আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

জাকাতের হিসাব করবেন কীভাবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নবীজির (সা.) ঘোষণা অনুযায়ী, রমজানে একটি নফল ইবাদতে একটি ফরজের সমান সওয়াব পাওয়া যায়। আর একটি ফরজ ইবাদতে মেলে সত্তর গুণ সওয়াব। জাকাত যেহেতু ফরজ ইবাদত, তাই এক হাজার টাকা জাকাত হিসেবে আদায় করা হলে সত্তর হাজার টাকা জাকাত আদায়ের সওয়াব পাওয়া যায় রমজানে। এ কারণে অনেকেই জাকাত আদায়ের জন্য বেছে নেন পবিত্র রমজান মাস।

যেসব ক্ষেত্রে জাকাত দিতে হয় :

জাকাত দিতে হয় স্বর্ণের, রুপার, নগদ সম্পদের, ব্যবসায়িক সম্পদের, জমাকৃত সম্পদের, উৎপাদিত কৃষি ফসলের। চারণভূমিতে চড়ে বেড়ায় এমন গরু, ছাগল, উট, দুম্বা যখন জাকাত ফরজ হওয়ার পরিমাণে হবে তখনও জাকাত দিতে হবে। ব্যাংকে জমাকৃত যেকোনো ধরনের টাকা জাকাতের সম্পদ হিসাবে গণনায় আসবে। এমনকি ফিক্সড ডিপোজিট হলেও মূল জমাকৃত টাকার জাকাত দিতে হবে। হজের জন্য জমাকৃত টাকার জাকাত দিতে হবে। তবে হজ কর্তৃপক্ষ বা হজ এজেন্টের কাছে টাকা জমা দেওয়া হয়ে গেলে অফেরতযোগ্য টাকার জাকাত লাগবে না।

যারা শেয়ার ব্যবসা করেন তারা শেয়ারের মার্কেট ভ্যালুর ওপর জাকাত দেবেন। বীমা থেকে যখন অর্থ পাওয়া যাবে তখন বিগত বছরসহ জাকাত আদায় করতে হবে। হারিয়ে যাওয়া, চুরি বা ছিনতাই হয়ে যাওয়া সম্পদে জাকাত নেই। ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা নেই এমন ঋণেরও জাকাত নেই। তবে এসব ফেরত পেলে শুধু সংশ্লিষ্ট বছরের জাকাত দিতে হবে। বিগত বছরের জাকাত দিতে হবে না।

বাড়িওয়ালার কাছে অগ্রিম ভাড়া হিসাবে জমাকৃত টাকার, দোকানের জন্য জামানতের টাকার জাকাত দিতে হবে। ব্যবসার সম্পদের ক্ষেত্রে জাকাত গণনায় কারখানা বা দোকানের মেশিনারিজের মূল্য ধরা হয় না। এমনিভাবে দোকান বা অফিস ডেকোরেশনের জিনিসপত্রের মূল্য জাকাতের হিসাবে আসে না। এসব ক্ষেত্রে শুধু কোম্পানি, কারখানা বা দোকানের আয় জাকাতের সম্পদ হিসেবে গণ্য হবে। কারখানার কাঁচামাল যেমন প্রেসের কালি, বস্ত্রকলের তুলা-সুতার মূল্যের জাকাত দিতে হবে।

বাড়ি ভাড়া দিলে শুধু ভাড়া থেকে আয়ের ওপর জাকাত দিতে হবে। বাড়ির মূল্যের ওপর জাকাত নেই। গাড়ি ভাড়ার ব্যবসায়ীরা গাড়ি থেকে আয়ের ওপর জাকাত দেবেন। গাড়ির মূল্যের ওপর জাকাত নেই। তবে যারা গাড়ি বিক্রির ব্যবসা করেন তারা গাড়ির মূল্যের ওপর জাকাত দেবেন। এমনিভাবে ফ্ল্যাট ও প্লট ব্যবসায়ীরাও ফ্ল্যাট ও প্লটের মূল্যের ওপর জাকাত দেবেন। নিজে ব্যবহারের জন্য প্লট কেনার জন্য টাকা জমা করলে বা কিস্তি দিলে যেহেতু তখনও সেই টাকার মালিক নিজেই থাকে তাই তা জাকাতের সম্পদ হিসেবে গণ্য হবে। তবে জমি ক্রয় চূড়ান্ত হয়ে গেলে সেই জমির মূল্যের জাকাত দিতে হবে না।

মুরগির ফার্ম থেকে ডিম উৎপাদন উদ্দেশ্য হলে ডিমের মূল্যের জাকাত দিতে হবে। মুরগির মূল্যের জাকাত দিতে হবে না। মুরগি এ ক্ষেত্রে কারখানার মেশিনারিজের মতো গণ্য হবে। তবে বয়লার ফার্ম হলে যাতে মুরগির বাচ্চা বড় করা হয় তাতে উৎপাদিত-পালিত মুরগির বাচ্চার মূল্যের জাকাত দিতে হবে। ফিসারিজের জন্য ভাড়াকৃত বা ক্রয়কৃত জমি বা পুকুরের মূল্যের জাকাত দিতে হবে না। তবে বিক্রিত মাছের মূল্যের ওপর জাকাত আসবে।

যেসব ক্ষেত্রে জাকাত দিতে হয় না :

নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস, ব্যবহৃত কাপড়, ঘরোয়া ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র যেমন ফ্রিজ, এসি, ফ্যান, কম্পিউটার, ওভেন, ওয়াশিং মেশিন ইত্যাদি, থাকার জন্য বাড়ি, আগামী ফসল না পাওয়া পর্যন্ত পারিবারিক খাবারের জন্য জমাকৃত ধান, গম, চাল, লেখাপড়ার জন্য বইপত্র এবং কৃষি সরঞ্জামাদি যেমন ট্রাক্টর, মাড়াই মেশিন ইত্যাদিতে জাকাত ফরজ হয় না।

জাকাতের সম্পদ থেকে যা বিয়োগ হবে :

ঋণের টাকায় জাকাত ওয়াজিব হয় না। বরং জাকাতের হিসাব করার সময় জাকাতযোগ্য সম্পদের হিসাব থেকে ঋণের টাকা বা সম্পদ বিয়োগ হবে। তবে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ হলে শুধু আগামী এক বছরে প্রদেয় ঋণের টাকা বিয়োগ হবে। ব্যবসার সম্পদে জাকাত হিসাব করার সময় মহাজন বা মাল সরববাহকারীকে প্রদেয় টাকা বা সম্পদ বাদ যাবে। ডায়মন্ডের অলঙ্কার ব্যবহার করলে জাকাত দিতে হয় না। তবে ডায়মন্ডের ব্যবসায়ীরা ডায়মন্ডের মূল্যের জাকাত দেবেন।

ব্যবসায়িক সম্পদে ২.৫ ভাগ জাকাত দিতে হয়। ব্যবসার উদ্দেশ্যে কোনো বস্তু ক্রয় করার পর তা ব্যক্তিগত ব্যবহারে নিলে তার জাকাত দিতে হবে না। আবার ব্যক্তিগত ব্যবহারের ইচ্ছায় ক্রয়কৃত কোনো বস্তু নিয়ে ব্যবসা করার ইচ্ছা করলেই তা ব্যবসায়িক বস্তু হবে না। যখন তা বিক্রি করবে তখনই তা ব্যবসায়িক বস্তু হিসেবে গণ্য হবে। কোনো বস্তু বা অলঙ্কার বন্ধক রেখে টাকা উঠালে বন্ধকি বস্তু জাকাতের হিসাবে আসবে না। প্রভিডেন্ট ফান্ডে যা বাধ্যতামূলকভাবে কেটে নেওয়া হয়, এর জাকাত দিতে হয় না। যদি নিজের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত টাকা কাটানো হয় বা জমা রাখা হয় তাহলে অতিরিক্তের ওপর জাকাত আসবে।

মোট জাকাতযোগ্য সম্পদ থেকে যা বিয়োগ দেওয়ার থাকে তা বিয়োগ করে মোট প্রদেয় জাকাতের সম্পদের ৪০ ভাগের ১ ভাগ বা ২.৫ ভাগ টাকা বা সম্পদ সারা বছরে জাকাত দিতে হবে।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

ইতিকাফের শাব্দিক অর্থ হলো অবস্থান করা, কোনো বস্তুর ওপর স্থায়ীভাবে থাকা। ইতিকাফের মধ্যে নিজের সত্তাকে আল্লাহ তায়ালার ইবাদতের মধ্যে আটকিয়ে রাখা হয় এবং নিজেকে মসজিদ থেকে বের হওয়া ও পাপাচারে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত রাখা হয়। শরিয়তের পরিভাষায় ইতিকাফের নিয়তে কোনো পুরুষ লোক এমন কোনো মসজিদে অবস্থান করবে যেখানে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামাতের সাথে আদায় করা হয় এবং মহিলারা নিজ ঘরে সালাতের স্থানে কোনো নির্জন কামরায় অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলা হয়।

ইতিকাফের উদ্দেশ্য হলো- দুনিয়ার সবরকম ঝামেলা থেকে নিজেকে মুক্ত করে মহান আল্লাহ তায়ালার সান্নিধ্য লাভের নিমিত্তে একমাত্র তারই ইবাদতে মশগুল থাকা। যে মসজিদে নিয়মিতভাবে আজান, ইকামতসহকারে পাঁচ ওয়াক্ত জামাতের সাথে সালাত আদায় করা হয় সেই মসজিদেই ইতিকাফ করা অধিকতর সহিহ হবে। ইতিকাফের সর্বোত্তম স্থান হলো মসজিদুল হারাম, অতঃপর ওই সব জুমার মসজিদ যেখানে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামাতের সাথে আদায় করা হয়। এরপর সেই মসজিদ যেখানে মুসল্লির সংখ্যা অধিক হয়ে থাকে। (শামি, দ্বিতীয় খণ্ড ও আলমগিরি, প্রথম খণ্ড)

ইমাম আবু হানিফা রহ: বলেন, ইতিকাফ সহিহ হবে এমন মসজিদে যেখানে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামাতের সাথে আদায় করা হয়। (হিদায়া, প্রথম খণ্ড)

মহিলারা ঘরে সালাতের জন্য নির্ধারিত স্থানে ইতিকাফ করবেন। নামাজের স্থান নির্ধারিত না থাকলেও ইতিকাফে বসার সময় তা নির্ধারণ করে নিলেও সহিহ হবে। মহিলাদের জন্য মসজিদে ইতিকাফ করা মাকরুহ। (ফাতয়ায়ে শামি, দ্বিতীয় খণ্ড)

মানতের ইতিকাফ করার জন্য রোজা রাখা বাধ্যতামূলক। সুতরাং মানতের ইতিকাফ কমপক্ষে এক দিন হতে হবে। কেননা, এক দিনের কম সময়ে রোজা শুদ্ধ হয় না। এ ছাড়া রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়া। নফল ইতিকাফের জন্য নির্ধারিত কোনো সময় নেই এবং তা পালনের জন্য রোজা রাখাও শর্ত নয়। এ ইতিকাফ অল্প কিছুক্ষণের জন্যও হতে পারে এমনকি মসজিদে না বসেও আদায় করা সহিহ হবে। (তাহতাবি)

ইতিকাফের উপকারিতা : ইতিকাফের ফজিলত ও উপকারিতা অপরিসীম। দুনিয়ার সব রকম ঝামেলা থেকে সম্পূর্ণভাবে নিজেকে মুক্ত করে একান্ত নিরিবিলি নিভৃতে মহান আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করার জন্যই ইতিকাফ করা হয়। ইতিকাফকারী পুরুষ হোক বা মহিলা তারা বহু ধরনের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে পারেন। ইতিকাফকারী ব্যক্তির পুরো সময়টাই ইবাদতের মধ্যে গণ্য হয়ে থাকে। আতা আল খুরাসানি রহ: বলেছেন যে, ইতিকাফকারী সেই ব্যক্তির মতো, যে নিজেকে মহান আল্লাহ তায়ালার সামনে সোপর্দ করে দিয়েছে এবং বলেছে যে, আমি এ স্থান ত্যাগ করব না, যতক্ষণ না আমাকে ক্ষমা করা হয়। এ জন্যই ইতিকাফের গুরুত্ব অপরিসীম যে, ইতিকাফের মাধ্যমে বান্দা তার নিজেকে মহান মনিবের ঘরে ইবাদতে মশগুল থেকে তার অসহায়ত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে থাকে। (বাদউস সনায়ি, দ্বিতীয় খণ্ড)

হজরত সাঈদ ইবনে জুবাইর হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা: থেকে বর্ণনা করেন- রাসূলুল্লাহ সা: ইতিকাফকারী ব্যক্তি সম্পর্কে বলেছেন, সে ইতিকাফ এবং মসজিদে বদ্ধ থাকার করণে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে এবং তার নেকির হিসাব সবধরনের নেককাজ সম্পাদনকারী ব্যক্তির মতো জারি থাকে। (ইবনে মাজাহ)

রমজানে ইতিকাফের গুরুত্ব : আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: রমজান মাসের শেষ দশকে সারা রাত জেগে থাকতেন, নিজের পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে রাখতেন, ইবাদতে কঠোর পরিশ্রম করতেন এবং উম্মুল মুমিনিনদের থেকে দূরে থাকতেন। (সহিহ মুসলিম)

হজরত আয়েশা সিদ্দিকা রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: রমজান মাসের তৃতীয় দশকে অধিক পরিশ্রম করতেন, যে রকম কঠোর পরিশ্রম অন্য কোনো মাসে করতেন না। (সহিহ মুসলিম)

হজরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: প্রত্যেক রমজানে ১০ দিন ইতিকাফ করতেন; কিন্তু যে বছর তিনি ইন্তেকাল করলেন, সে বছর তিনি ২০ দিন ইতিকাফ করেছেন। (সহিহ বুখারি)

আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সা: সর্বদা রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করতেন; কিন্তু এক বছর তিনি সফর করার কারণে পরের বছর ২০ দিন ইতিকাফ করেছেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ)

হজরত ইবনে উমর রা: রাসূলুল্লাহ সা: থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সা: যখন ইতিকাফ করতেন তখন তাঁর জন্য বিছানা বিছানো হতো (আবু লুবাবা ইবনে মুনজির) রা:-এর তাঁবুর খুঁটির পাশে। (সুনানে ইবনে মাজাহ)

হজরত আবু সাঈদ খুদরি রা: থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সা: তুর্কি তাঁবুতে রমজানুল মুবারকের প্রথম ১০ দিন ইতকাফ করলেন। এর পর দ্বিতীয় ১০ দিনও এরপর তাঁবু থেকে মাথা বের করে বললেন, আমি এই (কদরের) রাতে অনুসন্ধানে প্রথম ১০ দিন ইতিকাফ করেছি। এর পর দ্বিতীয় ১০ দিনও। তারপর স্বপ্নে একজন ফেরেশতা এসে আমাকে বললেন, এ রাতটি রমজানের শেষ দশকে। কাজেই যে ব্যক্তি আমার সাথে ইতিকাফ করেছে সে যেন শেষ ১০ দিনও ইতিকাফ করে। আমাকে এ রাতটি দেখানো হয়েছিল এবং তা ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। (আমি স্বপ্নে) দেখেছি, এ রাতের সকালে ফজরের সালাতে আমি পানি ও কাদামাটিতে সিজদা করেছি। তোমরা এ রাতের অনুসন্ধান করবে শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে। বর্ণনাকারী বলেন, ছাদ থেকে ওই বৃষ্টি হয়েছিল, তখন মসজিদের ছাদ খেজুরগাছের ডালা দিয়ে নির্মিত ছাপড়ার মতো ছিল। এতে মসজিদের ছাদ থেকে পানি টপকিয়ে পড়েছিল। বর্ণনাকারী সাহাবি বলেন, রমজানুল মুবারকের ২১ তারিখ সকালে রাসূলুল্লাহ সা:-এর কপাল মুবারকে আমি নিজ চোখে কাদামাটির চিহ্ন দেখেছি। (মিশকাত )

নিউজ ট্যাগ: ইতিকাফ

আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




কালবৈশাখীতে লন্ডভন্ড পিরোজপুর, নিহত ১

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

কালবৈশাখী ঝড়ে পিরোজপুরের পৌরসভা ও সদর উপজেলার কয়েকশ বাড়িঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এ সময় গাছচাপায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল পৌনে ১০টার দিকে হঠাৎ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে অন্ধকারে ঢাকা পড়ে পিরোজপুর। এরপরই শুরু দমকা হওয়া। প্রায় ১৫ মিনিটের ঝড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে জেলার বিদ্যুৎ সংযোগ। গাছপালা পড়ে বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগও বন্ধ রয়েছে।

এ সময় পৌর এলাকার শারিকতলা ইউনিয়নের মরিচাল গ্রামে একটি ঘরে গাছচাপা পড়ে রুবী বেগম (২২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুইজন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পিরোজপুর পৌরসভা ও সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় শত শত গাছ উপড়ে পড়ে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়কে সড়কে এলোপাথাড়ি পড়ে আছে গাছ, এতে ব্যাহত হচ্ছে সড়ক যোগাযোগ।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, হঠাৎ ঝড়ে গাছপালা উপড়ে পড়ে পিরোজপুরের সদর উপজেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ সময় একজন নিহত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধান শুকানো নিয়ে সংঘর্ষে আহত অর্ধশত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ধান শুকানোর খলা দখল নিয়ে দুপক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত হয়েছে পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের নারী-পুরুষ ও পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গ্রামের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় কাঞ্চন গ্রুপ ও জিয়াউল আমিন গ্রুপের মধ্যে পূর্ব বিরোধ ছিল। এর জের ধরে সকালে কাঞ্চন গ্রুপের মান্নান মিয়ার সঙ্গে জিয়াউল আমিন গ্রুপের রশিদ মিয়ার ধান শুকানোর খলা দখল নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এ সময় ৫ পুলিশসহ উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। আহতদের পার্শ্ববর্তী উপজেলা ভৈরবসহ আশপাশের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সরাইল থানার ওসি এমরানুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ কাঁদানো গ্যাসে ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে এ পর্যন্ত ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় একজন এসআইসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।


আরও খবর



তীব্র গরমে বিএনপির সমাবেশ স্থগিত

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপদাহের কারণে আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) অনুষ্ঠেয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।

মহানগর দক্ষিণ বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সাইদুর রহমান মিন্টু সোমবার (২২ এপ্রিল) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল।

উল্লেখ, গত ২৫ মার্চ রাজধানীতে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করে বিএনপি। তবে দলীয় কর্মসূচি হিসেবে নির্বাচনের আগে গত বছরের ২৮ অক্টোবর সর্বশেষ রাজধানীতে সমাবেশ করেছিল বিএনপি। সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে চলে জ্বালাও-পোড়াও এবং সংঘর্ষ। এতে পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন প্রাণ হারান।

এর পরদিন উত্তরার বাসায় গ্রেপ্তার হন ফখরুল। এরপর থেকে কয়েক মাস কারাবন্দি ছিলেন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় জেলেই ছিলেন তিনি। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি।


আরও খবর



ইসরায়েলি সেনারা এবার রাফায় অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে: নেতানিয়াহু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ঘনবসতিপূর্ণ রাফা শহরে ঢোকার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

গাজায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হাতে বন্দী ইসরায়েলি সেনাদের মুক্ত করা প্রসঙ্গে তাদের স্বজনদের এ কথা জানান নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, একমাত্র সামরিক চাপই তাদের মুক্তি নিশ্চিত করবে।’

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চল ও খান ইউনিস জয় করেছি। এবার দক্ষিণের রাফায় স্থল অভিযান শুরু হচ্ছে।’

এদিকে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) অভিযোগ করেছে, গাজায় সামরিক অভিযান চালানোর মাধ্যমে সেখানে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে ইসরায়েল। পাশাপাশি দুটি নতুন পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন জাতিসংঘের এ সর্বোচ্চ আদালত।


আরও খবর