আজঃ বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বেড়েছে ভিক্ষুক, বিব্রত শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

জাবি প্রতিনিধি

দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাসে বেড়েছে ভিক্ষুকদের আনাগোনা। ক্যাম্পাসে ভিক্ষুকদের এমন অবাধ বিচরণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। ভিক্ষুকমুক্ত ক্যাম্পাস চায় তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অধিকাংশ শিক্ষার্থী মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণ আবাসিক হওয়ায় এখানের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন হলে থেকে। পড়াশোনার ব্যয় নির্বাহের জন্য পরিবার থেকে পাঠানো নির্দিষ্ট টাকা নয়তো টুকটাক টিউশনির উপর নির্ভর করতে হয়। প্রতিটি টাকায় খরচ করতে হয় হিসেব করে। ক্যাম্পাস উন্মুক্ত হওয়ায় ভিক্ষুক, পাগল, ছিন্নমূল মানুষের অবাধ চলাফেরা বেড়েছে, এতে একদিকে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের পড়তে হয় বিব্রতকর অবস্থায়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক চলাফেরা বিঘ্নিত হচ্ছে। ভিক্ষুকের আড়ালে লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে অপরাধী চক্রের। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে কতৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

সংস্কৃতির রাজধানীর খ্যাত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ভিক্ষুকরা অবস্থান নেয়। শহীদ মিনার, ডেইরি গেইট, নতুন কলা ভবন, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি), কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী, বটতলাসহ যেসব জায়গায় শিক্ষার্থীদের যাতায়াত বেশি, সেসব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অবস্থান নেয় তারা। ক্লাস থেকে বের হতেই 'বাবা আমারে দুইডা টাকা দেন', 'স্যার কয়ডা টাকা দেন ভাত খামু'- এরকম আকুতি শুনতে হয় প্রায় সব শিক্ষার্থীকে। এছাড়াও কিছুদিন থেকে ২-৩ জন পাগলকেও ছোটাছুটি করতে দেখা যাচ্ছে।

শহীদ মিনারে বারবার হাত পেতে টাকা চাইছিল একজন বৃদ্ধা। তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিক্ষা করেন তিনি। সেন্ট্রাল ফিল্ডে আনুমানিক ৫ বছরের এক শিশু ভিক্ষা করা অবস্থায় বললো, 'মোরে কিছু টেহা দেও, মুই ভাত খামু, মোর মা বেমার (অসুস্থ), মোর বাপ মরা গেছে।' থাকে কোথায় জিজ্ঞেস করা হলে সে বলে, 'মুই মোর মায়ের লগে থাহি। মা আজ বেমার তাই মুই বের হইছি। মোর খালার লগে এখানে আইছি। খালা বইয়া আছে ওইদিকে, টাকা উঠান শ্যাষ হইলে লইয়া যাবো সাথে কইরা।'

সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৯তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মোঃ সিফাতুল্লাহ বলেন, 'ক্যাম্পাসে সবসময় ভিক্ষুক ছিল, শিক্ষার্থীরা মানবিক দিক বিবেচনা করে সাহায্য করে। তারা রাস্তার পাশে থেকে ভিক্ষা করতে পারে কিন্তু অনেকে ক্লাস চলাকালীন অবস্থায় ঢুকে পড়েন। এটা একই সাথে বিরক্তির কারণ আবার উদ্বেগেরও বিষয়। কোন ফর্ড যাতে ভিক্ষার নামে এসে অপকর্ম করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।'

বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ৫১তম আবর্তনের আরেক শিক্ষার্থী অমি বলেন, 'আমাদের শিক্ষার্থীদের চাহিদার চেয়ে অর্থ কম, তার উপর এতো এতো ভিক্ষুককে অনুগ্রহ দেখানো আমাদের পক্ষে অসম্ভব। তাই এটা একটা সমস্যায় পরিণত হয়েছে।'

সার্বিক বিষয়ে জানতে ক্যাম্পাসের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'ক্যাম্পাসে তো বহিরাগত নিষিদ্ধ নয়, নিষিদ্ধ হলে আমরা ব্যাবস্থা নিতে পারতাম। আর ভিক্ষুকের আড়ালে কে অপরাধী সেটা বোঝা কষ্টকর। গত পরশু দিন আমরা পরিসংখ্যান এর সামনে থেকে একজনকে ধরে নিয়ে আসলাম। আসলে তাদের উদ্দেশ্য হলো কেউ না থাকলে ভিতরে যা কিছু পাবে তাই নিয়ে যাবে। ডিপার্টমেন্টের ভিতরে এবং বাইরে গার্ড থাকে, তাদের এবিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।'


আরও খবর



যুদ্ধবিরতির মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় ৮ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যেই অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনী আটজন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এর মধ্যে একজন শিশুও আছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবরের পর পশ্চিম তীরে নিহতের সংখ্যা ২৩৯ জনে দাঁড়ালো। খবর আল জাজিরার।

ফিলিস্তিনের মন্ত্রণালয় গতকাল রবিবার জানিয়েছে, শনিবার শেষ নাগাদ এবং গতকাল রবিবার ভোরে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে পাঁচজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আরও তিনজন নিহত হয়েছে পশ্চিম তীরের বিভিন্ন জায়গায়। এ ছাড়া জেনিনে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে ছয়জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।

আরও পড়ুন>> যুদ্ধবিরতির মধ্যে পশ্চিম তীরে ছয় ফিলিস্তিনিকে হত্যা

ফিলিস্তিনের সংবাদ সংস্থা ওয়াফা বলছে, বিভিন্ন দিক থেকে ইসরায়েলি বাহিনী জেনিনে তাণ্ডব চালিয়েছে। তারা বুলেট ছুড়েছে এবং সরকারি হাসপাতাল এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির হেড কোয়ার্টার ঘিরে রেখেছে।

গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে ইসরায়েলি বাহিনী। সেইসঙ্গে হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের সীমান্ত ভেদ করে দেশটিতে তাণ্ডব চালায়। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছে ১২০০। আহত তিন হাজারের বেশি। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় নিহত হয়েছে ১৫ হাজারের বেশি। আহত অন্তত ৩০ হাজার।


আরও খবর



নওগাঁয় বিএনপির এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ফয়সাল আহম্মেদ, নওগাঁ প্রতিনিধি

Image

নওগাঁয় কামাল আহমেদ (৫২) নামের বিএনপির এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

শনিবার রাত ৯টার দিকে নওগাঁ পৌরসভার ইয়াদ আলীর মোড় এলাকায় হেলমেট ও মাস্ক পরা কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাঁর ওপর হামলা চালায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত কামাল আহমেদ নওগাঁ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সভাপতি। এ ছাড়া তিনি নওগাঁ ট্রাক বন্দোবস্তকারী সমিতির সাবেক সভাপতি।

নিহত ব্যক্তির পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাত ৯টার দিকে কামাল আহমেদ সান্তাহার রেলস্টেশন এলাকা থেকে অটোরিকশায় চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে নওগাঁ পৌরসভার ইয়াদ আলীর মোড় এলাকায় পৌঁছালে তিনটি মোটরসাইকেলে কয়েকজন অটোরিকশার পথ রোধ করে দাঁড়ায়। কামাল আহমেদকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে হেলমেট ও মাস্ক পরা ছয়-সাতজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন কামাল আহমেদকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নওগাঁ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক কামাল হোসেন জানান, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর ঘাড়ে ও পিঠে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহের পিঠে ও ঘাড়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কী কারণে কারা তাকে হত্যা করেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



আচরণবিধি লঙ্ঘনে শামীম ওসমানকে শোকজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার তল্লা এলাকায় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং নৌকার প্রার্থী এ কে এম শামীম ওসমানকে শোকজ করেছে ইসির অনুসন্ধান কমিটি।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে চিঠি দেন নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তা এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ কাজী ইয়াসিন হাবিব। আগামী ৩ ডিসেম্বর আদালতে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে কিংবা তার প্রতিনিধির মাধ্যমে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, গত ১ ডিসেম্বর জাতীয় পত্রিকার অনলাইনে ও ২ ডিসেম্বর প্রিন্ট ভার্সনে সচিত্র সংবাদ অনুযায়ী শুক্রবার শহরের তল্লা এলাকায় আপনার পক্ষে নৌকা প্রতীকের ফেস্টুন ও বাদ্যযন্ত্র নিয়ে মিছিল ও পথসভা করা হয়। যার ফলে যানবাহন ও পথচারীদের প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। এরূপ কার্যক্রম প্রার্থীর আচরণবিধিমালা ৬-এর (খ) এবং ১২ ধারা বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

আগামী ৩ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনে ব্যক্তিগতভাবে বা প্রতিনিধির মাধ্যমে ব্যাখ্যাসহ কারণ দর্শানোর অনুরোধ করা হলো। একই সঙ্গে নির্বাচন-পূর্ব সময়ে আচরণবিধি মেনে চলার জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হলো।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে শামীম ওসমানের পক্ষে শোডাউন ও নৌকায় ভোট চেয়ে মিছিল করেন ফতুল্লার যুবলীগ নেতা জানে আলম বিপ্লব। শতাধিক কর্মী সমর্থক সঙ্গে নিয়ে বাদ্য বাজিয়ে সড়ক প্রদক্ষিণ করেন তারা। এটি নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন। অনুসন্ধানী কমিটির উল্লিখিত ধারা অনুযায়ী প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে ভোট চাওয়া বা কোনো শোডাউন করতে পারবেন না।

শামীম ওসমানের অনুসারীদের মিছিলটি আচরণবিধির লঙ্ঘন স্বীকার করে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বলেন, যারা মিছিল করেছেন তাদের সতর্ক করা হবে। নির্বাচন অনুসন্ধানী কমিটি প্রার্থীকে চিঠি প্রদান করেছে।

এ বিষয়ে শামীম ওসমানের একান্ত সচিব হাফিজুর রহমান মান্না জানান, এ বিষয়ে জানা নেই। নোটিশ পেয়েছে কি না তা স্যার (শামীম ওসমান) ভালো বলতে পারবেন।

এদিকে চিঠির বিষয়ে শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠজনরা জানান, রোববার (৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় শামীম ওসমান সশরীরে আদালতে উপস্থিত হবেন। এই বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাবেন তিনি।


আরও খবর
আজ থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ

বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩




নির্বাচন সুষ্ঠু করতে মাঠে সেনাবাহিনী নামানো হবে: ইসি আলমগীর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে মাঠে সেনাবাহিনী নামানো হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেন, নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা যারা দিয়েছে কিংবা চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী তৎপর আছে।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের ভাষা সৈনিক আব্দুল জব্বার অডিটোরিয়ামে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের নির্বাচন কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া, জেলা প্রশাসক মুস্তাফিজার রহমান, পুলিশ সুপার মাছুম আহমেদ ভূঁইয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

আরও পড়ুন>> প্রার্থিতা ফিরে পেতে ইসিতে আপিল শুরু

ইসি আলমগীর বলেন, আমাদের ওপর বিদেশি কোনও চাপ নেই। নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে আমরা কী কী ব্যবস্থা নিয়েছি সে বিষয়ে জানতে চেয়েছে তারা।

বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ বিষয়ে তিনি বলেন, সংলাপের জন্য বারবার তাদেরকে আহ্বান করা হয়েছে কিন্তু তারা কখনও সাড়া দেয়নি। নির্বাচনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনে বদল করা হচ্ছে, এটা নতুন কিছু নয়।

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার জন্য রাজনৈতিক দল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভূমিকা রাখতে হবে এবং ভোটারদের কেন্দ্রে আনার ব্যবস্থা তাদেরকেই করতে হবে বলেন এই নির্বাচন কমিশনার।


আরও খবর
শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জাপার ৩ নেতা

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




রিমান্ড শেষে বিএনপি নেতা দুদু কারাগারে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা মডেল থানায় করা মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে ৩ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষ ঢাকা মেট্রোপলিন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

রোববার (৫ নভেম্বর) দিনগত রাত ১২টার দিকে ঢাকায় বোনের বাসা থেকে দুদুকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পর দিন সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

অপরদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন তার জামিন নামঞ্জুর করে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ শুরুর আগে বিএনপির নেতাকর্মীরা গাছের ডাল ভেঙে ও লাঠি দিয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের নামফলক, গেটে হামলা চালায়। তারা ভেতরে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এ ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করে পুলিশ।

ফখরুল-আব্বাস ছাড়াও মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।


আরও খবর
আজ থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ

বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩