আজঃ মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

ইভা রহমানের নতুন স্বামীর পরিচয় জানা গেছে

প্রকাশিত:সোমবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০21 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০21 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বেসরকারি টিভি চ্যানেল এটিএন বাংলায় সংবাদ পাঠক হিসেবে কাজ করতেন ইভা রহমান। সেই সুবাদেই পরিচয় চ্যানেলটির চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে। গড়ে ‍উঠে সখ্যতা। শুরু হয় মন দেয়া নেয়া। গাঢ় হতে থাকে দুজনের প্রেম। অত:পর বিয়েও করেন তারা। হাসি আনন্দ নিয়ে সুখেই সংসার করে আসছিলেন এই দম্পতি। বিভিন্ন সময় সে সুখের বহিঃপ্রকাশও দেখা গেছে। কিন্তু দীর্ঘ দিনের সেই সংসার ভেঙে গেছে।

এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমানের প্রাক্তন স্ত্রী ও গায়িকা ইভা রহমান নতুন করে ঘর বেঁধেছেন। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) খবরটি প্রকাশ্যে আসে।

এদিকে ইভা রহমানের নতুন স্বামীর পরিচয় পাওয়া গেছে। একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র নিশ্চিত করেছে, ইভার নতুন স্বামীর নাম সোহেল আরমান। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী। বর্তমানে তারা রাজধানীর গুলশানে বসবাস করেন।

সূত্রটি আরও জানায়, মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে ইভা রহমানের দাম্পত্য কলহ বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই। এ কারণে তারা আলাদা থাকতেন। অবশেষে গত জুন মাসে বিবাহবিচ্ছেদ করেন তারা।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর ডিভোর্সের সার্টিফিকেট হাতে পান ইভা। এরপরই সোহেল আরমানকে বিয়ে করেন তিনি। ছোট পরিসরে পারিবারিক আয়োজনে সম্পন্ন হয়েছে তাদের বিয়ে। সোহেলের সঙ্গে ইভার আগে থেকেই পরিচয় ছিল। সেই পরিচয় সূত্রেই তারা সম্পর্কে জড়ান এবং বিয়ে করেছেন।


আরও খবর



১৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪০৯৬ কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনে বৈধ পথে দেশে ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার (প্রতি এক ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে) পরিমাণ প্রায় ১৪ হাজার ৯৬ কোটি টাকার বেশি। এ হিসাবে গত ১৯ দিনে দৈনিক গড়ে ৬ কোটি ৭৪ লাখ ডলার বা ৭৪১ কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। প্রবাসী আয়ের এ ধারা অব্যাহত থাকলে পুরো মাস শেষে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি এপ্রিল মাসের ১৯ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ১০ হাজার ডলার এসেছে। তার মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ৩২ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে একটি ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে ৭ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০৮ কোটি ৮১ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৯ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।

অন্যদিকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা রয়েছে ৯টি। যার মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।

এর আগে বিদায়ী মার্চ মাসের পুরো সময়ে বৈধ পথে প্রায় দুই বিলিয়ন (১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স আসে। ওই মাসটির পুরো সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে।

এর আগে চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি বা ২ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল এবং দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

গত বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর মাসে এসেছিল ১৯৩ কোটি ডলার এবং শেষ মাস ডিসেম্বরে আসে ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।

২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল দেশে।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে এক ঘণ্টার ব্যবধানে দুইজন নারী মারা গেছেন। তারা দুজনই আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের বেগুয়ারখাল গ্রামের বাসিন্দা।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টায় স্বামীর জন্য মাঠে ভাত নিয়ে যাওয়ার সময় আশুরা খাতুন (২৫) ও সকাল সাড়ে ১০ টায় আয়েশা বেগম (৭০) মারা যান।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বেগুয়ারখাল গ্রামের আনোয়ার হোসেন খুব সকালে না খেয়েই মাঠে ক্ষেতে কাজ করতে যান। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার স্ত্রী আশুরা খাতুন মাঠে ভাত নিয়ে যাচ্ছিলেন। স্বামীর ক্ষেত পর্যন্ত পৌঁছার আগেই জমির আইলে পা বেঁধে আশুরা খাতুন মাটিতে পড়ে যান। মাঠের কৃষকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশুরাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে তোড়জোড় করার সময়ই তিনি মারা যান। আশুরা-আনোয়ার দম্পত্তির ৭ বছরের এক মেয়ে আছে।

এর এক ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১০টায় একই গ্রামের আক্কাস আলীর স্ত্রী আয়েশা বেগম মারা যান। ক'দিনের তীব্র গরমে তিনি হাঁসফাঁস করছিলেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত গ্রাম্য চিকিৎসক রাশেদুল ইসলাম বলেন, কয়দিনের তীব্র গরমে আয়েশা বেগম অসুস্থ হয়ে পড়েন। দুজনই হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

এর আগে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র দাবদাহে গত দুদিনে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। হিট স্ট্রক ও ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন অনেকেই। আজ চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন ভারতের পররাষ্ট্র-সচিব বিনয় কোয়াত্রা। বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব।

দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ টি এম রকিবুল হক এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা কোয়াত্রাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক্স হ্যান্ডেল (সাবেক টুইটারে) এক পোস্টে জানানো হয়, সংক্ষিপ্ত সফরে আজ সন্ধ্যায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব। আশা করা হচ্ছে তিনি বৃহস্পতিবার (৯ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়া কোয়াত্রা পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশ সফরকালে কোয়াত্রা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে দিল্লি সফরের আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেবেন। আশা করা হচ্ছে, ভারতের লোকসভা নির্বাচনের পর সরকারপ্রধান দিল্লি সফরে যাবেন।

এদিকে, বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে কোয়াত্রার সফরে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী। তাদের সঙ্গে নানা বিষয় আছে। স্বাভাবিকভাবে নানা বিষয় আলোচনা হবে। তিনি আসার পর আমরা বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।

ভারতীয় পররাষ্ট্রসচিবের ঢাকায় আসার একদিন আগে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সীমান্তে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। কোয়াত্রার সফরে সীমান্ত হত্যার প্রসঙ্গটি তোলা হবে বলে সাংবাদিকদের জানান হাছান মাহমুদ।

প্রসঙ্গত, গত ২০ এপ্রিল ঢাকায় আসার কথা ছিল ভারতের পররাষ্ট্র-সচিব বিনয় কোয়াত্রার। তবে অনিবার্য কারণে তার পূর্বনির্ধারিত সেই সফর স্থগিত করা হয়।


আরও খবর



ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সমর্থকদের সংঘর্ষ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার (ইউসিএলএ) ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিন সমর্থক ও ইসরায়েল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে এ সংঘাতের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডেইলি ব্রুইনের সংবাদকর্মী ডিলান উইনওয়ার্ড জানিয়েছেন, ইসরায়েলপন্থীরা স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থীদের ক্যাম্পের সামনে হাজির হয়। তারা ক্যাম্পের দিকে আতশবাজি, একটি স্কুটার, পানির বোতল এবং টিয়ার গ্যাসসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ছুঁড়েছে।

কী কারণে সংঘাতের সূত্রপাত হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে ইসরায়েলপন্থীরা প্রথমে হামলা চালিয়েছিল বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালেয়ের উপ-উপাচার্য মেরি ওসাকো বলেছেন আজ রাতে শিবিরে ভয়াবহ সহিংসতা ঘটেছে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে তলব করা হয়েছে।

এদিকে, মঙ্গলবার রাতে পুলিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিল্টন হলে প্রবেশ করে। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি এবং নিউইয়র্কের সিটি কলেজ থেকে শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

দুই সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদের অংশ হিসাবে তাবু গেড়ে অবস্থান নেওয়া শুরু করে। বিক্ষোভকারীদের মূল দাবি হচ্ছে, যেসব ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান গাজার যুদ্ধ থেকে লাভবান হচ্ছে, তাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।


আরও খবর



অতিরিক্ত গরমে বিশ্বে বছরে ১৯ হাজার শ্রমজীবীর মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অতিরিক্ত গরমে কারণে বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ১৮ হাজার ৯৭০ জন শ্রমজীবী মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সোমবার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) প্রকাশিত এক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

এনশিউরিং সেফটি অ্যান্ড হেলথ অ্যাট ওয়ার্ক ইন আ চেঞ্জিং ক্লাইমেট (জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা) শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের সব অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা যাচ্ছে। ৩৪০ কোটি শ্রমশক্তির মধ্যে ২৪০ কোটি মানুষই কোনো না কোনোভাবে অতিরিক্ত তাপের সংস্পর্শে আসছেন। অর্থাৎ, বৈশ্বিক শ্রমশক্তির ৭০ শতাংশের বেশি মানুষ অতিরিক্ত তাপের সংস্পর্শে আসছেন।

আইএলওর প্রতিবেদনে বলা হয়, অতিরিক্ত গরমজনিত প্রায় সোয়া দুই কোটি পেশাগত দুর্ঘটনায় ২০ লাখের বেশি মানুষকে নানা প্রতিবন্ধিতা নিয়ে বাস করতে হচ্ছে। কৃষি, নির্মাণ, পরিবহন খাতের মতো বাইরে কাজ করা কর্মীরা অতিরিক্ত গরমের কারণে মৃত্যু ও প্রতিবন্ধিতার ঝুঁকিতে পড়ছেন। তাঁরা হিটস্ট্রেস, হিটস্ট্রোক, হিটক্র্যাম্পস, র‍্যাশ, ত্বকে ক্যানসার, হৃদ্‌রোগ, শ্বাসজনিত অসুস্থতা, কিডনির রোগ ও মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন। অন্তঃসত্ত্বা নারীরা নানা জটিলতায় পড়ছেন।

প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনের আরও নানা কারণে কর্মক্ষেত্রসংক্রান্ত মৃত্যুর তথ্য উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে ১৬০ কোটি মানুষ আলট্রাভায়োলেট রেডিয়েশনের ঝুঁকিতে পড়ে। এ কারণে ত্বক ক্যানসারে বছরে মৃত্যু হয় ১৮ হাজার ৯৬০ জনের। বাইরে বা রাস্তাঘাটে কাজ করা ১৬০ কোটি মানুষ বায়ুদূষণের শিকার হয়। এর ফলে ৮ লাখ ৬০ হাজার কর্মীর মৃত্যু হয়। ৮৭ কোটির বেশি মানুষ কৃষিকাজ করেন। এই কাজ করতে গিয়ে তাঁরা বিভিন্ন কীটনাশকের সংস্পর্শে আসেন। বছরে ৩ লাখের বেশি কর্মী কীটনাশকের বিষাক্ততার কারণে মারা যান। পরজীবী, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসবাহিত রোগের সংস্পর্শে এসে (ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়ার মতো রোগ সৃষ্টিকারী) বছরে ১৫ হাজার কর্মী মারা যান। চরম আবহাওয়ায় ভূমির পরিবর্তন, খাদ্যসংকট ও বিশুদ্ধ পানির অভাবের মধ্যে কাজের নিশ্চয়তা কমে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে হতাশা শুরু হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চরম আবহাওয়ায় বাংলাদেশ, ভারত, লাওসসহ অনেক অঞ্চলে গত বছরের এপ্রিলে রেকর্ড পরিমাণ উচ্চ তাপমাত্রা দেখা গেছে। এ ধরনের আবহাওয়াকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, চরম আবহাওয়ায় বাংলাদেশ, ফিলিপাইন ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, হতাশা, মাদকাসক্তি, আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে।

২০২০ সালের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এই হিসাব তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদন বলা হয়, ২০০০ সালের তুলনায় ২০২০ সালে প্রায় ৩৫ শতাংশ বেশি কর্মী অতিরিক্ত তাপের কারণে ঝুঁকিতে পড়েছেন। তাপমাত্রা ও শ্রমশক্তি বাড়ার কারণে এ সংখ্যা বেড়েছে বলে ধারণা প্রকাশ করা হয় প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে অতিরিক্ত তাপ, আলট্রাভায়োলেট রেডিয়েশন, চরম আবহাওয়া, কর্মক্ষেত্রে বায়ুদূষণ, পরজীবী-ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাসবাহিত রোগ এবং অ্যাগ্রোকেমিক্যাল (কৃষি খাতে ব্যবহার করা রাসায়নিক)এ ছয় ক্ষেত্রে কর্মীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, অতিরিক্ত তাপের পাশাপাশি বন্যা, খরার মতো চরম আবহাওয়ায় বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে হতাশা, উদ্বেগ, সব বয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা, পোস্টট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার (পিটিএসডি) বা মানসিক আঘাতজনিত দুশ্চিন্তা ও মাদকাসক্তি বাড়ছে। দুর্যোগের মধ্যে জরুরি কাজে নিয়োজিত কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী, জেলে, কৃষি ও নির্মাণশ্রমিকদের মধ্যেও নাজুক মানসিক অবস্থা দেখা যাচ্ছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা যা আছে, তা যথেষ্ট নয়। অনেক দেশ তাপ থেকে সৃষ্ট রোগকে পেশাগত রোগ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। ঝুঁকির ক্ষেত্রে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমজীবীরা। ঝুঁকি থাকলেও আর্থিক কারণে তাঁরা অতিরিক্ত গরমের মধ্যেও কাজ করেন।

প্রতিবেদন প্রসঙ্গে আইএলওর অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ (ওএসএইচ) দলের প্রধান মানাল আজি বলেন, এটা এখন স্পষ্ট যে জলবায়ু পরিবর্তন কর্মীদের উল্লেখযোগ্য হারে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এই ঝুঁকিগুলোর বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া দরকার। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলায় নীতি গ্রহণ ও কার্যকলাপবিষয়ক যা যা করা হয়, তার মধ্যে অবশ্যই পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।


আরও খবর