ইউক্রেনের দুই
রুশপন্থী অঞ্চলকে ‘স্বাধীন’ ঘোষণা করতে পারে রাশিয়া। সোমবারই এ নিয়ে
সিদ্ধান্ত নিচ্ছে মস্কো। এমনই জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কূটনৈতিক
মহলের আশঙ্কা, এই পদক্ষেপে পশ্চিমা-সমর্থিত সরকারের সঙ্গে সঙ্ঘাত শুরু হতে পারে রাশিয়ার।
সিকিউরিটি কাউন্সিলের
সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে পুতিন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন দোনেৎস্ক ও লুগানস্ককে স্বাধীন ঘোষণা
করা হবে কি না। রুশ সংবাদ সংস্থার দাবি, ওই বৈঠকে পুতিন বলেছেন, আপনাদের সবার মতামত
জানলাম। আজই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। একটি বিবৃতিতে ক্রেমলিন জানায়, পূর্ব ইউক্রেনের
দুই রুশপন্থী অঞ্চলকে স্বাধীন হিসাবে ঘোষণা করতে পারেন পুতিন। অদূর ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে
লিখিত নির্দেশ দেবেন তিনি। আবার সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, নিজের এই সিদ্ধান্তের
কথা ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ ও জার্মানির চ্যান্সেলার ও জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট
ওলাফ শলৎসকে জানিয়েছেনপুতিন। কিন্তু টেলিফোন কথোপকথনে দুই দেশের প্রধানই অসম্মতি প্রকাশ
করেছেন।
এই স্বীকৃতি দীর্ঘ
টানাপড়েনের অবসান ঘটাবে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ। কারণ, ২০১৪ সালে রাশিয়া
ক্রিমায়াকে দখল করার পর বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যতলাপে প্রায় ১৪ হাজার মানুষের মৃত্যু
হয়েছে। অন্য অংশের মত আবার ভিন্ন। এ নিয়ে তাঁরা বড় সঙ্ঘাতের আঁচ করছেন। আবার এর ফলে
বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলির সঙ্গে শান্তিচুক্তি শেষ হবে এবং ইউক্রেন অঞ্চলে সেনাও পাঠাতে
পারবে রাশিয়া। দুই অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ, যাদের কাছে রাশিয়ার পাসপোর্ট রয়েছে,
তাদের সুরক্ষার্থে এই পদক্ষেপ বলে ব্যাখ্যা দিতে পারেন পুতিন। ফলত, ইউক্রেনের উপর পরোক্ষ
ভাবে চাপ বাড়ছে। তাদের হাতে দুটি বিকল্প। হয় দুই অঞ্চলের অধিকার ছেড়ে দিতে হবে, নয়ত
রাশিয়া সেনা বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হবে।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেন-সঙ্কটের
আবহে কয়েক দিন আগে স্বঘোষিত দোনেৎস্ক পিপলস্ রিপাবলিকের জরুরি মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া
একটি বিবৃতিতে বলা হয়, প্রায় সাত লক্ষ মানুষকে তারা রাশিয়ার সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা
করেছে। ওই অঞ্চলে ইউক্রেন গোলাবর্ষণ করছে বলে অভিযোগ করা হয়।