আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ভিন্ন চিত্র

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে আজ। ভর্তি পরীক্ষায় প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের ফলে ক্যাম্পাসে ফিরেছে শৃঙ্খলা, ফলে স্বস্তিতে ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে পরীক্ষার আবেদনে বিষয়ভিত্তিক গ্রেড বাড়ানোর কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমেছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে এবছরের ভর্তি পরীক্ষায় দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র।

সরেজমিনে দেখা যায়, পরীক্ষা চলার সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ছাড়া অন্য কোন রিকশা চলাচল করতে দেখা যায় নি। ছাত্রী হল থেকে আসা রিকশাগুলো তারামন বিবি হলের সামনে এসে থামতে দেখা যায়। এছাড়াও ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে শিট ও ব‌ই বিক্রি নিষিদ্ধ ছিল এবং অস্থায়ী খাবারের দোকানপাট ও ভ্রাম্যমাণ ফেরিওয়ালা দের তেমন দেখা যায় নি।

পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক রাখতে ভর্তি পরীক্ষা শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা কমিটির প্রস্তুতি লক্ষ্য করা যায়।এছাড়াও পরীক্ষা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) চালু রাখা হয়েছিল।

এছাড়াও গত বছরের তুলনায় এবার ভর্তি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী সংখ্যা কমেছে ২১ শতাংশ। গতবছর ভর্তি পরীক্ষায় একই সংখ্যক আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছিল ২ লাখ ৪৯ হাজার ৮৫৭ টি। এবার আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৫১টি। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২১ শতাংশ কম। গত বছর আসন প্রতি প্রতিযোগী ছিল ১৩৪ জন। যা এবার কমে হয়েছে ১০৮ জনে।

মানিকগঞ্জ থেকে পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থী রবিউল হাসান বলেন, ফাস্ট টাইমে পছন্দের সাবজেক্ট না আসায় আমি দ্বিতীয়বারের মতো ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছি। গত বছর এখানে শিট বিক্রেতাদের উপস্থিতি আমাদের বিরক্ত করেছিল কিন্তু এবছর শৃঙ্খলা দেখতে পেয়েছি।

সার্বিক বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষার শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা কমিটির আহ্বায়ক এবং প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ভর্তি পরীক্ষার সময় ক্যাম্পাসে সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা বদ্ধপরিকর। মাঝে মাঝে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যায়। এবার তেমন ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য আমরা শুরু থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করেছি ।

এদিকে প্রথম শিফটের পরীক্ষা পরিদর্শন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, সুন্দর পরিবেশে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপস্থিতির হার ৭০-৮০ শতাংশ। আমরা এ বছর ভাসমান কোনো দোকান বসতে দিইনি। সে জন্য ভিড়ও কম আছে। নির্বিঘ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।


আরও খবর



বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের ৬ দফা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

প্রতিরোধে ৬ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা দাবি দাওয়া তুলে ধরেন। এর আগে দুপুরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ২৮ মার্চ মধ্যরাতে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের আগমনের ফলে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ থাকা ছাত্র রাজনীতি নতুনভাবে ফিরে আসার পথ তৈরি হচ্ছে, এরই প্রতিবাদে আজকের অবস্থান।

শিক্ষার্থীরা বলেন, বুয়েটে বর্তমানে চলমান পাঁচটি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আলোচনা করে কিছু সম্মিলিত সিদ্ধান্ত এবং দাবি দাওয়ায় উপনীত হয়েছেন। ক্যাম্পাসের সবচেয়ে অগ্রজ ব্যাচ ইন্টার্ভাল প্রতিটি ব্যাচের ঐক্যবদ্ধ দাবিগুলোকে সুসংগঠিত করে উত্থাপন করেছে।

তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপকালে তাঁরা নাম, বিভাগ ও বর্ষ জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।

শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো

১. বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে ২৮ মার্চের মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক ইমতিয়াজ রাব্বিকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার।

২. ইমতিয়াজ রাব্বির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বুয়েটের বাকি শিক্ষার্থীরা, যারা ওই সমাগমে জড়িত ছিল তাদের বিভিন্ন মেয়াদে হল এবং টার্ম বহিষ্কার চাই।

৩. মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে যেসব রাজনৈতিক ব্যক্তি প্রবেশ করলো তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, তারা কীভাবে প্রবেশের অনুমতি পেল এই ব্যাপারে বুয়েট প্রশাসনের সুস্পষ্ট সদুত্তর এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

৪. ১ ও ২ নম্বর দাবি আগামীকাল সকাল ৯টার মধ্যে বাস্তবায়ন করা, না হলে ডিএসডাব্লিউর পদত্যাগ।

৫. ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে বহিরাগতদের প্রবেশের প্রতিবাদে আগামী ৩০ ও ৩১ মার্চের টার্ম ফাইনালসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন।

৬. আন্দোলনরত বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো রকম হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- এই মর্মে লিখিত প্রতিশ্রুতি।


আরও খবর



প্লাস্টিক দূষণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী কোকা-কোলা ও পেপসিকো: গবেষণা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক দূষণের অর্ধেকের জন্য দায়ী মাত্র ৫৬টি কোম্পানি। এর মধ্যে কোকা-কোলা একাই মোট ১১ শতাংশ প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। কোকা-কোলা ছাড়াও ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী শীর্ষ কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে (শনাক্তকৃত) পেপসিকো, নেসলে এবং ড্যানোন।

দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, বুধবার (২৪ এপ্রিল) 'সায়েন্স অ্যাডভান্স' জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় ছয়টি মহাদেশের বেশ কিছু বড় কোম্পানি বা ব্র্যান্ড এর নাম উঠে এসেছে, যারা ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের সাথে জড়িত। গবেষকরা এক লাখের বেশী স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় ১ দশমিক ৮ মিলিয়নের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য তাদের গবেষণার জন্য আলাদা করেছেন।

প্রতি বছর বিভিন্ন কোম্পানি সাড়া পৃথিবীতে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মেট্রিক টন প্লাস্টিক উৎপাদন করে। এই প্লাস্টিকের কিছু নদী বা সমুদ্র সৈকতে জমা হয়ে পানির স্বাভাবিক স্রোতে বাধা সৃষ্টি করে। আবার কিছু প্লাস্টিক ভেঙ্গে অতিক্ষুদ্র মাইক্রোপ্লাস্টিক বা ন্যানোপ্লাস্টিকেও পরিণত হয়। এ ধরনের অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিক বাতাসে ভাসতে পারে। এমনকি মানুষের ফুসফুস ও রক্তসহ অন্যান্য অঙ্গে প্রবেশ করতে পারে।

তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্লাস্টিক 'নিরীক্ষা' পরিচালনা করেছেন। তারা সতর্কতার সাথে সমুদ্র সৈকত, পার্ক, নদী এবং অন্যান্য এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে প্লাস্টিকের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করেছেন। তারা প্লাস্টিক বর্জ্যের প্রতিটি অংশ পরীক্ষা করে দৃশ্যমান ব্র্যান্ড বা ট্রেডমার্ক চিহ্নিত করেছে। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ব্রেক ফ্রি ফ্রম প্লাস্টিক নামের সংস্থাটি এক হাজার ৫৭৬টি নিরীক্ষা সমন্বয় করেছে।

পরীক্ষা চালানো ১ দশমিক ৮ মিলিয়নেরও বেশি প্লাস্টিকের মধ্যে প্রায় ৯ লাখ ১০ হাজার প্লাস্টিকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দৃশ্যমান চিহ্ন পাওয়া গেছে। [সূর্যালোক এবং আবহাওয়ার সংস্পর্শে আসার কারণে প্লাস্টিক তার ব্র্যান্ড মার্কারগুলো (চিহ্ন) হারাতে পারে।]  ব্র্যান্ডের দৃশ্যমান চিহ্নের ওপর ভিত্তি করে ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী শীর্ষ কোম্পানিগুলো (শনাক্তকৃত) হলো কোকা-কোলা, পেপসিকো, নেসলে এবং ড্যানোন।

কোকা-কোলার একজন মুখপাত্র মেইলে কোম্পানিটির 'ওয়ার্ল্ড উইদাউট ওয়েস্ট' নামক কৌশলের কথা উল্লেখ করে জানান, কোকা-কোলা ২০২৫ সালের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী শতভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্যাকেজিং ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে কোম্পানিটি প্যাকেজিংয়ের জন্য ৫০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করতে চায়।

এ ছাড়া নেসলে জানিয়েছে, নতুন প্লাস্টিকের ব্যবহার এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনা এবং প্যাকেজিংয়ের জন্য আরো বেশি করে পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করা কোম্পানির মূল লক্ষ্য। আর পেপসিকো ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়েছে, কোম্পানিটি প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় একটি বৈশ্বিক নীতি কাঠামোর পক্ষে এবং এমন একটি অর্থনীতি গড়ে তুলতে কাজ করছে যেখানে প্লাস্টিক পুনরায় ব্যবহার করা সম্ভব।

এদিকে বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক সমস্যা সমাধানে একটি চুক্তি করার ব্যাপারে আলোচনার জন্য এই সপ্তাহে অটোয়াতে বিশ্ব নেতারা এবং মধ্যস্ততাকারীরা একত্রিত হবেন। অনেক পরিবেশগত সংস্থা এবং দেশগুলো এমন একটি চুক্তি চায় যা প্লাস্টিক উৎপাদন হ্রাস করবে যা মার্কিন মধ্যস্ততাকারীরা প্রতিরোধ করে আসছে। শিল্প গোষ্ঠী এবং সংস্থাগুলো যুক্তি দিয়েছে, বারবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক উৎপাদন, উন্নত রিসাইকেল ব্যবস্থা এবং উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লাস্টিক উৎপাদন ব্যাহত না করেই এ সমস্যাটির সমাধান করতে পারে।

ওয়ার্ল্ড প্লাস্টিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বেনি মারম্যানস বলেন, "আমাদের সদস্যরা বারবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের সরবরাহ বাড়াতে বিভিন্ন অবকাঠামোতে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে যাতে ব্যবহৃত প্লাস্টিকগুলো বর্জ্য, ভূমি বা পুড়িয়ে ফেলার মাধ্যমে পরিবেশে প্রবেশ করতে না পারে।" তবে প্লাস্টিক শিল্পের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টদের দাবি, প্লাস্টিক বিশ্ব অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। এর উৎপাদন কমালে তা নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

গবেষকরা শুধু পুনর্ব্যবহার বাড়ানো বা বৃত্তাকার অর্থনীতির গুরুত্বের উপর জোর না দিয়ে প্লাস্টিক উৎপাদন কমানোর বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন। তেল ও গ্যাস উৎপাদনকে লক্ষ্য করে জলবায়ু নীতি থাকা সত্ত্বেও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে তৈরি হওয়া প্লাস্টিক এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখছে। আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা ধারণা করছে, প্লাস্টিকের জন্য এ শতাব্দীর মাঝামাঝি তেলের চাহিদা অর্ধেক বৃদ্ধি পাবে। আর বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন, প্লাস্টিক উৎপাদনে বিধিনিষেধ না থাকায় সেটি পরিবেশের ক্ষতি করার পাশাপাশি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।


আরও খবর



র‍্যাবের মধ্যস্থতায় সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজার উদ্ধার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

র‌্যাবের মধ্যস্থতায় সোনালী ব্যাংক রুমা শাখার অপহৃত ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার র‌্যাব সদর দপ্তর এবং র‌্যাব-১৫ এর পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল এস এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দুই দিনের অভিযানের পর রুমা বাজারের পাশের এলাকা থেকে সোনালী ব্যাংক রুমা শাখার ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

২ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে বান্দরবানের রুমায় উপজেলা প্রশাসন কমপ্লেক্স ভবনে হামলা চালিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে অস্ত্র ও টাকা লুট করে নিয়ে যায় একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল। এ সময় তারা ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

ওইদিন রুমা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল আলম জানান, নেজাম উদ্দীনের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায়।

অপহরণের বিষয়ে তিনি বলেন, রাত ৮টার দিকে দুবৃর্ত্তরা উপজেলা প্রশাসন কমপ্লেক্সের মসজিদে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। তখন নামাজের জন্য অনেক কর্মকর্তা সেখানে ছিলেন। তাদেরকে সবাইকে বন্দি করে সন্ত্রাসীরা প্রচণ্ড মারধর করে। তারা অস্ত্র হাতে ব্যাংক ম্যানেজারকে জিম্মি করে ব্যাংকে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, ডাকাতরা ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্রও লুট করেছে। তারা পুলিশের দুটি এসএমজি ও ৬০ রাউন্ড গুলি, আটটি চীনা রাইফেল ও ৩২০ রাউন্ড গুলি এবং আনসারের চারটি শর্টগান ও ৩৫ রাউন্ড গুলি লুট করেছে।

ঘটনাটি কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করেন তিনি।


আরও খবর



এডিপির সঙ্গে ৭১ মিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বাংলাদেশ সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) মধ্যে ৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি সই হয়েছে।

Loan 4440- BAN: Climate-Resilient Integrated Southwest Project for Water Resources Management'  শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ চুক্তি সই হয়েছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। ঋণচুক্তি ও প্রকল্পচুক্তিটি ঢাকায় স্বাক্ষরিত হয় বলে জানা গেছে।

এ সময় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং এডিবির পক্ষে বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং উভয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় বাংলাদেশ সরকার ও এডিবির আবাসিক মিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঋণটি এডিবির Ordinary Operations (Concessional) বা নমনীয় শর্তে পাওয়া গিয়েছে যার সুদের হার ২ শতাংশ এবং ৫ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ২৫ বছরে পরিশোধযোগ্য। এছাড়া অন্য কোনো চার্জ নেই।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা যায়, প্রকল্পটি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) কর্তৃক বাস্তবায়িত হবে। আলোচ্যে প্রকল্পের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন করে কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, আনুষঙ্গিক উন্নয়নের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন আনয়ন, সমন্বিত পানি সম্পদ ও অংশগ্রহণমূলক পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং উন্নত অবকাঠামো নির্মাণ ও সমন্বিত সহায়তার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অর্জন সম্ভব হবে।

এছাড়া প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত সুবিধাদির দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্ব বজায় রাখার নিমিত্ত পানি ব্যবস্থাপনা সংঘ গঠন করা হবে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল জানুয়ারি ২০২৪ হতে ডিসেম্বর ২০২৮ পর্যন্ত।

এডিবি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে সদস্যলাভের পর থেকে এডিবি থেকে এর অর্থনীতির অগ্রাধিকারভুক্ত বিভিন্ন খাতসমূহে ধারাবাহিকভাবে আর্থিক সহায়তা পেয়ে আসছে। এডিবি এ যাবত বাংলাদেশ সরকারকে ৩১ হাজার ৫৪৭.৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তা ও ৫৭১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদান সহায়তা প্রদান করেছে। বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে এডিবি সাধারণত বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, কৃষি, পানিসম্পদ ও সুশাসনকে প্রাধান্য দেয়।

নিউজ ট্যাগ: এডিবি বাপাউবো

আরও খবর



সরকারি খালে ড্রেজার বসিয়ে রমরমা ব্যবসা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

Image

মেঘনা-ধনাগোদা সেচ‌ প্রকল্পের সেচ খালে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলন করছে একটি মহল। উপজেলার ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের ডি৪ খালের লুধুয়া, নান্দুরকান্দি, সাহবাজকান্দি অংশের বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে এমন কার্যক্রম চালিয়ে আসছে মহলটি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সাহবাজকান্দি এলাকার ডি ৪ খালের অংশে ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। জানতে চাইলে রসুলপুর গ্রামের রতন মিরের ছেলে রাকিব মির ঘটনাস্থলে এসে তিনি নিজে বালু উত্তোলন করছেন জানিয়ে সংবাদকর্মীদের হুমকি ধামকি প্রদান করেন।

বিষয়টি সম্পর্কে তাৎক্ষণিক মতলব উত্তর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল ইমরানকে মুঠোফোনে জানালে তিনি বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত অভিজান পরিচালনা করছি। তবে নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়া ব্যতিত কোন উপায় নেই।

বিষয়টি সম্পর্কে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্ত পাল জানান, জেলা প্রশাসক বরাবর আমরা চিঠি দিয়েছি। প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো। এদিকে চাঁদপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক একরামুল সিদ্দিক বলেন, মতলব উত্তর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা একি চাকমাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দিচ্ছি।

সূত্র জানায় গত ২ সপ্তাহে প্রায় ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা সমপরিমাণ মূল্যের মাটি উত্তোলন করেছে চক্রটি। এদিকে গত কয়েক বছরে প্রায় অর্ধ কোটি ঘনফুটের ও বেশি মাটি এই সেচ খাল থেকে উত্তোলন করেছে চক্রের অন্য সদস্যরা। ড্রেজার স্থাপনের আশেপাশে থাকা বসতঘরের শিক্ষার্থী, মধ্যবয়স্ক, বৃদ্ধ, বৃদ্ধা ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন ড্রেজারের বিকট শব্দে শিশু ও বৃদ্ধদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। অনিদ্রায় মধ্যবয়স্ক সহ বয়স্কদের বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপ।

অবৈধ মাটি উত্তোলন বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার মতলব উত্তর উপজেলার সভাপতি আবু সাইফ বলেন, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট‌ করা আইন বহির্ভূত, প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা নিবে বলে আশা করছি। এদিকে খাল সংলগ্ন কৃষি জমি ভাঙ্গনের ফলে কৃষিখাতে মারাত্মক ক্ষতির আশংকা করে ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ শাকিল বলেন,‌ কৃষির প্রতি গুরুত্বারোপের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর যে নির্দেশ রয়েছে তা একটি মহল ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে।

কুচক্রী মহলের এমন কার্যক্রম শিঘ্রই বন্ধ না হলে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পুরো পরিকল্পনা ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে আশঙ্কা করেন তিনি।

এদিকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪ ও ৫ ধারায় বর্ণিত বালু ও মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ সংক্রান্ত বিধান অমান্য করলে কমপক্ষে ২ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা বা উভয় দন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়াও এ আইনে ব্যবহৃত ড্রেজার, বালু বা মাটি সহ যানবাহন ও যন্ত্রপাতি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে বলে উল্লেখ আছে।


আরও খবর