আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

ইতিকাফের সময় গোসল ফরজ হলে করণীয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

ইতিকাফ বলা হয়, বিশেষ নিয়তে বিশেষ অবস্থায় আল্লাহ তায়ালার আনুগত্যের উদ্দেশ্যে মসজিদে অবস্থান করাকে। ইতিকাফরত অবস্থায় বান্দা নিজেকে আল্লাহর ইবাদতের জন্য দুনিয়ার অন্য সব কিছু থেকে আলাদা করে নেয়। ঐকান্তিকভাবে মশগুল হয়ে পড়ে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের নিরন্তর সাধনায়।

ইতিকাফের মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শাহ ওয়ালি উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভি রহ. বলেন, মসজিদে ইতিকাফ হচ্ছে হৃদয়ের প্রশান্তি, আত্মার পবিত্রতা ও চিত্তের নিষ্কলুষতা; চিন্তার পরিচ্ছন্নতা ও বিশুদ্ধতা।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু-সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র করো। (সূরা বাকারা, আয়াত : ১২৫)

মদিনায় অবস্থানকালে রাসূলুল্লাহ সা. প্রতিবছরই ইতিকাফ পালন করেছেন। শত ব্যস্ততা সত্ত্বেও রমজানে তিনি ইতিকাফ ছাড়েননি। আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. প্রতি রমজানে ১০ দিন ইতিকাফ করতেন, তবে যে বছর তিনি ইন্তেকাল করেন, সে বছর তিনি ২০ দিন ইতিকাফে কাটান। (বুখারি, হাদিস : ১৯০৩)

ইতিকাফের সময় দুনিয়াবি সব কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হয়। এ সময় প্রয়োজন ছাড়া মসজিদ থেকে বের হলে ইতিকাফ ভেঙে যাবে। তবে কারো যদি স্বপ্ন দোষের কারণে গোসল ফরজ হয় তাহলে তার করণীয় বিষয়ে ইসলামি আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদদের মতামত হলো

ইতিকাফের সময় কারো গোসল ফরজ হলে এমন ব্যক্তি তাৎক্ষণিক তায়াম্মুম করে মসজিদ থেকে বের হয়ে গোসল করে নেবেন। আর যদি তায়াম্মুম করার মত কোনো কিছু না পায় তাহলে দ্রুত মসজিদ থেকে বের হয়ে গোসল করে আসবে। মসজিদের বাইরে গোসল ছাড়া অন্য কোনো কাজ বা বিষয়ে সামান্য সময়ও ব্যয় করা যাবে না। (রদ্দুল মুহতার ১/৪১০;)

নিউজ ট্যাগ: ইতিকাফ

আরও খবর



নাফ নদীতে বিজিপির গুলিতে দুই বাংলাদেশি জেলে আহত

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) গুলিতে বাংলাদেশি দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের নাইক্ষ্যংদিয়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন- শাহপরীর দ্বীপের মাঝেরপাড়ার মোহাম্মদ ইসমাইল ও মোহাম্মদ ফারুক। এর মধ্যে ফারুকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রোববার দুপুর ১টার দিকে আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

টেকনাফের সাবারাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর হোসেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা প্রণয় রুদ্র জানান, আহতদের মধ্যে ফারুকের শরীরে তিনটি গুলি লেগেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: বিজিপি নাফ নদী

আরও খবর



গাংনীতে জমি দখল পেতে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

মেহেরপুর আদালত কর্তৃক রায় পাবার পরও জমি দখল পাচ্ছেন না আফতাব উদ্দীন নামের এক ভুক্তভোগি। রায় প্রাপ্ত জমি দখল পেতে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহকারী কমিশনার(ভুমি)সহ বিভিন্ন স্থানে আবেদন করেও কোন সুরাহা পাননি তিনি। অবশেষে আজ বিকেলে গাংনী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই ভুক্তভোগি।

আফতাব উদ্দীন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর বর্ডার পাড়ার মৃত সাত্তার আলীর ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিতভাবে তিনি জানান, অত্র উপজেলার দেবীপুর গ্রামের মোঃ ফজলুর রহমানের ছেলে মোঃ মামনুর রশিদ, মৃত পিয়ার বক্সের ছেলে মোঃ ফজলুর রহমান, মৃত রহমত উল্লাহর ছেলে মোঃ ইউসুফ আলী, মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে মোঃ ছাবদার, কাজিপুর গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে খবির উদ্দীন ও খড়মপুর গ্রামের দলিল লেখক ওমর আলী জাল জালিয়াতির মাধ্যমে গাংনী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল সম্পাদিত ও রেজিস্ট্রি করেন। যার নং- ১২৬৫, তাং- ০৪/০২/২০১০ ইং।

এ দলিল বাতিলের জন্য আদালতে একটা মোকদ্দমা করা হয়। যার নং- দেং ১২৬/২০১০। উক্ত দলিল হস্তরেখা বিশারদ দ্বারা পরীক্ষাতে দলিল জালিয়াতির মাধ্যমে সৃষ্ট বলিয়া প্রমানিত হয় এবং তদমর্মে হস্তরেখা বিশারদ রিপোর্ট দাখিল করেন। উক্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে ও উভয় পক্ষের সাক্ষ্য প্রমানাদি গ্রহণে  যথাক্রমে ১৬ জানুয়ারী ২০২০, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ৩০ নভেম্বর ২১, ২০ জুন ২২, ২৭ সেপ্টেম্বর ২২, ২৪ অক্টোবর ২২, ১৩ সেপ্টেম্বর ২৩, ২২ অক্টোবর ২৩, ২১ নভেম্বর ২৩ ও ২৯ জানুয়ারী ২০২৪ ইং তারিখে চুড়ান্ত শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ইং তারিখে আমার পক্ষে রায় প্রদান করেন।

রায়ে উল্লেখ করেন যে, মোকদ্দমাটি ১/২ নং বিবাদীর বিরুদ্ধে দোতরফা সূত্রে এবং অন্যান্য বিবাদীর বিরুদ্ধে বিনা খরচায় ডিক্রী হইল। এতদ্বারা নালিশী 'ক' তপশীল বর্ণিত ৬৩ শতক জমির দখল বাদীর বরাবর বুঝিয়ে দেয়ার জন্য বিবাদীপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করা হলো। পাশাপাশি বিগত ০৪/০২/২০১০ তারিখের ১২৬৫ নং দলিল বাতিল করা হলো।

নালিশী দলিলটি বাতিল করণের নোট সংশ্লিষ্ট ভলিয়মে প্রদান করার নিমিত্তে ডিক্রীর অনুলিপি সাব-রেজিস্ট্রার গাংনী, মেহেরপুর বরাবর প্রদান করেন। এমতে আদেশ হওয়ার আমি দরখাস্তকারী প্রতিপক্ষগণকে নিম্ন তপশীল বর্ণিত জমির দখল ছেড়ে দেয়ার জন্য বারংবার অনুরোধ করলেও প্রতিপক্ষগণ মাননীয় আদালতের রায় ডিক্রী থাকা সত্বেও জমির দখল ছেড়ে দিচ্ছেন না এবং ছেড়ে দিবে না বলে স্পষ্ট ভাবে জানান।

প্রতিপক্ষগণ অর্থাবলে ও জনবলে বলিয়ান ক্ষমতাধর ব্যক্তি। তারা আরো হুমকি দিচ্ছেন যে, যদি নালিশী নিম্ন তপশীল বর্ণিত জমির দখলে যাওয়ার চেষ্টা করা হয় তাহলে ভুক্তভোগিকে খুন গুম করে ফেলবে। ভয়ে ওই জমিতে যেতে পারেন না তিনি।  এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) বরাবর আবেদন করেও কোথাও কোন সুরাহা পান নি বলে অভিযোগ করেছেন ওই ভুক্তভোগি। শেষ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের উচ্চ মহলে বিষয়টি অবগত এবং আমি যাতে উক্ত জমি দখল পেতে পারেন তার সুষ্ঠু সমাধানে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয় যে, জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই বাছাই ছাড়া কিভাবে জমি রেজিস্ট্রি ও সনাক্ত এবং খারিজ হয় তা সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি আশাবাদী। জমি জালিয়াতিতে জড়িতদের মধ্যে সনাক্ত করেছেন কাজিপুরের খবির উদ্দীন যার প্রকৃত পিতার ফহিম হাসলানা অথচ পিতার নাম দেয়া হয়েছে আয়নাল হক। যা সম্পুর্ণ অবৈধ ও আইন বিরোধী বলেও দাবী করেন তিনি।

নিউজ ট্যাগ: মেহেরপুর

আরও খবর



হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

তরুণদের আস্থা আর বয়োজ্যেষ্ঠদের নির্ভরতার প্রতীক সাদ্দাম হোসেন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের অনুষ্ঠিত মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে হাটবাজারে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে তরুণ প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন। 

হরিরামপুর উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে তরুণ থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ সবারই আলোচনার বিষয়ে এখন মো. সাদ্দাম হোসেন। তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে বিপদে-আপদে যখন কোন প্রয়োজন হয়েছে ঘরের ছেলের মতে এগিয়ে এসেছে সাদ্দাম হোসেন। 

বয়োজ্যেষ্ঠ বাদল মন্ডল জানান, যখনই কোন প্রয়োজনে সাদ্দাম হোসেনের কাছে গিয়েছি সে তার সাধ্যমত উপকার করার চেষ্টা করছে। আমাদের মত বয়স্ক মানুষ যারাই সাদ্দামের কাছে গেছে তারাই ভালো ব্যবহার পেয়েছে। এই নির্বাচনে জয়-টা তার প্রাপ্য, আমি চাই আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে জয়ী হয়ে সাদ্দাম যেন এই এলাকার সেবা করতে পারে।

চায়ের দোকানে বসে কথা হয় আসিকুজ্জামান নামে একজনের সাথে। আলাপকালে তিনি বলেন, আমরা খেলাধুলা করতে পছন্দ করি, একারণে একবার সাদ্দাম ভাইয়ের কাছে ক্রীড়া সামগ্রী চেয়েছিলাম, তিনি আমাদের যা দিয়েছিলেন তা ছিল চাহিদারও বেশি। আমার মত তরুণরা চায় সাদ্দাম ভাই উপজেলা পরিষদে আমাদের প্রতিনিধিত্ব করুক। তরুণ সমাজ জোট বেঁধেছে তারা সাদ্দাম ভাইকেই ভোট দিবে।

কলেজ পড়ুয়া সাথী আক্তার জানান, সাদ্দাম ভাই বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সৈনিক, দীর্ঘদিন ধরে বিপধগামী জামায়াত-বিএনপির বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। এবার প্রথমবারের মত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিব, আর সেটা হবে সাদ্দাম ভাইয়ের জন্য।


নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে মো. সাদ্দাম হোসেন জানান, আমি খুব ছোটবেলা থেকেই ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত। স্কুল কলেজের মাঠ চুকিয়ে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন ভর্তি হই, তখন থেকেই সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ শুরু করি। পরবর্তীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেন, সেখানে আমি কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পাই। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পাই।

তিনি বলেন, আসলে রাজনীতি মানেই হলো মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। জনগণকে সাথে নিয়ে পথ চলতে হবে। আমি নিজে ভাল থাকব আর আমার পাশের মানুষেরা কষ্টে থাকবে, আমি আসলে সেই ধারায় বিশ্বাসী না। মানুষের সেবা করার সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম হলো রাজনীতি। আর রাজনীতির পরিপূর্ণতাই হলো জনপ্রতিনিধি হয়ে মানুষের পাশে থেকে মানুষের সেবা করা। সেই লক্ষেই আমার এই উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণ করা। আমি আশা করি, আপামর সাধারণ জনগণ ও তরুণ সমাজ আমার পাশে থাকবে এবং আমাকে জনগণ তাদের সেবা করার সুযোগ দিবেন।


প্রসঙ্গত, এ উপজেলার ৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিলেও ১৭ এপ্রিল যাচাই বাছাইয়ে বৈধতা পান ৮ জন প্রার্থী। এর মধ্যে এবারের নির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থীদের তালিকার মধ্যে নির্বাচনী মাঠে প্রথম বারের মতো চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ভোট যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন। মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ে প্রার্থীতা বৈধতা পেয়েই পুরোদমে ভোটের মাঠে নেমে পড়েছেন সাদ্দাম হোসেন। তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে গণসংযোগ শুরু করেছেন।

এছাড়াও বৈধতা পাওয়া অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল হাসান রাজিব, আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন শহর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সামছুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আজিম খাঁন, জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. তামজিদ উল্লা প্রধান লিল্টু, বিএনপি পন্থি একমাত্র প্রার্থী উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক ও বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার ও নির্দলীয় প্রার্থী রাকিব হাসান। মনোনয়ন বাতিল হওয়া একমাত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সেলিম মোল্লা আপিল করেছেন বলেও জানা যায়।


আরও খবর



বিএমডিসি ছাড়া 'ভুল চিকিৎসা' বলার অধিকার কারো নেই

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) ছাড়া ভুল চিকিৎসা নির্ণয় ও দাবি করার অধিকার কারও নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

তিনি বলেন, ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার কারো নেই এমনকি আমারও। এটা বলার অধিকার আছে শুধু বিএমডিসির। এই ভুল চিকিৎসা অজুহাতে চিকিৎসকদের ওপর যেভাবে আক্রমণ করা হয় এটা খুবই নেক্কারজনক। ভুল চিকিৎসার নামে চিকিৎসককে মারধর এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না।

বুধবার (১ মে) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নিউরো সার্জন সোসাইটির ১২তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক বদরুল আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব এহতেশামুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক শফিউল আলম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন।

চিকিৎসকদের সুরক্ষা আইন পাস করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চিকিৎসক সুরক্ষা আইন পাশ করাবো। আমাদের দ্বায়িত্ব চিকিৎসকদের সুরক্ষা দেওয়া। তেমনি চিকিৎসকদেরও দায়িত্ব রোগীকে সুরক্ষা দেওয়া। তাই চিকিৎসকদের কোনো অবহেলাও আমি সহ্য করবো না। আপনাদের কাছে আমার একটাই দাবি, আপনারা সেবা দেন আমি আপনাদের জন্য সব কিছু করবো।

এর আগে গতকালও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে ডা. সামন্ত লাল একই কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি প্রায়ই পত্র-পত্রিকা ও টিভিতে দেখি ভুল চিকিৎসার কথা। ভুল চিকিৎসা বলে কিছু নাই৷ এটা আমি-আমরা বলতে পারি না। ভুল চিকিৎসার ব্যাপার যদি থেকেও থাকে, সেটা বলার অধিকার একমাত্র বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের আছে। আমরা বললে চিকিৎসার অবহেলার কথা বলতে পারি।


আরও খবর



শনিবারও চলবে ক্লাস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্ধ অ্যাসেম্বলি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রমজান, ঈদুল ফিতর, নববর্ষের সঙ্গে তীব্র গরমে ঘোষিত ছুটি শেষে আগামী ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে। অর্থাৎ দাবদাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আর বাড়াচ্ছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এদিকে ঘাটতি পূরণ করতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির ধারাবাহিকতায় তাপপ্রবাহের কারণে গত ২০ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ঘোষিত ছুটি শেষ হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপণে ২৮ এপ্রিল রবিবার থেকে যথারীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এ সময় তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং শিক্ষার্থীদের সূর্যের সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে। তাপপ্রবাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ এবং নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহের শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।


আরও খবর