আজঃ মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ইউক্রেনে মার্কিন সহায়তায় ১২ রুশ জেনারেলকে হত্যা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করে ইউক্রেনীয়রা রুশ জেনারেলদের হত্যা করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছে ঊর্ধ্বতন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটা জানানো হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এ পর্যন্ত ১২ জন জেনারেলকে হত্যা করেছে তারা। বিষয়টি অবাক করেছে সামরিক বিশেষজ্ঞদের। যুদ্ধ যখন চলছে তখন যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ান জেনারেলদের টার্গেটে পরিণত করতে সহায়তা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাশিয়ান সামরিক সদর দফতরের অবস্থান এবং টেলিফোন নজরদারি ব্যবহার করে প্রথমে ইউক্রেনীয়দের জানায় মার্কিনিরা। এসব তথ্য পর্যালোচনা করে রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের অবস্থান নিশ্চিত করা হয়। পরে চিহ্নিত এসব জেনারেলদের ওপর হামলা করে ইউক্রেনীয়রা।

তবে এখন পর্যন্ত কতজন রাশিয়ান জেনারেলকে হত্যা করা হয়েছে তা নিশ্চিত করে জানায়নি যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সহায়তা ইউক্রেন যুদ্ধে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। প্রতিনিয়ত তারা নতুন নতুন টার্গেট চিহ্নিত করছে।

এদিকে ইউক্রেনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষণার জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া। কয়েকদিন ধরে পশ্চিমা কর্মকর্তা ও বিশ্লেষকরা বলে আসছিলেন, আগামী ৯ মে ইউক্রেনে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন পুতিন। খবর রয়টার্সের।

বুধবার (০৪ মে) এক বিবৃতিতে পশ্চিমাদের এ বক্তব্যকে বাজে কথা বলে উড়িয়ে দিয়েছে মস্কো। প্রতিবছর ৯ মেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে রাশিয়ার বিজয় দিবস হিসেবে উদ্‌যাপন করে মস্কো।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। যুদ্ধ বলার পরিবর্তে একে 'বিশেষ সামরিক অভিযান বলে অভিহিত করেন পুতিন। কিন্তু পশ্চিমা রাজনীতিকরা বলেন, পুতিন আগামী সোমবার (৯ মে) ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পুরোদস্তুর যুদ্ধ ঘোষণা কিংবা জয় ঘোষণা করতে পারেন অথবা দুটোই করতে পারেন।

বুধবার বিষয়টি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, এটা বাজে কথা।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয় দিবস ৯ মে। ১৯৪৫ সালের এ দিনে জার্মান একনায়ক অ্যাডলফ হিটলারের নাৎসি বাহিনীর পরাজয় ঘটে। তারপর থেকেই দিনটিকে বিজয় দিবস হিসেবে স্মরণ করে আসছে রাশিয়া।

প্রতিবছর এ দিনটি মস্কোয় ব্যাপক সামরিক কুচকাওয়াজ ও রুশ বিপ্লবের নেতা ভ্লাদিমির লেনিনের সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে পালন করা হয়। পশ্চিমা কর্মকর্তারা মনে করেন, দিনটির প্রতীকী তাৎপর্যকে কাজে লাগিয়ে ইউক্রেনে সামরিক অর্জন অথবা সর্বাত্মক যুদ্ধ কিংবা দুটোই ঘোষণা করতে পারেন পুতিন।


আরও খবর



বড় ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

প্রথম ইনিংসের তুলনায় চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ও বোলিং উভয় বিভাগে বাংলাদেশ ভালো করেছে। তবে ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। সিলেট টেস্টের মতো চট্টগ্রাম টেস্টেও বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ফলে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ।

চট্টগ্রাম টেস্টে হারটা আগেই নিশ্চিত হয়েছিল বাংলাদেশের। আজ পঞ্চম দিনে বাকি ছিল আনুষ্ঠানিকতা। সেই আনুষ্ঠানিকতা শেষে বাংলাদেশ ১৯২ রানে হেরেছে। শ্রীলঙ্কার ৫৩১ ও ১৫৭/৭ রানের জবাবে বাংলাদেশ ১৭৮ ও ও ৩১৮ রান করেছে।

মূলত শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসের পরই টেস্টের ফল কি হতে যাচ্ছে তা অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের পর তা নিয়ে আর কোনো সন্দেহ ছিল না। কেননা প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রানে পিছিয়ে থাকার পর ম্যাচে ভালো কিছু কল্পনা করাই কঠিন। সেখানে চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৫১১ রান, যা দুঃস্বপ্ন বটে।

বিশাল এ রান তাড়া করার পথে একটা অতি মানবীয় ইনিংস দরকার হয়। কিন্তু বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে কেউ সেই কাজটি করতে পারেননি। চতুর্থ দিনে বাংলাদেশ যে ৭ ব্যাটার হারিয়েছিল তাদের মধ্যে কিছুটা উজ্জ্বল ছিলেন মমিনুল হক। কিন্তু শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের বিরুদ্ধে তা খুব কার্যকরও ছিল না। কেননা মাত্র ৫০ রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। গতকাল পর্যন্ত ইনিংসে এটাই ছিল সর্বোচ্চ রান।

তবে মমিনুল হকের এই রান আজ টপকে গেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ব্যাটারদের লজ্জা দিয়ে তিনি ৮১ রানে অপরাজিত। তাইজুল ইসলাম তাকে আরো কিছু সময় সঙ্গ দিতে পারলে হয়তো ইনিংসে বলার মতো একটা কিছু পাওয়া যেত। কিন্তু তাইজুল ইসলাম আউট হওয়ার পর বাংলাদেশ যে খুব তাড়াতাড়ি গুটিয়ে যাচেছ তা নিয়ে কারো কোনো সন্দেহ ছিল না। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। তাইজুল (১৪) আউট হওয়ার পর হাসান মাহমুদ (৬) ও খালেদ আহমেদ (২) আউট হয়ে যান। শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের লড়াই।

লাহিরু কুমারা ৪ উইকেট শিকার করছেন। এছাড়া কামিন্দু মেন্ডিস পেয়েছেন ৩ উইকেট।


আরও খবর



নোয়াখালীর গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর গ্রামে নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান মিলেছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) এই নতুন কূপটির খনন কাজ শুরু করেছে। প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ খনন প্রকল্প।

আজ সোমবার সকাল থেকে দুই শতাধিক খনন প্রকৌশলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক এ কর্মযজ্ঞে অংশগ্রহণ করছেন। আগামী ১২০ দিন চলবে এ খননের কাজ।

কূপটির ড্রিলিং ইনচার্জ ও বাপেক্সের কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সোমবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে কূপ খননের জন্য ড্রিলিং রিগ স্থাপন করা হয়। প্রাথমিকভাবে কূপটি মাটির নিচে ৩ হাজার ২০০ মিটার খননের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ৪টি জোনে প্রাকৃতিক গ্যাস মিলতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। খনন শেষে প্রতিটি জোনে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। যা বাখরাবাদ এর মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মানুষের চাহিদা পূরণে দেশীয় জ্বালানি অনুসন্ধান ও উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার। ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৪৬টি নতুন অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার কূপ খনন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাপেক্স এর তথ্য মতে, এর আগে নোয়াখালীর এ অঞ্চল তথা বেগমগঞ্জে ১৯৭৬ সালে প্রথম কূপের সন্ধান মিলে। ১৯৭৮ সালে দ্বিতীয় কূপের সন্ধান মিললে সেগুলো ড্রিলিং করা হয়। তবে পরবর্তীতে ওই দুটি কূপে কোনো গ্যাস পাওয়া যায়নি। ২০১৩ সালে তৃতীয় কূপের সন্ধান মিললে ড্রিলিং শেষে ওই কূপ থেকে গ্যাস প্রোডাকশনে যায় এবং ২০১৮ সালে একই কূপে ওয়ার্কওভার করে এখন প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রেডে সরবরাহ করা হচ্ছে।


আরও খবর



সিলেটে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখায় কন্ট্রোল রুমে ঢুকে প্রকৌশলী মো. মাসুদ রানাকে সিসিক কাউন্সিলর কর্তৃক মারধরের অভিযোগ ওঠেছে। মো. মাসুদ রানা সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-৩ এর সহকারী প্রকৌশলী। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) ২৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রায়হান হোসেনসহ আরও দুইজনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগে মামলা হয়েছে।

গত রোববার রাতে দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি এলাকার বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-৩ এর কেপিআইভুক্ত কন্ট্রোল রুমে এ ঘটনা ঘটে। তবে কাউন্সিলর মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

কাউন্সিলরের ভাষ্য, ঝড়ে বিদ্যুতের লাইন রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পর তিনি সেটা রাতেই সরাতে অনুরোধ করতে কন্ট্রোল রুমে ঢুকেছিলেন।

জানা যায়, শিলাবৃষ্টি ও ঝড়-তুফানে ১১ কেভি ফিডার ফল্টের কারণে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়। এই বন্ধ লাইন চালু করতে কাউন্সিলর রায়হান হোসেন দুইজনকে নিয়ে কেপিআইভুক্ত কন্ট্রোল রুমে ঢুকে মাসুদ রানাকে মারধর করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার সকালে দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা করেছেন মারধরের শিকার প্রকৌশলী মাসুদ রানা।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রায়হান হোসেনকে। মামলায় ওই এলাকার আরো দুজনকে আসামি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সহকারী প্রকৌশলী মাসুদ রানা বলেন, 'ফল্টের কারণে বন্ধ হওয়া ১১ কেভি বরইকান্দি ফিডার জোরপূর্বক চালু করতে চাইছিলেন কাউন্সিলর। কিন্তু এভাবে এই ফিডার চালু করলে অনেক সমস্যা হবে। মানুষের জানমালের ক্ষতি হবে। তাই আমি তাকে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করি। কিন্তু তিন আমার কোনো কথা না শুনে আমার উপর আক্রমণ করেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছি।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর রায়হান হোসেন বলেন, মারামারি বা হামলার কোন ঘটনা ঘটেনি। বিদ্যুতের লাইন ছিড়ে রাস্তায় পড়েছিলো। সেই ছেড়া লাইন সরানোর জন্য আমরা তাদের বলি। কিন্তু তারা সেটা রাতে সরাতে রাজি হয়নি।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল কাদির বলেন, বিদ্যুৎ চলে গেলেই দপ্তরে এসে প্রকৌশলী কর্মকর্তাদের মারধর করা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। রাতে এটা খুব বাজে কাজ করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর। তিনি দায়িত্বশীল পদে থেকে দায়িত্ব জ্ঞানহীনের মতো কাজ করেছেন। আমরা তো রাজনৈতিক ও সামাজিক কারণে এসব ব্যাপারে কঠোর হতে পারিনা। কিন্তু এবার আমরা এসব কঠোর হস্তে দমন করবো।


আরও খবর



ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে নিহত ৯

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভূমধ্যসাগরের ল্যাম্পেডুসা দ্বীপে চোরাকারবারিদের নৌকা ডুবে ৯ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ওই দুর্ঘটনার কবলে পড়া ২২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইতালীয় উপকূলরক্ষী। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এপি এ খবর জানিয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখনও ১৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

জীবিতদের বরাত দিয়ে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, স্টিল-বটম বোটটি গিনি, বুর্কিনা ফাসো, মালি ও আইভরি কোস্ট থেকে ৪৬ জন মানুষকে নিয়ে রোববার রাতে তিউনিসিয়ার স্ফ্যাক্স থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। তারা বলেন, বুধবার সকালে নৌকাটি ডুবে যায়।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একটি ৬ মাস বয়সি শিশু ও আটজন পুরুষ রয়েছেন। বেঁচে থাকা ছয়জনকে গুরুতর হাইপোথার্মিয়া ও ডিহাইড্রেশনের জন্য চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। আর দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সাধারণত গ্রীষ্মের কাছাকাছি সময় আফ্রিকা থেকে ইউরোপে আসার প্রবণতা বেড়ে যায়। তখন নৌকাডুবির উদ্বেগও বাড়ে। তাই ইতালীয় বন্দরের নিয়ম অনুযায়ী দাতব্য সংস্থার উদ্ধারকারী নৌকার  কার্যক্রম সীমাবদ্ধ করে দেয়।

ইতালির অতি-ডান-নেতৃত্বাধীন সরকার সম্প্রতি দাতব্য নৌকাগুলোকে উদ্ধারের পর উত্তর বন্দরে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে। তাদের কার্যক্রম কমিয়েছে। নিয়ম লঙ্ঘন করার অভিযোগে নৌকাগুলোকে আটক করছে।

ইউএনএইচসিআর-এর মুখপাত্র ফেদেরিকো ফসি বলেন, গ্রীষ্মকাল আসার সঙ্গে সঙ্গে এমন ঘটনা আরও ঘটতে পারে। কারণ এ সময় আরও বেশি সংখ্যক মানুষ সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত নৌকা নিয়ে ইতালি যাচ্ছে।

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন জানিয়েছে, এই বছর এ পর্যন্ত উত্তর আফ্রিকা থেকে ইতালিতে আসার পথে ভূমধ্যসাগরে ৩৮৫ জন নিখোঁজ হয়েছেন। ২০১৪ সালে নিখোঁজ অভিবাসী প্রকল্প চালু করার পর থেকে ২৩ হাজার ১০৯ জন নিখোঁজ হয়েছে।


আরও খবর



রিজভীর মানসিক পরীক্ষা করা দরকার: হাছান মাহমুদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মানসিক পরীক্ষা করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অর্থপাচার নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পাচারকৃত অর্থ বেশিরভাগ হয়েছে বিএনপির আমলে। পরে যে হয়নি তা নয়, পরেও হয়েছে। সেগুলো নিয়ে নানা ইন্টারন্যাশনাল ল এবং কমপ্লিকেশন আছে। আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করছি।

দেশে দুর্ভিক্ষের শুধু পদধ্বনি নয়, দুর্ভিক্ষ বিরাজমান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, রিজভী সাহেবের বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে, ওনার মানসিক পরীক্ষা করা দরকার। দেশে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে বা দুর্ভিক্ষ বিরাজ করছে; এটি রিজভী সাহেব যখন বলতে পেরেছেন তখন তার মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। দেশের মানুষের মধ্যে কোনো হাহাকার নেই। দেশের মানুষ সবাই খেতে পারছে। ওনার মানসিক সুস্থতা পরীক্ষা করার জন্য আমি ড্যাবের ডাক্তারদের অনুরোধ জানাব।

বিএনপির সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের (তারেক রহমান) মানি লন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে এসে এপিআই সাক্ষ্য দিয়ে গেছে এবং তার শাস্তি হয়েছে। খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় পুত্র আরাফাত রহমানের পাচারকৃত টাকা সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়েছে। তারা যখন ক্ষমতায় ছিল পরপর বাংলাদেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সেগুলো ঢাকার জন্য রিজভী সাহেব আবোল-তাবোল বলছেন।


আরও খবর