কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই ইউক্রেন ও রাশিয়ার চতুর্থ দফার শান্তি আলোচনা শেষ হয়েছে। আজ আবারও আলোচনায় বসবে দু’দেশ। শান্তি আলোচনার মাঝেও ইউক্রেনের প্রধান শহরগুলোতে রাশিয়া অবিরাম গোলাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ ইউক্রেনের। সামরিক স্থাপনার পাশাপাশি বেসামরিক ভবনগুলোতেও নির্বিচারে হামলা করছে রুশ বাহিনী। এতে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে পারছেন না ইউক্রেনের সাধারণ জনগণ। প্রাণ হারাচ্ছেন তাদের অনেকে।
এ সংঘাত তৃতীয়
বিশ্বযুদ্ধে পরিণত হতে পারে সতর্ক করেছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী। যুদ্ধ বন্ধ করে
সব পক্ষকে কূটনীতিতে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইগর ইভানভ।
চতুর্থ দফা
আলোচনার পর আজ পঞ্চম দফা শান্তি আলোচনায় বসার কথা রয়েছে ইউক্রেন ও রাশিয়ার। এরপরও রুশ বাহিনীর প্রধান লক্ষ্যবস্তু ইউক্রেনের বিভিন্ন
শহরের বেসামরিক স্থাপনাগুলো। একের পর হামলায় প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ জনগণ। মানবিক করিডোর
চালু না থাকায় নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে পারছেন না তারা। খাদ্য ও পানীয়র অভাবে দুর্বিষহ
জীবন যাপন করছেন তারা।
সোমবার শান্তি
আলোচনার সময় মারিওপোল শহর থেকে ১৬০টি গাড়িতে করে নগরবাসীদের অনেককে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া
সম্ভব হয়। টানা বোমাবষর্ণে বন্ধ হয়ে যায় সে প্রক্রিয়া। শহরে বেসামরিক মৃত্যুর সংখ্যা
আড়াই হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন সরকার। অন্যান্য শহরেও চলছে রুশ বাহিনীর
তাণ্ডব। সীমিত অস্ত্র দিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
মানবিক করিডোর
ব্যবহার করে রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা
করছে ইউক্রেন। যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টির আহ্বান
জানিয়েছে ইউক্রেন।
ইউরোপ কাউন্সিলে
দেয়া ভাষণ ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল সতর্ক করে বলেছেন, ইউরোপের কেন্দ্রে
একটি পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধ শুরু করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এ সংঘাত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে
রূপ নিতে পারে মন্তব্য করেছেন তিনি। সমস্ত ইউরোপকে রক্ষায় ইউক্রেনের উপর নো ফ্লাই জোন
অনুমোদন দিতে কাউন্সিল সদস্যদের আহ্বান জানান তিনি।
সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিনের শাসনামলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইগর ইভানভ,
যুদ্ধ বন্ধ করে ইউক্রেন-রাশিয়াকে কূটনীতিতে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। জানমালের ক্ষয়ক্ষতি
কমাতে এবং পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকি কমাতে তার এ আহ্বান বলে জানিয়েছেন তিনি।