আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

ইতিকাফের গুরুত্ব ও ফজিলত

প্রকাশিত:বুধবার ২০ এপ্রিল ২০22 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ এপ্রিল ২০22 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রমজানের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত ইতিকাফ। ইতিকাফ মানে জাগতিক ঝামেলা থেকে মুক্ত হয়ে মসজিদে অবস্থান করা, সমর্পিত হৃদয়ে নিজের ক্ষমা ও মাগফিরাতের চেষ্টায় খোদা প্রেমে মশগুল হওয়া। ইতিকাফের মাধ্যমে মুসলমানরা আল্লাহর জিকির ও ইবাদতের মাধ্যমে শবে কদর তালাশ করে। সর্বোপরি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত কামনা করে। ২০ রমজান সন্ধ্যা থেকে শুরু হবে রোজাদারদের এই বিশেষ আমল।

শব্দগত দিক দিয়ে ইতিকাফ অর্থ অবস্থান করা, স্থির থাকা, কোনো স্থানে আবদ্ধ হয়ে থাকা। ইসলামের পরিভাষায় রমজান মাসের শেষ দশকে জাগতিক কাজকর্ম ও পরিবার-পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ইবাদতের নিয়তে মসজিদে (পুরুষ) কিংবা ঘরে (মহিলা) অবস্থান করা ও স্থির থাকাকে ইতিকাফ বলে। এর উদ্দেশ্য আল্লাহর আনুগত্য, সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ লাভের আকাঙ্ক্ষা, সওয়াব অর্জনের প্রত্যাশা এবং লাইলাতুল কদর লাভের আশা।

নবীজি (সা.) রমজানের শেষ দশ দিনের ইতিকাফ খুব গুরুত্বের সঙ্গে পালন করতেন। আবু হুরাইরা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) প্রতি রমজানে দশ দিন ইতিকাফ করতেন। কিন্তু ইন্তেকালের বছর তিনি ২০ দিন ইতিকাফ পালন করেন। (বুখারি: ১৯৩৯)

অন্য হাদিসে আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। ইন্তেকালের পর তাঁর স্ত্রীরাও ইতিকাফ করতেন। (মুসলিম: ১১৭২)

রমজানের শেষ দশ দিন ইতিকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদায় কেফায়া। অর্থাৎ মসজিদের অধিবাসীদের মধ্যে কেউ একজন পালন করলে, অন্যরা সওয়াব না পেলেও গুনাহ থেকে বেঁচে যাবে। তবে সুন্নত আদায়ের সওয়াব কেবল তারাই পাবেন, যারা ইতিকাফে বসবেন। সুন্নত ইতিকাফের সময় শুরু রমজানের ২০ তারিখ সূর্য অস্ত যাওয়ার কিছুক্ষণ পূর্ব থেকে। আর ঈদুল ফিতরের চাঁদ উঠলে সময় শেষ হয়।

ইতিকাফকারী পুরুষ ২০ রমজান আসরের নামাজের পর সূর্যাস্তের আগে মসজিদে পৌঁছাবেন এবং কোণে একটি ঘরের মতো পর্দা দিয়ে ঘেরাও করে অবস্থান নেবেন; এমনভাবে যেন প্রয়োজনে জামাতের সময় পর্দা খুলে মুসল্লিদের জন্য নামাজের ব্যবস্থা করা যায়। এ স্থানে পানাহার ও শয়ন করবেন এবং বিনা প্রয়োজনে এখান থেকে বের হবেন না। তবে প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বা ফরজ গোসল প্রভৃতি কাজে অথবা শরিয়তের প্রয়োজনে, যেমন জুমার নামাজ প্রভৃতির জন্য বের হওয়া জায়েজ।

নারীরা ঘরের নির্দিষ্ট স্থানে, যেখানে তিনি নামাজ আদায় করেন, সেখানেই ইতিকাফ করবেন। বাড়ির নির্দিষ্ট স্থান না থাকলে যে কোনো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন স্থানে ইতিকাফ করবেন এবং ঈদের চাঁদ উদয় না হওয়া পর্যন্ত ইতিকাফের স্থান ত্যাগ করবেন না।

ইতিকাফের অন্যতম উদ্দেশ্য লাইলাতুল কদর অন্বেষণ করা। কারণ নবীজি (সা.) রমজানের শেষ দশকে কদর রাত খোঁজার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। কোনো কোনো হাদিসে শেষ দশকের বেজোড় রাতের কথা বলা হয়েছে। যাবতীয় নফল ইবাদত থেকে এটি ব্যতিক্রম। কারণ নবীজি (সা.) দুটি নফল ইবাদত কাজা করেছেন। একটি তাহাজ্জুদের নামাজ, আরেকটি রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ। যে রাতে তিনি তাহাজ্জুদ পড়তে সক্ষম হতেন না, পরবর্তী দিবসে তিনি তা কাজা করে নিতেন। সাধারণত পড়তেন ৮ রাকাত; কাজা করার সময় পড়তেন ১২ রাকাত।

দ্বিতীয়ত, ইতিকাফ। রোজা ফরজ হওয়ার পর কোনো রমজানেই নবীজি (সা.) ইতিকাফ ছেড়ে দেননি। ইন্তেকালের আগের বছর ওজরবশত ইতিকাফ করতে পারেননি; ইন্তেকালের বছর রমজানে তিনি কাজাসহ মোট ২০ দিন ইতিকাফ করেন। এ কারণেই যুগে যুগে বুজুর্গ ব্যক্তিরা তাহাজ্জুদ এবং ইতিকাফ, এই দুই নফল আমল পারতপক্ষে পরিত্যাগ করেন না।

নবী করিম (সা.) বলেন, ইতিকাফকারী ব্যক্তি যাবতীয় পাপ থেকে মুক্ত থাকে আর ইতিকাফে লিপ্ত থাকার জন্য কোনো ব্যক্তি বাইরের কোনো নেক কাজ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকলেও ওই নেক কাজগুলোর পূর্ণ নেকি সে লাভ করবে।(ইবনে মাজা)

তিনি আরও বলেন, ইতিকাফকারী মূলত গুনাহ থেকে দূরে থাকে এবং তাকে ইতিকাফের বিনিময়ে এত বেশি নেকি দেওয়া হবে, যেন সে সব নেকি অর্জনকারী। (ইবনে মাজা)। যে ব্যক্তি রমজানের শেষ দশক ইতিকাফ করবে, তার জন্য দুই হজ ও দুই ওমরার সওয়াব রয়েছে।(বায়হাকি)

ইতিকাফে খেয়াল রাখতে হবে১. ইতিকাফকালে স্ত্রী সহবাস বা স্ত্রী সহবাসে উত্তেজনা সৃষ্টিকারী কিছু করলে ইতিকাফ বাতিল হয়ে যাবে। ২. মানবীয় কাজ যেমনপায়খানা-প্রস্রাব অথবা শরয়তি প্রয়োজন ছাড়া, যেমনজুমার নামাজে শরিক হওয়া ছাড়া মসজিদ থেকে বের হলে ইতিকাফ বাতিল হয়ে যাবে। ৩. এসব অনুমোদিত জরুরতে বের হয়েও প্রয়োজনের বেশি অবস্থান করলে ইতিকাফ থাকবে না। ৪. কেউ ইতিকাফ শুরু করে কোনো কারণে ছেড়ে দিলে পরে তা কাজা করতে হবে এবং রোজার সঙ্গেই কাজা করতে হবে। ৫. খাদ্য বা অজুর পানি এনে দেওয়ার মতো কোনো লোক না থাকলে তার জন্য মসজিদের বাইরে যাওয়া জায়েজ; তবে খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসতে হবে। (কুদুরি, ফাতাওয়া শামি, হাশিয়ায়ে তাহতাবি)

নিউজ ট্যাগ: ইতিকাফ

আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




ঢাকার অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ৪২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভবন সিলগালার নির্দেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার 'অধিক ঝুঁকিপূর্ণ' ৪২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন ৭ দিনের মধ্যে খালি করে সিলগালার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

রাজউকের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম প্রকাশ করে মাউশি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন 'আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প: রাজউক অংশ' শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ঢাকার সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন সংস্থার 'অধিক ঝুঁকিপূর্ণ' ভবন ভেঙে ফেলার সুপারিশ করা হয়।

এ তালিকার মধ্যে মাউশির আওতাধীন ৪২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে।

'অধিক ঝুঁকিপূর্ণ' শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে আছে দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, তেজগাঁও মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, আজিমপুরের অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বাড্ডার আলাতুন্নেছা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ।


আরও খবর



নোয়াখালীতে পুকুরে মিলল ১০ কেজি ইলিশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নোয়াখালী প্রতিনিধি

Image

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার একটি পুকুরে মিলেছে ১০ কেজি রুপালি ইলিশ। প্রতিটি ইলিশের ওজন প্রায় ৫০০-৬০০ গ্রাম করে।

বুধবার সকালে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের যুগান্তর কিল্লা গুচ্ছগ্রামের পুকুরে জাল ফেললে মাছগুলো ধরা পড়ে।

জানা যায়, নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের যুগান্তর কিল্লা গুচ্ছ গ্রামের পুকুরটি ৪০টি পরিবার ব্যবহার করে। পুকুরটি লিজ নিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল মান্নান। বিশাল পুকুরে প্রায় সাত দিন ধরে সেচ দিয়ে পানি কমান তিনি। বুধবার সকালে পানি প্রায় কমে আসলে জেলেদের জাল দিয়ে মাছগুলো ওপরে তুলেন। এ সময় অন্যান্য মাছের সঙ্গে প্রায় ১০ কেজি রুপালি ইলিশ ধরা পড়ে। বিগত বছরেও এই পুকুরে ইলিশ মাছ পাওয়া গিয়েছিল।

পুকুরের মালিক আবদুল মান্নান বলেন, প্রায় ৪০টি পরিবার যুগান্তর কিল্লা গুচ্ছগ্রামের পুকুরটি ব্যবহার করে। প্রায় সাত দিন ধরে পুকুরটি সেচের জন্য মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে। আগামীকাল সেচের পুরো কাজ শেষ হবে। আজ পুরো পুকুরে জেলেদের দিয়ে জাল ফেলা হয়েছে। সে জালে অন্যান্য মাছের সঙ্গে ১০ কেজি ইলিশ ধরা পড়েছে। মাছগুলো ৫০০ গ্রাম থেকে ৬০০ গ্রামের মধ্যে।

নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আফছার দিনাজ বলেন, প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড় আসলে নিঝুমদ্বীপের প্রায় সবগুলো পুকুর তলিয়ে যায়। এর মধ্যে যুগান্তর কিল্লা পুকুরটিও ছিল। সেখানে আবদুল মান্নান ২০২২ সালেও ৬ থেকে ৭ কেজি ইলিশ মাছ পেয়েছিলেন। এবার ১০ কেজি পেয়েছেন। মূলত জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় তখন ইলিশ পুকুরে এসেছে। পানি বের হতে না পারায় মাছগুলো নিজেদের খাপ খাইয়ে নিয়েছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, পুকুরে ইলিশ হয় বিষয়টি এমন নয়। মূলত জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় তখন ইলিশ পুকুরে এসেছে। নিঝুমদ্বীপ নিম্নাঞ্চল তাই জোয়ারে প্লাবিত হয়। পুকুরটি যখন প্লাবিত হয়েছে, তখন ইলিশ প্রবেশ করেছে। এছাড়া আলাদা কিছু এখানে নেই।


আরও খবর



পহেলা বৈশাখে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, আগামীকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর রমনায় পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে জঙ্গি হামলার কোনো আশঙ্কা নেই। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় রমনা পার্কে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এতথ্য জানান তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির অসম্প্রদায়িক চেতনার বহিঃপ্রকাশ। সেজন্য এটার ওপর বারবার আঘাত এসেছে। সহিংস হামলা হয়েছে, জঙ্গি হামলা হয়েছে। সেজন্য সবকিছু মাথায় রেখেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা পরিকল্পনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট হামলার শঙ্কা আমার কাছে নেই।

তিনি বলেন, রমনা বটমূলে আগামীকাল বিকেল ৫টার পর্যন্ত প্রবেশ করা যাবে। এরপর আর কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়াও সন্ধ্যার আগে সবাইকে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে হবে।

হাবিবুর রহমান বলেন, রমনায় টুরিস্টদের অভ্যর্থনা জানানোর জন্য টুরিস্ট পুলিশ বুথ রয়েছে। লেক এলাকা নিরাপত্তা দিতে নৌপুলিশের টহল রয়েছে। এছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সাময়িক মেডিকেল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। রক্তদানের ব্যবস্থার পাশাপাশি বিনামূল্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে সুপেয় পানি বিতরণের ব্যবস্থা রয়েছে।

দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।


আরও খবর



হিট ওয়েভ সম্পর্কে যে তথ্যগুলো জানা জরুরি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চৈত্রের শেষেই তাপপ্রবাহের কবলে দেশের বিভিন্ন অংশ। ইতোমধ্যে দেশে চলতি মৌসুমে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। যা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি। এমনকি আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে যে, চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে চলতি মাসেই তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে বলেও আগেই সতর্ক করা হয়েছে।

এ অবস্থায় প্রয়োজন না থাকলে বাড়ির বাইরে না বেরনোই ভাল। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রতি বছরই বিশ্বে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয় এই হিট স্ট্রোকে। অনেকেই রোদের মধ্য থেকে বাড়িতে ফিরে প্রথমেই ঢকঢক করে ঠাণ্ডা পানি খেয়ে ফেলেন। যা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ এতে যেমন ঠাণ্ডা বসে যায় তেমনই কিন্তু স্ট্রোকের (হিট ওয়েভ) সম্ভাবনাও বেড়ে যায় অনেকখানি।

হিট ওয়েভ বা হিট স্ট্রোক বাঁচতে তাই সতর্ক থাকতে হবে। এক্ষেত্রে যেসব বিষয় মেনে চলার ওপর বিশেষজ্ঞরা গুরুত্ব দিয়ে থাকেন, তার কয়েকটি সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করা হলো-

স্বভাবিক পানি পান করুন, তাও আবার ধীরে ধীরে।

ঠাণ্ডা পানি পান পরিহার করুন। বরফ/বরফ পানি পুরোপুরিই পরিহার করুন।

যখন তাপমাত্রা ৪০° সেলসিয়াসে পৌঁছে তখন খুব ঠাণ্ডা পানি পান করতে নিষেধ করেন চিকিৎসকরা। কারণ এতে রক্তনালী হঠাৎই সংকুচিত হয়ে স্ট্রোক হতে পারে।

যখন বাহিরের তাপমাত্রা ৩৮° সেলসিয়াস অতিক্রম করে তখন ঘরে চলে আসুন বা ছায়ায় অবস্থান করুন। ঠাণ্ডা পানি পান করবেন না। স্বভাবিক তাপের পানি পান করুন বা ঈষৎ গরম পানি এবং ধীরে ধীরে পান করুন।

ঘরে এসেই হাত-পা-মুখ ধুবেন না। হাত-মুখ ধোয়ার আগে একটু অপেক্ষা করুন। দেহকে ঘরের তাপের সাথে খাপ খাইতে দিন। অন্তত আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন হাত-মুখ ধোয়ার আগে বা গোসলের আগে।

অল্প অল্প করে বারে বারে স্বাভাবিক পানি পান করুন। জুস বা এ জাতীয় পানীয় পরিহার করুন। স্বাভাবিক শরবত, ডাব বা লবণ পানির শরবত পান করতে পারেন- যদি তা আপনার জন্য অন্য কারণে নিষিদ্ধ না হয়ে থাকে। তবে তাও স্বল্প পরিমাণে।

প্রচণ্ড গরমে বা যদি আপনি খুবই ক্লান্ত থাকেন তবে ভুলেও বরফ মিশ্রিত পানি বা ফ্রিজের পানি পান করবেন না, যদিও ওই সময় ঠাণ্ডা পানি খুব ভালো লাগে। এটা শরীরে প্রশান্তি ভাব এনে দিলেও হঠাৎই ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।


আরও খবর
কেমন হবে বৈশাখের সাজ

শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪




মুফতি আমির হামজাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাজধানীর দারুস সালাম থানার সন্ত্রাসবিরোধ আইনের মামলায় আলোচিত ইসলামী বক্তা মুফতি মো. আমির হামজাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।

গত ২৮ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের পরিদর্শক কাজী মিজানুর রহমান আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তবে চার্জশিটের বিষয়টি আজ বুধবার জানা গেছে।

চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হলেন মেহেদী হাসান, অলিউন নবী সবুজ, মো. কাদের কিবরিয়া সাগর ও এম যুবায়ের আহমেদ।

এছাড়া মো. আসাদুজ্জামান আসাদ, তাসনিমুল করিম রিজভী ও আব্দুল্লাহ আল আমিনের কোনো সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।

২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপপরিদর্শক মো. মোকলেছুর রহমান বাদী হয়ে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় মামলাটি করেন।

ধর্মীয় ওয়াজের মাধ্যমে ধর্মের অপব্যাখ্যা ও উগ্রবাদ ছড়ানোর অভিযোগে ২০২১ সালের ২৪ মে মুফতি আমির হামজাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা গ্রেপ্তার করে। সংসদ ভবনে খোলা তলোয়ার নিয়ে হামলার পরিকল্পনায় অভিযোগে করা মামলায় আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ওই বছর ৩১ মে মুফতি আমির হামজা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর তিনি জামিনে মুক্তিলাভ করেন।


আরও খবর