আইপি জালিয়াতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বের হয়ে যাওয়া মদেও দুটি বড় চালান আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত কাস্টমসের এআইআর ও গোয়েন্দা শাখার সহায়তায় মদভর্তি ৪০ ফুটের দুটি কনটেইনার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে আটক করে র্যাব।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার মো.সাইফুল হক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরেছিলাম মদ ভর্তি দুটি কনটেইনার খালাস হবে। কিন্তু অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখি সন্ধ্যা সাতটার আগেই চালান দুটি বন্দর থেকে বের হয়ে গিয়েছে। পরে দ্রুত ট্রেইলর নম্বর ট্র্যাক করে গোয়েন্দা সংস্থা, র্যাব, হাইওয়ে পুলিশের সহায়তায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে আটক করা হয়।
কুমিল্লা ইপিজেডের হেশি টাইগার কোম্পানি লিমিটেডের নামে ২০ জুলাই টেক্সটার্ড ইয়ান ঘোষণায় চীন থেকে আসা ১৯ হাজার ৬৫০ কেজি ওজনের চালানটি খালাসের জন্য কাস্টমস হাউসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়েছিলো। আবার একইদিন ঈশ্বরদী ইপিজেডের বিএইচকে টেক্সটাইল লিমিটেডের নামে চীন থেকে আসা রোভিং মেশিন ববিন ঘোষণায় ২০ হাজার ৭৫০ কেজি ওজনের অপর একটি চালান খালাসের জন্য বিল অফ এন্ট্রি দাখিল করা হয়।
আমদানিকারকের পক্ষে সিঅ্যান্ডএফ হিসেবে কাজ করেছে চট্টগ্রামের ডবলমুরিংয়ের ৬৯৯ কেবি দোভাষ লেনের জাফর আহমেদ। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক শেখ মো. মাসুদুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ভুয়া আইপি ব্যবহার সত্ত্বেও কিভাবে শুল্কায়ণ কার্যক্রম সম্পন্ন হল এবং স্ক্যানিং ও গেইট ডিভিশনকে ফাঁকি দিয়ে পণ্যচালান দুটি কিভাবে খালাস হল সেটি তদন্ত করে বের করা হবে।