আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
মুক্তিপণে সন্তুষ্ট জলদস্যুরা, কততে নির্ধারিত হল জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিকের জীবন? সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রীর মৃত্যু, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু ‘নির্বাচনে খরচ ১ কোটি ২৬ লাখ, যেভাবেই হোক তুলবো’ সপ্তাহের ব্যবধানে ৫৩ কোটি ডলার রিজার্ভ কমল চট্টগ্রামে আর্টিকেল ১৯ এর দিনব্যপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত চার বছরে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ কংগ্রেস থেকে শিবসেনায় যোগ দিলেন গোবিন্দ পরিবেশ দূষণে বছরে অকাল মৃত্যু হচ্ছে পৌনে ৩ লাখ বাংলাদেশির প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার ৭০ হাজার সরকারি কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা

ইসলামে নারীদের মর্যাদা ও অধিকার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিশ্বমানবতার কল্যাণের অনন্য জীবন ব্যবস্থার নাম ইসলাম। নারী ও পুরুষসহ কোনো সৃষ্টির অধিকার ও স্বাধীনতা ইসলাম খর্ব করেনি। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় আলোচিত সামাজিক মহামারী নারী নির্যাতন’। এই নারী নির্যাতন রোধে করে নারীকে পূর্ণ স্বাধীনতা ও অধিকার দিয়েছে ইসলাম। শুধু ইসলামি জীবনদর্শনই নারীর স্বাধীনতা ও অধিকার অক্ষুন্ন রাখতে সক্ষম।

বাংলাদেশসহ বিশ্ব মিডিয়ার দিকে তাকালে দেখা যায়, প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও অহরহ ঘটে চলেছে নারীর প্রতি নির্যাতন। যারা নারী অধিকারের ব্যাপারে সরব, তারা দিতে পারছে না নারীকে যথাযথ সম্মান, স্বাধীনতা, নিরাপত্তা ও কাঙ্ক্ষিত অধিকার। ইসলামই একমাত্র জীবন ব্যবস্থা; যা নারীকে দিয়েছে যথাযথ মর্যাদা, সম্মান, স্বাধীনতা ও কাঙ্ক্ষিত অধিকার।

নারীর মর্যাদা:

নারী হবে পারস্পরিক সাহায্যকারী বন্ধু, সৎকাজের প্রতি উৎসাহ দানকারী, অসৎকাজে বাধা প্রদানকারী, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের পথে আহ্বানকারী, হজ, জাকাত, ইবাদত-বন্দেগি পালনকারী এবং সামাজিক প্রায় সব কাজেই পুরুষের মতো নারীদের অংশগ্রহণ ও কার্যক্রম পরিচালনাকারী। ইসলাম এর কোনোটিতেই বাধা দেয় না বরং এসব কাজে অংশগ্রহণে নারীকে ইসলাম উৎসাহ দেয়।

কোরআনুল কারিমে এসেছে-

يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا جَاءكَ الْمُؤْمِنَاتُ يُبَايِعْنَكَ عَلَى أَن لَّا يُشْرِكْنَ بِاللَّهِ شَيْئًا وَلَا يَسْرِقْنَ وَلَا يَزْنِينَ وَلَا يَقْتُلْنَ أَوْلَادَهُنَّ وَلَا يَأْتِينَ بِبُهْتَانٍ يَفْتَرِينَهُ بَيْنَ أَيْدِيهِنَّ وَأَرْجُلِهِنَّ وَلَا يَعْصِينَكَ فِي مَعْرُوفٍ فَبَايِعْهُنَّ وَاسْتَغْفِرْ لَهُنَّ اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ

‘হে নবি! ঈমানদার নারীরা যখন আপনার কাছে এসে আনুগত্যের শপথ করে যে, তারা আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করবে না, চুরি করবে না, ব্যভিচার করবে না, তাদের সন্তানদের হত্যা করবে না, জারজ সন্তানকে স্বামীর ঔরস থেকে আপন গর্ভজাত সন্তান বলে মিথ্যা দাবি করবে না এবং ভাল কাজে আপনার অবাধ্যতা করবে না, তখন তাদের আনুগত্য গ্রহণ করুন এবং তাদের জন্যে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল অত্যন্ত দয়ালু।’ (সুরা মুমতাহিনা : আয়াত ১২)

ইসলামের দৃষ্টিতে নারী

ইসলাম পূর্ব যুগে যখন নারীর অবস্থান ছিল অমানবিক; তখন থেকেই ইসলাম নারীর অধিকার ও মর্যাদা উন্নয়নের জন্য নজীরবিহীন সব ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে ইসলাম দিয়েছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা-

* শ্রেষ্ঠত্বে নারী:

নারীকে মানুষ হিসেবে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা দিয়েছে ইসলাম। বিধান পালনে নারী-পুরুষের প্রতি সমান নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। তুলে ধরেছেন নারীর নিরাপত্তার বিধানও। মহান আল্লাহ বলেন-

وَلَقَدۡ كَرَّمۡنَا بَنِيٓ ءَادَمَ

‘আর নিশ্চয়ই আমি আদম সন্তানদেরকে সম্মানিত করেছি।’ (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ৭০)

এ আয়াত থেকে প্রমাণিত মানবিক সম্মান ও মর্যাদার বিচারে নারী ও পুরুষের মাঝে কোনো পার্থক্য নেই। কোনো নারীকে শুধু নারী হয়ে জন্মানোর কারণে পুরুষের তুলনায় হীন ও নীচ মনে করা সম্পূর্ণ অজ্ঞতা ছাড়া আর কিছুই নয়। ইসলামের দৃষ্টিতে নারীরাও মহান আল্লাহর সম্মানিত সৃষ্টি।

* মর্যাদায় নারী:

ইসলামের দৃষ্টিতে ঈমান-আমল ও ইবাদতে নারী-পুরুষের মর্যাদাগত কোনো পার্থক্য নেই। পার্থক্য আছে বলে মনে করাও অজ্ঞতা। ইসলাম সুস্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছে যে, মর্যাদা-লাঞ্ছনা এবং মহত্ত্ব-নীচতার মাপকাঠি হচ্ছে- তাকওয়া তথা পরহেজগারী এবং নৈতিক চরিত্র। তাকওয়া ও চরিত্রের মাপকাঠীতে যে যতটা খাঁটি প্রমাণিত হবে আল্লাহর কাছে সে ততটাই সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন-

১. مَنۡ عَمِلَ صَٰلِحا مِّن ذَكَرٍ أَوۡ أُنثَىٰ وَهُوَ مُؤۡمِن فَلَنُحۡيِيَنَّهُۥ حَيَوٰةٗ طَيِّبَة وَلَنَجۡزِيَنَّهُمۡ أَجۡرَهُم بِأَحۡسَنِ مَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ

‘যে সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং সে ঈমানদার পুরুষ হোক কিংবা নারী হোক; আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং প্রতিদানে তাদেরকে তাদের উত্তম কাজের কারণে প্রাপ্য পুরষ্কার দেব; যা তারা করত।’ (সুরা নাহল : আয়াত ৯৭)

২. فَاسْتَجَابَ لَهُمْ رَبُّهُمْ أَنِّي لاَ أُضِيعُ عَمَلَ عَامِلٍ مِّنكُم مِّن ذَكَرٍ أَوْ أُنثَى بَعْضُكُم مِّن بَعْضٍ

‘এরপর তাদের পালনকর্তা তাদের দোয়া (এই বলে) কবুল করে নিলেন যে, আমি তোমাদের কোনো পরিশ্রমকারীর পরিশ্রমই বিনষ্ট করি না, তা সে পুরুষ * সামাজিক কাজে নারী:

কর্ম তৎপরতা ও উত্থান-পতনের সব ক্ষেত্রেই নারী-পুরুষ সব সময় একে অপরকে সহযোগিতাকারী। আল্লাহ তাআলা এক্ষেত্রেও উভয়কে সম মর্যাদা দান করেছেন। নারী-পুরুষের পারস্পরিক মিলে জীবনের কঠিন কাজগুলো সহজ হয়ে যায়। উভয়ের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সভ্যতা ও তামাদ্দুনের ক্রমবিকাশ ঘটে। আল্লাহ বলেন-

وَالْمُؤْمِنُونَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاء بَعْضٍ يَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَيُقِيمُونَ الصَّلاَةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَيُطِيعُونَ اللّهَ وَرَسُولَهُ أُوْلَـئِكَ سَيَرْحَمُهُمُ اللّهُ إِنَّ اللّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ

‘আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একে অপরের সহায়ক। তারা ভালো কথার শিক্ষা দেয় এবং মন্দ (কথা ও কাজ) থেকে বিরত রাখে। নামাজ প্রতিষ্ঠা করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন যাপন করে। এদেরই উপর আল্লাহ তাআলা দয়া করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশীল, সুকৌশলী।’ (সুরা তাওবাহ : আয়াত ৭১)

* দোষারোপ থেকে নারীর মুক্তি:

দাম্পত্য জীবনে নারীকে কোনোভাবেই অকল্যাণকর মনে করার সুযোগ নেই। আবার সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে নারীকে দোষারোপ করারও কোনো সুযোগ নেই। বরং সন্তান জন্মদান ও কল্যান-অকল্যান সম্পর্কে আল্লাহর নির্দেশনা এমন-

لِلَّهِ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ يَخْلُقُ مَا يَشَاء يَهَبُ لِمَنْ يَشَاء إِنَاثًا وَيَهَبُ لِمَن يَشَاء الذُّكُورَ - أَوْ يُزَوِّجُهُمْ ذُكْرَانًا وَإِنَاثًا وَيَجْعَلُ مَن يَشَاء عَقِيمًا إِنَّهُ عَلِيمٌ قَدِيرٌ

‘নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব আল্লাহ তাআলার জন্য। তিনি যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন, যাকে ইচ্ছা কন্যা-সন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন। অথবা তাদেরকে দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন। নিশ্চয়ই তিনি সর্বজ্ঞ, ক্ষমতাশীল।’ (সুরা শুরা : আয়াত ৪৯-৫০)

হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহ আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে আমরা আমাদের স্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে এবং প্রাণ খুলে মেলামেশা করতেও ভয় পেতাম; এই ভেবে যে- আমাদের সম্পর্কে কোনো আয়াত যেন  নাজিল না হয়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইন্তিকালের পর আমরা প্রাণ খুলে তাদের (স্ত্রীদের) সঙ্গে মিশতে শুরু করলাম।’ (বুখারি)

* নারীর প্রতি জুলুমরোধে পুরস্কারের ঘোষণা

অন্ধকার যুগে নারীর বেঁচে থাকার অধিকার পর্যন্ত ছিল না। ইসলামের ঘোষণা এলো এভাবে- না’, তারাও জীবিত থাকবে এবং যে ব্যক্তিই তার অধিকারে হস্তক্ষেপ করবে; মহান আল্লাহর কাছে তাকে জবাবদিহি করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন-

وَإِذَا الْمَوْؤُودَةُ سُئِلَتْ - بِأَيِّ ذَنبٍ قُتِلَتْ

‘যখন জীবন্ত কবর দেওয়া কন্যাকে জিজ্ঞাসা করা হবে- কি অপরাধে তাকে হত্য করা হল? (সুরা তাকভির : আয়াত ৮-৯)

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মেয়ে সন্তানদের হত্যা প্রতিরোধে বিশেষ ঘোষণা দেন এভাবে-

১. হজরত আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তির মেয়ে সন্তান আছে, আর যে তাকে জীবন্ত কবর দেয়নি কিংবা তার সঙ্গে লাঞ্ছনাকর আচরণ করেনি এবং পুত্র সন্তানকে তার উপর অগ্রাধিকার দেয়নি; আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’ (আবু দাউদ)

২. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তিনটি কন্যা সন্তান লালন-পালন করেছে, তাদেরকে উত্তম আচরণ শিখিয়েছে, বিয়ে দিয়েছে এবং তাদের সঙ্গে সদয় আচরণ করেছে; সে জান্নাত লাভ করবে।’ (আবু দাউদ)

* নারীর প্রতি আচরণ:

নারীর প্রতি কোমল ও সদয় ব্যবহারের নির্দেশ এসেছে কোরআনে। আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার পুরুষদেরকে দাম্পত্য জীবন পরিচালনায় এভাবে উপদেশ দিয়েছেন-

وَعَاشِرُوهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ

‘নারীদের সঙ্গে সদ্ভাবে জীবন-যাপন কর।’ (সুরা নিসা : আয়াত ১৯)

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্ত্রীদের কাঁচের সঙ্গে তুলনা করতেন। তাদের প্রতি সদয় হওয়ার তাগিদ দিতেন এভাবে-

’কাঁচগুলোকে (স্ত্রীদেরকে) একটু দেখে শুনে যত্নের সঙ্গে নিয়ে যাও।’ (মুসলিম)

আধুনিকতার নামে নারীর প্রতিবন্ধকতা:

আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় নারীকে অগ্রসর করে নেওয়া, স্বাধীনতা দেওয়া এবং নারীর ক্ষমতায়নের নামে বরং নারীকে পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় নারীরা অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত এবং বহু ক্ষেত্রে তারা নির্যাতিত। যেসব ক্ষেত্রে আধুনিক সমাজ ব্যবস্থা এখনো নারীর পাশে দাঁড়াতে পারেনি,

তাহলো-

১. ঘরের বাইরে নারীর চলাফেরায় নিরাপত্তা।

২. পাচারের শিকার হওয়া থেকে নিরাপত্তা।

৩. জোরপূর্বক বেশ্যাবৃত্তিতে বাধ্য করা থেকে নিরাপত্তা।

৪. যৌন হয়রানির শিকার থেকে নিরাপত্তা।

৫. স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, দেবর ও ননদ কর্তৃক নববিবাহিতা, গর্ভবতী নারী কিংবা সাধারণ নারীকে নির্যাতন থেকে মুক্তির নিরাপত্তা।

৬. যৌতুকের বলি হয়ে মৃত্যুবরণ করাও রোধ হয়নি।

৭. স্বামী ও পিতার সম্পত্তির অধিকার থেকে এখনো বঞ্চিত নারীরা।

৮. অধিকাংশ নারীই পায় না মোহরানার অধিকার। এমনকি আধুনিক সমাজ মোহরানা ছাড়াই কিংবা প্রতীকী এক টাকা/সামান্য গিফট ইত্যাদি নজির গড়ে নারীকে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা হওয়া থেকে বঞ্চিত করছে।

৯. মেয়ে শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ গৃহপরিচারিকার কাজ থেকে নিরাপত্তা দিতে পারেনি আধুনিক সমাজ ব্যবস্থা। বরং অনেকক্ষেত্রে যারা আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় নারীর স্বাধীনতা ও ক্ষমতায়নে আওয়াজ তুলছে, তারাই এ মেয়ে শিশু শ্রমিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত।

১০. আজও নারীদের শ্রমের সঠিক মূল্যয়ন করা হয় না।

১১. আধুনিক সভ্যতায় এ যুগে নারীর ক্ষমতায়ন ও স্বাধীনতার উচ্চ আওয়াজের এ সময়েও নারীদের পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

১২. এমনকি ধর্মীয় অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হয় নারীকে।

১৩. অহরহ ঘটে চলেছে ইসলামের সবচেয়ে নিকৃষ্ট হালাল কাজ তালাকের অপব্যবহার।

নারীর অধিকার, নিরাপত্তা ও স্বাধীনতায় করণীয়

সুতরাং নারী এসব নির্যাতন রোধে ইসলাম দিয়েছে সঠিক ও সুন্দর দিকনির্দেশনা। ইসলাম নারীর শিক্ষা অর্জনের অধিকার, সম্পত্তির অধিকার, স্বাধীন চিন্তা ও মত প্রকাশের অধিকার ইত্যাদির নিশ্চয়তা বিধান করেছে। এমনকি ইসলামি শরিয়াতের সীমার মধ্যে থেকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ব্যাপারে পুরুষের মতো শ্রম-সাধনা করায় নারীর সমান অংশগ্রহণের অনুমতিও রয়েছে।

ইসলামে নারীরা তাদের মান মর্যাদা ও ইজ্জত-আব্রু হেফাজরে নিশ্চয়তাই পায় না বরং নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে পায় সঠিক দিকনির্দেশনা। নিরাপত্তা, অধিকার ও স্বাধীনতায় কোরআনুল কারিমের নির্দেশনাগুলো এমন-

* নারীর নিরাপত্তায় উপদেশ

নারীর সার্বিক নিরাপত্তার বিধান দিয়েছে ইসলাম। রাস্তায়, কর্মস্থলে ও যত্রতত্র নারীদের হয়রানি করা তো দূরের কথা বরং ইসলাম নারীদের সৌন্দর্যের প্রতি দৃষ্টি দিতেও কঠোর নির্দেশ দেয়। আল্লাহ বলেন-

قُل لِّلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ذَلِكَ أَزْكَى لَهُمْ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ

’হে রাসুল! আপনি) মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাজত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয়ই তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।‘ (সুরা নুর : আয়াত ৩০)

আর কেউ যেন নারীকে হয়রানি না করে সে জন্য নারীকে বোনের দৃষ্টিতে দেখার ঘোষণা দেন প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি বলেছেন-

إِنَّمَا النِّسَاءُ شَقَائِقُ الرِّجَال

’নারীরা পুরুষদের সহোদরা (বোন)।’ (আবু দাউদ)

* ব্যভিচার-ধর্ষণ-অপবাদ প্রতিরোধ

ইসলাম ব্যভিচার, দেহব্যবসা, নগ্নতা, বেহায়াপনা, অশ্লীলতা ও দেহপ্রদর্শনীকে নিষিদ্ধ করেছে। শুধু তাই নয়, ইসলামে নারীকে ধর্ষণ করা কিংবা ধর্ষণের চেষ্টা করা এবং নারীকে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার অত্যন্ত ভয়াবহ শাস্তি ঘোষণা করেছে। যাতে খারাপ চিত্তের পুরুষগণ এসব অবাঞ্ছিত কাজ থেকে বিরত থাকে। একাধিক আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন-

১. وَلاَ تَقْرَبُواْ الزِّنَى إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَسَاء سَبِيلاً

আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ।’ (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ৩২)

২. وَلاَ تَقْرَبُواْ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ

’আর তোমরা প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য অশ্লীলতার কাছাকাছি যেও না।।’ (সুরা আল-আনআম : আয়াত ১৫১)

৩. إِنَّ الَّذِينَ يُحِبُّونَ أَن تَشِيعَ الْفَاحِشَةُ فِي الَّذِينَ آمَنُوا لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَاللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ

’যারা পছন্দ করে যে, ঈমানদারদের মধ্যে ব্যভিচার প্রসার লাভ করুক, তাদের জন্যে ইহাকাল ও পরকালে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে। আল্লাহ জানেন, তোমরা জান না।’ (সুরা নুর : আয়াত ১৯)

৪. إِنَّ الَّذِينَ يَرْمُونَ الْمُحْصَنَاتِ الْغَافِلَاتِ الْمُؤْمِنَاتِ لُعِنُوا فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ

’যারা সতী-সাধ্বী, নিরীহ ঈমানদার নারীদের প্রতি অপবাদ আরোপ করে, তারা ইহকালে ও পরকালে ধিকৃত এবং তাদের জন্যে রয়েছে গুরুতর শাস্তি।’ (সুরা নুর : আয়াত ২৩)

* নারীর অধিকার বাস্তবায়নে ইসলাম

নারী অধিকার বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। এ অধিকার সম্পদের, সম্মানের, নেতৃত্বের, দাম্পত্য জীবনের, সমাজের। এ অধিকার আল্লাহ তাআলা কর্তৃক নির্ধারিত। চাইলে যে কেউ নারীকে এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারবে না। নারীর অধিকারের বিষয়ে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন-

يُوصِيكُمُ اللّهُ فِي أَوْلاَدِكُمْ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الأُنثَيَيْنِ فَإِن كُنَّ نِسَاء فَوْقَ اثْنَتَيْنِ فَلَهُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَكَ وَإِن كَانَتْ وَاحِدَةً فَلَهَا النِّصْفُ وَلأَبَوَيْهِ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا السُّدُسُ مِمَّا تَرَكَ إِن كَانَ لَهُ وَلَدٌ فَإِن لَّمْ يَكُن لَّهُ وَلَدٌ وَوَرِثَهُ أَبَوَاهُ فَلأُمِّهِ الثُّلُثُ فَإِن كَانَ لَهُ إِخْوَةٌ فَلأُمِّهِ السُّدُسُ مِن بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِي بِهَا أَوْ دَيْنٍ آبَآؤُكُمْ وَأَبناؤُكُمْ لاَ تَدْرُونَ أَيُّهُمْ أَقْرَبُ لَكُمْ نَفْعاً فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلِيما حَكِيمًا

’আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেন, একজন পুরুষের অংশ দু’জন নারীর অংশের সমান। অতঃপর যদি শুধু নারীই হয় দুই-এর অধিক, তবে তাদের জন্য ওই মালের তিন ভাগের দুই ভাগ যা ত্যাগ করে মরে এবং যদি একজনই হয়, তবে তার জন্যে অর্ধেক। মৃতের বাবা-মার মধ্য থেকে প্রত্যেকের জন্যে রেখে যাওয়া সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ, যদি মৃতের ছেলে থাকে। যদি ছেলে না থাকে এবং বাবা-মা ওয়ারিস হয়, তবে মা পাবে তিন ভাগের এক ভাগ। অতঃপর যদি মৃতের কয়েকজন ভাই থাকে, তবে তার মাতা পাবে ছয় ভাগের এক ভাগ। ওসিয়ত পূরণ করার পর; যা (ওসিয়ত) করে মরেছে কিংবা ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের বাবা ও ছেলের মধ্যে কে তোমাদের জন্যে অধিক উপকারী তোমরা জান না। এটা আল্লাহ কতৃক নির্ধারিত অংশ। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা নিসা : আয়াত ১১)

এ আয়াতে নারী ক্ষেত্র বিশেষ যেমন পুরুষের অর্ধেক সম্পত্তি পাবে; আবার বিশেষ ক্ষেত্রে নারীর সমান অর্ধেক সম্পত্তিও পাবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আর নারীকে সম্পত্তির উত্তরাধিকার ঘোষণা করেছে ইসলাম।

* মোহরের অধিকার

 নারীর মোহরানার অধিকার সম্পর্কেও ইসলাম সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন-

১. يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِنَّا أَحْلَلْنَا لَكَ أَزْوَاجَكَ اللَّاتِي آتَيْتَ أُجُورَهُنَّ

হে নবি! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদের আপনি মোহরানা প্রদান করেন।’ (সুরা আহজাব : আয়াত ৫০)

২. وَآتُواْ النَّسَاء صَدُقَاتِهِنَّ نِحْلَةً فَإِن طِبْنَ لَكُمْ عَن شَيْءٍ مِّنْهُ نَفْسًا فَكُلُوهُ هَنِيئًا مَّرِيئًا

’আর তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহর দিয়ে দাও খুশীমনে। তারা যদি খুশী হয়ে তা থেকে অংশ ছেড়ে দেয়, তবে তা তোমরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ কর।’ (সুরা নিসা : আয়াত ৪)

৩. يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِنَّا أَحْلَلْنَا لَكَ أَزْوَاجَكَ اللَّاتِي آتَيْتَ أُجُورَهُنَّ وَمَا مَلَكَتْ يَمِينُكَ مِمَّا أَفَاء اللَّهُ عَلَيْكَ وَبَنَاتِ عَمِّكَ وَبَنَاتِ عَمَّاتِكَ وَبَنَاتِ خَالِكَ وَبَنَاتِ خَالَاتِكَ اللَّاتِي هَاجَرْنَ مَعَكَ وَامْرَأَةً مُّؤْمِنَةً إِن وَهَبَتْ نَفْسَهَا لِلنَّبِيِّ إِنْ أَرَادَ النَّبِيُّ أَن يَسْتَنكِحَهَا خَالِصَةً لَّكَ مِن دُونِ الْمُؤْمِنِينَ قَدْ عَلِمْنَا مَا فَرَضْنَا عَلَيْهِمْ فِي أَزْوَاجِهِمْ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ لِكَيْلَا يَكُونَ عَلَيْكَ حَرَجٌ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا

’হে নবি! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাতো ভগ্নি, খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে। কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা (মোহর) ফরজ করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।’ (সুরা আহজাব : ৫০)

* নারীর নির্যাতনের প্রতিরোধ:

নারীকে যে কোন ছুঁতোয় দৈহিকভাবে কিংবা মানসিকভাবে নির্যাতন করা ইসলামি শরীয়তে বৈধ নয়। স্বয়ং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজের জীবনে তার কোনো স্ত্রী  কিংবা কন্যার গায়ে হাত তোলেননি।

আবার বাসা-বাড়িতে কর্মরত কাজের মেয়ে কিংবা বুয়ারাও ক্রীতদাসী নয়। ইসলামে ক্রীতদাস প্রথাবিলোপ করা হয়েছে। বিদায় হজ্জের ভাষণে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দাস-দাসীদের ব্যাপারে বিশেষ নসিহত পেশ করেছেন-

’তোমাদের দাস-দাসীদের ব্যাপারে সাবধান! তোমাদের দাস-দাসীদের ব্যাপারে সাবধান! তোমাদের দাসদাসীদের ব্যাপারে সাবধান! তোমরা যা খাবে তাদেরকে তা খেতে দেবে এবং তোমরা যা পরবে তাদেরকে তা পরতে দেবে।’ (মুসনাদ আহমাদ, আত-তাবাকাত আল-কুবরা)

* নারীর প্রতি অপবাদ দেওয়ার শাস্তি:

ইসলামে নারীকে অপবাদ দেওয়া নিষিদ্ধ। আল্লাহ তাআলা এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছেন এভাবে-

وَالَّذِينَ يَرْمُونَ الْمُحْصَنَاتِ ثُمَّ لَمْ يَأْتُوا بِأَرْبَعَةِ شُهَدَاء فَاجْلِدُوهُمْ ثَمَانِينَ جَلْدَةً وَلَا تَقْبَلُوا لَهُمْ شَهَادَةً أَبَدًا وَأُوْلَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ

’যারা সতী-সাধ্বী নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে অতঃপর স্বপক্ষে চার জন পুরুষ সাক্ষী উপস্থিত করে না, তাদেরকে আশিটি বেত্রাঘাত করবে এবং কখনও তাদের সাক্ষ্য কবুল করবে না। এরাই নাফারমান।’ (সুরা নুর : আয়াত ৪)

* তালাকের অপব্যবহার প্রতিরোধ

স্বামী-স্ত্রীর অস্বস্তিকর জীবনের সুন্দর সমাধানের জন্য ইসলাম তালাকের বিধান রেখেছে। স্বামীর হাতে যদিও তালাকে প্রাথমিক অধিকার ন্যস্ত হয়েছে, কিন্তু সে অধিকার অন্যায়ভাবে প্রয়োগ করাও ইসলামি শরিয়তে আরেকটি অন্যায় ও গোনাহের কাজ হিসেবে বিবেচিত।

মনে রাখা জরুরি:

বিয়ে যেভাবে সামাজিক সমঝোতার ভিত্তিতে হয়ে থাকে ঠিক তেমনি তালাকও উভয়ের বোঝাপড়ার মাধ্যমে সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয় ইসলাম। এ ব্যাপারে ইসলামের দিকনির্দেশনা হলো এমন-

وَإِنْ خِفْتُمْ شِقَاقَ بَيْنِهِمَا فَابْعَثُواْ حَكَمًا مِّنْ أَهْلِهِ وَحَكَمًا مِّنْ أَهْلِهَا إِن يُرِيدَا إِصْلاَحًا يُوَفِّقِ اللّهُ بَيْنَهُمَا إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلِيمًا خَبِيرًا

’যদি তাদের মধ্যে সম্পর্কচ্ছেদ হওয়ার মত পরিস্থিতিরই আশঙ্কা কর, তবে স্বামীর পরিবার থেকে একজন এবং স্ত্রীর পরিবার থেকে একজন সালিস নিযুক্ত করবে। তারা উভয়ের মীমাংসা চাইলে আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবকিছু অবহিত।’ (সুরা নিসা : আয়াত ৩৫)

অতঃপর করণীয় কী হবে? এ সম্পর্কেও আল্লাহ তাআলা বলেন-

الطَّلاَقُ مَرَّتَانِ فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ وَلاَ يَحِلُّ لَكُمْ أَن تَأْخُذُواْ مِمَّا آتَيْتُمُوهُنَّ شَيْئًا إِلاَّ أَن يَخَافَا أَلاَّ يُقِيمَا حُدُودَ اللّهِ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلاَّ يُقِيمَا حُدُودَ اللّهِ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِمَا فِيمَا افْتَدَتْ بِهِ تِلْكَ حُدُودُ اللّهِ فَلاَ تَعْتَدُوهَا وَمَن يَتَعَدَّ حُدُودَ اللّهِ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ

’তালাকে-‘রাজঈ' হলো- দুবার পর্যন্ত। তারপর হয় নিয়মানুযায়ী রাখবে, না হয় সহৃদয়তার সঙ্গে বর্জন করবে। আর তাদের কাছ থেকে নিজের দেওয়া সম্পদ থেকে কিছু ফিরিয়ে নেওয়া তোমাদের জন্য জায়েয নয়। কিন্তু যে ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী উভয়েই এ ব্যাপারে ভয় করে যে, তারা আল্লাহর নির্দেশ বজায় রাখতে পারবে না; অতঃপর যদি তোমাদের ভয় হয় যে, তারা উভয়েই আল্লাহর নির্দেশ বজায় রাখতে পারবে না, তাহলে সেক্ষেত্রে স্ত্রী যদি বিনিময় দিয়ে অব্যাহতি নিয়ে নেয়, তবে উভয়ের মধ্যে কারোরই কোনো পাপ নেই। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা। কাজেই একে অতিক্রম করো না। বস্তুতঃ যারা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করবে, তারাই জালেম।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ২২৯)

* পরকালের জবাবদিহিতা:

সর্বোপরি পরকালের জবাবদিহিতা নারীর অধিকার, সম্মান, স্বাধীনতা ইত্যাদি সযোগ-সুবিধা পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম। কারণ নারী-পুরুষ প্রত্যেককেই পরকালে তার কাজের ব্যাপারে জবাবদিহি করতে হবে।

সুতরাং যে বা যারা নারী কিংবা পুরুষ নির্যাতন করে থাকে; তাদের এ কথা স্মরণ রাখা জরুরি যে, এ নির্যাতনের জন্য অবশ্যই তাকে আল্লাহর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে জবাবদিহি করতে হবে। আর এ জবাবদিহিতাই মানুষকে নারী/পুরুষ নির্যাতনসহ যে কোনো অন্যায় কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখবে। জবাবদিহিতা থাকলে নারী-পুরুষ সবাই উত্তম চরিত্রের মুসলিমে পরিণত হবে, ইন শা আল্লাহ।

সুতরাং মুসলিম উম্মাহর উচিত, নারীর নিরাপত্তা, স্বাধীনতা, সম্মান ও নির্যাতনরোধে ইসলামের দিকনির্দেশনা মেনে চলা জরুরি। তবেই ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে নারী পাবে সম্মান, নিরাপত্তা, স্বাধীনতা।

আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার সব মানুষকে নারীর দায়িত্ববোধ, স্বাধীনতা ও নিরাপত্তায় যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা দিতে ইসলামের বিধান মেনে চলার তাওফিক দান করুন। সব কল্যাণের বিষয়ে নারীর ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে ইসলামের সৌন্দর্য ও দিকগুলো বাস্তবায়নের তাওফিক দান করুন। আমিন।


আরও খবর
ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এলো ফেব্রুয়া‌রি‌তে

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চলতি বছরের ফেব্রুয়া‌রি‌ মাসে দেশে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। স্থানীয় মুদ্রায় বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী এই অর্থের পরিমাণ ২৩ হাজার ৮০০ কো‌টি টাকা।

রবিবার (৩ মার্চ) রেমিট্যান্সের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গত মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি মার্কিন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৯ শতাংশ রেমিট্যান্স বেশি এসেছে ফেব্রুয়ারিতে। গত বছরের জুলাইয়ের পর থেকে গত আট মাসে এক মাসে আসা এটাই সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। গত জুন মা‌সে রে‌মি‌ট‌্যান্স এসে‌ছিল ২২০ কো‌টি ডলার।

প্রবাসী কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি এবং এ বছর লিপ ইয়ারে ফেব্রুয়ারি মাস ২৯ দিনে হওয়ায় রেমিট্যান্স প্রবাহ আগে বছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




কাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রোজা শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সব অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বছর ঘুরে আবারও ফিরে এসেছে পবিত্র মাহে রমজান। রমজানকে স্বাগত জানাতে বিশ্বের সব মুসল্লি নিজেদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।

এরমধ্যে অস্ট্রেলিয়া ঘোষণা দিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে দেশটিতে পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে কাল সোমবার (১১ মার্চ) থেকেই রোজা শুরু হবে। দেশটিতে স্থানীয় সময় রোববার রাতে প্রথম তারাবি নামাজ পড়া হবে। এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে, উত্তর আমেরিকা ফিকাহ কাউন্সিল।

যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর আমেরিকার দেশগুলো মূলত জ্যোতির্বিদ্যার হিসাব-নিকাশের ওপর ভিত্তি করে রমজান ও ঈদের তারিখ ঘোষণা করে থাকে। জ্যোতির্বিদ্যার হিসাব অনুযায়ী, রোববার পবিত্র রমজান মাসের চাঁদের জন্ম হবে।

এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে উত্তর আমেরিকা ফিকাহ কাউন্সিল বলেছে, নতুন চাঁদের জন্ম রোববার, ১০ মার্চ ২০২৪ এ। এদিন সূর্য থেকে চাঁদের দূরত্ব থাকবে ৮ ডিগ্রির বেশি এবং উত্তর আমেরিকার সব অঞ্চলে সূর্য থেকে চাঁদ ৫ ডিগ্রি উপরে থাকবে।

তবে মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে রমজান ও ঈদের তারিখ নির্ধারণে খালি চোখে চাঁদ দেখার পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। কেউ যদি খালি চোখে চাঁদ দেখে থাকেন তাহলে সেখানে রমজান মাস শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়।

সৌদি আরবসহ আরব বিশ্বের সব দেশ আজ রাতে চাঁদ দেখার প্রস্তুতি নিয়েছে। দেশগুলো সাধারণ জনগণকে চাঁদ দেখার আহ্বান জানিয়েছে।

তবে আরব আমিরাতভিত্তিক আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র জানিয়েছে, ১০ মার্চ রাতে মধ্যপ্রাচ্যে চাঁদ দেখা যাবে না। কারণ খালি চোখে চাঁদ দেখতে কিছু বিষয় থাকে; যেগুলোর কোনোটিই আজ হবে না।

যেহেতু খালি চোখে চাঁদ দেখা যাবে না ফলে মঙ্গলবার থেকে সৌদি ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলোতে রোজা শুরু হবে।


আরও খবর



আফগানিস্তানে পাকিস্তানের বিমান হামলা: নিহত ৮

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তালেবান সরকার দাবি করেছে, আফগান ভূখণ্ডে দুটি বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এতে পাঁচ নারী ও তিন শিশুসহ মোট আটজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তালেবানের একজন মুখপাত্র। একই সঙ্গে এই হামলাকে আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ্য করেছেন তিনি। খবর রয়টার্সের।

সোমবার (১৮ মার্চ) তালেবান প্রশাসনের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাত কাউকে আফগান ভূখণ্ড ব্যবহার করে নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করার অনুমতি দেয় না।’

তিনি আরও বলেন, এ হামলায় পূর্ব সীমান্ত প্রদেশ খোস্ত ও পাকতিকায় পাঁচ নারী ও তিন শিশু নিহত হয়েছে।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং পররাষ্ট্র দপ্তর অবিলম্বে হামলার বিষয়ে মন্তব্য করার অনুরোধে সাড়া দেয়নি। তবে গত শনিবার অজানা জঙ্গিরা পাকিস্তানের একটি সামরিক ঘাটিতে হামলা চালিয়ে সাত নিরাপত্তা বাহিনীকে হত্যা প্রতিবাদেই এই হামলা চালিয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

রয়টার্স বলছে, যদিও তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার কারণ কী তা স্পষ্ট নয়, পাকিস্তান সরকার এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলছেন যে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই ধরনের হামলা বেড়েছে, যার অনেকগুলো পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি) দাবি করেছে এবং আফগান ভূখণ্ড থেকেই হামলা শুরু হয়েছে। তবে আফগান তালেবানরা আফগান ভূখণ্ড জঙ্গিদের ব্যবহার করার অনুমতি অস্বীকার করেছে।

এই মুখপাত্র মুজাহিদ বিবৃতিতে আরও বলেছেন, পাকিস্তানের নিজের ভূখণ্ডে নিয়ন্ত্রণের অভাব, অক্ষমতা এবং সমস্যার জন্য আফগানিস্তানকে দোষারোপ করা উচিত নয়।’

তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, এই ধরনের ঘটনার খুব খারাপ পরিণতি হতে পারে যা পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।’


আরও খবর



ইফতারে আঙুর-খেজুরের বদলে বরই-পেয়ারা খেতে বললেন শিল্পমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আঙুর, খেজুরের পরিবর্তে বরই, পেয়ারা দিয়ে ইফতার করার পরামর্শ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। আজ সোমবার রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই পরামর্শ দেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, আপেল লাগে কেন? আঙুর লাগে কেন? আর কিছু নেই আমাদের। ইফতারে বরই খান, পেয়ারা খান, আমাদের যা আছে সেগুলো ব্যবহার করুন। ইফতারের প্লেট সেভাবে সাজান।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের অভাব-অভিযোগ আছে। অনেক পণ্য আমাদের আমদানি করতে হয়। দাম বেশি পরে। প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন ইফতার পার্টি হবে না। আপনারা যেমন পরিবারের সমস্যাগুলো দেখেন, সেভাবে দেশের সমস্যাগুলো নিজেদের মনে করে দেখতে হবে। আমাদের পণ্যগুলো বিশ্বমানের করতে হবে। মন্ত্রণালয় কাজ করছে। জেলা প্রশাসকেরা গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করেছেন। প্রতিটি এলাকার জেলা প্রশাসকদের গুরুত্বপূর্ণ পণ্যগুলো জিআই করার জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। তারা আন্তরিকভাবে কাজ করছেন।

তিনি বলেন, এটা আমাদের স্বাধীনতার মাস। এ মাসটি আমাদের কাছে অনেক আবেগের। আজকে জেলা প্রশাসক যারা এখানে এসেছেন তারা সবাই এ প্রজন্মের সন্তান। তারা বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে এসেছে, তারা সমস্যাগুলো জানেন। বিশ্বের কাছে সবচেয়ে বড় জিআই হচ্ছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুই এই জিআইপরিচয় করে দিয়েছেন। লাল পতাকার চেয়ে বড় জিআই আর হয় না। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের পণ্যগুলোকে বাজারজাত করতে হবে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ডিসি সম্মেলনে প্রত্যেক মন্ত্রী তাদের নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের অবস্থান জানিয়েছেন। আপনারা ইতোমধ্যে সেগুলো শুনেছেন এবং জানেন। জেলা প্রশাসকরা প্রত্যেকটি কাজ যেভাবে করেছেন তাতে আমরা আনন্দিত। তারা আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে মাঠে যেভাবে কাজ করছেন, আশা করি রমজানেও মানুষের পাশে থাকবেন।


আরও খবর



ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে, আহত ৩০

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় তীর্থযাত্রার একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেছে। এতে কমপক্ষে ৩০ জন যাত্রী আহত হয়েছে।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের মনকসাই নামক এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে কয়েকজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন জয় দাস (২২), সুমন (৩৬), বাপন দাস (৩৬), সংগীতা দাস (৩০), সুনাকা (৬০), খুশি রায় (৪), কবিতা রানী (৪০), আশা রায় (২৪), রাহুল রায় (১৭), রাকেশ (২৫), কেশব (২৬), গোপাল (৩০), জনি দাস (৩৬), মমতা দাস (৬৮) ও বাপন দাস (৪২)। আহতরা সবাই শহরের পাইকপাড়া ও মেড্ডার বাসিন্দা।

হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ মন্দিরে শিব চতুর্দশী মেলার তীর্থযাত্রায় অংশগ্রহণের জন্য সনাতনী ধর্মাবলম্বী দুটি বাস জেলা শহরের পাইকপাড়া থেকে রাত ১০টার দিকে রওনা দেয়। একটি বাস জেলার কসবা উপজেলার মনকসাই এলাকায় অন্য একটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে তীর্থযাত্রার বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের খালে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ও কসবা থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।

এ ব্যাপারে কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, পিকনিকের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গিয়ে ২০ থেকে ২৫ যাত্রী আহত হয়। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ মারা যায়নি।


আরও খবর