আজঃ বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

‘ইনোভেশন এবং ইন্টিগ্রিটি থাকলে যেকোন তরুণ উদ্যোক্তা সফল হবে’

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (সিসিসিআই) চট্টগ্রামে তরুণ উদ্যোক্তাদের নিয়ে গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রিনিউরশীপ নেটওয়ার্ক (জিইএন) বাংলাদেশর সাথে কফি উইথ চেম্বার শীর্ষক মতবিনিময়ের আয়োজন করে।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে অনুষ্ঠিত মতবিনিময়ে প্রধান অতিথি হিসেবে চিটাগাং চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ উপস্থিত ছিলেন।

এতে তথ্যচিত্রের মাধ্যমে জিইএনর সামগ্রিক কর্মকান্ড এবং গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রিনিউরশীপ সপ্তাহ-২০২৩ সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত করেন জিইএন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কে এম হাসান রিপন।

এসময় চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, মাহফুজুল হক শাহ, বেনাজির চৌধুরী নিশান, ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হোসেন, মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম ও মোহাম্মদ মনির উদ্দিন, প্রাক্তন পরিচালকদ্বয় মোঃ ইফতেখার ফয়সাল ও মোহাম্মদ নাসিরুল আলম (ফাহিম), দেশ আইটির প্রফেসর রেজাউল করিম, তরুণ উদ্যোক্তা সৌমেন কানুনগো, প্রান্তিক গ্রুপের পরিচালক রাশিদ সরোয়ারসহ তরুণ উদ্যোক্তাগণ বক্তব্য রাখেন।

চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, জাতিসংঘের দেওয়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পূরণে একটা বড় ভূমিকা রাখতে পারেন তরুণ উদ্যোক্তারা। বাংলাদেশকে বিশ্ব মানচিত্রে সম্মানের সঙ্গে প্রতিষ্ঠা করতে হলে তরুণ উদ্যোক্তাদের যথাযথ ভূমিকাই এখন সময়ের দাবি। সীমিত সম্পদ দিয়েও যে ঘনবসতিপূর্ণ একটা ছোট্ট দেশে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা যায়, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে তা প্রমাণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী বেকারত্ব দূরীকরণের জন্য শিক্ষিত তরুণ প্রজন্মকে চাকরির পিছে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য উৎসাহিত করছেন। এজন্য আইসিটি ইনকিউবেটর এবং আইসিটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে তরুণ প্রজন্মকে বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন সরকার।

তিনি বলেন, আগামী গ্লোবাল ইকোনমি বে অব বেঙ্গলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এতে ভারত-চায়না ইতোমধ্যে বৃহৎ অর্থনীতির দেশে রূপান্তরিত হচ্ছে যার অংশীদার হচ্ছি আমরাও। বাংলাদেশের যে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড রয়েছে তাদেরকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে  পারলে ১৭ কোটির মানুষের এদেশ থেকে বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠান তৈরী হবে। এজন্য তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনার জন্য জিইএনসহ সকল প্রতিষ্ঠিত উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

জিইএন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কে এম হাসান রিপন বলেন, তরুণ উদ্যোক্তাদের শুরু থেকেই অনেক বাধা উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে হয়। ইনোভেশন এবং ইন্টিগ্রিটি থাকলে যেকোন তরুণ উদ্যোক্তা সফল হয়ে উঠবে। আর তরুণ উদ্যোক্তাদের উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে মনোভিত্তিক আগ্রহ জাগিয়ে তোলার জন্য ইকোসিস্টেম তৈরি করে নতুন ব্যবসা উদ্ভাবন ও বিকশিত করতে কাজ করছে জিইএন বাংলাদেশ। তিনি বলেন, জাপান, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপে সাড়ে চার কোটি দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে। এক্ষেত্রে এসব দক্ষ জনশক্তির যোগান দিতে ভারত ও বাংলাদেশের যথেষ্ট ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড রয়েছে। তাই বাংলাদেশের তরুণ যুবকদের নিয়ে চিটাগাং চেম্বারের তরুণ ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ে একটি নেটওয়ার্ক হাব এবং রিসার্চ ইনোভেশন সেন্টার করার আহবান জানান তিনি।

সভায় বক্তারা তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য পলিসি নির্ধারণের পাশাপাশি নতুন ব্যবসায়িক উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা, কারিগরি প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও তরুণ নেতৃত্ব সৃষ্টির মাধ্যমে ক্যাপাসিটি ডেভেলাপমেন্ট ও কানেক্টিভিটি তৈরীর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।


আরও খবর



রাজধানীতে গরম-যানজটে দুর্বিষহ জনজীবন

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বর্ষা মৌসুম শেষ হতে এখনো বাকি। তবে বর্ষা শেষ না হলেও দেশে বৃষ্টির প্রকোপ কমেছে। ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি থেকে সারাদেশে তাপমাত্রাও বেড়েছে। এ অবস্থায় সারাদেশের মতো গরম বেড়েছে রাজধানীতেও। সেই সঙ্গে তীব্র যানজট। গরম-যানজটে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ঝকঝকে আলো পেরিয়ে মেঘের দেখা মেলে রাজধানীর আকাশে। কয়েকটি এলাকায় হালকা বৃষ্টিও হয়। বৃষ্টির পরপর অনুভূত হতে থাকে ভ্যাপসা গরম। অন্যদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। নগরীর বিভিন্ন জায়গায় সৃষ্টি হয় যানজট।

এদিন রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, গুলিস্তান, পল্টন, মগবাজার, বাড্ডা সড়কে যানজট দেখা যায়। থেমে থেমে চলতে দেখা যায় গাড়ি। তীব্র গরমের সঙ্গে যানজটে ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের।

পল্টন মোড়ে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাসে কথা হয় ব্যবসায়ী সালাহউদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, সদরঘাট থেকে গাড়িতে উঠেছি, এক ঘণ্টায় মনে হয় তিন কিলোমিটার আসছি। প্রতিটি মোড়ে সিগন্যাল। এর মধ্যে গরমে ঘামতে ঘামতে ক্লান্ত হয়ে গেছি। বনশ্রী যাবো, পৌঁছাতে কতক্ষণ লাগবে জানি না।

এই মোড়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য বলেন, প্রতিদিন এই মোড়ে ঝামেলা হয়। কেউ কথা শোনে না। গুলিস্তান জিরো পয়েন্টের দিকে গাড়ি আগায় না। যে যেভাবে পারে সিগন্যাল ছাড়াই ফাঁকা দেখলে চলে যায়।

রামপুরা ব্রিজে কথা হয় রাইদা পরিবহনের চালক ইব্রাহিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, রামপুরা ব্রিজ থেকে বাড্ডা লিংক রোড যেতে আধাঘণ্টার বেশি সময় লাগে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কারণে এখন যানযট আরও বেড়ে গেছে। এর মধ্যে অসহনীয় গরম।

বাসের চালক-যাত্রীদের মতো রাইড শেয়ারিংয়ের মোটারসাইকেলের চালক-যাত্রীদেরও গরম যানজটে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। একজন পথচারীর সঙ্গেও কথা হয় এদিন। লিমন নামে ওই পথচারী বলেন, লোকাল বাসে ওঠা যাচ্ছে না। বাইরেও অনেক রোদ। বিভিন্ন মোড়ে ট্রাফিক নেই, যা তা অবস্থা। আজ বের হয়ে খুবই কষ্ট হচ্ছে।

এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা কমেছে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন পর ফিরে এসেছে তাপপ্রবাহ। দেশের দুটি বিভাগ ও পাঁচটি জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় গরম আরও বাড়তে পারে।


আরও খবর
রংধনু গ্রুপের পরিচালক মিজান গ্রেপ্তার

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




৬ বিভাগে ভারি বর্ষণের আভাস, পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের শঙ্কা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ৬ বিভাগে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে ভারি বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ পূর্বাভাস জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বাংলাদেশে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ মোট ৬ বিভাগের কোথাও কোথাও আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে।

একই সঙ্গে ভারি বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে জানান আবহাওয়া অফিস।


আরও খবর



চমেকে হাসপাতালের নিরাপত্তায় বিজিবি মোতায়েন

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

রাজধানীর ঢামেক হাসপাতালে হামলার ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) নিরাপত্তা নিশ্চিতে পর্যাপ্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর সাম্প্রতিক হামলার কারণে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজেও বিজিবি সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।

এর আগে ঢাকা মেডিক্যালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসকদের মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা দেয় সারাদেশের চিকিৎসকরা।

বৃহত্তর চট্টগ্রামের একমাত্র বিশেষায়িত হাসপাতাল চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরাও কর্মবিরতিতে যান। ফলে বন্ধ হয়ে যায় হাসপাতালের সব ধরনের সেবা কার্যক্রম। তবে এ কর্মসূচি স্থগিত করে ফের কাজে ফিরেছেন তারা। এরপর তাদের নিরাপত্তায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



১০ জেলায় বন্যাকবলিত ৩৬ লাখ মানুষ, নিহত ৮

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ১০ জেলায় বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৩৬ লাখ মানুষ। মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে দুর্গত অনেক এলাকায়। গত দুই দিনে ৪ জেলায় মারা গেছেন অন্তত ৮ জন। তবে কতজন নিখোঁজ হয়েছেন তা এখনোও জানা যায়নি। তলিয়ে গেছে কয়েক লাখ মানুষের বাড়িঘর-ফসলি জমি।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শফিকুল আলম এ কথা বলেন।

শফিকুল আলম জানান, আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কেবিনেট সভা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বন্যা পরিস্থিতির বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন।

মৃতরা হলেন, নাঙ্গলকোট পৌরসভার দাউদপুর এলাকার কেরামত আলী (৪৫), কুমিল্লা শহরের ছোট এলাকার কিশোর রাফি (১৫), চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সোনাকাটিয়া গ্রামের কানু মিয়ার ছেলে শাহাদাত হোসেন (৩৪) এবং লাকসামে পানিতে তলিয়ে মারা যাওয়া শিশুর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী জানান, বুধবার রাতে মাছ ধরতে গিয়ে স্থানীয় একটি সেতুর নিচে তলিয়ে যান নাঙ্গলকোটের দাউদপুর এলাকার কেরামত আলী। প্রবল স্রোতে হারিয়ে গেলে স্থানীয় লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থল থেকে একটু দূরে তার মরদেহ ভেসে ওঠে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাফি (১৫) নামে কুমিল্লা নগরের এক কিশোর মারা যায়। কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক যোবায়ের হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বুধবার সকালে চৌদ্দগ্রামে বন্যার পানিতে মাছ ধরার সময় গাছ পড়ে শাহাদাত হোসেন (৩৪) নামের এক প্রবাসী মারা যান। চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ত্রিনাথ সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত সোমবার বিকেলে সোহরাব হোসেন নামে এক আইনজীবী বৃষ্টির মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। কুমিল্লা নগরীর সালাউদ্দিন মোড়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রেখে বের হলে বৃষ্টির পানিতে পড়ে থাকা বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে তিনি মারা যান। কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কক্সবাজারে দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে অন্তত ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি। এসব এলাকার আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়ক পানিতে ডুবে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া পানিতে ভেসে গিয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) তাদের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন- রামু উপজেলার সাচিং মারমা (২৬) ও আমজাদ হোছন (২২)।

এদিকে ঈদগাঁও, চকরিয়া-পেকুয়া আর রামুতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি ও দোকানপাট। নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছেন এসব উপজেলার শতাধিক গ্রামের মানুষ।

রামু উপজেলার গর্জনিয়ার ক্যাজরবিল, ডেঙ্গারচর, পশ্চিম বোমাংখিল, জুমপাড়া, পাতালবরপাড়া, রাজঘাট, জাউচপাড়া, মরিচ্যাচার, জুমছড়ি, পূর্বজুমছড়ি, মইন্যাকাটা, পূর্ববোমাংখিল, বোমাংখিল ও মাঝিরকাটার একাংশের বাসিন্দারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। রামুতে ঢলের পানির স্রোতে ভেসে গিয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

ঈঁদগাও উপজেলার ইসলামাবাদ, পোকখালী ও ইসলামপুর এলাকার মানুষও পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ভেসে গেছে মাছের ঘের, গবাদিপশুর খামার।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, টানা বৃষ্টিতে কক্সবাজারের কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সেখানে উদ্ধার কার্যক্রম ও শুকনো খাবার দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানিতে ডুবে সুবর্ণা আক্তার নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু হয়েছে।


আরও খবর



হালদা নদীর ২২ স্থানে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত ফটিকছড়ি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার নাজিরহাট নতুন ব্রিজ এলাকায় হালদা নদীর তীররক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় দুই শিশু নিহত হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও দুইজন। উদ্বেগ উৎকণ্ঠা মধ্যে দিয়ে দিন-রাত পার করছেন এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট নতুন ব্রিজ এলাকায় প্রায় ১৫ ফুট বাঁধ ভেঙে গেছে। ফলে পানি ঢুকছে ফটিকছড়িতে।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) নতুন নতুন এলাকায় পানি ঢুকে পড়ছে। বিভিন্ন এলাকায় হালদা নদীর উপর দিয়েও পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

বাঁধ উপচে ও ভেঙে যাওয়া বাঁধের অংশ দিয়ে পানি ঢুকে উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে কয়েকশত ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। হালদার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ২২টি স্থানে বাঁধ ভেঙেছে। ভাঙা অংশে জিও ব্যাগ ফেলে পানি প্রবেশ বন্ধের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

ভয়াবহ বন্যায় উপজেলাজুড়ে বন্যাদুর্গত মানুষের বাঁচার আকুতি, হাহাকার, আতংকে পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তবে উপজেলার বাইরের স্বেচ্ছাসেবী ও মানবিক সংগঠনগুলোর সহযোগিতায় এগিয়ে আসছে। উদ্ধার তৎপরতা ও ত্রাণ বিতরণে উপজেলা প্রশাসন, আইন শৃংখলা বাহিনীর পাশাপাশি এসব সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবীদের ভূমিকা ছিল যথেষ্ট।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পানি স্রোতের তীব্রতা এত বেশি যে, কেউ দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না। বাঁধ ভেঙে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ওই সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এখন বৃষ্টি হচ্ছে না তারপরও পানি বাড়ছে। বিশেষ করে উপজেলার সুন্দরপুর, ভুজপুর, বাগানবাজার, পাইন্দং এলাকার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। এখানকার অনেক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাদের জরুরি ভিত্তিতে তীরে উদ্ধার করে নিয়ে আসা জরুরি। উদ্ধারে সাহায্য ও সহযোগিতা চেয়ে ফটিকছড়ির অনেক বাসিন্দা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক, গহিরা-হেঁয়াকো সড়ক, নাজিরহাট-কাজিরহাট সড়ক, কাটিরহাট-সমিতিরহাট-আজাদীবাজার, সমিতিরহাট-নানুপুর সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানিতে ডুবে আছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে এসব সড়কের বিভিন্ন স্থানে।

 ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, ফটিকছড়ির নাজিরহাট এলাকায় হালদা নদীর বাঁধ ভেঙে পানি এলাকায় প্রবেশ করছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে খালগুলো থেকে পানি উপচে লোকালয়ে প্লাবিত হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধ্যমতো চেষ্টা করা হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, উপজেলা চাষাবাদদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানি কমে গেলে ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ সম্ভব হবে।

উপজেলায় দুই পৌরসভাসহ প্রায় ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ২০ হাজার পরিবারের লক্ষাধিক লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় ৫০ মেট্রিক টন চাল ও চার লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানান উপজেলা নিয়ন্ত্রণ কক্ষে দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রকল্প অফিসার আবুল হোসেন।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে বন্যা, জলাবদ্ধতা, পাহাড়ধস পরিস্থিতির জন্য খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। বন্যাকবলিত এলাকাবাসীর নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বিভিন্ন স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খোলা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক গঠিত হয়েছে ২০টি ইউনিয়ন ও ৫টি সদর মেডিকেল টিম। নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কর্তৃক টিম গঠন করা হয়েছে।

 চট্টগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার জানিয়েছেন, চট্টগ্রামে ৯টি উপজেলার প্রায় আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এরমধ্যে ফটিকছড়িতে ২০টি ইউনিয়নে ১৯ হাজার ৫৮০ পরিবারের এক লাখ ২ হাজার মানুষ পানিবন্দি। একইভাবে মীরসরাই উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ১২ হাজার পরিবারের ৪৮ হাজার ৫০০ লোক, সীতাকুন্ডের ৬টি ইউনিয়নের ৫ হাজার পরিবারের ২০ হাজার লোক, হাটহাজারীতে ১২০টি পরিবারের ২ হাজার ৮০০ লোক, কর্ণফুলীতে ৫টি ইউনিয়নের ১০০টি পরিবারের ৫০০ লোক, পটিয়ায় ১৮টি ইউনিয়নের ৬ হাজার ৯৪৬টি পরিবারের ২০ হাজার লোক, বোয়ালখালীতে ৩টি ইউনিয়নে ১০০ পরিবারে ৭০০ লোক, বাঁশখালীতে ৮টি ইউনিয়নে ১ হাজার ৭৫০টি পরিবারের ৮ হাজার ৭৫০ জন এবং রাউজানে ১৩টি ইউনিয়নের ৩২০টি পরিবারের ১ হাজার ৬০০ জন লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

নিউজ ট্যাগ: হালদা নদী

আরও খবর