রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের কথা উল্লেখ করে ইতালির বিনিয়োগকারীদের
বাংলাদেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বঙ্গভবনে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্টোনিও
আলেসান্দ্রো তার পরিচয়পত্র পেশ করতে গেলে রাষ্ট্রপ্রধান এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, রাষ্ট্রপতি দেশটিকে বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন। ইতালির ‘লিগাল মাইগ্রেশন স্কিমের’ আওতায় বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি নিতে ইতালি সরকারের আগ্রহকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন>> পাশের আগে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে: আইনমন্ত্রী
রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘ইতালি বাংলাদেশের ষষ্ঠ বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য এবং গত বছর দ্বিপাক্ষিক
বাণিজ্যের পরিমাণ তিন বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।’
রোহিঙ্গা সংকট
মোকাবিলায় ইতালির সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্টপ্রধান রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে
প্রত্যাবাসনে ইতালি সরকারের চাপ অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান।
প্রেস সচিব
মো. জয়নাল আবেদীন জানান, নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ইতালির সম্পর্ক অত্যন্ত
গভীর। গত বছর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে
একটি মাইলফলক।’
২০২৩ সালে ইতালিতে
অনুষ্ঠিত ফুড সিস্টেম সামিটে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ এবং ২০২০ সালে ইতালিতে তাঁর রাষ্ট্রীয়
সফর দু’দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে বলে উল্লেখ করেন
রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘সম্প্রতি জ্বালানি ও সংস্কৃতি বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে দু’দেশের সম্পর্কে আরও গতিশীলতা এসেছে।
এছাড়া প্রতিরক্ষা, অভিবাসন, নিরাপত্তা, সাইবার নিরাপত্তা—এসব ক্ষেত্রেও সহযোগিতা বৃদ্ধির
বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে।’
ইতালির রাষ্ট্রদূত বলেন, তাঁর সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে খুবই গুরুত্ব দেয় এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণে নতুন নতুন ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করবে। বাংলাদেশের জনশক্তি ইতালির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ইতালিতে বসবাসকারী
বাংলাদেশিদের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ইতালিতে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা খুবই সুশৃঙ্খল এবং তাদের মাঝে অপরাধ প্রবণতা
খুবই কম।’
বিশ্ব শান্তি
রক্ষায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের ভূমিকারও প্রশংসা করেন ইতালির রাষ্ট্রদূত। এদেশে
দায়িত্ব পালনকালে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট
সচিবরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।