আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠানো নিয়ে কী ভাবছে ফ্রান্স

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৯ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ইউক্রেনে ১৪টি লেপার্ড-২ ট্যাংক পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন। দেশটির এ সিদ্ধান্তের পর ইউরোপের প্রতিবেশী ডজনখানেক দেশ ট্যাংক পাঠানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। তবে ট্যাংক পাঠানোর সেই তালিকায় এখনো নেই ফ্রান্স। কেন ফ্রান্সের এ নিষ্ক্রিয়তা তা নিয়ে বিশ্লেষণী তুলে ধরেছে দ্য ইকোনমিস্ট।

কয়েক দিন আগে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ফরাসি লেক্লারক ট্যাংক ইউক্রেন যুদ্ধে অবদান রাখবে কি না, তখন তিনি বলেছিলেন, এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বছরের শুরুতে জার্মানিকে উদ্বুদ্ধ করতে আগ্রহী ছিল ফ্রান্স। আর তাই জানুয়ারির প্রথম দিকে ঘোষণা করা হয়, তারা ইউক্রেনে হালকা ট্যাংক এএমএক্স-১০ আরসি পাঠাবে। যদিও এর আগের মাসেই ম্যাক্রোঁ যুক্তি দিয়ে বলেন, ভবিষ্যতে শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার। তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যোগাযোগের লাইন খোলাও রেখেছিলেন।

প্রশ্ন উঠছে তাহলে ইউক্রেন নিয়ে ফ্রান্সের কৌশল বা নীতি আসলে কী? ফ্রান্সের অবস্থানের অস্পষ্টতা দুটি জিনিস থেকে বোঝা যায়। একটি হলো রাশিয়ার হামলার আগের কয়েক বছর ম্যাক্রোঁ যে ভূমিকা পালন করেছিলেন তা লক্ষ্য করলে। পুতিনকে আরও ভাল আচরণে আকৃষ্ট করার চেষ্টা এবং তাকে তার বাসভবনে স্বাগত জানানোর আগে, যুদ্ধ ঠেকাতে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুতে মস্কোতে শেষ সফর করেন ম্যাক্রোঁ। এসব ব্যর্থ পদক্ষেপ ফরাসি প্রেসিডেন্টকে এমন একজন নেতা হিসাবে প্রকাশ করে, যিনি পুতিনের যুদ্ধের মোকাবিলা করতে ইচ্ছুক নন।

দ্বিতীয়টি হলো, রাশিয়ার আগ্রাসনের পরে ম্যাক্রোঁ তার রাশিয়ান প্রতিপক্ষের সঙ্গে পশ্চিমা নেতাদের চেয়ে বেশি কথা বলেছেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট শান্তি আলোচনার সম্ভাবনাকে সামনে আনেন। তিনি যুক্তি দেন রাশিয়ার উদ্বেগগুলো বিবেচনায় নেওয়া দরকার। গত বছর তিনি রাশিয়াকে অপমান না করার জন্য কৌশলী আচরণ করেন। অনেকের ধারণা, ম্যাক্রোঁ ইউক্রেনকে শান্তি আলোচনার জন্য চাপ দিতে পারেন।

ফরাসি প্রেসিডেন্সি স্পষ্টতই এটি অস্বীকার করে আসছে। ম্যাক্রোঁ রাশিয়ার প্রতি তার যোগাযোগের লাইন কঠিন করেছেন। গত ৩১ ডিসেম্বর ম্যাক্রোঁ ঘোষণা করেন, ফ্রান্স ইউক্রেনকে জয়ের সব পথে সমর্থন করবে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের এ পরিবর্তন কিয়েভও লক্ষ্য করেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই খবরের প্রতিক্রিয়ায় এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ম্যাক্রোঁর বিবৃতি প্রকৃতপক্ষে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন প্রদর্শন করে।

আজকাল পুতিনের সঙ্গে ফরাসি প্রেসিডেন্টের কথোপকথন সতর্কভাবে বিবেচনা করা হয়। গত সেপ্টেম্বর থেকে এই জুটি আর কথা বলেননি। ইতিমধ্যে, ফ্রান্স ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক সিজার হাউইটজার ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠিয়েছে। এএমএক্স-১০ আরসি শিগগির পাঠানো হবে৷

ম্যাক্রোঁ এখনও আশা করছেন, ফ্রান্স একদিন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে মধ্যস্থতা করতে সাহায্য করবে। তার এই নীতি ব্যাখ্যা করতে পারে, কেন তিনি ইউক্রেনের জন্য ইউরোপের সামরিক সমর্থনে নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক ছিলেন। প্যারিসের বৈদেশিক-নীতি প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে চলে যায় এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গিতে দীর্ঘস্থায়ী ভয়ও থাকতে পারে তার। কিন্তু ফ্রান্সের সম্প্রতি ভারী অস্ত্র সরবরাহ থেকে বোঝা যায় সেই ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা প্রকাশ পাচ্ছে। ম্যাক্রোঁ হয়তো বলছেন, অন্য ইউক্রেনীয় মিত্ররা কী ভাবছে। পুতিনের দায়িত্বে কিংবা বা তার দায়িত্ব ছাড়াই রাশিয়া ইউরোপের দোরগোড়ায় থাকবে। ফরাসিদের ভাষ্য হচ্ছে, যুদ্ধ আলোচনার মাধ্যমে শেষ হবে এবং তাদের মহাদেশের নিরাপত্তা ও ন্যাটোর ভবিষ্যত সীমান্তের অবস্থান বিবেচনা করতে হবে। এটা হতে পারে, কিন্তু পরিস্থিতির জটিলতা প্রকাশ করার জন্য ম্যাক্রোঁর আগ্রহ ফ্রান্সের অবস্থানের স্বচ্ছতাকে ক্ষুন্ন করে।

বাস্তবে ফ্রান্স ইউক্রেনের বিষয়ে আমেরিকানদের অবস্থানের কাছাকাছি। যেমনটি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ম্যাক্রোঁর ওয়াশিংটন রাষ্ট্রীয় সফরের সময় স্পষ্ট হয়। উভয় দেশই উত্তেজনা নিয়ে উদ্বিগ্ন। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পুতিনের প্রতি ম্যাক্রোঁর লাইনটি দরকারি বলে মনে করেন। আমেরিকানরাও জানে ফ্রান্স ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় সামরিক শক্তি। গত ২০ জানুয়ারি, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ২০২৪-৩০ এর জন্য প্রতিরক্ষা বাজেট ৪১৩ বিলিয়ন ইউরো অর্থাৎ ২০১৯-২৫ এর তুলনায় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধির ঘোষণা দেন। ফ্রান্স যদি ইউক্রেনে লেক্লারক ট্যাংক পাঠায়, তবে এটি সম্ভবত একটি কঠিন সিদ্ধান্তের প্রতীকী হয়ে উঠবে। ফরাসি সেনাবাহিনীর কাছে এ ধরনের ২০০টির মতো ট্যাংক রয়েছে।

তবে ম্যাক্রোঁ ইউক্রেনের জন্য তার রাজনৈতিক ও সামরিক সমর্থনকে আগের চেয়ে আরও স্পষ্ট করেছেন। এমনকি ফ্রান্সের নেতৃত্ব নেওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হলেও।

নিউজ ট্যাগ: ওলাফ শলৎস

আরও খবর



লোকচক্ষুর আড়ালে আন্তদেশীয় তৎপরতায় কুকি চিন

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ। মাত্র দুই বছর আগে আত্মপ্রকাশ করা সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটি কায়েম করেছে ত্রাসের রাজত্ব। দেশের পার্বত্য অঞ্চলে হঠাৎ মাথাচাড়া দেয়া এই পাহাড়ি সংগঠন এখন যেন এক ত্রাসের নাম।নিজেদের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে নিয়মিতই আপলোড করে থাকে চোরাগোপ্তা হামলার ছবি-ভিডিও।

শুধু বাংলাদেশের পাহাড়ই নয়; কুকি জনগোষ্ঠীর সশস্ত্র হামলায় বিপর্যস্ত ভারতের মণিপুর রাজ্য। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা ছাড়াও তারা জড়িয়ে পড়েছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায়। মিয়ানমারের চিন প্রদেশেও সশস্ত্র তৎপরতা চালিয়ে আসছে, স্থানীয় কুকি-চিন জনগোষ্ঠী।

দুর্গম সীমান্ত আর তিন দেশের জটিল একটি ভৌগলিক সীমায় অবস্থানের সুযোগে, এক দেশে অভিযানের মুখে পড়লে সহজেই আশ্রয় নিচ্ছে অন্য দেশে। যাতে আঞ্চলিক ঝুঁকির মুখে পড়ছে গোটা অঞ্চল। বিশ্লেষকদের আশংকা অদূর ভবিষ্যতে আন্ত:দেশীয় সংগঠনে পরিণত হতে পারে, কেএনএফ। দেশে দেশে খুলতে পারে সশস্ত্র শাখা।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর অব. এমদাদুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ত্রিদেশীয় একটি সম্মেলন এখানে আছে। চীনের একটি স্টেটের অংশ এসে মিশছে ওইদিকের মিজোরাম এবং বান্দরবান দিয়ে। ওখানে নোম্যানস ল্যান্ডের মত একটি এলাকা আছে, যেখানে তারা চাইলেই যোগাযোগ করতে পারে। এটা যদি এখন থেকেই দমন করা না হয় তবে আমাদের সার্বিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।

কেএনএফের পেছনে কোনো আন্তর্জাতিক মদদ রয়েছে কি না, প্রশ্ন উঠছে সে বিষয়টি নিয়েও। ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে বসবাসরত কুকি-চিনরা খ্রিস্ট ধর্ম মেনে চলায়; এ সব অঞ্চল নিয়ে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো কোন দাবার চাল চালছে কি না তা খতিয়ে দেখার পরামর্শ বিশ্লেষকদের। এজন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কার্যক্রম নজরদারিতে রাখার কথাও বলছেন তারা।

এমদাদুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ে বেশ কিছু এনজিও যারা সবসময় এদেরকে মদদ দেয়, উৎসাহ দেয়। এ বিষয়গুলো নজরদারিতে রাখা অবশ্য উচিত।

কেএনএফের তৎপরতা রুখতে সীমান্তে গোয়েন্দা নজরদারি ও তথ্য বিনিময় বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন, এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

নিউজ ট্যাগ: কুকি চিন

আরও খবর



আসছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আগামী অর্থবছরে মূল বাজেটের সম্ভাব্য আকার হতে যাচ্ছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। যা চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের তুলনায় বাজেটের আকার ৪.৬২ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।

একই সঙ্গে প্রবৃদ্ধির সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রাও ধরা হচ্ছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। প্রবৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্ব কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ৪ এপ্রিল আর্থিক মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হার সংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল এবং বাজেট মনিটরিং, বাজেট ব্যবস্থাপনা ও সম্পদ কমিটির বৈঠকে আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ওই দুটি বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। সেখান থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, আগামী অর্থবছরে মূল বাজেটের আকার দাঁড় করিয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। যেখানে চলতি অর্থবছরে মূল বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবছরে মূল বাজেটের আকার আগের বছরের তুলনায় বেড়েছিল ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। তার তুলনায় আগামী অর্থ বছরের বাজেটের তুলনামূলক কম বৃদ্ধি পাবে।

বাজেটে এ মুহূর্তে প্রবৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্ব কমিয়ে বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে। মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। আইএমএফের শর্তের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই প্রবৃদ্ধি কমিয়ে আনা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

যেমনটা হতে পারে বাজেটের সম্ভাব্য আকার

মোট ব্যয় ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। আয় ৫ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা এবং ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার কোটি টাকা। চলতি বাজেটের চেয়ে আকার বাড়ছে ৩৫ হাজার ২১৫ কোটি টাকা। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়বে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। বিদেশি সহায়তা আর ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ কোটি টাকা। বাকিটা অভ্যন্তরীণ সম্পদ এবং ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পূরণ করা হবে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বিশাল এ বাজেটের ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ। ওই বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রে ফের পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রবাসে বাংলা

Image

এবার যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে নিজ বাসায় পুলিশের গুলিতে হোসেন (১৯) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ওয়ারেন এলাকার রায়ান রোডের নিজ বাসায় এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, হোসেন পরিবারের সদস্যদের নির্যাতন করলে তারা ৯১১ নম্বরে ফোন করেন। পরে পুলিশ সদস্যরা ওই বাসায় পৌঁছালে তিনি পুলিশের দিকে নিজের হাতে থাকা বন্দুক তাক করেন। এ সময় পুলিশ সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়েছে।

হোসেন সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার আতিক হোসেনের বড় ছেলে। তারা সপরিবারে মিশিগানের ওয়ারেন সিটিতে বসবাস করেন। এই ঘটনায় মিশিগানে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এর আগে, গত ২৭ মার্চ নিউইয়র্কের ওজনপার্কে ১৯ বছরের যুবক উইন রোজারিও পুলিশের গুলিতে নিহত হয়।


আরও খবর



ঢাকার বাতাসের মান আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজও ঢাকার বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা ৫৯ মিনিটে ১৫৬ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শহরটির অবস্থান নবম।

পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে ২০৬, ১৯১ ও ১৭৮ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।

১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।


আরও খবর



কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় অন্ততপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে উপজেলা খোদাইবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

ঈদগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিস্তারিত আসছে...


আরও খবর