ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে একমত হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তবে ইরানি রেভলিউশনারি গার্ডসকে এখনই সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করছে না ইইউ।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে পুনরায় আলোচনার প্রচেষ্টা স্থবির হয়ে পড়লে তেহরানের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয় ইউরোপীয় এ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জোটের। এরপর বেশ কয়েকজন ইউরোপীয় নাগরিককে আটক করলে এ সম্পর্ক আরও খারাপ হয়।
সম্প্রতি পুলিশি হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে সারা দেশে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে তা দমনে সরকারি ব্যবস্থা; বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর এবং রাশিয়াকে ড্রোন দেওয়ার কঠোর সমালোচনা করে ইইউ।
ইইউর বর্তমান প্রেসিডেন্ট সুইডেন জানায়, ব্রাসেলসে ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠক করেন। সেখানে মন্ত্রীরা ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ নিয়েছেন। যারা বিক্ষোভে দমন-পীড়ন চালিয়েছেন তাদের লক্ষ্য করেই এ নিষেধাজ্ঞা। ব্রাসেলসে ইইউর সদর দপ্তরের সামনে ইরানি সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন বিক্ষোভকারীরা।
সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী টোবিয়াস বিলস্ট্রম বলেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ইরানি কর্তৃপক্ষের নির্মম ও অসম শক্তি প্রয়োগের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইইউ। গত সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকেরা জানিয়েছিলেন, ৩৭ ইরানি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে এবং তাদের সম্পদ জব্দ করা হবে।
এদিকে রেভলিউশনারি গার্ডসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করার আহ্বান জানায় ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। তবে ইইউর শীর্ষ কূটনীতিক জানিয়েছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার আগে যে কোনো সদস্য দেশে সুনির্দিষ্ট আইনি দণ্ডাদেশসহ আদালতের রায় লাগবে। তবেই ইইউ এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে।
ইইউর বৈদেশিক নীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেন, এটি এমন কিছু যা আদালত ছাড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না... প্রথমে সিদ্ধান্ত। আপনি কাউকে পছন্দ করেন না বলে তাকে সন্ত্রাসী বলতে পারেন না।