জামালপুর সদর
উপজেলায় জাহিদ হাসান (২৫) নামে এক যুবককে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বন্ধুর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়নের মহেশপুর কালিবাড়ি এলাকায়
এ ঘটনা ঘটে। জাহিদ পৌর শহরের নয়াপাড়া এলাকার জাবেদ মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় ধারালো
ছুরিসহ সাজু মিয়া (৩০) নামে নিহতের বন্ধুকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়। তিনি সদর উপজেলার
মহেশপুর কালিবাড়ি এলাকায় মৃত শাহেদ আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়,
গত রমজান মাসে কারাগারে জাহিদের সঙ্গে সাজুর পরিচয় হয়। সেই পরিচয় থেকে তাদের মাঝে বন্ধুত্ব
গড়ে ওঠে। গত সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার মহেশপুর কালিবাড়ি এলাকায় সাজু মিয়ার বাড়িতে
আসেন জাহিদ। রাতে সাজু মিয়ার ঘরে বসে দুই বন্ধু নেশা করে ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন বেলা সাড়ের
১১টার দিকে ঘুম থেকে উঠে সাজু ছুরি দিয়ে জাহিদকে গলা কেটে হত্যা করেন। বন্ধুকে হত্যার
পর সাজু মিয়া তার মরদেহ নিয়ে ওই ঘরেই বসে থাকেন। পরে দুপুরে প্রবল বৃষ্টির সময় জাহিদের
মরদেহ ঘর থেকে বের করে জামালপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে নিয়ে আসেন। পরে স্থানীয়রা সাজুকে
আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের
জন্য মর্গে পাঠায়।
বিষয়টি নিশ্চিত
করে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল
থেকে নিহত জাহিদের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় অস্ত্রসহ একজনকে আটক করা
হয়েছে। তবে কী কারণে তাকে খুন করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলার
প্রস্তুতি চলছে।