ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান
ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং তাঁর স্বামী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী
মো. রাসেল মোল্লার বিরুদ্ধে প্রতারণার একটি মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এ অভিযোগ গঠন করেন। অভিযোগ গঠনের মধ্য
দিয়ে দুজনের বিরুদ্ধে মামলার বিচার শুরু হলো। একই সঙ্গে মামলার অপর আসামি ইভ্যালির
আরেক কর্মকর্তা মইনুল হককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ গঠন শুনানির
সময় শামীমা নাসরিন আদালতে হাজির হননি। রাসেলকে কারাগার থেকে হাজির করা হয়। আর মইনুল
হক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের পক্ষের আইনজীবীরা মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন
করেন।
শুনানি শেষে অব্যাহতির
আবেদন নামঞ্জুর করে রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। শামীমাকে পলাতক
ঘোষণা করে অভিযোগ গঠন এবং তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। মইনুল হকের
অব্যাহতির আবেদন মঞ্জুর করা হয়। আদেশে বলা হয়, মইনুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের কোনো
উপাদান নেই।
চলতি বছর ২৯ আগস্ট
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলায় শামীমা, রাসেলসহ তিনজনের বিরুদ্ধে
অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম।
অভিযোগপত্রে তদন্ত
কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত
হয়েছে। চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন প্রচার করে গ্রাহকদের পণ্য কিনতে আকৃষ্ট করে বিপুল পরিমাণ
টাকা আত্মসাৎ করেছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধারেরা।
চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনে
আকৃষ্ট হয়ে পণ্য কিনতে ওই প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ ১০ হাজার ৫৯৭ টাকা দেন আরিফ বাকের নামের
এক গ্রাহক। ৭ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য দেওয়ার কথা থাকলেও তা না দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে
ওই অর্থ আত্মসাৎ করেন প্রতিষ্ঠানের দুই কর্ণধার। টাকা চাইতে গেলে ভয়ভীতি দেখানো এবং
টাকা দিতে অস্বীকার করেন রাসেল ও তাঁর স্ত্রী।
এই অভিযোগে গত
বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে গ্রাহক আরিফ বাকের গুলশান থানায় প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের
অভিযোগে রাসেল ও তাঁর স্ত্রী চেয়ারম্যান শামীমার বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই দিনই শামীমা
ও রাসেলকে প্রতারণার দায়ে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।