আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

‘ইস্পাত শিল্পে আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ একটি রেফারেন্স প্ল্যান্ট’

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

জিপিএইচ ইস্পাতের কোয়ান্টাম ইলেকট্রিক আর্ক ফার্নেস প্রযুক্তি সমৃদ্ধ প্ল্যান্ট একটি রেফারেন্স প্ল্যান্ট। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে বিশ্ব মানের ইস্পাত সামগ্রী তৈরি করছে। এসব প্রযুক্তির অভিজ্ঞতা নিতে জিপিএইচ ইস্পাত প্ল্যান্টে এসেছে ভিন্টন স্টিল জাপানের জেনারেল ম্যানেজার তাতসুইয়া ফুকুইয়ামা এবং ভিন্টন স্টিল ইউএসএর জেনারেল ম্যানেজার এডুয়ারডো গঞ্জালেজ। শনিবার দিনব্যাপী জিপিএইচ ইস্পাতের কুমিরাস্থ প্ল্যান্ট পরিদর্শন করে এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

উক্ত প্ল্যান্টের প্রযুক্তি সহায়ক প্রতিষ্ঠান প্রাইমেটালসর তত্ত্বাবধানে তারা ইস্পাত খাতের এই বিশ্বমানের প্রজেক্ট পরিদর্শনে আসেন। জিপিএইচ গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম তাদের সাথে সাক্ষাত করেন।

প্ল্যান্টে এসে পৌঁছালে তাদের স্বাগত জানান জিপিএইচ ইস্পাতের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলমাস শিমুল এবং জিপিএইচ ইস্পাতের নির্বাহী পরিচালক (ফিন্যান্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট) কামরুল ইসলাম।

জিপিএইচ ইস্পাতের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলমাস শিমুল বলেন, জিপিএইচ দেশী বিদেশীদের কাছে অনুকরণীয় বলেই ১১টি স্টিল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান পরিচালনাকারী বিশ্বখ্যাত ভিন্টন ষ্টীল প্রতিনিধিদল আমাদের প্ল্যান্ট সফর করায় নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করছি। ভিন্টন প্রতিনিধিদল স্ক্র্যাপ প্রকিউরমেন্ট, অক্সিজেন প্ল্যান্ট, পরিবেশ সহ এই ইন্টিগ্রেটেড প্ল্যান্টের সার্বিক বিষয়ে অবহিত হন।

মতবিনিময়কালে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাইমেটালস অস্ট্রিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট (গ্লোবাল বিজনেস ইউনিট) জোসেফ গালেটনার এবং প্রাইমেটালস অস্ট্রিয়ার লং রোলিং পিটিইউএস এর মার্ক শোর, মিডিয়া এডভাইজার অভীক ওসমান, চিফ অপারেটিং অফিসার টি মোহন বাবু, এবং হেড অব প্ল্যান্ট শ্রীনিবাসা মাদুলুরি রাও।


আরও খবর



প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সম্পদ বেড়েছে কয়েক গুণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সম্পদ বেড়েছে কয়েক গুণ। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দাখিল করা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোননয় পত্রের সাথে জমা দেওয়া হলফনামা দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুর-১ (সদর ও মুজিবনগর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি এর আগে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একাদশ সংসদে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হওয়ার আগে তিনি ঢাকার একটি প্রাইভেট কলেজে শিক্ষকতা করতেন।

গত ১০ বছরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের রেকর্ড পরিমাণ সম্পদের একটি বড় উৎস হলো কৃষি। এই খাতে বছরে ২৫ লাখ টাকার বেশি আয় করেন তিনি। এছাড়া অন্যন্যা খাতেও তার আয় বেড়েছে।

হলফনামায় তিনি লিখেছেন, কৃষি থেকে তার বছরে আয় ২৫ লাখ ১৮ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ১৭ লাখ ৭৯ হাজার ৩৭৪ টাকা, শেয়ারবাজার ও ব্যাংক আমানত থেকে ৪ লাখ ২৮ হাজার ২০১ টাকা এবং পারিশ্রমিক, ভাতা, সম্মানী হিসেবে ২৯ লাখ ৭৬ হাজার ২৭৫ টাকা আয় করেন। এই হিসাবে তার আয়ের বড় অংশটি আসে পারিশ্রমিক, ভাতা ও সম্মানী থেকে।

তার নগদ রয়েছে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৬ টাকা, যা পাঁচ বছর আগে একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় ছিল ৬ লাখ টাকা। ১০ বছর আগে সংসদ নির্বাচনের সময় নগদ ছিলো ৯ লাখ টাকা এবং ব্যাংকে জমা ছিলো ১১ লাখ ৭৬ হাজার ২৩৮ টাকা।

এ ছাড়া বর্তমানে তার ব্যাংকে আছে ২৯ লাখ ১ হাজার ৯১৫ টাকা এবং পোস্টাল সেভিংস রয়েছে ৪০ লাখ টাকার, যার অর্ধেক তার স্ত্রীর নামে। তিনি যে গাড়িটি ব্যবহার করছেন তার দাম ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তার স্ত্রীর নামে একটি মাইক্রোবাস রয়েছে, যার দাম ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তার স্ত্রী মোনালিসার নগদ টাকা রয়েছে ৪৭ লাখ, ব্যাংকে জমা আছে দেড় লাখ, সঞ্চয় পত্র কেনা আছে ২০ লাখ, ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে ৪০ লাখ টাকা।

ফরহাদ হোসেনের নিজের ২৫ ভরি ও স্ত্রীর ১৩০ ভরি স্বর্ণ রয়েছে। স্থাবর সম্পদ হিসেবে তিনি বেশ কিছু জমিজমার তথ্য এবারের হলফনামায় দিয়েছেন। তার কৃষিজমি রয়েছে ২৭৪ শতক। রাজধানীর উত্তরায় ১ হাজার ৬০০ স্কয়ার ফুটের একটি ফ্ল্যাট তার নামে রয়েছে, তবে তা বুঝে পাননি। এ ছাড়া একটি দোতলা পাকা বাড়ি রয়েছে তার।

তবে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরহাদ হোসেন যে হলফনামা দাখিল করেছিলেন তা নগদ ও ব্যাংকে জমা মিলিয়ে ২০ লাখ টাকা ছিলো। তখন তিনি কোন গাড়ির মালিক ছিলেন না, ছিলো না কোন কৃষি জমি, ব্যবসা এমনকি কোন ফ্ল্যাট।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় দেড় কোটিরও কম টাকার সম্পদের হিসাব পাওয়া যায়। ওই সময় তার কাছে নগদ ছিল ৬ লাখ টাকা। এ ছাড়া তখন তার ছিল ৮০ লাখ টাকা দামের একটি গাড়ি, স্বর্ণ ও মূল্যবান ধাতু ছিল ২০ লাখ টাকার, আসবাব ছিল ৫ লাখ টাকার এবং ব্যবসা ও অন্যান্য সম্পদ ছিল ৩০ লাখ টাকার। ওই বছর তাঁর সঞ্চয়পত্র ছিল ১ লাখ ৫ হাজার ৩৫৩ টাকার। কৃষি থেকে আয় ছিল ৪ লাখ ও অন্যান্য খাত থেকে ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

মেহেরপুর জেলা নির্বাচন অফিস থেকে প্রাপ্ত হলফনামা ও নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসকল তথ্য পাওয়া গেছে।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রকে চাপে ফেলতে ইউরোপীয় যুদ্ধবিমান কিনছেন এরদোয়ান

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কেনার চেষ্টা করছে তুরস্ক। তবে মার্কিন যুদ্ধবিমান না মিলতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকে ভিন্ন পথে হাঁটছে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের দেশ। যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে বাইডেন প্রশাসনকে চাপে ফেলতে এবার ইউরোপ থেকে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান কেনার কথা ভাবছে আঙ্কারা।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বরাতে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান তুরস্ক না-ও পেতে পারে। এ জন্য ৪০টি ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে আঙ্কারা।

গত সপ্তাহে তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসার গুলার বলেছেন, যুদ্ধবিমান টাইফুন কেনার জন্য ব্রিটেন ও স্পেনের সঙ্গে আলোচনা করছে তার দেশ। যদিও জার্মানি এতে আপত্তি জানিয়েছে।

সূত্রটি বলছে, ইউরোফাইটারের সবচেয়ে উন্নত ও নতুন সংস্করণটি কিনতে চায় তুরস্ক। গতকাল বৃহস্পতিবার আঙ্কারায় ইয়াসার গুলার ও ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

আওে পড়ুন>> ইসরাইলকে সমর্থন জানিয়ে বিপাকে বাইডেন

এর আগে ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৪০টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান এবং বিদ্যমান যুদ্ধবিমান আধুনিকায়নের জন্য সরঞ্জাম কেনার প্রস্তাবে দেয় ন্যাটোর সদস্য দেশ তুরস্ক। ২০ বিলিয়ন ডলারের এই চুক্তির ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন সবুজ সংকেতও দেয়। তবে ন্যাটোর সম্প্রসারণ ও তুরস্কে মানবাধিকার ইস্যুর কথা সামনে এনে বেঁকে বসে মার্কিন কংগ্রেস।

সূত্রটি রয়টার্সকে বলেছে, তুর্কি বিমানবাহিনীর নতুন যুদ্ধবিমানের প্রয়োজন। আমাদের প্রথম পছন্দ হলো এফ-১৬। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ার আশঙ্কা থাকায় টাইফুন যুদ্ধবিমান বিকল্প হতে পারে। ব্রিটিশ কর্মকর্তারাও জার্মানিকে রাজি করানোর বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে।

জার্মানি, ব্রিটেন, ইতালি ও স্পেন যৌথভাবে ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান তৈরি করেছে।

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক তায়ফুন ওজবার্ক বলেছেন, আঞ্চলিক শক্তি ভারসাম্য আনতে তুরস্কের নতুন যুদ্ধবিমান প্রয়োজন। এটি কোনো গোপন বিষয় নয়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এফ-১৬ বিক্রির বিষয়ে কংগ্রেসকে রাজি করাতে বাইডেন প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়ানোর জন্য ইউরোফাইটার যুদ্ধবিমান কেনার পদক্ষেপ নিয়েছে তুরস্ক।


আরও খবর



পুলিশের আমন্ত্রণে গিয়ে গ্রেফতার কথিত ‘সিনিয়র সহকারী সচিব’

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কথিত সিনিয়র সহকারী সচিব পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে মো. রফিকুল হক মিঞা (২৮) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার রফিকুল ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারে (এনটিএমসি) উপ-পরিচালক পদে কর্মরত আছেন বলে দাবি করেন। তাকে পুলিশের সঙ্গে চা পানের আমন্ত্রণ জানিয়ে ডাকা হয়। পরে তার কথিত কর্মস্থলে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয় এই (রফিকুল) নামে কেউ সেখানে নেই। এক পর্যায়ে রফিক মিথ্যা পরিচয়ে প্রতারণার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।

তিনি বলেন, প্রতারক রফিকুল মিরপুর মধ্য পীরেরবাগ এলাকার মো. শামছুল হক মিঞার ছেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে মিরপুর থানা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের (মিরপুর জোন) অফিসে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। কিন্তু নিজেকে পরিচয় দেন সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে। ৩৫তম বিসিএস পাস করে তিনি বর্তমানে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারে (এনটিএমসি) উপ-পরিচালক পদে আছেন বলেও দাবি তার।

ওসি মহসীন আরও বলেন, গ্রেফতার রফিকুল এনটিএমসির পরিচালক পরিচয়ে ভিজিটিং কার্ডও বানিয়েছেন। থানায় কোনো প্রয়োজন হলে তার ভিজিটিং কার্ড দেখালে কাজ হয়ে যাবে বলে সবাইকে আশ্বস্ত করতেন। তার এমন কথা বিশ্বাস করেই বৃহস্পতিবার রাতে সেই ভিজিটিং কার্ড নিয়ে মিরপুর জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মাসুক মিয়ার কাছে আসেন আনু মিয়া নামের এক ব্যক্তি।

রফিকের ভুয়া ভিজিটিং কার্ড দেখে সন্দেহ হলে তাকে চা পানের আমন্ত্রণ জানিয়ে অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের অফিসে ডাকা হয়। রফিক সেখানে যাওয়ার পর তার পরিচয়, কর্মস্থলসহ বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অসংলগ্ন কথা বলা শুরু করেন। পরে তার কথিত কর্মস্থলে যোগাযোগ করা হলে এই নামে কেউ নেই বলে সেখান থেকে জানানো হয়। এক পর্যায়ে রফিক মিথ্যা পরিচয়ে প্রতারণার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন।

গ্রেফতার রফিকের বিরুদ্ধে মিরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সজিবুর রহমান বাদী হয়ে প্রতারণা ও সরকারি কর্মকর্তার মিথ্যা পরিচয় দেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছেন। এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।


আরও খবর



এক মাসের মধ্যে আলুর দাম কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী এক মাসের মধ্যে আলুর দাম কমে যাবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে আলু জোরেশোরে বাজারে আসবে তখন দাম কমে যাবে। এই মুহূর্তে যেসব আলু আসছে তা উত্তরবঙ্গের নীলফামারী, ঠাকুরগাঁওয়ের, তা এখনো যথেষ্ট নয়।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ের নাবিস্কো মোড় এলাকায় দেশব্যাপী ১ কোটি স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ ও টিসিবি পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম ডিসেম্বর ২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে টিসিবির ঢাকা আঞ্চলিক কার্যালয়।

তিনি বলেন, এই মুহুর্তে ৬০ টাকা না, আমাদের যে রিপোর্ট তাতে দেখা যায়, ৪২ থেকে ৪৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে আলু। শুধু ঢাকা শহরে এটি। মফস্বলে এটি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খেজুর আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে, এ নিয়ে আমদানিকারকরাও প্রশ্ন তুলেছিল এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা শুল্ক কমাতে পারি না। সে জন্য আমরা এনবিআরের কাছে আবেদন জানাতে পারি। সেই ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। আসন্ন মাহে রমজানকে সামনে রেখে যেন তারা শুল্ক একটু কমাতে পারে।

রাজনীতির বাইরে আপনাকে ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয় এতে আপনি খুশি কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুটো প্রেক্ষাপট, এই অঞ্চলেই আমি ৫৫ বছর ধরে রাজনীতি করে গেছি, মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছি। এটা আমার রাজনৈতিক কেরিয়ার। যখন আমি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করি তখন রাজনীতিটাই প্রধান হয়।

মন্ত্রী বলেন, পাশাপাশি ব্যবসায়ে যখন আমি এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি ছিলাম সে হিসেবে আমি ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। রাজনীতি আর ব্যবসা সাংঘর্ষিক না সহযোগী।


আরও খবর



জি এম কাদের ও তার স্ত্রী নিলেন ঢাকার দুই আসনের মনোনয়নপত্র

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ঢাকার দুই আসনের মনোনয়নপত্র নিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও তার স্ত্রী শেরীফা কাদের। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন তারা।

শনিবার পর্যন্ত ঢাকার ২০টি আসন থেকে এই দুজনসহ ৮০ জন মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। এদিন সন্ধ্যায় রমনা থানার নির্বাচন কর্মকর্তা এম এম শাহনাজ পারভীন সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

ঢাকা জেলার আসনগুলোর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় যেসব নির্বাচনী আসন রয়েছে, সেগুলোর রিটার্নিং কর্মকর্তা ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার। এর বাইরের আসনগুলোর রিটার্নিং কর্মকর্তা ঢাকার জেলা প্রশাসক (ডিসি)।

নির্বাচনে প্রার্থী হতে রিটার্নিং কর্মকর্তা বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে। 

আরও পড়ুন>> অপরাধ দমনে মাঠে থাকবে ৬৫৩ বিচারিক হাকিম

ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গুলশান-বনানী ও ভাসানটেক এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনের জন্য জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। কুড়িল, খিলক্ষেত ও উত্তরা এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৮ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র নিয়েছেন শেরীফা কাদের।

ঢাকা-১৭ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ এ আরাফাত। আর ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য ক্ষমতাসীন দলের হাবিব হাসান।

ঢাকা-১৭ আসন থেকে জি এম কাদেরসহ এখন পর্যন্ত মোট সাতজন মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। এর মধ্যে মো. আবু সাঈদ নামের এক প্রার্থী রয়েছেন, যিনি মনোনয়নপত্রে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ উল্লেখ করেছেন।

ঢাকা-১৮ আসন থেকে শেরীফা কাদেরসহ তিনজন মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে বশীর উদ্দিন।


আরও খবর