরে চিকিৎসা নিয়ে থাকে। কিন্তু যাদের মধ্যে ধীরে ধীরে হয়, সে এর সাথে খাপ-খাইয়ে নিতে নিতে বিকৃত যৌন আচরণের প্রতি আকৃষ্ট হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক অ্যাকাডেমিক মেডিকেল সেন্টার ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, কম টেস্টোস্টেরনের যেসব উপসর্গ থাকে তার মধ্যে রয়েছে: যৌন তাড়না কমে যাওয়া,যৌনাঙ্গ উত্থানে অক্ষমতা,যৌন মিলনে অক্ষমতা,অণ্ডকোষ সঙ্কুচিত হওয়া,শুক্রাণুর উৎপাদন কমে যাওয়া ও বন্ধ্যাত্ব। এছাড়াও ঘুমে সমস্যা, মনোযোগে সমস্যা, কাজে উৎসাহ না পাওয়া, মাংস পেশী ও শক্তি কমে যাওয়া, হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া, পুরুষদের স্তন গঠিত হওয়া, বিষণ্ণতা, ক্লান্তি ও অবসাদ।

এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, ৮৫-৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে অণ্ডকোষের কোন ধরনের ক্ষতি হলে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি দেখা দেয়।

বাংলাদেশে সবচেয়ে স্বাভাবিক কারণ হচ্ছে, বয়ঃসন্ধিকালে বা এর আশেপাশে সময়ে যদি কারো মামস হয়ে থাকে তাহলে তার মামস অরক্রাইটিস হয়। এটি গলার পাশাপাশি অণ্ডকোষকেও আক্রান্ত করে। এর ফলে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি তৈরি হওয়ার পথ তৈরি হয়। কারণ টেস্টোস্টেরন উৎপাদিত হয় এখান থেকেই। তবে বাংলাদেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীরা এটা খেয়াল করে না।

টেস্টোস্টেরন হরমোনের কার্যকারিতা ঠিক রাখতে হলে দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় এক থেকে দেড় ডিগ্রি কম রাখতে হয়। কারণ অতিরিক্ত গরমে দীর্ঘক্ষণ থাকলেও টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন কমে যেতে পারে।

ফলে অতিরিক্ত গরম জায়গায় বাস করলে, কাজ করলে, বাসের ইঞ্জিনের উপর বসে থাকলে শারীরিক তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে যা এই হরমোনের ক্ষতি করে। পরিবেশে কিছু ক্ষতিকর উপাদানের কারণে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ঘাটতিকে প্রশমিত করতে পারে। রক্তে শর্করার পরিমাণ যাদের বেশি বা যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।

আঘাতজনিত কারণ বা দুর্ঘটনার কারণে যদি কারো অণ্ডকোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, জীনগত সমস্যা থাকে, তাহলে এই হরমোনের ঘাটতি থাকতে পারে। কারো যদি জন্মগতভাবে অণ্ডকোষ না থাকে বা সেটি যদি পরিপূর্ণ গঠিত না থাকে, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থাকে, যৌন সংক্রমণজনিত রোগ থাকে, কোনো ভাইরাসের সংক্রমণ থাকে, বা টিউমার থাকে তাহলেও টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন কমে যেতে পারে।

এছাড়া মস্তিষ্কে আঘাত পেলে, লিভার সিরোসিস, কিডনির সংক্রমণ, অতিরিক্ত মদ্যপান, ঘুমে সমস্যা বা স্লিপ অ্যাপনিয়া এবং মানসিক রোগের চিকিৎসায় ওষুধ সেবন করলেও এই হরমোনের ঘাটতি তৈরি হতে পারে।

যেভাবে প্রতিরোধ সম্ভব: ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, যদি জীনগত কারণে, অণ্ডকোষে ক্ষতির কারণে অথবা হাইপোথ্যালামাস বা পিটুইটারি গ্রন্থিতে আঘাতের কারণে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যায়, তাহলে তার কোনো চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। তবে কিছু জীবনযাত্রায় কিছু অভ্যাস পরিবর্তন বা সংযোজন করে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখা যায়। এগুলো হলো-স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা,অতিরিক্ত পরিমাণ অ্যালকোহল পান ও মাদক থেকে দূরে থাকা।

এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি ঠেকাতে হলে দৈহিক ওজন অবশ্যই কমাতে হবে। দ্বিতীয়ত, অতিরিক্ত গরম ও রেডিয়েশন থেকে দূরে থাকতে হবে। রেডিয়েশনে কাজ করতে হলে সুরক্ষা পদক্ষেপগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে যাতে ঝুঁকি কমে যায়।

চিকিৎসা কী ? টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি কমানোর কোনো একক চিকিৎসা নেই। এই হরমোন ঘাটতির চিকিৎসা আসলে উপসর্গ ভিত্তিক। এর মাত্রা ভিত্তিক নয়। তবে হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির মাধ্যমে কিছু উপসর্গ কমিয়ে আনা যায়। যেমন যৌন তাড়না, বিষণ্নতার সাধারণ উপসর্গ এবং কাজে উৎসাহে ঘাটতির মতো উপসর্গ কমে আসতে পারে।

তাই এ ক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। কারণ হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি বিভিন্ন ধরনের হয় এবং এর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে।


আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




ঘূর্ণিঝড়ে আলফাডাঙ্গার ২২ গ্রাম লণ্ডভণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুনুর রশীদ, ফরিদপুর

Image

ঘূর্ণিঝড়ে আলফাডাঙ্গার দুইটি ইউনিয়নের কমপক্ষে ২০-২২টি গ্রাম বিধ্বস্ত হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার পাচুড়িয়া ও বানা ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়। এতে অসংখ্য গাছপালা ভেঙে পড়ে। অনেক জায়গায় সড়কের ওপরে গাছ পড়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। সেই সঙ্গে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে তার ছিঁড়ে অন্ধকারে ঢেকে যায় ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম।

বানা ইউনিয়নের শিরগ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য খোকন শেখ বলেন, বানা ইউনিয়নের শিরগ্রাম, গড়ানিয়া, পাকুড়িয়া, টাবনী, টোনাপাড়া, শিয়ালদি চরপাড়া, জয়দেবপুর, আউশির হাট, কঠুরাকান্দি, মাজপাড়া, আড়পাড়াসহ কমপক্ষে ১৪টি গ্রামে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে।

ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে কাঁচা-আধাপাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা, পেঁয়াজ, রসুন, মসুরি, ধনিয়া, ধান, গমসহ কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

পাচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. আমিনুর রহমান বলেন, ঝড়ে আমার ঘরবাড়ি, ফসলি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া যুগীবরাট, ভাটপাড়া, চাদড়া, পাচুড়িয়া, দেউলি, চরনারানদিয়া, ধুলজুড়ি, চরভাটপাড়াসহ ১০ গ্রামে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

পাচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমার পাচুড়িয়া ইউনিয়ন ও পাশের বানা ইউনিয়নে ঝড়ে বেশ কয়েকটি গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী সময়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো যাবে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আলফাডাঙ্গা সাব-জোনাল অফিসের এজিএম ফাহিম হাসান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে, কয়েকটি খুঁটি ভেঙে আঁকাবাঁকা হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎসংযোগ চালু করতে কাজ চলমান রয়েছে।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, বুধবার রাত ১টার পর ঘূর্ণিঝড়ে দুই ইউনিয়নের কমপক্ষে ২২টি গ্রামের শতাধিক কাঁচাপাকা বাড়িঘর ও কয়েকশ গাছপালা উপড়ে পড়ে। বিস্তীর্ণ জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করা হয়েছে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বাত্মক সাহায্য-সহযোগিতা করা হবে।


আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




সাংবাদিক হয়রানির প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মাসুদ রানা, কুড়িগ্রাম

Image

প্রশাস‌নিক ক্ষমতার অপব‌্যবহার ক‌রে শেরপু‌রের নকলার পর লালম‌নিরহা‌টে সাংবা‌দিক‌দের হয়রা‌নির প্রতিবা‌দে কু‌ড়িগ্রা‌মে মানববন্ধন অনু‌ষ্ঠিত হ‌য়ে‌ছে। শুক্রবার সকা‌লে জেলা শহ‌রের ক‌লেজ‌ মো‌ড়ে কু‌ড়িগ্রাম সাংবা‌দিক ফোরাম এ মানববন্ধ‌নের আ‌য়োজন ক‌রে।

সাংবা‌দিক আব্দুল কা‌দে‌রের সভাপ‌তি‌ত্বে মানববন্ধ‌নে বক্তব‌্য রা‌খেন সাংবা‌দিক তাম‌জিদ হাসান তুরাগ, আরিফুল ইসলাম রিগান, বুলবুল আহ‌মেদ, রাজু আহ‌মেদ, রাশেদুজ্জামান তৌ‌হিদ, আব্দুল্লাহ মুজা‌হিদ সা‌হেদ, মাসুদ রানা, ক‌ল্লোল রায় প্রমুখ।

বক্তারা দে‌শের বি‌ভিন্ন স্থা‌নে সাংবা‌দিক হয়রা‌নির প্রতিবাদ জা‌নি‌য়ে ব‌লেন, গণমাধ‌্যম জনগ‌ণের মুখপাত্র। সাংবা‌দিকরা জনগ‌ণের প‌ক্ষে ক্ষমতাসীন‌দের জবাব‌দি‌হি নি‌শ্চিত কর‌তে কাজ ক‌রেন। কিন্তু কিছু সরকা‌রি কর্মচা‌রি নি‌জে‌দের জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে ম‌নে ক‌রেন। তারা নি‌জে‌দের অপকর্ম প্রকাশ হওয়ার ভ‌য়ে সাংবা‌দিক দেখ‌লেই ক্ষে‌পে যান। ক্ষমতার অপব‌্যবহার ক‌রে বি‌ভিন্ন ভা‌বে হয়রা‌নি করার চেষ্টা ক‌রেন। বক্তরা সাংবা‌দিক‌দের সকল ধর‌ণের হয়রা‌নি ব‌ন্ধের দা‌বি জানান।

বক্তরা আরও ব‌লেন, যখনই কোনও সরকা‌রি কর্মচা‌রির বিরু‌দ্ধে সাংবা‌দিক হয়রা‌নি ও নির্যাত‌নের অভি‌যোগ ওঠে তখন ব‌্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস, বদ‌লি বা প্রত‌্যাহার ক‌রে প‌রি‌স্থি‌তি সাম‌লে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু অভিযুক্ত কর্মচা‌রি‌দের অইনের আওতায় আনা হয় না। সম্প্রতি শেরপু‌রের নকলা ও লালম‌নিরহা‌টে সাংবা‌দিক হয়রা‌নি তারই সর্বশেষ দৃষ্টান্ত। বক্তরা হয়রা‌নি বন্ধ ক‌রে স্বাধীন সাংবা‌দিকতার প‌রি‌বেশ নি‌শ্চিত করার দা‌বি জানান।

কু‌ড়িগ্রাম সাংবা‌দিক ফোরা‌মের আহ্বায়ক আব্দুল কা‌দের ব‌লেন, হয়রা‌নির বন্ধ ক‌রে সাংবা‌দিক সুরক্ষা আইন তৈ‌রি কর‌তে হ‌বে। এজন‌্য সারা দে‌শের সাংবা‌দিক‌দের ঐক‌্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তি‌নি।


আরও খবর



লাদাখকে কেন্দ্র করে ফের প্রকট চীন-ভারত যুদ্ধের শঙ্কা

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ছয় দশক পর ফের তীব্র হয়েছে ফের চীন-ভারত যুদ্ধের শঙ্কা। চীনের ঘনিষ্ট মিত্র পাকিস্তানের সঙ্গে অর্থনৈতিক করিডর ঘিরে দ্বিতীয় চীন-ভারত যুদ্ধের ঝুঁকি দেখছেন ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিরোধপূর্ণ পূর্ব লাদাখ অঞ্চলে আগামী ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে যেকোনো সময় যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে পারমাণবিক শক্তিধর এই দু'দেশ। সংবাদমাধ্যম দ্য ইউরোএশিয়ান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এমনটিই বলা হয়েছে।

এদিকে, বিশ্লেষকদের দ্বিতীয় চীন-ভারত যুদ্ধের আশঙ্কার সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছেন ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে। তিনি বলেছেন, ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর চীন এখন এ ব্যাপারে সতর্ক যে, নতুন ভারতকে সহজে পরাজিত করা সম্ভব নয় এবং তাইওয়ান সমস্যা সমাধানের আগে তারা কোনো সংঘাতের ঝুঁকি নেবে না।

ছয় দশকেরও বেশি সময় আগে ১৯৬২ সালে চীন ও ভারতের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ওই যুদ্ধে ভারত শোচনীয়ভাবে পরাস্ত হয়। সম্প্রতি সীমান্ত উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে চীনের সরকারি গণমাধ্যম বারবার ওই যুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে, ভারতের তরফে বলা হচ্ছে, ১৯৬২'র অবস্থা থেকে অনেক দূর এগিয়ে গেছে তারা।

এর আগে, ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীনা ও ভারতীয় সেনাদের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষে চীনা সেনাদের হামলায় বেশ কয়েকজন ভারতীয় সেনা নিহত হয়। এতে চীন-ভারত সম্পর্কে ব্যাপক অবনতি হয়। ওই সংঘর্ষের পর দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে সীমান্ত অবস্থান সংঘর্ষের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে বহু বৈঠক হয়েছে। কিন্তু এখনো তা পুরোপুরি পুরোনো অবস্থায় ফেরানো যায়নি।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন তার সামরিক ব্যয় বাড়িয়েই চলেছে। চলতি বছর (২০২৪) প্রতিরক্ষা ব্যয় ৭ দশমিক ২ শতাংশ বাড়িয়েছে দেশটির সরকার। তাইওয়ানে আক্রমণ করে দেশটিকে চীনা মূল ভূখণ্ডের সাথে একীভূত করার লক্ষ্যে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে বেইজিং।

চলতি সপ্তাহে (৫ মার্চ) প্রকাশিত চীন সরকারের এক কার্যবিবরণী প্রতিবেদনে এমনটি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে চীন বলেছে, তারা তাইওয়ানের স্বাধীনতার লক্ষ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ এবং বাইরের হস্তক্ষেপ দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করবে।

তাইওয়ানকে চীনের সাথে একীভূত করার ব্যাপারে বহুদিন ধরে শান্তিপূর্ণ পূণঃএকত্রীকরণ বলে একটা শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করে আসছিল চীন। নতুন প্রতিবেদনে তা সরিয়ে জোরপূর্বক একত্রীকরণ শব্দ উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, চীন পুনঃএকত্রীকরণের লক্ষ্য এগিয়ে নিতে দৃঢ় থাকবে।

চীনের ওই প্রতিবেদন প্রকাশের মধ্যেই লন্ডনভিত্তিক রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউট (আরইউএসআই) একটি মন্তব্য কলাম প্রকাশ করেছে। ওয়ার ক্লাইডস ওভার দ্য ইন্ডিয়ান হোরাইজন শীর্ষক ওই কলামে লেখক ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্যাল রিস্ক অ্যানালিটিকসর প্রেসিডেন্ট সমীর টাটা একটি ভয় উদ্রেককারী ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন।

তিনি বলেছেন, দ্বিতীয় চীন-ভারত যুদ্ধ সম্ভবত ২০২৫ ও ২০৩০-এর মধ্যে ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পূর্ব লাদাখে সংঘটিত হবে। লেখক দাবি করেছেন, বেইজিং পূর্ব লাদাখকে (যেটি ভারতের অন্তর্গত) জ্বালানি সুরক্ষার লেন্সের মাধ্যমে দেখে যা চীন-ভারতকে অদূর ভবিষ্যতে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবে।

বিষয়টির ব্যাখা করে লেখক বলেছেন, পূর্ব লাদাখ হলো একমাত্র পথ যেখান থেকে কোনো শত্রুশক্তি চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ শিনজিয়াংয়ে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ শক্তির উৎস কাশগরে আক্রমণ ও দখল করতে পারে।

চীনের জ্বালানি নিরাপত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হলো একটি পরিকল্পিত স্থল-ভিত্তিক পাইপলাইন যা ইরানের তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রগুলোকে কাশগরের সাথে সংযুক্ত করেছে এবং পাকিস্তান ও চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের (সিপিইসি) মধ্যদিয়ে গেছে।

ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল এমএম নারাভানে এই যুক্তির সাথে একমত পোষণ করেছেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে পূর্ব লাদাখ ও কারাকোরাম পাস চীনের দীর্ঘমেয়াদী কৌশলের অংশ। কারণ এগুলো তাদের সিপিইসি প্রকল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ইউরোএশিয়ান টাইমসকে জেনারেল নারাভানে বলেন, কিন্তু যদি চীনারা মনে করে যে আমরা সিপিইসি বা পাকিস্তান-অধিকৃত-কাশ্মীর বা তিব্বতে তাদের বিচ্ছিন্ন করার অবস্থানে আছি, তবে এটি ১৯৬২ সালের (ভারত ও চীনের মধ্যে প্রথম যুদ্ধের বছর) পর একটি বড় পরিবর্তন।

নিউজ ট্যাগ: চীন-ভারত লাদাখ

আরও খবর