অনলাইনে আয়ের
উদ্দেশ্যে কিংবা নিতান্তই শখের বসে ইউটিউব চ্যানেল খোলেন অনেকে। উদ্দেশ্য যেটিই হোক-
সবাই চায় তাঁর ভিডিও গুলি বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাক। কিছু কৌশল অবলম্বন করে সহজেই ইউটিউবের
ভিউ বাড়ানো যায়। এই কৌশলগুলো নিয়ে আলোচনা করা হল-
কিওয়ার্ড ব্যবহার
করুন
গুগলের মতো ইউটিউবে
ভিডিও র্যাংক করানোর জন্যও প্রয়োজন কিওয়ার্ড ব্যবহার। কিওয়ার্ড মূলত কোনো নির্দিষ্ট
কনটেন্ট খোঁজার জন্য ব্যবহৃত প্রাসঙ্গিক শব্দ। সার্চবারে বিভিন্ন নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড
লিখেই বেশির ভাগ ব্যবহারকারী ইউটিউবে নিজের কাঙ্ক্ষিত ভিডিওর খোঁজ করেন। তাই ভিডিওর
বিষয় যাই হোক না কেন, প্রাসঙ্গিক শব্দ কিওয়ার্ড হিসেবে অবশ্যই ভিডিওর শিরোনাম বা টাইটেলে
ও ডেসক্রিপশনে রাখতে হবে। ফলে ইউটিউবের অ্যালগরিদম সহজেই আপনার ভিডিওর বিষয় বুঝে সার্চ
ফলাফলে দেখাতে সক্ষম হবে।
সঠিক শিরোনাম
প্রয়োজন
সার্চ তালিকার
শুরুতে ভিডিও র্যাংক করানোর জন্য ভিডিওর শিরোনাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, শিরোনাম
রাখতে হবে ১০০ অক্ষরের মধ্যে। শিরোনামের মধ্যে আকর্ষণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ শব্দ রাখতে
হবে। ফলে দর্শকেরা ভিডিওটি দেখতে আগ্রহী হবেন। শিরোনামে কখনোই ভুল বা অতিরঞ্জিত শব্দ
লেখা যাবে না। ভুল বা অতিরঞ্জিত শব্দ রাখলে তাৎক্ষণিক ভাবে কিছু ভিউ পাওয়া গেলেও দর্শকেরা
এই চ্যানেলের ওপর ভরসা হারাবেন। ফলে, সময়ের সঙ্গে ভিউ কমে আসার সম্ভাবনা থাকবে।
থাম্বনেইল হতে
হবে আকর্ষণীয়
দর্শকদের ভিডিওতে
আগ্রহ তৈরি করতে থাম্বনেইল আকর্ষণীয় হওয়া জরুরি। এ ছাড়া, থাম্বনেইলের ডিজাইন ভালো রাখার
পাশাপাশি ভিডিও সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্যও লেখা উচিৎ। অল্প কথায় আকর্ষণীয় শব্দে লেখা
উচিত। এতে করে বেশি দর্শক ভিডিওটি দেখতে আগ্রহী হবেন।
সামঞ্জস্যপূর্ণ
ডেসক্রিপশন প্রয়োজন
ভিডিওর ডেসক্রিপশন
লিখতে হবে ১০০ শব্দের মধ্যে। চেষ্টা করতে হবে ডেসক্রিপশনের প্রথম ২৫ শব্দের মধ্যেই
কিওয়ার্ডের শব্দগুলো যাতে উল্লেখ থাকে। মূলত ভিডিওতে কি দেখানো হয়েছে তা লিখতে হবে
এই সেকশনে।
ট্যাগ দিতে ভোলা
যাবে না
ভিডিওর ট্যাগ
যুক্ত করার ব্যাপারে অনেকেই অনীহা প্রকাশ করেন। তবে ইউটিউবে ‘ট্যাগ’ অপশন বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ভিডিও র্যাংক
করাতে ‘ট্যাগ’ অপশন কাজে আসে। ট্যাগ দেওয়ার ক্ষেত্রেও
সতর্ক থাকতে হবে। ভুল ট্যাগ ব্যবহারে উল্টো ক্ষতি হতে পারে। ভিডিওটি কোন বিষয়ের ওপর
তৈরি করা হয়েছে, সে বিষয়গুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে।
ভালো ভিডিও তৈরি
করার বিকল্প নেই
যত কৌশলই অবলম্বন
করা হোক না কেন ভিডিও ভালো না হলে চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা বাড়বে না। ফলে, খুব
বেশি দিন ভিডিওর ভিউ ধরে রাখা সম্ভব হবে না। তাই একজন ইউটিউবারের উচিত সবার আগে ভালো
কনটেন্ট বানানোতে নজর দেওয়া। পরবর্তীতে কৌশলগুলি প্রয়োগ করে ভিউ বাড়ানো যেতে পারে।