আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ইউএনও’র বিরুদ্ধে আটকে রেখে ঘুষ আদায় ও মারধরের অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বরিশাল প্রতিনিধি

Image

বাল্যবিবাহ বন্ধের অযুহাতে গভীর রাতে একটি পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা ও তিনজনকে তার অফিস কক্ষে একদিন আটকে রেখে ৭০,০০০/- (সত্তর হাজার) টাকা ঘুষ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে।

গত রোববার (৮ এপ্রিল) বিকালে জেলা প্রশাসকের কাছে এ ঘটনার বিচার চেয়ে অভিযোগ করেছেন পরিবারটি। এদিকে এ ঘটনা জানানি হলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়ে। স্থানীয়দের মধ্যে উপজেলা নির্বহী অফিসারকে নিয়ে আতঙ্ক কাজ করছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার মধ্যে রাতে উপজেলার মরিচবুনিয়া গ্রামের আলতাব হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঐদিন আলতাফ হাওলাদারের ঘরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান ৮/১০ জন কর্মচারী নিয়ে রাত ২টার সময় হামলা চালায়। এ সময় তার কর্মচারীদের লাঠির এলোপাথারীর পিটুনিতে ঐ পরিবারের নারী-পুরুষ ও অতিথিসহ ৫/৬ জন আহত হয়। এর মধ্যে হুমায়ুন হাওলাদার মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছেন। পরিবারটি ইউএনর কাছে হামলার কারণ জানতে চাইলে আলতাব হোসেনের ছেলে হুমায়ুন হাওলাদার, সৌদি প্রবাসী মামুন হাওলাদার ও অতিথি দুলাল হাওলাদারকে আটক করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার অফিসে নিয়ে আসেন। আটককৃত প্রবাসী মামুন হাওলাদার কর্মস্থল সৌদি আরবে যাবার ২৭ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ রাতে বিমানে টিকিট কাটা থাকায় পরিবারটি হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন। আটকৃতদের ছেড়ে দেয়ার জন্য আলতাব হোসেনের পুত্রবধু তানিয়া আক্তার ইউএনও মিজানুর রহমান ও তার সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ নাঈমুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তারা ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। পরিবারটির কাছে এত টাকা না থাকায় পরের দিন ২৬ এপ্রিল বিকালে ৭০ হাজার টাকা নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ নাঈমুর রহমানের অফিস কক্ষে যায়। নাঈম মুঠোফোনে নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলে টাকা রেখে আটকৃতদের ছেড়ে দেন।

আরও পড়ুন >> তীব্র তাপদাহে তৃষ্ণা জুড়ায় তালের শাঁস

এ খবর বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ইউএনওর লোকজন পরিবারটিকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করেন এবং আলতাবের ছেলে মাহমুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ছবি তুলে নিয়ে আসেন। এ ছাড়া প্রবাসী মামুনসহ আটকৃতদের ইউএনও অফিসে দেখা করে কাগজে স্বাক্ষর দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছেন। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারটি আতংকে জীবন অতিবাহিত করছেন।

ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্য সেলিনা বেগম জানান, আমি টিএনও সাহেবের কাছে কাকুতি মিনতী করে বলি আমাদের এখানে কোনো বিবাহের প্রস্তাব চলে নায়। আপনি প্রমান পাইলে ব্যবস্থানেন। ইউএনও কোনো কথা শোনে নায়। আমাদের উপর তার লোকজন হামলা চালায়। পরে আমার দুই ছেলেসহ একজন আত্বিয়কে আটক করে নিয়ে যায়। পরে আমার মেঝ ছেলে তার অফিসে গেলে ইউএনও (মিজানুর) বলে তোমার ভাইকে ছাড়বো যদি দেড় লক্ষ টাকা দেও, আর না দেও তাইলে চালান দেবো। আমার ছেলে মামুনের ২৭ এপ্রিল সৌদি যাবার ফ্লাইট। তাই কোনো উপায় না পেয়ে ধার দেনা করে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ছাড়াইছি।

হুমায়েনের বাবা আলতাব হোসেনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কান্না জড়িতকন্ঠে বলেন, আমার ছেলেদের অনেক মারধর করছে। এখানে কাজি পায় নায়, বর পায় নায়। তারপরও ইউএনও হামলা চালায়। এরপর আমার ছেলেরে ধরে নিয়ে যায়। আমার ঘরের দিকে তাকাইয়া ইউএনও অফিসের নাঈম বলে বিদেশিডারে ধর ওরে ধরলে বিদেশি কামাই বন্ধ হবে আনে। আমি এর বিচার চাই।

প্রতিবেশী নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, এই বাড়িতে এধরনের কোনো ঘটনা ঘটে নায়। এই পরিবারটিকে হয়রানী করায় আমরা গ্রামবাসীরা অসন্তুষ্ট। আমরা এর সুষ্ট বিচারের দাবি করছি।

স্থানীয় মসজিদের ইমাম নুরুল ইসলাম মুন্সী বলেন, এমন খবর শুনি নায়। বিবাহ হইলে তো আমাকে জানইতো। এটা সম্পূর্ন মিথ্য বানোয়াট।

এ বিষয়ে ইউএনও মোঃ মিজানুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সারাদেশে বাল্য বিবাহ বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। মরিচবুনিয়া গ্রামের ঘটনাটিও এই কার্যক্রমের অংশ। ঘটনাস্থান থেকে তিনজনকে আটক করা হলেও পরদিন তাদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। দেড় লক্ষ টাকা ঘুষ চাওয়া ও সত্তর হাজার টাকা ঘুষ নেবার বিষয়টি তিনি মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করে তিনি আরো জানান, আমার সহযোগী নাঈমের বিরুদ্ধে পরিবারটির কাছে অর্থ লেনদেনের কোন প্রমাণ থাকলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: ইউএনও ঘুষ আদায়

আরও খবর



কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের দায়িত্বে মামুন উল হক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরিচালক (আইটিসি) প্রফেসর মো. মামুন উল হককে চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের উপসচিব আনিসুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশ ও প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে সনদ বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তাকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্তি করা হয়।  সনদ বাণিজ্য চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত শনিবার উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরের রাজউক অ্যাপার্টমেন্ট থেকে আকবর খানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাকে দুদিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।

গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের জাল সনদ, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র তৈরিতে জড়িত একটি চক্রের সঙ্গে সেহেলা পারভীনের টাকা-পয়সা লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওই চক্রটি গত কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি জাল সার্টিফিকেট ও মার্কশিট বানিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করেছে। বোর্ডের জাল সনদ ও নম্বরপত্র তৈরির বিষয়ে তথ্য জানতে আলী আকবর খানকেও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তলব করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

সেহেলা ছাড়াও এ অভিযোগে আগে আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ টি এম শামসুজ্জামান, একই প্রতিষ্ঠানের চাকরিচ্যুত কর্মচারী ফয়সাল হোসেন, গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটে পরিচালক সানজিদা আক্তার কলি, কামরাঙ্গীরচরের হিলফুল ফুযুল টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা ওরফে মোস্তাফিজুর রহমান এবং যাত্রাবাড়ী এলাকার ঢাকা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের (মেডিকেল) পরিচালক মাকসুদুর রহমান ওরফে মামুন (৪০)।

এই পাঁচজনের মধ্যে পুলিশ সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান ও ফয়সাল হোসেনকে গ্রেফতার করে গত ১ এপ্রিল। তাদের দেওয়া তথ্যে কলিকে কুষ্টিয়া সদর এলাকা থেকে ধরা হয় গত ৫ এপ্রিল। পরে এই তিনজন  আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আর কলির জবানবন্দিতে জাল সনদ জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে সেহেলার জড়িত থাকার তথ্য উঠে আসে।

গোয়েন্দা পুলিশের ভাষ্য, চেয়ারম্যানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনের সঙ্গে শামসুজ্জামান ও সানজিদা আক্তার কলির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এ চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও ২৫ থেকে ৩০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



ঢাকাসহ ৩ বিভাগে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকাসহ তিন বিভাগে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে হতে পারে বজ্রপাতও। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টায় দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহ: বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলা সমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

তাপমাত্রা: সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

সিনপটিক অবস্থা: লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

দ্বিতীয় দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপমাত্রা: সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিবৃদ্ধি পেতে পারে।

তৃতীয় দিনের আবহাওয়া সম্পর্কে জানানো হয়েছে, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপমাত্রা: সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিবৃদ্ধি পেতে পারে।

বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



সুইমিং পুলে গোসল করতে নেমে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিং পুলে গোসল করতে নেমে দর্শন বিভাগের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সোয়াদ (১৯) নামে ওই শিক্ষার্থী ঢাবির দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র।

আজ সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা পৌনে ২টার দিকে ঢাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংলগ্ন সুইমিং পুলে এই ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক বেলা ২টায় মৃত ঘোষণা করেন।

তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা সহপাঠী মো. সোহাগ জানান, দুপুরে ঢাবির অনেক শিক্ষার্থী সুইমিং পুলে গোসল করছিল। সেখানে সাঁতার কেটে একপাশ থেকে অন্যপাশে যাচ্ছিল অনেকে। তখন তারা দেখতে পান সোয়াদকে ঘিরে আছে সবাই। এগিয়ে গেলে জানতে পারেন, পুলের পানিতে ডুবে গিয়েছিল সে।

সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে তারা নিজেরাই ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন। তবে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ মো. মাসুদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোয়াদের মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি শাহবাগ থানা পুলিশ তদন্ত করছে।

সোয়াদের বাড়ি বগুড়া জেলায়। দর্শন বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র সে। থাকতো হাজী মোহাম্মদ মহসিন হলে। তার সাঁতার জানা ছিল বলে জানান সহপাঠীরা। তবে কীভাবে পানিতে তলিয়ে গেছে তা জানাতে পারেনি।

ঢাবির শিক্ষার্থী মোল্লা তৈমুর রহমান জানান, সোয়াদ তার জুনিয়র। সুইমিং পুলে গোসল করার সময় যখন পাড়ে ভিড় দেখেন। তখন সহপাঠীরাই তার পেট চাপাচাপি করে পানি বের করার চেষ্টা করছিল। ওখানকার কোনো স্টাফ বা কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের সাহায্য করেনি।

তিনি বলেন, সোয়াদের ব্যাচমেটদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, তার শ্বাসকষ্টজনতি সমস্যা ছিল। যে কারণে সাঁতার জানা সত্ত্বেও গোসল করার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যেতে পারে সে।


আরও খবর



শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় চামেলীকে অব্যাহতি

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শৃঙ্খলার পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের স্বাক্ষর করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির গঠনতন্ত্রের ৪৭(৯) ধারা মোতাবেক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে সংগঠনের শৃঙ্খলার পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।


আরও খবর



চাকরি হারাচ্ছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক, বেতন ফেরত দিতে হবে সুদসহ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পশ্চিমবঙ্গের ২৫ হাজার শিক্ষক চাকরি হারাচ্ছেন। কলকাতা হাইকোর্টের এক আদেশ অনুযায়ী ২০১৬ সালে নিয়োগ পাওয়া ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষককে চাকরি ছাড়তে হবে। একইসঙ্গে এই সময়ে তারা যে বেতন তুলেছেন তা ১২ শতাংশ সুদসহ ফেরত দিতে হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকারের জন্য এই আদেশ বড় এক ধাক্কাই। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিচারপতি দেবাংশু বাসাক ও মো. শাব্বার রশিদির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ জানান, স্কুলশিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধ ছিল। তারা খালি ওএমআর শিট জমা দিয়ে শিক্ষক হয়েছেন।

নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুরও আদেশ দেওয়া হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্কুল সার্ভিস কমিশনকে।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ছাটাইকৃত শিক্ষকদের বেতন ফেরত দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়। বেতন সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের। ২০১৬ সালে নিয়োগ পাওয়া শুধুমাত্র একজন শিক্ষককে চাকরিতে বহাল রাখা হয়েছে। সোমা দাস নামে ওই শিক্ষিকার ক্যানসারের চিকিৎসা চলছে।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী এই বেঞ্চ গঠিত হয়েছে। বেঞ্চটি সিবিআইকে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আরও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী তিন মাসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।


আরও খবর