নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিবাদমান দ্বন্দ্বের জেরে চরএলাহী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে কাদের মির্জার অনুসারীদের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় চেয়ারম্যানের পরিবারের অন্তত তিনজন সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪টি ককটেল বোমা, ৩টি চকলেট বাজি ও ১ রাউন্ড ব্যবহৃত কার্তুজ উদ্ধার করেছে।
শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চরএলাহী গ্রামের রাজ্জাক চেয়ারম্যানের বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতা মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী উপজেলার চরএলাহী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক অভিযোগ করেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে কাদের মির্জার অনুসারী চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল গণি ও হেলাল হোসেন মেম্বারের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে আমার বসত বাড়িতে হামলা চালায়। তারা বসত ঘর লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ সময় আমার পরিবারের তিনজন আহত হন।
এদিকে চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল গণি বলেন, এটি সাজানো নাটক। যখন হামলার ঘটনা ঘটে তখন আমরা বসুরহাট বাজারে ছিলাম।
গণি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে রাজ্জাক চেয়ারম্যান ও শাহিন বাহিনী আমার বাড়িতে যে গুলি ও বোমাবাজি করে লোকজন আহত করেছেন সে ঘটনা আড়াল করতেই চেয়ারম্যান এ হামলার নাটক সাজিয়েছেন। তিনি রাজ্জাক চেয়ারম্যানের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি করেন।
আবদুল গণি বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী এবং চরএলাহী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই পুষ্প বরণ চাকমা জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪টি ককটেল,৩টি চকলেট বাজি ও বসতঘর থেকে ব্যবহৃত এক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে।
ওসি মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো যাবে।