আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের পদত্যাগ

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম।

আজ বুধবার রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে ইমেইলে পদত্যাগপত্র জমা দেন উপাচার্য।

পদত্যাগপত্রে উপাচার্য লেখেন, আপনার আদেশক্রমে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে আমাকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছিল। সে অনুসারে আমি দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ সচেষ্ট ছিলাম। বর্তমানে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।

এর আগে ২০২২ সালের ১ মার্চ অধ্যাপক মো. নুরুল আলমকে উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োগ দেওয়া হয়। একই বছরের ১৭ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে সাময়িকভাবে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে ১৩ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ৪ বছরের জন্য উপাচার্যের দায়িত্ব পান তিনি।

এ ছাড়া, জাবিতে একাধারে পদত্যাগ করেছেন প্রক্টর ও শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আলমগীর কবির এবংফজিলাতুন্নেছা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ছায়েদুল ইসলাম। তাদের পদত্যাগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রক্টর হিসেবে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. রুবেল, শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ হলের প্রভোস্ট হিসেবে সহযোগী অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার ও ফজিলাতুন্নেছা হলের প্রভোস্ট হিসেবে অধ্যাপক আফসানা হককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর
ইউজিসিতে দুই সদস্য নিয়োগ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের আশপাশ থেকে ১০ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের আশপাশের এলাকা থেকে সন্দেহভাজন ১০ ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ এই ১০ জনকে আটক করে ধানমন্ডি থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আজ ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের আশপাশের এলাকায় লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান করছেন অনেক লোকজন। এই এলাকায় কেউ এলেই তাঁদের থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তারা। কোথায় যাচ্ছেন, কেন এসেছেন, তা জানতে চাওয়া হচ্ছে। এমনকি পরিচয়পত্র ও মুঠোফোন দেখা হচ্ছে। ৩২ নম্বর সড়কে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

এই এলাকায় কখনো কাউকে কাউকে ধাওয়া দিতে দেখা গেছে। কাউকে মারধর করতেও দেখা গেছে। অবস্থান নেওয়া ব্যক্তিরাই এই এলাকায় আসা সন্দেহভাজন ১০ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।

ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেন বলেন, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের আশপাশে যারা এসেছেন, তাদের মুঠোফোন ঘেঁটে দেখেছেন অবস্থান নেওয়া ব্যক্তিরা। সন্দেহ হয়েছেএমন ১০ জনকে তারা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। এসব ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে জানিয়েছেন। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের পুলিশের পাশাপাশি সেনাসদস্যদের কাছে তুলে দেওয়া হচ্ছে।

এলাকাটিতে অবস্থানকারী চার ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে গতকাল বুধবার রাত থেকে এখানে আছেন। তারা কাউকে স্মৃতি জাদুঘরের দিকে যেতে দিচ্ছেন না।

আজ ১৫ আগস্ট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের এই দিনে বিপথগামী একদল সেনাসদস্য ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের এই বাড়িতেই বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে সপরিবার হত্যা করেন। আওয়ামী লীগ সরকারের গত প্রায় ১৫ বছরের শাসনকালে প্রতিবছর ১৫ আগস্ট বহু মানুষ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আসতেন বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। এদিন ৩২ নম্বরের এই বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।

আওয়ামী লীগ ও দলটির সহযোগীরা ১৫ আগস্টে পাল্টা অভ্যুত্থানের চেষ্টা করতে পারেনএমন খবর পেয়েছে বলে দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা বলেছেন, কেউ এ ধরনের কোনো চেষ্টা করলে প্রতিহত করা হবে। আজ সবাইকে রাজপথে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।

নিউজ ট্যাগ: ধানমন্ডি ৩২

আরও খবর



বিএনপি নেতাদের তদারকিতে সরানো হলো এস আলমের ১৪ বিলাসবহুল গাড়ি

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রাম নগরের একটি ওয়্যারহাউস থেকে এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদের পরিবারের ব্যবহৃত ১৪টি বিলাসবহুল গাড়ি সরানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের তদারকিতে এসব গাড়ি সরানো হয়েছে। গাড়িগুলোতে কী ছিল তা জানা যায়নি। অনেকের ধারণা, এসব গাড়িতে বিপুল পরিমাণ টাকা ছিল। তবে এ বিষয়ে কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণের নামে এস আলম গ্রুপের টাকা লুটপাট নিয়ে সমালোচনা চলছে। এমন সময় গ্রুপটির ত্রাণকর্তার ভূমিকায় বিএনপি নেতাদের দেখে চট্টগ্রামে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘটনাটি ২৯ আগস্ট দিবাগত রাতে। ওইসময় চালকদের একটি টিম কালুরঘাট শিল্প এলাকার মীর গ্রুপের মালিকানাধীন ওয়্যারহাউসে আসেন। তাদের ব্যাকআপ দিতে কয়েকটি গাড়ি সেখানে পৌঁছায়। গাড়িগুলো থেকে নামেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম, পটিয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব অহিদুল আলম চৌধুরী পিবলু এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ হোসেন নয়ন। একটি গাড়ি থেকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের চালক মনসুর। সেই গাড়ির ভেতরে আবু সুফিয়ান বসে ছিলেন বলে ধারণা প্রত্যক্ষদর্শীদের।

বিএনপি নেতাদের উপস্থিতি ও তদারকিতে একে একে বের করা হয় বিলাসবহুল ১৪টি গাড়ি। এর আগে গাড়িগুলো ছিল চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানার সুগন্ধা আবাসিক এলাকায়। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেখান থেকে কর্ণফুলী থানার মইজ্জারটেক এলাকায় এস আলমের মালিকানাধীন একটি ওয়্যারহাউসে গাড়িগুলো রাখা হয়েছিল।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম ও মীর গ্রুপের মালিক আবদুস সালাম সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই। আবার আবদুস সালাম সম্পর্কে সাইফুল আলম মাসুদের বেয়াই।

ঘটনার বিষয়ে বিএনপি নেতা এনামুল হক বলেন, সালাম ভাইয়ের কাছ থেকে বিএনপির লোক চাঁদা দাবি করেছে শুনে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। আমার সঙ্গে সুফিয়ান ভাইও ছিল। গাড়িগুলোর মালিক কে আমি জানি না। আমি শুধু সালাম ভাইকে সহযোগিতার জন্য গিয়েছিলাম। এস আলমের মাসুদ ও সালাম ভাই আত্মীয়। আত্মীয়তার খাতিরে যদি সালাম ভাইয়ের ওয়্যারহাউজে এস আলমের গাড়ি থাকলে দোষ দেখছি না।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, ঘটনা কী আমি জানি না। বিএনপির লোকজন চাঁদা দাবি করছে শুনে আমি এনামের সঙ্গে মীর গ্রুপের আবদুস সালামের একটি কারখানায় গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে আমরা সেটা মিটমাট করে দিয়ে চলে আসি।

এর আগে গত ২৮ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এস আলম গ্রুপের জ‌মি ও সম্পদ না কেনার পরামর্শ দেন। এদিন তিনি জানান, এস আলম গ্রুপ এবং তা‌দের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক-লেনদেন ও ঋণ স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন প্রতিষ্ঠানটি নামে-বেনামে থাকা বি‌ভিন্ন জ‌মি ও সম্পদ বি‌ক্রি করার চেষ্টা করছে। এগুলো ঠেকাতে আইনি প্রক্রিয়া দরকার।

ড. মনসুর বলেন, এস আলম বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি যিনি পরিকল্পিতভাবে ব্যাংক লুট করেছেন। এভাবে পৃথিবীতে কেউ ব্যাংক ডাকাতি করেছে কি না জানা নেই। এখন এস আলমের নামেবেনামে থাকা সম্পদ বিক্রি করে আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়া হবে। তাই এ মুহূর্তে এস আলমের সম্পদ যেন কেউ না কেনেন।


আরও খবর



শেরপুরে ৮ মাসে প্রেসক্লাবে ৩ কমিটি

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

জানুয়ারি চব্বিশ থেকে আগষ্ট চব্বিশ পর্যন্ত এই ৮ মাসে সাংবাদিকদের সংগঠন শেরপুর প্রেসক্লাবের কার্য নির্বাহী কমিটি হয়েছে ৩ টি। আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্যদের সরাসরি হস্তক্ষেপে দীর্ঘদিন ধরে শেরপুর প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন এবং পরিচালিত হয়ে আসছিলো। আওয়ামী লীগের পছন্দের লোক দিয়ে কমিটি গঠন করায় শেরপুরের মূলধারার সাংবাদিকরা পড়েছিলো চরম বিপদে। স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার পতনের পর আবারো মাথা চারা দিয়ে উঠেছিলো আরেকটা গ্রুপ।

জানা যায়, শেরপুর প্রেসক্লাব গঠিত হয় ১৯৮০ সালে। এরপর স্বাভাবিক পথ চলায় বিপত্তি আসে ২০০৯ সালে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে প্রথমে সাবেক এমপি আতিউর রহমান আতিক তার আস্থাভাজনদের দিয়ে একটি কমিটি গঠন করেন। পরবর্তীতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আতিউর রহমান আতিক কে পরাজিত করে এমপি হন স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানুয়ার হোসেন ছানু। এবার ছানু আগের সব কমিটি বাদ দিয়ে তিনিও তার পছন্দের লোকদের দিয়ে গঠণ করেন নতুন কমিটি।

সর্বশেষ ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে সাংবাদিক কাকন রেজাকে সভাপতি ও মাসুদ হাসান কে সাধারণ সম্পাদক করে ২২ আগষ্ট সন্ধায় কয়েকজন সাংবাদিক মিলে প্রেসক্লাবের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে একটি ২২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির ঘোষণা দেয়।

কিন্তু এ কমিটি গঠনের পর শেরপুর জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। উঠে সমালোচনার এবং নিন্দার ঝড়। পূর্বের কমিটি থেকে জানা যায় আওয়ামী লীগের আমলে সাবেক এমপি আতিক, ছানু ঘোষিত কমিটির সদস্যরাই এখন ভুল পাল্টিয়ে নিজেদের বিএনপির কমিটি বলার চেষ্টা করছেন। তবে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ এ অবৈধ কমিটি সম্পর্কে অবগত নয় বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রদান করেন।

এবিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী বলেন, দুষকৃতকারী কিছু সাংবাদিক বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে আমাদের মিস গাইড করে প্রেসক্লাবের কমিটি করেছে। এই কমিটি সম্পর্কে আমরা অবগত নই। সাংবাদিকদের কমিটি সাংবাদিকরাই করবে এটা আমরা কেন করতে যাবো।

জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল বলেন, আমরা এই উদ্ভুত পরিস্থিতি এবং আইনশৃংখলা রক্ষার্থে নিয়মের বাইরে গিয়েও দলীয় প্যাডে আমরা সভাপতি সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষর করে সাংবাদিকদের অবগত করি যে, প্রেসক্লাবের এই কমিটি সম্পর্কে অবগত নই।

এদিকে শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জ্বল বলেন, সাংবাদিকদের একটি চক্র বিএনপির নাম ভাঙিগে রাতের আধারে প্রেসক্লাবের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে ২২ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা দেয়। বিএনপি নেতাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান আমরা এই কমিটির ব্যাপারে অবগত নই এবং তারা একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে যা তারা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: শেরপুর

আরও খবর



৪ সেপ্টেম্বর থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকার পতনের একদফা আন্দোলন এবং শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর বিভিন্ন থানায় হামলার ঘটনা ঘটে। এতে থানাসহ বিভিন্ন ইউনিট এবং ডিউটিস্থল থেকে অস্ত্র লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এসব অস্ত্র উদ্ধারে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে যৌথ অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সল আহমেদ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ ইতোমধ্যে কিছু উদ্ধার করা হয়েছে। লুণ্ঠিত অবশিষ্ট অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের পর লুট হওয়া অস্ত্র ফেরত দিতে আহ্বান জানিয়ে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এসব লুট হওয়া অস্ত্র এবং গোলাবারুদ ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফেরত না দিলে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানায় পুলিশ সদর দপ্তর।

এছাড়া এর আগে বেসামরিক জনগণকে গত ১৫ বছরে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব অস্ত্র জমা দেওয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়।


আরও খবর



মহেশপুর সীমান্তে বিজিবির অভিযানে নারী পাচারকারী আটক, উদ্ধার ৩

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পাচারের সময় ৩ নারীকে উদ্ধার করেছে বিজিবি। এ সময় বিকাশ সরকার (৪১) নামের এক ভারতীয় পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে।

রবিবার সন্ধ্যা রাতে মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। আটক বিকাশ সরকার পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কল্যানী মাঝের চর গ্রামের রাইমোহনের ছেলে।

মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অতিরিক্ত পরিচালক ওবায়েদুর রহমান জানান, বাঘাডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে নারী পাচার করা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালায় খালিশপুর ৫৮ বিজিবি। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের চেষ্টা করলে বিজিবি ২ রাউন্ড ফাকা গুলি বর্ষণ করে। পরে আটক করা হয় ভারতের নদীয় জেলার কল্যাণী এলাকার নারী পাচারকারী বিকাশ সরকারকে। উদ্ধার করা হয় ৩ নারীকে। তাদের বাড়ী নড়াইল ও রাজবাড়ী জেলায়।

এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করে বিকাশ সরকারকে মহেশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত নারীদের একটি সংস্থার মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে বিজিবি।


আরও খবর