আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ইউক্রেন যুদ্ধে কোন দেশের অবস্থান কী

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

এক বছর আগে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্ব মূলত তিনটি দলে ভাগ হয়ে যায়। একদল ইউক্রেনের পক্ষে, অন্যদল রাশিয়ার। আর একদল নিয়েছে নিরপেক্ষ অবস্থান। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো ইউক্রেনকে মোট ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সামরিক সহায়তা দিয়েছে। অন্যান্য দেশ রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বা জাতিসংঘে ভোট দিয়ে তাদের অবস্থান জানিয়েছ। বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক, সামরিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থানগুলো তুলে ধরা হলো:

 

রাজনৈতিক অবস্থান: একটি দেশ রাজনৈতিকভাবে কোথায় আছে তা জানার উপায় হলো জাতিসংঘে তারা কীভাবে ভোট দেয়, তা পর্যবেক্ষণ করা। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ (ইউএনজিএ) ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত। এটি জাতিসংঘ ব্যবস্থার সবচেয়ে প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা। রেজুলেশনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রকে সমান ভোটের অনুমতি দেওয়া হয়। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া রেজুলেশনগুলো মানা বাধ্যতামূলক নয়, যার মানে এগুলোর কোনও আইনি ক্ষমতা নেই। এগুলোকে বরং একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ইচ্ছার অভিব্যক্তি হিসেবে দেখা হয়। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর জাতিসংঘ ২৫ বছরের মধ্যে প্রথম জরুরি অধিবেশন ডাকে। ১৯৩ সদস্যের পরিষদ তখন থেকে ইউক্রেন সংক্রান্ত বিভিন্ন উদ্বেগ মোকাবিলায় চারটি বিশেষ প্রস্তাবে ভোট দিয়েছে।

 

জরুরি অধিবেশন-১ (২ মার্চ, ২০২২): ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী প্রত্যাহারের দাবি। ১৪১টি দেশ জাতিসংঘের এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় যাতে রাশিয়াকে অবিলম্বে, সম্পূর্ণ এবং নিঃশর্তভাবে ইউক্রেন থেকে তার সামরিক বাহিনী প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। প্রস্তাবটি পাসের জন্য হ্যাঁ/না ভোটের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন ছিল। চীন, ভারত, ইরান এবং সাউথ আফ্রিকা ৩৫টি দেশের মধ্যে ছিল যারা ভোট দেয়নি। বেলারুশ, ইরিত্রিয়া, উত্তর কোরিয়া, সিরিয়া এবং রাশিয়া- এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে।

 

জরুরি অধিবেশন-২ (২৪ মার্চ, ২০২২): ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের মানবিক পরিণতি। মানে, ইউক্রেনে ত্রাণ ঢুকতে দেওয়া এবং বেসামরিক জানমাল রক্ষায় প্রস্তাবটি তোলা হয়। ইউক্রেন এবং তার মিত্রদের প্রণীত রেজোলিউশনের পক্ষে ১৪০ দেশ ভোট দেয়। বেলারুশ, ইরিত্রিয়া, উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া এবং সিরিয়া বিপক্ষে ভোট দেয়। ৩৮টি দেশ বিরত ছিল। আর ১০টি দেশ ভোটে অনুপস্থিত ছিল।

 

জরুরি অধিবেশন-৩ (৭ এপ্রিল, ২০২২): জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে রাশিয়াকে বাদ দেওয়া। এ প্রশ্নে ৯৩ দেশ পক্ষে ভোট দেয়, বিপক্ষে ছিল ২৪ দেশ। ভোট থেকে বিরত ছিল ৫৮ দেশ। প্রস্তাবটি পাসের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন ছিল। কিয়েভের কাছে বুচা শহরে বেসামরিক মৃতদেহ আবিষ্কারের পর এই রেজুলেশন আসে।

 

জরুরি অধিবেশন-৪ (১২ অক্টোবর, ২০২২): ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা, ইউক্রেনের কিছু অংশ সংযুক্ত করায় রাশিয়ার নিন্দা। এ প্রস্তাবের পক্ষে ১৪৩ এবং বিপক্ষে ৫ দেশ ভোট দেয়। বিরত ছিল ৩৫ দেশ। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনের চারটি আংশিক দখলকৃত প্রদেশকে সংযুক্ত করার ঘোষণা দেয়। জবাবে কিয়েভ এবং তার পশ্চিমা মিত্ররা ভোটকে অর্থহীন এবং অবৈধ বলে প্রত্যাখ্যান করে এই রেজুলেশন তোলে জাতিসংঘে।

 

১০২টি দেশ সব রেজুলেশনের পক্ষে ভোট দিয়েছে: আফগানিস্তান, আলবেনিয়া, অ্যান্ডোরা, অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, বেনিন, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, বুলগেরিয়া, কানাডা, চাদ, চিলি, কলম্বিয়া, কোমোরোস, কোস্টারিকা, ক্রোয়েশিয়া, সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, ডিআরসি, ডেনমার্ক, জিবুতি, ডোমিনিকা, ডোমিনিকান রিপাবলিক, পূর্ব তিমুর, ইকুয়েডর, এস্তোনিয়া, ফেডারেটেড স্টেটস অফ মাইক্রোনেশিয়া, ফিজি, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জর্জিয়া, জার্মানি, গ্রীস, গ্রেনাডা, গুয়াতেমালা, হাইতি, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইসরায়েল, ইতালি, আইভরি কোস্ট, জ্যামাইকা, জাপান, কিরিবাতি, লাটভিয়া, লেবানন, লাইবেরিয়া, লিবিয়া, লিচেনস্টাইন, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মালাউই, মাল্টা, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, মৌরিতানিয়া, মরিশাস, মলদোভা, মোনাকো, মন্টিনিগ্রো, মরক্কো, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, উত্তর মেসিডোনিয়া, নরওয়ে, পালাউ, পানামা, পাপুয়া নিউ গিনি, প্যারাগুয়ে, পেরু, ফিলিপাইন, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, রুয়ান্ডা, সেন্ট লুসিয়া, সামোয়া, সান মারিনো, সাও টোমে এবং প্রিন্সিপে, সার্বিয়া, সেশেলস, সিয়েরা লিওন, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, সোমালিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, বাহামা, তুরস্ক, টুভালু, ইউক্রেন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, উরুগুয়ে এবং জাম্বিয়া।

 

৪৭টি দেশ অন্তত একটি রেজুলেশনের পক্ষে ভোট দিয়েছে: অ্যাঙ্গোলা, বাহরাইন, বাংলাদেশ, বার্বাডোস, বেলিজ, ভুটান, বতসোয়ানা, ব্রাজিল, ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, কেপ ভার্দে, মিশর, ঘানা, গিনি-বিসাউ, গায়ানা, হন্ডুরাস, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, জর্ডান, কেনিয়া, কুয়েত, লেসোথো, মাদাগাস্কার, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মেক্সিকো, নেপাল, নাইজার, নাইজেরিয়া, ওমান, কাতার, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনস, সৌদি আরব, সেনেগাল, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ সুদান, সুরিনাম, থাইল্যান্ড, গাম্বিয়া, টোগো, টোঙ্গা, ত্রিনিদাদ এবং টোবাগো, তিউনিসিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভানুয়াতু এবং ইয়েমেন।

 

১৬টি দেশ রেজুলেশনের ভোটদানে থেকে বিরত ছিল: আর্মেনিয়া, ক্যামেরুন, এল সালভাদর, নিরক্ষীয় গিনি, ইসোয়াতিনি, গিনি, ভারত, মঙ্গোলিয়া, মোজাম্বিক, নামিবিয়া, পাকিস্তান, সাউথ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, সুদান, তানজানিয়া এবং উগান্ডা।

 

১৯টি দেশ অন্তত একটি রেজুলেশনের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে : আলজেরিয়া, বলিভিয়া, বুরুন্ডি, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, কিউবা, ইরিত্রিয়া, ইথিওপিয়া, ইরান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, লাওস, মালি, নিকারাগুয়া, চীন, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, ভিয়েতনাম এবং জিম্বাবুয়ে।  ৪টি দেশ সব রেজুলেশনের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে বেলারুশ, উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া এবং সিরিয়া।

 

৪টি দেশ কোনও রেজুলেশনেই ভোট দেয়নি: আজারবাইজান, বুরকিনা ফাসো, তুর্কমেনিস্তান এবং ভেনিজুয়েলা। গ্যাবনই একমাত্র দেশ যেটি একটি প্রস্তাবের পক্ষে বা বিপক্ষে ভোট দিয়েছে।

 

ইউক্রেনকে অস্ত্র দিচ্ছে যারা: জার্মান থিংক ট্যাংক কিয়েল ইনস্টিটিউট ফর দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমির তথ্য অনুসারে, অন্তত ৩২ দেশ ইউক্রেনকে অস্ত্র, সরঞ্জাম বা সেনাবাহিনীর জন্য আর্থিক সহায়তাসহ সামরিক সহায়তা দিয়েছে। সামরিক সহায়তা প্রদানকারী ৩২টি দেশের মধ্যে ২৫টি ন্যাটোর সদস্য। এই তালিকায় নেই হাঙ্গেরি। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। যেসব দেশ ইউক্রেনকে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে সেগুলোর মধ্যে আছে, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, কানাডা, ক্রোয়েশিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, ইতালি, জাপান, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, নিউ জিল্যান্ড, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, দক্ষিণ কোরিয়া, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র।

 

ইউক্রেনে পাঠানো সামরিক সহায়তার মধ্যে প্রচলিত অস্ত্রের পাশাপাশি উন্নত সরঞ্জাম এবং আধুনিক অস্ত্র যেমন আর্টিলারি, অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট ওয়েপন, অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ওয়েপন, সাঁজোয়া যান, রিকনেসান্স অ্যান্ড অ্যাটাক ড্রোন, হেলিকপ্টার, ছোট অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বডি আর্মার। জানুয়ারিতে ইউক্রেনে আধুনিক ট্যাঙ্ক পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং জার্মানি। যুক্তরাজ্য বলেছে, তারা ১৪টি চ্যালেঞ্জার-২ ট্যাঙ্ক সরবরাহ করবে, জার্মানি ৮৮টি লেপার্ড ট্যাঙ্ক পাঠাতে সম্মত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করতে তারা কয়েক ডজন এম১ আব্রাম ট্যাঙ্ক পাঠাবে।

 

বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ফ্রণ্টকে আঘাত এবং মস্কোর দখল নেয়া অঞ্চল পুনরুদ্ধারে সর্বশেষ প্রজন্মের  যুদ্ধ ট্যাঙ্কগুলো ইউক্রেনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ন্যাটো এবং তার মিত্ররা বিশেষ বাহিনীসহ কয়েক হাজার ইউক্রেনীয় সেনাকে প্রশিক্ষণও দিয়েছে।

 

ইউক্রেনকে সাহায্য প্রদানকারী দেশগুলো: কিয়েল ইনস্টিটিউট অনুসারে, ৪০টি দেশ ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত ইউক্রেনকে আর্থিক, মানবিক এবং সামরিক সহায়তায় কমপক্ষে ১১৫ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একাই দেবে ৫১.২ বিলিয়ন ডলার। ইইউ কমিশন, ইইউ কাউন্সিল এবং ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠানগুলো ইউক্রেনকে ৩৭.৩ বিলিয়ন ডলার দেওয়ায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যেখানে যুক্তরাজ্য ৭.৬ বিলিয়ন ডলার নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এ ছাড়া ২০ নভেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশগুলো ইউক্রেনকে অতিরিক্ত সামরিক প্যাকেজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

 

যে দেশগুলো রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে: অন্তত ৪৬টি দেশ বা অঞ্চল রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মস্কোর ওপর ১১ হাজার ৩০৭টিরও বেশি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে; যা রাশিয়াকে বিশ্বের সবচেয়ে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত দেশ হিসেবে পরিণত করেছে। এসব নিষেধাজ্ঞার ৮০ শতাংশ ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে; যেখানে ১৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে। অবশিষ্ট ২ শতাংশ জাহাজ এবং বিমানকে লক্ষ্য করে। যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ওপর সর্বাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তারা দিয়েছে ১ হাজার ৯৪৮টি নিষেধাজ্ঞা। এক হাজার ৭৭৭টি সুইজারল্যান্ড, এক হাজার ৫৯০টি কানাডা, এক হাজার ৪১৪টি যুক্তরাজ্য এবং ইইউ এক হাজার ৩৯০টি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।


আরও খবর



অস্থির আলুর বাজার, কেজিতে বেড়েছে ১২ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ঈদের পর অস্থির হয়ে উঠেছে আলুর বাজার। কেজিতে ১২-১৫ টাকা বেড়ে আলুর দাম হাফ সেঞ্চুরিতে ঠেকেছে। এর নেপথ্যে সিন্ডিকেটের কারসাজি বলে অভিযোগ করেছেন দোকানদার ও ক্রেতারা। রাজধানীর বেশ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

ক্রেতারা বলছেন, আলুর বাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এই সময় সাধারণত আলু ২০ টাকা কেজি থাকার কথা। কিন্তু সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়। অথচ সরকার আলুর দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ২৯ টাকা। 

কচুক্ষেত্র বাজারের আলু বিক্রেতা আমিনুল বলেন, রমজানের আগে থেকে বাড়তি দামে আলু বিক্রি করছি। এখন আলুর মৌসুম। তারপরও আলু বিক্রি করছি ৪৫-৪৮ টাকা। কোথাও ৫০-৫২ টাকায় বিক্রি করছে। তিনি বলেন, শুধু ঈদের ছুটিতে প্রতিকেজি আলুর দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা। বাজারের এই অস্থিরতার পেছনে সিন্ডিকেটের কারসাজি রয়েছে বলে অভিযোগ তার।

আলু ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, মৌসুমের শুরুতেই দাম ৫০ টাকা হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। মজুতদাররা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অস্থিতিশীল করছেন বাজার। দাম নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবিও করেন তারা।

জয়নাল নামের এক ক্রেতার অভিযোগ, ঈদের আগে ৩৮ টাকার আলু এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ টাকা ছাড়িয়ে। হঠাৎ করে আলুর দাম ১২ টাকা কেজিতে বেড়ে যাওয়ার কোনো কারণ দেখছি না।

আলুর দরে অস্থির হলেও অন্যান্য সবজির দাম বাড়েনি। বরং ঈদের পর কিছু সবজির দাম কমেছে। বাজারের ঘুরে দেখা গেছে, চিচিংগা ৫০ টাকা, করলা ৫৫-৬০ টাকা, কাঁচা পেপে ৫৫ টাকা, কাঁচা কলা ৪০ টাকা হালি, মিষ্টি কুমড়া ৩২ টাকা কেজি, সব ধরনের বেগুন ৫৫-৬০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ৮০-৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল শাক আগে দরে ১০ টাকা প্রতি আঁটি বিক্রি হচ্ছে। লেবু ৪০-৪৫ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে স্বস্তি টমোটতে। শেষ সিজনে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে। গাজর ৮০-৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে শসা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা বান্ডিল, কচুর মুখি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এক পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।

ঈদের পর মাছের দাম একটু চড়া। ঈদের ছুটি ও সরবরাহ কম থাকার সব ধরনের মাছের দাম কেজি ২০-৫০ টাকা বেড়েছে। দেশি রুই ঈদের পর ১০-১৫ টাকা বেড়ে ৩৫০-৩৬০ (মিডিয়াম) টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে দুই কেজির বেশি ওজনের রুই বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজি। একইভাবে কাতলা মিডিয়াম ৩৮০-৩৯০, পাংগাস ২২০ টাকা, সরপুঁটি ২৪০, তেলাপিয়া ২৪০, টেংরা দেশি ৫৫০-৫৭০ টাকা, দেশি মিক্স মাছ ৩৮০-৩৯০ টাকা, কই মাছ ৩৯০, পাবদা ৪৩০ টাকা, গলদা চিংড়ি বড় ১০০০ টাকা, ছোট ও মাঝারি বোয়াল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬২০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। আর মলা মাছ ৪০০ টাকা, মাঝারি সাইজের পাবদা মাছ ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর



গত এক সপ্তাহে সৌদিতে ২১ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২১ হাজারের বেশি প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২৮ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ওই প্রবাসীদের গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবৈধ প্রবাসীদের বিরুদ্ধে সৌদিজুড়ে চলমান ধরপাকড় অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) বলেছে, গত ৩ এপ্রিল পর্যন্ত এক সপ্তাহে দেশজুড়ে অভিযান চালিয়ে ২১ হাজার ৫০৫ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই প্রবাসীদের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সৌদির আবাসন আইন লঙ্ঘনের দায়ে ১৪ হাজার ৩২৩ জন, সীমান্ত সুরক্ষা আইনে ৪ হাজার ৭৭৮ জন এবং শ্রম আইনের আওতায় ২ হাজার ৪০৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১ হাজার ২৯৫ জনকে অবৈধভাবে সৌদি আরবে প্রবেশের চেষ্টার সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত প্রবাসীদের মধ্যে ইয়েমেনি ৩৭ শতাংশ, ইথিওপিয়ান ৬১ শতাংশ এবং অন্যান্য দেশের ২ শতাংশ নাগরিক রয়েছেন।

এছাড়া অবৈধ উপায়ে সৌদি আরব ত্যাগের চেষ্টটার সময় আরও ৬১ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সময়ে আবাসন ও কর্মবিধি লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন এবং আশ্রয় দেওয়ায় সৌদিতে বসবাসরত ৯ ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বসবাসের অনুমতি, শ্রম ও সীমান্ত আইন লঙ্ঘনের দায়ে সৌদি আরবে বর্তমানে ৬১ হাজার ৩০১ জনের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ৫৭ হাজার ১৩ জন এবং নারী আছেন ৪ হাজার ২৮৮৮ জন। আটককৃত প্রবাসীদের মধ্যে ৫৪ হাজার ১৬৯ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর আগে ভ্রমণের প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহের জন্য তাদের নিজ নিজ কূটনৈতিক মিশনে পাঠানো হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও ১ হাজার ৬৬৬ জনকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আর গ্রেপ্তারদের মধ্যে ৭ হাজার ৪২৩ জনকে ইতোমধ্যে সৌদি আরব থেকে নিজ নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারী ব্যক্তির ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে দিয়ে আসছে।

প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের দেশ সৌদি আরব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিক সৌদিতে কর্মরত রয়েছেন। সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যম নিয়মিতভাবে দেশটিতে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন ধরপাকড় অভিযান ও অবৈধ প্রবাসীদের আটকের খবর প্রকাশ করছে।


আরও খবর



পাথরঘাটায় ২৫ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনার পাথরঘাটায় ২৫ কেজি হরিণের মাংসসহ ৪টি পা উদ্ধার করেছে পাথরঘাটা দক্ষিণ স্টেশন কোস্টগার্ড। বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে পাথরঘাটা কোস্ট গার্ড।

এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা সদর ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ড চরলাঠিমারা এলাকা থেকে হরিণের পা ও মাংস উদ্ধার করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কোস্টগার্ড জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের চরলাঠিমারা গ্রামে হরিণের মাংস পাচার হচ্ছে। এমন সংবাদ পেয়ে ওই এলাকায় অবস্থান নেয় কোস্টগার্ড সদস্যরা। তখন কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে মাংস ফেলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় পাচারকারীরা।

এসময় ৪টি হরিণের পা সহ ২৫ কেজি মাংস উদ্ধার করে। পরে হরিণের মাংস পাথরঘাটা বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এসময় পাচারকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করতে সক্ষম হয়নি কোস্টগার্ড।


আরও খবর



বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমলো

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার দ্রুত কমছে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান জেরোমি পাওয়েল। ফলে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমতে শুরু করেছে। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্পট মার্কেটে স্বর্ণের আউন্স ২ হাজার ৩৭৭ দশমিক ৪০ ডলারে কেনাবেচা হচ্ছে স্বর্ণ। এর আগে প্রতি আউন্স স্বর্ণ ২ হাজার ৪০০ ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়েছিল।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) মার্কিন ও কানাডিয়ান অর্থনীতি বিষয়ক এক প্যানেল আলোচনা হয়। এতে মূল্যস্ফীতির বর্তমান চিত্রে নিয়ে আস্থাহীনতায় ভোগার কথা জানান পাওয়েল।

জেরোমি পাওয়েল জানান, যতদিন মূল্যস্ফীতি চড়া থাকবে, প্রয়োজনে ততদিন বর্তমান সুদের হার ধরে রাখা হবে। বর্তমানে ৫ দশমিক ২৫ থেকে ৫ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে যে সুদহার স্থির আছে আছে যা বিগত ২৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

তিনি জানান, এই সুদহার সহসা কমানো হবে না, যার প্রধান কারণ চড়া মূল্যস্ফীতি। অর্থাৎ ঋণ নিতে আরও কয়েক সপ্তাহ চড়া সুদহার দিতে হবে।

জানা গেছে, সুদহারে কাটছাঁটের ধারণার ওপর এতদিন বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তবে ফেড চেয়ার জেরোমি পাওয়েল সুদহার কমানো নিয়ে কোনো তাড়াহুড়ো করতে চান না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। এ সংবাদে কমছে স্বর্ণের দাম।


আরও খবর



রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে অটল বুয়েট শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পরিবেশ ছাত্র রাজনীতিবিহীন অবস্থায়ই সর্বোচ্চ নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব বলে দাবি করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা জানিয়েছেন, নিজেদের দাবিতে তারা অনড় রয়েছেন। তাদের পক্ষ থেকে বুয়েটের উপাচার্যকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১ এপ্রিল) বিকালে বুয়েটের এম এ রশীদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এসব কথা বলেন।

হাইকোর্টের বুয়েটের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের বিজ্ঞপ্তি স্থগিতাদেশের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, আমরা বুয়েটের শিক্ষার্থীরা দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি সম্পূর্ণ সম্মান ও আস্থা রাখি। বুয়েট ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও ২৮ মার্চ মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে বহিরাগত রাজনীতি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আগমন এবং শোডাউনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালার লঙ্ঘন বলে মনে করে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

তারা বলেন, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ডের পর ৯ অক্টোবর গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন যে অনেক প্রতিষ্ঠানেই তো সংগঠন করা নিষিদ্ধ আছে, বুয়েট যদি মনে করে তারা সেটা নিষিদ্ধ করে দিতে পারে।

সব শিক্ষার্থীর মতামত বিচার বিভাগে তুলে ধরতে বুয়েট প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি না থাকার আমাদের যে দাবি তার যৌক্তিকতা নিয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ এবং অটল। যেই ছাত্ররাজনীতি র‌্যাগিং কালচারকে প্রশ্রয় দেয়, ক্ষমতার অপব্যবহারের পথ খুলে দেয়, যার বলি হতে হয় নিরীহ ছাত্রদের তা আমাদের জন্য ভালো কিছু কখনোই বয়ে আনেনি, আনবেও না। ছাত্র রাজনীতিবিহীন বুয়েটের পরিবেশ ছিল সর্বোচ্চ নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব। মৌলবাদী শক্তিকেও আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দিতে পারি।

রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের আকাঙ্ক্ষা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পূরণ করতে উপাচার্যের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমরা আমাদের ভিসি স্যারের ওপর আস্থা রাখি। আমরা শিক্ষার্থীরা আমাদের ভিসি স্যারকে এই আর্জি জানাচ্ছি, তিনি যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষককে নিয়ে আপামর বুয়েট শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের যে আকাঙ্ক্ষা তা সব আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাতে পূরণ করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের তৎকালীন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতনে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ নিহত হন। এর প্রতিবাদে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। এরপর ২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর বুয়েটে সব রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। আজ সোমবার ২০১৯ সালের বুয়েটের ওই বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।


আরও খবর