ইউক্রেনের দনেৎস্ক
অঞ্চলের পোকরোভস্ক শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া
আহত হয়েছেন ৩১ জন। স্থানীয় সময় সোমবার (৭ আগস্ট) শহরটির আবাসিক এলাকায় পরপর দুটি ক্ষেপণাস্ত্র
আঘাত হানে। এতে একটি পাঁচতলা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ধ্বসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে
মানুষ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
আপলোড করা ভিডিও ও ছবি থেকে দেখা যাচ্ছে, বাড়িটি খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের
নিচ থেকে মানুষকে উদ্ধার করা হচ্ছে। একটি অ্যাম্বুলেন্সও সেখানে রয়েছে।
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জানান, প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে চার বেসামরিক লোক মারা যান এবং দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের
আঘাতে জরুরি পরিষেবার এক কর্মীর মৃত্যু হয়।
দনেৎস্কের গভর্নর জানান, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে একটি হোটেল, একটা পাঁচতলা বাড়ি এবং আরও কিছু অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন>>ভারি বর্ষণ আর উজানের ঢলে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট
ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়া এখন পূর্ব ইউক্রেনে কোনো কিছুই ছাড়ছে না। সব কিছুই তারা গুঁড়িয়ে
দিতে চাইছে।’ তিনি অনলাইন পোস্টের সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচতলা বাড়ির ভিডিও সংযুক্ত
করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বাড়ির একটা তলা পুরো ভেঙে গেছে এবং বাকিটাও ক্ষতিগ্রস্ত
হয়েছে।
যুদ্ধের আগে পক্রভস্ক শহরে ৬০ হাজার মানুষ থাকতেন। এ হামলার একদিন আগেই সৌদি আরবের জেদ্দায় ৪০টি দেশের প্রতিনিধি ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করার পথ খুঁজতে আলোচনায় বসেছিলেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সৌদি আরবের আলোচনা অর্থহীন। কারণ, সেখানে মস্কো ও কিয়েভকে ডাকা হয়নি।
আরও পড়ুন>> বেলারুশ সীমান্তে আরও এক হাজার সৈন্য চায় পোলিশ বর্ডার গার্ড
রাশিয়ার বিবৃতিতে
বলা হয়, তারা কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ১৭ মাসের এই লড়াই শেষ করার জন্য রাজি। তবে,
যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাবে রাশিয়ার দাবি মানতে হবে। সেটি হলো ইউক্রেনের যেসব এলাকা রাশিয়ার
অধিকারে আছে, তা তাদের এলাকা বলে মেনে নিতে হবে। এরমধ্যে ক্রাইমিয়াও আছে। ইউক্রেন রাশিয়ার
এই দাবি মানতে নারাজ। তাদের দাবি, রাশিয়াকে পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহার করতে হবে।